খাবার খেতে খেতে অনেকেই পানি খান। আবার পানি ছুঁয়েও দেখেন না অনেকে। অনেকে মনে করছেন, খাওয়ার সময় পানি খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু সত্যি কি খাবার খেতে খেতে পানি খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর? চলুন, জেনে নিই।
খাবার খেতে খেতে অনেকেই পানি খান। আবার পানি ছুঁয়েও দেখেন না অনেকে। অনেকে মনে করছেন, খাওয়ার সময় পানি খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু সত্যি কি খাবার খেতে খেতে পানি খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর? চলুন, জেনে নিই।
খাওয়ার সময়ে পানি খাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। অনেকে মনে করেন, এতে হজমের সমস্যা বাড়ে। খাবার খাওয়া শুরু করলে পরিপাকের জন্য বিভিন্ন উৎসেচক ও হরমোন নিঃসৃত হয়। এই সময় অতিরিক্ত পানি পান করলে এসব উপাদান পানির সঙ্গে মিশে কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।
খেতে খেতে পানি খেলে পেটফাঁপা বা অস্বস্তি হতে পারে। খাওয়ার মাঝে পানি খেলে খাবারের পুষ্টিগুণ শরীর ঠিকমতো শুষে নিতে পারে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জিইআরডি রোগে ভুক্তভোগীদের খেতে খেতে পানি পান করা উচিত নয়।
খাবার খাওয়ার সময় যদি গলা শুকিয়ে যায়, তবে দুই-এক চুমুক পানি পান করা যেতে পারে। পানি খাদ্যনালির নিচে যাওয়ার কারণে খাবারের জন্য লুব্রিকেন্ট হিসেবে কাজ করে, যার ফলে গিলতে সুবিধা হয়, বিশেষ করে শুষ্ক খাবার সহজেই খাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত পানি খাওয়া উচিত নয়।
সূত্র : আজকাল
সম্পর্কিত খবর
এপ্রিল মাস না আসতেই গরম শুরু হয়ে গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাইরে বের হওয়ার উপায় থাকে না। এমনকি ঘরের মধ্যেও গরমের আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে। মে-জুন মাসে কী হবে কে জানে!
আসলে ক্রমশ গরমের ধরন বদলে যাচ্ছে।
তা ছাড়া এসি, কুলার থাকলেও সারাক্ষণ চালালে বাড়তে থাকে বিদ্যুতের বিল। তাই গরমে ঘরোয়া উপায়ে ঘর ঠাণ্ডা রাখার বিকল্প উপায় খুঁজতে পারেন।
পর্দা টেনে রাখুন
গরমকালে সকালের মিঠে রোদ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। তাই রোদ চড়া হওয়ার আগেই পর্দা টেনে দিন। এতে সহজে ঘরে তাপ ঢুকবে না।
ভারী সুতির পর্দা
জানালায় ভারী সুতির পর্দা ব্যবহার করুন। এ ধরনের পর্দা ঘরে আলো প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এ ছাড়া বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারও হালকা রঙের কিনুন। এতে বিছানা যেমন তাপ ধরে রাখবে না, তেমনই ঘরও থাকবে ঠাণ্ডা।
দেওয়ালে হালকা রং
ঘরের রং যত গাঢ় হবে ততই আলো শোষিত হয়। সঙ্গে বাড়ে তাপমাত্রাও। আর হালকা রঙে আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। তাই ঘর ঠাণ্ডা রাখতে দেওয়ালে যতটা সম্ভব হালকা রং ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
ঘরে গাছ রাখুন
ফুলে-ফলে-পাতায় তারাও কিন্তু জানান দেয় ভালোবাসার কথা। বাড়িতে একটুকরো সবুজ থাকলেই নিমেষে ভালো হয়ে যায় মন। বাড়তি প্রাপ্তি দূষণ থেকে মুক্তি, পর্যাপ্ত অক্সিজেন এসব কিছু তো রয়েছেই। ঘরের ভিতর মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পামজাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
ভেজা ভেজা করে ঘর মুছুন
ঘরের তাপমাত্রা কম রাখতে একটু ভেজা ভেজা করে ঘর মুছতে পারেন। প্রয়োজন হলে একাধিকবার ঘর মুছুন। মেঝের সঙ্গে জানালার কাঁচও পানি দিয়ে মুছুন। পর্দায় খানিকটা পানি ছিটিয়ে দিলেও ঘর ঠাণ্ডা থাকবে।
টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে বরফ
ঘর ঠাণ্ডা রাখতে দরজা-জানালা বন্ধ করে টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে এক বাটি বরফ রাখতে পারেন। এতে বরফের ঠাণ্ডা বাতাস ঘর জুড়ে ঠাণ্ডা অনুভূতি তৈরি করবে। বরফ গলে গেলেও বেশ অনেকক্ষণ ঘর ঠাণ্ডা থাকবে।
সন্ধ্যায় জানালা খুলুন
ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সন্ধ্যাবেলায় ঘরের জানালা খুলে দিন। যাতে ভালোভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে। ঘর ঠাণ্ডা রাখার জন্য ঘরে ভেন্টিলেশন হওয়া খুবই প্রয়োজন। রান্না ঘরের ভেন্টিলেটর চালিয়ে রাখতে পারেন।
সূত্র : আজকাল
ঘন ঘন মাথা ন্যাড়া করার ফলে শিশুর চুল ঘন হয়, এমন বিশ্বাস রয়েছে আমাদের অনেকের মাঝে। এই বিশ্বাস কি আসলেই সত্যি? এই পুরনো বিশ্বাস বলে যে নবজাতক শিশুর নরম চুল ছেঁটে দিলে চুল ঘন হয়। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রায়ই এই অভ্যাসকে উৎসাহিত করে। কিন্তু বিজ্ঞান এমন কিছুতে বিশ্বাস করে না।
চুলের বৃদ্ধি মাথার ত্বকের উপরিভাগ ছাড়া অন্যান্য কারণের ওপর নির্ভর করে। ন্যাড়া করার ওপর চুলের প্রাকৃতিক টেক্সচার বা ঘনত্ব পরিবর্তন করে না। শিশুর চুল ঘন হবে কি না, তা মূলত জেনেটিক কারণে নির্ভর করে। এমনটাই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা।
শিশুর জন্মের সময় তাদের চুল প্রায়ই পাতলা ও নরম থাকে (যাকে বলা হয় ভেলাস হেয়ার)। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হরমোনের পরিবর্তন ও জেনেটিক কারণে তারা স্বাভাবিকভাবেই ঘন এবং আরো বেশি কালো হয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, ন্যাড়া করলে এই প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করে না।
একটি শিশুর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার প্রক্রিয়া বিজ্ঞানের পরিবর্তে ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত করে।
অর্থাৎ শিশুকে ন্যাড়া করানোর তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো তার চুল পরিষ্কার ও স্ক্যাল্প রোগমুক্ত রাখা। চুল কাটিয়ে দিলে গরমে আরাম লাগতে পারে ঠিকই।
সূত্র : নিউজ ১৮
টক দইয়ে রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রতিদিন টক দই খেলে শরীর থেকে পালাবে অনেক রোগ। টক দই প্রো-বায়োটিকের কাজ করে। হজমপ্রক্রিয়া ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রো-বায়োটিক কার্যকরী।
ইফতারে টক দই খাওয়ার উপকারিতা
সতর্কতা
যেভাবে খাবেন
আসন্ন ঈদুল ফিতরে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার স্রোত শুরু হবে শীঘ্রই। শবেকদর, ঈদুল ফিতর আর সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে এক লম্বা ছুটি পাচ্ছে নগরবাসী। পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগ করতে অনেকেই ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি ভুলে যাওয়ার জন্য এই ছুটির দিনগুলো এক কথায় অনন্য।
এই বাড়ি ফেরার সময় কিছু অসাবধানতার কারণে ঈদের ছুটির আনন্দ ম্লান হয়ে যেতে পারে এক নিমিষেই। তাই জেনে নিন ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগে কোন কাজগুলো করতে হবে।
ঘরের বৈদ্যুতিক সুইচ
তাড়াহুড়ো করে বাড়ি ফেরার আগে আপনার ঘরের বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করুন। অনেক সময় অসতর্কতায় সুইচ চালু থাকায় যেমন বিদ্যুতের অপচয় হয় তেমনি ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।
গ্যাস ও পানির লাইন
