ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৬ চৈত্র ১৪৩১

ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৬ চৈত্র ১৪৩১

গরমে এসি-কুলার ছাড়াই যেভাবে ঘর ঠাণ্ডা করবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে এসি-কুলার ছাড়াই যেভাবে ঘর ঠাণ্ডা করবেন
সংগৃহীত ছবি

এপ্রিল মাস না আসতেই গরম শুরু হয়ে গেছে। বেলা বাড়ার  সঙ্গে বাইরে বের হওয়ার উপায় থাকে না। এমনকি ঘরের মধ্যেও গরমের আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে। মে-জুন মাসে কী হবে কে জানে!

আসলে ক্রমশ গরমের ধরন বদলে যাচ্ছে।

তাই তো আগে ফ্যানের হাওয়ায় পুরো গ্রীষ্মকাল কাটিয়ে দেওয়া গেলেও আজকাল এয়ার কন্ডিশনার বা কুলার ছাড়া গরমকাল ভাবতেই পারেন না অনেকে। কিন্তু এসি কেনা সকলের সাধ্যের মধ্যে থাকে না।

তা ছাড়া এসি, কুলার থাকলেও সারাক্ষণ চালালে বাড়তে থাকে বিদ্যুতের বিল। তাই গরমে ঘরোয়া উপায়ে ঘর ঠাণ্ডা রাখার বিকল্প উপায় খুঁজতে পারেন।

রইল সেই টিপস।

আরো পড়ুন
গরমে পায়ের গোড়ালির ফাটা দূর করবে যে ৪ জিনিস

গরমে পায়ের গোড়ালির ফাটা দূর করবে যে ৪ জিনিস

 

পর্দা টেনে রাখুন

গরমকালে সকালের মিঠে রোদ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। তাই রোদ চড়া হওয়ার আগেই পর্দা টেনে দিন। এতে সহজে ঘরে তাপ ঢুকবে না।

ঘরও তুলনামূলক ঠাণ্ডা থাকবে।

ভারী সুতির পর্দা

জানালায় ভারী সুতির পর্দা ব্যবহার করুন। এ ধরনের পর্দা ঘরে আলো প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এ ছাড়া বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারও হালকা রঙের কিনুন। এতে বিছানা যেমন তাপ ধরে রাখবে না, তেমনই ঘরও থাকবে ঠাণ্ডা।

দেওয়ালে হালকা রং

ঘরের রং যত গাঢ় হবে ততই আলো শোষিত হয়। সঙ্গে বাড়ে তাপমাত্রাও। আর হালকা রঙে আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। তাই ঘর ঠাণ্ডা রাখতে দেওয়ালে যতটা সম্ভব হালকা রং ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুন
ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

ব্লাড সুগার থাকলে কি পায়ে ইনফেকশন হতে পারে? কিভাবে যত্ন নেবেন

 

ঘরে গাছ রাখুন

ফুলে-ফলে-পাতায় তারাও কিন্তু জানান দেয় ভালোবাসার কথা। বাড়িতে একটুকরো সবুজ থাকলেই নিমেষে ভালো হয়ে যায় মন। বাড়তি প্রাপ্তি দূষণ থেকে মুক্তি, পর্যাপ্ত অক্সিজেন এসব কিছু তো রয়েছেই। ঘরের ভিতর মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পামজাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। 

ভেজা ভেজা করে ঘর মুছুন

ঘরের তাপমাত্রা কম রাখতে একটু ভেজা ভেজা করে ঘর মুছতে পারেন। প্রয়োজন হলে একাধিকবার ঘর মুছুন। মেঝের সঙ্গে জানালার কাঁচও পানি দিয়ে মুছুন। পর্দায় খানিকটা পানি ছিটিয়ে দিলেও ঘর ঠাণ্ডা থাকবে।

আরো পড়ুন
রক্তাল্পতার লক্ষণ যেগুলো

রক্তাল্পতার লক্ষণ যেগুলো

 

টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে বরফ

ঘর ঠাণ্ডা রাখতে দরজা-জানালা বন্ধ করে টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে এক বাটি বরফ রাখতে পারেন। এতে বরফের ঠাণ্ডা বাতাস ঘর জুড়ে ঠাণ্ডা অনুভূতি তৈরি করবে। বরফ গলে গেলেও বেশ অনেকক্ষণ ঘর ঠাণ্ডা থাকবে। 

