রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় পুলিশকে মারধর করে পালিয়ে যাওয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা গোলাম মোস্তফাকে (৫৮) গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান বলেন, পলাতক গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যাসহ পাঁচটি মামলার আসামি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা গোলাম মোস্তফাকে গত ১২ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে হাতকড়া পরানোর পর পুলিশের ওপর হামলা করে তাকে ছাড়িয়ে নেয় একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় কয়েকজন পুলিশ আহতও হন। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় সরকারি কাজে বাধা দান ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলা হয়েছে।
তবে গোলাম মোস্তফাসহ হামলাকারী কেউই এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ওসমান মাসুম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
আরো পড়ুন
ঈদের আগেই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আহ্বান এনসিপির
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অ্যাভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে থেকে আসামি আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য গোলাম মোস্তফাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। এই সময়ে পুলিশের হেফাজত থেকে আসামি পালিয়ে যেতে থাকলে মামলার বাদীসহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স তাকে আটক করার চেষ্টা করলে তিনিসহ অন্যরা কিল-ঘুষি মারতে থাকে।
আসামিদের মারপিটের সময়ে গোলাম মোস্তফাকে ছিনিয়ে নিয়ে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। হামলায় পুলিশের এক সদস্য আহত হলে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলায় নেতৃত্ব দেয় ঘটনাস্থলের সামনেই থাকা একটি স্কুলের শিক্ষক কর্মকর্তারা। ঘটনার সময় মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হামলার সামনে ছিল ওই স্কুলের পোশাকধারী নিরাপত্তা-প্রহরীরা।
আরো পড়ুন
রাতে বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, ৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের পর ফেরত
পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক গোলাম মোস্তার বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানা (মামলা নং-১৬), রামপুরা থানা (মামলা নং-১৮/১৯৩), বাড্ডা থানা (মামলা নং-১৬), মোহাম্মদপুর থানা (মামলা নং-৬৯(১)২৫), চকবাজার থানা (মামলা নং-৫৬/২৫), পল্লবী থানায় (মামলা নং-১৪৬) হত্যা ও হত্যা চেষ্টার মামলা রয়েছে।