শুধু বৈদ্যুতিক সুইচ-ই নয়, গ্যাসের চুলা সঠিকভাবে বন্ধ করুন। সম্প্রতি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ব্যাপক। আমরা অনেক সময় চুলা ব্যবহারের পর ভালোভাবে বন্ধ করতে ভুলে যাই। সব সময়ই ভালোভাবে চুলা বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক থাকুন।
ফুলের টব ও পোষা প্রাণীর যত্ন
বাড়ি ফেরার এই দীর্ঘ ছুটিতে ঘরের কিংবা বারান্দায় যত্নে রাখা গাছ যেন অযত্নে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। গাছগুলো যেন তার পর্যাপ্ত পানি পায় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করা যায়। অনেকেই প্লাস্টিকের বোতলে পানি রেখে উপরে ঝুলিয়ে এক দুই ফোঁটা পানি পড়ার ব্যবস্থা করে কিংবা গাছের গোড়ায় বিভিন্ন উপকরণ রেখে ভেজা পরিবেশ নিশ্চিত করে। এছাড়াও আরো বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে তা অবলম্বন করে আপনার অনুপস্থিতিতে গাছের যত্ন নিশ্চিত করতে পারেন।
বাসায় পোষা প্রাণী থাকলে তাকে একা বাসায় রেখে যাওয়ার ভুল করবেন না। সম্ভব হলে সঙ্গে করে নিয়ে চলুন অথবা পরিচিত কারও বাসায় রেখে যান। ঢাকাতেই পোষা প্রাণীদের কিছু কেয়ার সেন্টার গড়ে উঠেছে, যেখানে নামমাত্র মূল্যে চাইলেই নিজের পোষা প্রাণীকে রেখে যেতে পারবেন আপনিও।
দরজা-জানালার তালা ভালোভাবে পরীক্ষা করুন
আপনার বাসার প্রতিটি দরজা ও জানালা শক্তভাবে বন্ধ করুন এবং তালা লাগিয়ে নিন। শুধু প্রধান দরজা নয়, রান্নাঘর, বারান্দা বা জানালার গ্রিলের লকও পরীক্ষা করুন। মূল দরজার পাশাপাশি প্রত্যেক রুমেই আলাদা তালা লাগান এবং লাগানো হলে আরেকবার টেনে দেখুন। তালা লাগানোর আগে অবশ্যই চেক করবেন ভুলে কোনো জানালা খোলা আছে কি না। তালা লাগানোর পর চাবি নিরাপদে সংরক্ষণে রাখুন। এটাও খেয়াল রাখবেন যাতে অন্যান্য ব্যস্ততায় এই চাবিগুলো যেন আবার হারিয়ে না যায়। বাসার আলমারিতে মূল্যবান সামগ্রী রাখলেও সেটিতে ভালোভাবে তালাবন্ধ করে নিন। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের কপি ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করুন, যাতে হারিয়ে গেলেও সমস্যায় না পড়েন।
প্রতিবেশী ও নিরাপত্তাকর্মীদের অবহিত করুন
আপনার পাশের বিশ্বস্ত প্রতিবেশী বা বাসার দারোয়ানকে জানিয়ে যান যে আপনি কিছুদিনের জন্য বাইরে থাকবেন। এতে তারা সন্দেহজনক কিছু দেখলে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। নিরাপত্তার জন্য প্রতিবেশীর সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখুন, যেন তারা প্রয়োজনে আপনাকে খবর দিতে পারে।
আলো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
আপনার বাড়ি যেন একেবারে অন্ধকার না থাকে, তা নিশ্চিত করুন। চোরেরা সাধারণত ফাঁকা বাড়িগুলোকেই টার্গেট করে। স্বয়ংক্রিয় টাইমারযুক্ত লাইট ব্যবহার করতে পারেন, যা নির্দিষ্ট সময় পরপর জ্বলে উঠবে। দরজার সামনে বা প্রবেশপথে আলো রাখুন, যাতে কেউ সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করলে তা বোঝা যায়।
সিসিটিভি ক্যামেরা
আপনার বাসায় যদি বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকে, তাহলে সেটি চালু রাখুন। চাইলে আপনার মোবাইলে এক্সেস নিয়ে বাড়ি যেতে পারেন। এতে প্রয়োজনে দূরে থেকেও পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। পাশাপাশি ঘর গুছানোর সময় সর্বশেষ অবস্থার ছবি তোলে রাখতে পারেন যা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে পরবর্তীতে কাজে লাগতে পারে।
লেখক : তানজিদ শুভ্র
শিক্ষার্থী, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলজে, গাজীপুর।