সন্ধ্যায় জানালা খুলুন

ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সন্ধ্যাবেলায় ঘরের জানালা খুলে দিন। যাতে ভালোভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে। ঘর ঠাণ্ডা রাখার জন্য ঘরে ভেন্টিলেশন হওয়া খুবই প্রয়োজন। রান্না ঘরের ভেন্টিলেটর চালিয়ে রাখতে পারেন।

আরো পড়ুন
পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

 

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাশিফল

আজ ৩০ মার্চ, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ ৩০ মার্চ, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৩০ মার্চ, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।

আরো পড়ুন
মাঠে ফিরেই গোল মেসির, জিতল মায়ামি

মাঠে ফিরেই গোল মেসির, জিতল মায়ামি

 

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আপনার সিদ্ধান্ত অন্যদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। কাজকর্মে উন্নতির যোগ প্রবল।

কাজে অন্যদের উৎসাহিত করতে পারবেন। বুদ্ধি সঠিক পথে পরিচালিত হবে। নতুন যোগাযোগকে কাজে লাগান। সিদ্ধান্তে স্থির থাকুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কাজে দায়িত্ব বাড়বে। সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে। কাছের মানুষদের সহযোগিতা পাবেন। ধর্মীয় কাজে আগ্রহ বাড়বে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। অস্থির চিন্তায় কাজ নষ্ট করবেন না। মন ভালো রাখুন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কাজে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হতে পারে। কিছু অর্থ অপচয় হওয়ার আশঙ্কা।

পেশাগত ক্ষেত্রে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হবে। একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। কাজে গতিশীলতা আনুন। পরিবেশ পক্ষে থাকবে।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো ভালো কাজে অবদান রাখতে পারবেন। আটকে থাকা টাকা হাতে আসতে পারে। ব্যবসায় ভালো উপার্জন হওয়ার সম্ভাবনা। আপনার হাতে যদি একাধিক কাজ থাকে, সেখান থেকে একটি কাজ বেছে নিন।

আরো পড়ুন
একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (৩০ মার্চ)

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (৩০ মার্চ)

 

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): আজকের দিনটি আপনার জন্য শুভ ফলদায়ক হতে পারে। কাজে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। অর্থাভাবে আটকে থাকা ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডে অর্থের জোগান পাওয়া সহজ হবে। বুদ্ধিবলে কঠিন সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): কাজে উৎসাহ পাবেন। প্রিয়জনের জন্য মানসিক চাপ থাকতে পারে। পেশাগত লক্ষ্য পূরণে সতর্ক থাকতে হবে। অবস্থা বুঝে যেকোনো কাজে অগ্রসর হবেন। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে প্রেম সম্পর্কিত সমস্যাগুলো নিষ্পত্তি করুন।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): নতুন কোনো উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। সম্মিলিত চেষ্টায় কোনো কাজের অগ্রগতি হবে। মানসিক অস্থিরতা অনেকটা কমবে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পক্ষে থাকবে। হঠাৎ কোনো সুযোগ আসতে পারে, যা ভবিষ্যতের জন্য ভালো ফল দেবে।

আরো পড়ুন
মাঠে ফিরেই গোল মেসির, জিতল মায়ামি

মাঠে ফিরেই গোল মেসির, জিতল মায়ামি

 

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): কোনো প্রচেষ্টায় বাধা আসতে পারে। উদ্বেগের মধ্যেই কোনো সুযোগ লাভহবে। মানসিক অস্থিরতা থাকলে তা সামলে নিন। কাজে সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার চেষ্টা করুন। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কোনো কাজের জন্য প্রশংসা পাবেন। প্রত্যাশিত কিছু অর্থ হাতে আসতে পারে। প্রতিকূল পরিস্থিতি হঠাৎ পরিবর্তনের ইঙ্গিত রয়েছে। আর্থিক ব্যাপারে সচেতন থাকুন। সাহসী পদক্ষেপে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করুন।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): নিজ পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজন আজ আপনার কাছে অগ্রাধিকার পাবে। কোনো কাজে মানসিক শান্তি পেতে পারেন। নিজের দুর্বলতা অন্যকে না বলাই ভালো। কাজ নিরলসভাবে করুন। সঠিক প্রচেষ্টায় ভালো ফল পাবেন।

