সেনাবাহিনীর পেশাদারত্বের প্রশংসা করলেন মার্কিন জেনারেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সেনাবাহিনীর পেশাদারত্বের প্রশংসা করলেন মার্কিন জেনারেল
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাদারত্বের প্রশংসা করেছেন ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল ফর ইউএস আর্মি প্যাসিফিক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল বি ভওয়েল।

মার্কিন দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিনি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য পেশাদার সামরিক বাহিনীর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

গত ২৪ ও ২৫ মার্চ সফরকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল বি ভওয়েল সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 

আলোচনায় তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্কের প্রতি মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতিকে আরো জোরদার করেন এবং একই সঙ্গে ভাগ করা নিরাপত্তা স্বার্থ এবং চলমান সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।

বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোতে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা প্রদান করতে পারে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রীষ্মে ‘২৫ সালে টাইগার লাইটনিং অনুশীলন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মার্কিন সরঞ্জামের সম্ভাব্য ক্রয় নিয়েও আলোচনা হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় ইতিবাচক সাড়া চীনের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় ইতিবাচক সাড়া চীনের

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রসারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে চীন। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী বর্তমানে দেশটিতে পড়াশোনা করছেন। যা ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত হবে।

রবিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফর নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. খলিলুর রহমান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০টি চমৎকার বর্ষ অতিক্রম করেছি আমরা। আগামী ৫০ বছর কেমন করে আমরা আমাদের দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলবো তার একটি শক্ত ভিত্তি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তৈরি করে দিয়েছেন।

ড. খলিলুর রহমান বলেন, তার একটি দিক হচ্ছে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং অন্য দিকটা হচ্ছে শিল্পায়ন। এই দুটি স্তম্ভ তারা শক্ত করে প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গেছেন।

এগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ হচ্ছে দুই দেশের মানুষের। তার একটি প্রধান বিষয় হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, প্রধান উপদেষ্টা পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বলেছেন, আমরা এক-দুজন নয়; বরং হাজার হাজার বাংলাদেশি চাইছে, যারা চীনে শিক্ষা নিতে যাবেন। আগামী এপ্রিল মাসে কুনমিং শহরের গভর্নর বাংলাদেশে আসছেন।

ওই সফরে শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। আমরা চাইছি- যেন, বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী চীনে শিক্ষার সুযোগ লাভ করতে পারেন। এ বিষয়ে আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। একইসঙ্গে উভয় দেশের মানুষের সঙ্গে সংযোগ এবং শিক্ষার প্রসারের জন্য ঢাকা এবং চীনে দুটি কালচারাল সেন্টার স্থাপন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এবারের চীন সফরে স্বাস্থ্য সেবা একটা বড় বিষয় ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১২ শতাংশের মতো এসেছে অনুদান, যা প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের মতো।

এর মধ্যে ১৫০ মিলিয়ন ডলার কারিগরি সহায়তার জন্য এবং ১০০ মিলিয়ন হাসপাতাল তৈরির জন্য। চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে বাংলাদেশে অত্যাধুনিক হাসপাতাল তৈরি করা এবং বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য যে যাত্রা ভারত-থাইল্যান্ডের দিকে হয়, আমরা চেষ্টা করছি, যাতে চীন থেকে সেই সাপোর্ট পাওয়া যায়।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

১৫ জেলার প্রায় ৩০০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত

বাসস
বাসস
শেয়ার
১৫ জেলার প্রায় ৩০০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত
ছবি : বাসস

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের অন্তত ১৫টি জেলার প্রায় ৩০০ গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। জেলাগুলো হলো চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রামে, শরীয়তপুর, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, শেরপুর, টাঙ্গাইল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, নোয়াখালী, পটুয়াখালী ও চাঁদপুর।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ এবং জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে আজ রবিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের পীর সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন।

জানা যায়, মরহুম পীর মাওলানা ইসহাকের (রহ.) অনুসারী মুসল্লিরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলাসহ অর্ধশত গ্রামে আজ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলার ৩৫টি গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ১৯২৮ সাল থেকে এখানকার গ্রামবাসীরা একদিন আগে থেকে রোজা রাখা শুরু করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় একদিন আগে তারা ঈদ উদযাপন করেন। 

জানা যায়, তারা সবাই হানিফি মাজহাব কাদেরিয়া তরিকা ভক্ত। তাদের বর্তমান পীর চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হযরত শাহসুফি মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মমতাজ আলী।

পটুয়াখালী জেলার ৩৫ গ্রামের মধ্যে রয়েছে গলাচিপার সেনের হাওলা, পশুরী বুনিয়া, নিজ হাওলা, কানকুনি পারা, মৌডুবি, বাউফলের মদনপুরা, রাজনগর, বগা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদি, চন্দ্রপাড়া, দ্বিপাশা, শাপলা খালী, কনকদিয়া, আমিরাবাদ, কলাপাড়ার নিশানবাড়িয়া, ইটবাড়ীয়া, শহরের নাঈয়া পট্টি, টিয়াখালী, তেগাছিয়া ও দক্ষিণ দেবপুর।

নোয়াখালী জেলার পাঁচটি গ্রামের মানুষ আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। আজ সকাল ৯টায় জেলার তিনটি উপজেলার ১০টি মসজিদে একযোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে চারটি গ্রামের মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।

জানা যায়, বড় পীর আবু মুহম্মদ মহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানীর (রঃ) মতাদর্শে অনুপ্রাণিত কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিণারায়নপুর, বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর, রামভল্লবপুর গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে প্রতি বছর একদিন আগে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করেন। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে তারা প্রায় ১০০ বছর ধরে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন।

নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভা, লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর গ্রাম, কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের রামভল্লবপুর, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রামে এসব জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে লালমনিরহাটে শতাধিক পরিবার আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভাণ্ডার, সুন্দ্রহবী, কাকিনা, চাপারহাট, চন্দ্রপুর, আমিনগঞ্জ ও মুন্সীপাড়া গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের মুসল্লিরা আজ ঈদের জামাতে অংশ নেন। 

লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাওলানা ইসহাকের (রা.) অনুসারীরা মক্কা ও মদিনার সাথে সঙ্গতি রেখে ঈদসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় লক্ষ্মীপুর জেলার ১১টি গ্রামে রবিবার ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপা ও সদর উপজেলার বশিকপুরসহ ১১টি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লি আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। এসব গ্রামের মুসল্লিরা গত ৪১ বছর যাবত সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার পীরের মুরিদ ও ভোলা জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত খলিফা মজনু মিয়ার অনুসারী প্রায় ছয় হাজার পরিবার আজ ভোলায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। ভোলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামে আজ ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুরেশ্বর পীরের মুরিদ ছাড়াও ভোলাবাসী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভান্ডারি শরিফ পীরের মুরিদের পরিবারের সদস্যরাও শতবছর ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন আগেই রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন।

টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার শশীনাড়া গ্রামের ৪০টি পরিবার আজ ঈদ উদযাপন করছে। উপজেলার লাউহাটী ইউনিয়নের শশীনাড়া গ্রামের কিছু মুসুল্লি ২০১২ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন।

বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর সাথে মিল রেখে সাতক্ষীরার অন্তত ২০টি গ্রামে আজ ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ৮টায় সদর উপজেলার বাউখোলা বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও ভাড়ুখালি আহলে সুন্নাহ আল জামাত জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া তালা উপজেলার জেঠুয়া, ইসলামকাঠি, শ্যামনগর উপজেলার গোয়ালচত্বরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে একই সময়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। গত এক যুগ ধরে তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন।

দিনাজপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলাসহ ৭টি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। স্থানীয় মুসল্লিদের দাবি প্রতি বছর একদিন আগে অনুষ্ঠিত এই ঈদের জামাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।

শেরপুরে নারী-পুরুষ একসাথে ঈদের জামাত আদায় করেছেন। শেরপুরের চারটি উপজেলার ৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মুসল্লি আজ ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করেন। প্রতিটি জামায়াতে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণের পাশাপাশি নারী মুসুল্লি পর্দার আড়ালে একই জামাতে অংশ নেন।

সাতক্ষীরার অন্তত ২০টি গ্রামে আজ ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ৮টায় সদর উপজেলার বাউখোলা বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও ভাড়ুখালি আহলে সুন্নাহ আল জামাত জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া তালা উপজেলার জেঠুয়া, ইসলামকাঠি, শ্যামনগর উপজেলার গোয়ালচত্বরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে একই সময়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। গত এক যুগ ধরে তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের ২৩টি গ্রামের ২৩টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোনারগাঁওয়ে  আহলে হাদিসের ২৩টি মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদের মুসল্লিরা আজ ঈদের নামাজ আদায় করেন। ২০১৪ সাল থেকে তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করেন। 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। এই ১৩টি গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা ও ঈদ পালন করেন। ১৩ গ্রামের এই মুসল্লিরা চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান।

গত ২৪ বছর ধরে ঝিনাইদহের চারটি স্থানে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জেলার হরিণাকুন্ডু পৌরসভার বলফিল্ডের সামনে ভালকি, নিত্যনন্দনপুর, কালীগঞ্জের বারোবাজার ও সদর উপজেলার একটি অংশের মুসল্লিরা আজ পৃথকভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

রংপুরের ১২০ পরিবার আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৪ সালে বাগপুর পূর্ব মৌলভীপাড়া গ্রামের মাওলানা আব্দুর রশীদ বাদশা ঈমাম হয়ে ২০ থেকে ৪০ জন মুসল্লিকে সাথে নিয়ে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা এবং ঈদ উদযাপন শুরু করেন। তখন থেকেই এ নিয়ম চলে আসছে। ২০২২ সালে মাওলানা আব্দুর রশীদ বাদশার মৃত্যুর পর তার বড় পুত্র মাওলানা আব্দুল বাতেন বাবার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে নিজে ইমাম হয়ে ১২০টি পরিবারকে সাথে নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এ ছাড়াও চট্টগ্রামের ৫০টি গ্রাম, কুড়িগ্রামের কয়েকটি গ্রাম এবং শরীয়তপুরের ৩০টি গ্রামে আজ ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ পড়বেন রাষ্ট্রপতি, জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ পড়বেন রাষ্ট্রপতি, জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ পড়বেন।

রবিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এ তথ্য জানান।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

সেই অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার সারা দেশে যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

তিনি বলেন, সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৪ জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, আজ রোববার বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এমতাবস্থায় আগামীকাল সোমবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

ঈদের দিন বিকেল ৪টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার তার কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

 

উল্লেখ্য, এর আগে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বেশ কয়েকবার বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ আদায় করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে দুই বছর জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালে সেই সিদ্ধান্ত শিথিল হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন।

মন্তব্য

ঈদের সকালে রোদ নাকি বৃষ্টি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের সকালে রোদ নাকি বৃষ্টি

দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সোমবার সকালে দেশের সব এলাকায় ঈদের নামাজ পড়বেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ পড়েই স্বজনদের সঙ্গে দেখা, আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়াই প্রধান কাজ হয়ে ওঠে মুসলিমদের। তবে এতে মাঝেমধ্যেই বাগড়া দেয় আবহাওয়া।

দেশের ৩৫ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার, অর্থাৎ ঈদের দিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এদিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। 

সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

সেই হিসেবে ঈদের দিন বৃষ্টি হওয়ার কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে পরদিন মঙ্গলবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