আরো পড়ুন
ভূমিকম্পের পরও মায়ানমারে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা থেমে নেই

ভূমিকম্পের পরও মায়ানমারে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা থেমে নেই

 

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। কোনো আত্মীয় মানসিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় অগ্রগতি হবে। অর্থাগমের সুযোগ আসতে পারে। সঠিক প্রচেষ্ঠায় পরিবর্তন সম্ভব। নিজেকে সংযত রাখুন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আজ সময় ভালো কাটবে। অর্থযোগ ভালো। ব্যবসায় উন্নতির সম্ভাবনা। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কঠোর মনোভাব বজায় রাখুন। ব্যবসায় অপ্রয়োজনীয় পরিবর্তন এড়িয়ে চলুন।

আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বকাঝকা না করেও বাচ্চাদের বোঝাবেন যেভাবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
বকাঝকা না করেও বাচ্চাদের বোঝাবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

শিশুদের শাসন করা প্রতিটি মা-বাবার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে তাদের তিরস্কার করে বা কঠোর শাস্তি দিয়ে শাসন করা উচিত। সঠিক উপায়ে শৃঙ্খলা শেখানোর মাধ্যমে শিশুরা কেবল দায়িত্বশীল হয় না, বরং তাদের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়।

আপনি যদি ভালোবাসা, ধৈর্য সহকারে বাচ্চাদের সঠিক পথ দেখান, তাহলে তারা সব কিছু বুঝতে পারবে এবং মেনে চলবে।

আর সন্তানদের রাগ না দেখিয়ে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে চাইলে কিছু সহজ ও কার্যকর টিপস আপনাকে সাহায্য করতে পারে। আসুন, জেনে নিই এমন ১০টি সহজ টিপস।

আগে থেকেই নিয়ম বুঝিয়ে দিন

আপনি যদি চান যে শিশু কোনো ভুল না করুক, তাহলে তাকে আগে থেকেই স্পষ্ট করে বলুন কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। বারবার তিরস্কার করার পরিবর্তে শুরু থেকেই বিষয়গুলো পরিষ্কার করে দেওয়া ভালো।

আরো পড়ুন
ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

 

ভালো কাজের প্রশংসা করুন

যদি শিশু ভালো কিছু করে, তাহলে তার প্রশংসা করুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি সে নিজেই তার খেলনা সংগ্রহ করে অথবা সময়মতো তার বাড়ির কাজ করে, তাহলে তাকে বাহবা দিন অথবা হালকা আলিঙ্গন করুন। এটি তাকে আরো ভালো করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।

কিছু পছন্দ করতে দিন

সন্তানের ওপর সব কিছু চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে তাকে কিছু বিকল্প দেওয়া ভালো।

উদাহরণস্বরূপ, সে আগে খাবে নাকি কাজ সেরে খাবে ইত্যাদি। এটি তাকে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত হতে সাহায্য করবে।

ভুলের প্রভাব অনুভব করান

শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে, একটি বুদ্ধিমান পদ্ধতি অবলম্বন করুন - শিশুকে তার ভুলের প্রভাব অনুভব করান। উদাহরণস্বরূপ, যদি সে তার খেলনা সংগ্রহ না করে, তাহলে পরের দিন তাকে কম খেলনা দিয়ে খেলতে দিন। এতে সে বুঝতে পারবে যে যখন সে গোলমাল করবে তখন কী হবে।

আরো পড়ুন
গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

 

যেমন আশা করেন তেমন আচরণ করুন

শিশুর কাছ থেকে যেমনটা আশা করা যায় তেমন আচরণ করুন। আপনি যদি চান যে শিশু রাগে চিৎকার না করুক, তাহলে নিজে তার ওপর চিৎকার করা এড়িয়ে চলুন। শিশুরা যা দেখে, তাই শেখে।

ভুল থেকে শিক্ষা নিতে দিন

প্রতিবার বাধা দেওয়ার চেয়ে শিশুকে চিন্তা করার সুযোগ দেওয়া ভালো। তাকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘তুমি যদি এটা করো তাহলে কী হবে?’ এতে সে নিজে চিন্তা করবে এবং তার ভুল সংশোধন করবে।

মনোযোগ সহকারে কথা শুনুন

যদি শিশুটি রাগের বশে কিছু বলে, তাহলে তাকে চুপ করিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে প্রথমে তার কথা শোনা ভালো। যখন সে অনুভব করবে যে তার কথার গুরুত্ব আছে, তখন সে আপনার কথাও শুনবে।

আরো পড়ুন
গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

 

প্রতিদিনের রুটিন ঠিক করুন

আপনার সন্তানের ঘুম, খেলাধুলা ও পড়াশোনার সময় ঠিক করুন। এইভাবে সে সবকিছুতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং তাকে বারবার বাধা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিন

যদি শিশুটি কোনো ভুলের ওপর অটল থাকে তাহলে তাকে তিরস্কার করার পরিবর্তে তার মনোযোগ অন্য কোনো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া ভালো।

ব্যাখ্যা করুন

শিশুকে শাসন করার সর্বোত্তম উপায় হলো শান্ত ও ধৈর্যশীল হওয়া। রাগের বশে চিৎকার করলে শিশুটিও একগুঁয়ে হয়ে উঠবে। যদি এই ছোট ছোট বিষয়গুলোর যত্ন নেওয়া হয় তাহলে খুব বেশি কঠোরতা ছাড়াই শিশুরা ভালোভাবে শৃঙ্খলা শিখতে পারবে এবং নিজেরাই দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে পারবে।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

ঈদে মেহেদি দেওয়ার প্রচলন কবে থেকে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদে মেহেদি দেওয়ার প্রচলন কবে থেকে
সংগৃহীত ছবি

ঈদে মেহেদির রঙে হাত সাজানো খুব জনপ্রিয় একটি রীতি। এ ছাড়া বিয়ে-জন্মদিনসহ নানা অনুষ্ঠানে মেহেদির রঙে হাত না রাঙানোটা উৎসবের মধ্যেই পড়ে। মেহেদি পাতা বেটে, শুকিয়ে, গুঁড়া করে বা পেস্ট করে শরীরের বিভিন্ন স্থান রাঙানোর ইতিহাস বহু পুরনো। আর উৎসবে বিশেষ করে ঈদ হলে তো কথাই নেই।

বিয়েতে বর কনের হাতে মেহেদি থাকা চাই-ই চাই।

কিন্তু এই মেহেদির ইতিহাস, ঈদে মেহেদি দেওয়ার প্রচলন বা যেকোনো উৎসবে কেনই-বা মেহেদি দেওয়া হয়, তা জানেন না অনেকেই। চলুন, আজ তাহলে এসব বিষয়েই জেনে নিই।

মেহেদির ইতিহাস

মানব সভ্যতার ইতিহাস ৫ হাজার বছর ধরা হলেও মেহেদির ইতিহাস কিন্তু তার চেয়েও পুরনো।

নব্যপ্রস্তর যুগ (১০০০০-৪০০০ খ্রিষ্টপূর্ব) থেকে মেহেদির প্রথম ব্যবহার দেখা যায় উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মরু অঞ্চলে। প্রায় ৯ হাজার বছর আগে মরুবাসী প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচার জন্য তাদের পা মেহেদি পেস্ট দিয়ে ঢেকে রাখতো। যা তাদের শরীরকে ঠাণ্ডা রাখত। বিশেষত যোদ্ধাদের মধ্যে এর প্রচলন ছিল বেশি।

আরো পড়ুন
গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

 

তা ছাড়া দক্ষিণ চীনে প্রায় ৩ হাজার বছর ধরে প্রাচীন দেবী সংস্কৃতির সময় থেকে মেহেদি ব্যাপকভাবে প্রেমমূলক ধর্মানুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রাচীন মিসরের রানি নেফারতিতি ও রানি ক্লিওপেট্রা নিয়মিত মেহেদি ব্যবহার করতেন। মিসরের পিরামিডে ফারাও সম্রাটদের মমিতে মেহেদির ব্যবহার হতো। মধ্যযুগের কিছু চিত্রকলায় দেখা যায় কিং সলোমানের সঙ্গে রানির সেবারত অবস্থার কিছু ছবিতে তাকে মেহেদি পরতে দেখা যায়।

উপমহাদেশে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মেহেদির ব্যবহার শুরু হয় এবং মোগল আমলে প্রাকৃতিক প্রসাধনী হিসেবে মেহেদির ব্যাপকতা ছড়িয়ে পরে।

মোগল সম্রাট শাহজাহান পত্নী মমতাজকে মিসরের রাজা রাষ্ট্রীয় উপহার হিসেবে মেহেদি ও মেহেদি চারা উপহার দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

দেড় হাজার বছর ধরে মুসলিম নারীরা মেহেদি ব্যবহার করে আসছেন। নবীজি (সা.) মুসলিম নারীদের হাতে মেহেদির নকশা করাকে উৎসাহিত করতেন। তাঁর কন্যা ফাতেমা (রা.) নিয়মিত হাতে মেহেদির ডিজাইন করতেন। নবীজি (সা.) নিজেও তার দাড়িতে মেহেদি ব্যবহার করতেন। ইসলামী খেলাফতের সময় থেকে মুসলিমবিশ্বে মেহেদির ব্যবহার ধর্মীয় রীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।

আরো পড়ুন
ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

 

মেহেদির ব্যবহার

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মেহেদির প্রচলন শুরু হলেও বর্তমানে মেহেদি দেওয়া সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রথা হিসেবে পরিচয় লাভ করেছে। ইসলাম, খ্রিষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধসহ প্রায় সব ধর্মেই মেহেদির পবিত্রতা, ওষধি গুণাগুণ ও ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে ব্যাপক পরিমাণে মেহেদির ব্যবহার করা হয়।

মেহেদি দেওয়ার প্রথার গুরুত্ব বিয়ে, ঈদ-পূজা, বৈশাখ ও নববর্ষের অনুষ্ঠানে সময় আসলেই বোঝা যায়। আফ্রিকার অনেক জায়গায় আরোগ্য মুক্তি উপলক্ষে এবং আরব্য সংস্কৃতির বিয়েতে ‘মেহেদি সন্ধ্যা’ একটি জনপ্রিয় প্রথা রয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহেও দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চীনসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আয়ুর্বেদীয়, ইউনানি ও বিভিন্ন প্রকার অর্গানিক চিকিৎসায় মেহেদির ব্যবহার হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন
ঈদের তারিখ জানাল মালয়েশিয়া

ঈদের তারিখ জানাল মালয়েশিয়া

 

ভারতীয় উপমহাদেশে এক সময় মেহেদির ব্যবহার শুধু মুসলিম সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তীতে মুঘল সাম্রাজ্যের জনগণ এটাকে প্রসারিত করে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে মেহেদির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এবং আফ্রিকায় যেসব দেশের ভাষা অ্যারাবিক সেসব দেশেও ব্যবহৃত হয় এই মেহেদি।

মেহেদির বিভিন্ন নাম

মেহেদিকে হিন্দি ও উর্দুতে মেহেন্দি, ইংরেজিতে হেনা, মধ্যপ্রাচ্যে হেন্না, মধ্য এশিয়ায় ‘আল-খান্না’ নামে ডাকা হয়। এর ইউনানি নাম হেনা, আয়ুর্বেদিক নাম মদয়ন্তিকা, বোটানিক্যাল নাম লসোনিয়া ইরামিস, যা লেথরেসিয়া পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

মেহেদির ডিজাইন

মেহেদির ডিজাইনে যুগে যুগে পরিবর্তন এসেছে ঠিকই কিন্তু সুন্দর কারুকার্য শোভিত ডিজাইনের আবেদন কখনোই কমে যায়নি। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই মেহেদি পরতে পারে তবে ডিজাইনে ভিন্নতা থাকা আবশ্যক। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি, খ্রিষ্টান, শিখসহ বিভিন্ন ধর্মে ঐতিহাসিকভাবে মেহেদি পবিত্রতা ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে যুক্ত। পৃথিবীর নানা জাতি ও অধিকাংশ আদিবাসী সমাজে সুস্বাস্থ্য, উর্বরতা, জ্ঞান, সুরক্ষা এবং আধ্যাত্মিকতার জ্ঞান হিসেবে প্রতিটি সংস্কৃতিতে বিভিন্ন ডিজাইনের আলাদা অর্থ রয়েছে।

বাজারে প্রচলিত মেহেদি

আগে মেহেদি পাতা বেটে তা হাত-পায়ের নখ, হাতের তালুতে লাগানো হতো। মেহেদি বাটার ব্যবহার এখনো বেশ জনপ্রিয়। তবে বর্তমানে টিউব মেহেদির প্রচলন বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কেনা মেহেদিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বাজারে দুই ধরনের মেহেদি পাওয়া যায়। একটি হলো তৈরি করা বা ইনস্ট্যান্ট মেহেদিতে ৫ থেকে ১০ মিনিটে রং আসে। কিন্তু প্রতি ধোয়াতে হাত থেকে রং কমতে থাকে।

আরো পড়ুন
গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

 

আরেকটি হলো প্রাকৃতিক বা অরগানিক মেহেদি। যেকোনো উৎসবে অরগানিক মেহেদি ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভালো। কারণ, এই মেহেদি হাতে তৈরি, তাই এতে রাসায়নিকের ব্যবহার থাকে না। এর রং হয় গাঢ়, দীর্ঘস্থায়ী এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়।

মন্তব্য

যেভাবে ধনেপাতা দীর্ঘদিন তাজা রাখবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যেভাবে ধনেপাতা দীর্ঘদিন তাজা রাখবেন
সংগৃহীত ছবি

ধনেপাতা এমন একটি উপাদান, যার স্বাদ প্রতিদিনের খাবারে ব্যবহার না করলে অসম্পূর্ণ থাকে। যদি ধনেপাতা ডাল, সবজি, রায়তা বা সালাদে দেওয়া হয়, তাহলে এর সুগন্ধ, রং ও স্বাদ তুলনার বাইরে। এই কারণেই মানুষ তাদের রান্নাঘরে প্রচুর ধনেপাতা সংরক্ষণ করেন। 

তবে এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এটি সংরক্ষণ করা।

মূলত ধনেপাতা খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়। এমনকি এটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করলেও ২-৩ দিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। তাই এটি সংরক্ষণ করা একটি মহা সমস্যা। তবে আজ জানবেন এমন কিছু টিপস, যা ধনেপাতাকে দ্রুত নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাবে।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

ধনেপাতা তাজা রাখবেন যেভাবে

ধনেপাতা দীর্ঘদিন তাজা রাখতে পাতাগুলো ভালো করে ধুয়ে শুকাতে দিন। এবার ধনেপাতা টিস্যু পেপারে মুড়িয়ে একটি এয়ার টাইট পাত্রে রেখে ফ্রিজে রাখুন। এর ফলে ধনেপাতা দ্রুত নষ্ট হবে না এবং শুকিয়েও যাবে না।

জিপ লক প্লাস্টিক ব্যাগের সাহায্যে ধনেপাতা অনেক দিন ধরে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

এর জন্য ধনেপাতা ধুয়ে পানি শুকিয়ে নিন। এবার এই পাতাগুলো টিস্যু পেপারে মুড়িয়ে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখুন এবং তারপর ব্যাগটি জিপ লক করে ফ্রিজে রাখুন।

ধনেপাতা সংরক্ষণের জন্যও পানিও ব্যবহার করা যেতে পারে। পানি ভর্তি একটি গ্লাস নিন। এবার পানিতে ধনেপাতা শিকড়সহ দিন।

যদি শিকড় পানিতে থাকে তাহলে পাতা নষ্ট হবে না এবং তাজা থাকবে।

আরো পড়ুন
গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

 

ধনেপাতা ফ্রিজে রেখেও দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে পারেন। ধনেপাতা ধুয়ে ভালো করে কেটে নিন। এবার কাটা ধনেপাতা একটি প্লাস্টিকের বক্সে ভরে ফ্রিজে রাখুন। এতে ধনেপাতা অনেক দিন সতেজ ও সবুজ থাকবে।

ধনেপাতা ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এবার এগুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে একটি প্লেটে দুই দিনের জন্য রেখে ছায়ায় শুকিয়ে নিন। শুকানোর পর ধনেপাতার গুঁড়া তৈরি করুন। একটি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করুন এবং ব্যবহার করুন।

আরো পড়ুন
গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

 

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