সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের নতুন পোশাক দিল মুসাফির ইশকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের নতুন পোশাক দিল মুসাফির ইশকুল
সংগৃহীত ছবি

অর্ধশতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে ঈদের পোশাক দিয়েছে ‘মুসাফির ইশকুল’। বুধবার বিকেলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে শহীদ স্কুল অ্যান্ড ক্যাডেট একাডেমি প্রাঙ্গণে এসব পোশাক বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। 

কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুর মহানগরে পূর্ব চান্দনা, শান্তিপল্লী ও আশেপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক মেয়ে শিশুকে ফ্রক-পায়জামা, থ্রি পিছ এবং ছেলেদের শার্ট-পাঞ্জাবী দেওয়া হয়।

ঈদের আগে নতুন পোষাক পেয়ে খুশি সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশু।

নতুন জামা নিতে আসা শিশুরা জানায়, ঈদ আর মাত্র কয়দিন পরেই, কিন্তু তাদের পরিবার  নতুন কোনো জামা কিনতে পারেনি, তাই এ জামা পেয়ে তারা খুবই খুশি।

আরো পড়ুন
লক্ষ্মীপুরে বহিরাগতদের নিয়ে ৩ তলা ভবন দখল

লক্ষ্মীপুরে বহিরাগতদের নিয়ে ৩ তলা ভবন দখল

 

পোশাক বিতরণের মাধ্যমে শিশুদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মুসাফির ইশকুলের সদস্যরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক অসীম বিভাকর বলেন, এই শিশুদের সাথে আমরা আনন্দ ভাগাভাগি করছি ২০১৬ সাল থেকে। ঈদে নতুন জামা পেলে শিশুদের আনন্দ বেড়ে যায়।

তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে ভালো লাগছে। মুসাফির ইশকুলকে ধন্যবাদ বাচ্চাদের জন্য এমন আয়োজন করার জন্য। 

বিশেষ অতিথি অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম বলেন, মুসাফির ইশকুল দীর্ঘদিন ধরে এই শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের শিক্ষামূলক এই কার্যক্রম সমাজে আরো বেশি প্রয়োজন।

নতুন জামা পেয়ে শিশুদের মন আনন্দে ভরে উঠুক।

মুসাফির ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, ২০১৬ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত মুসাফির ইশকুলের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুলধারার শিক্ষার সাথে যুক্ত করতে। শিশুদের জন্য মুসাফির ইশকুলের ছোট্ট উপহার ঈদের রঙ্গীন জামা। সকল শিশুর মুখেই হাসি ফুটুক সেই কামনা করছি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আয়ুবুর রহমান তৌফিক, তানভীর আহমেদ, তানজিনা ইসলাম জেরিন, হারুন, জোহা, মিজান, সুমাইয়া প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বরগুনার ১০ গ্রামে ঈদ উদযাপন

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বরগুনার ১০ গ্রামে ঈদ উদযাপন
ছবি: কালের কণ্ঠ

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগেই বরগুনার বেতাগী উপজেলার ১০টি গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মো. রমজান আলী।

ইমাম মো. রমজান আলী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর পালন করছি।

এজন্য আমরা রোজাও রেখেছিলাম এক দিন আগে। রবিবার সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আমি ঈদের নামাজ পড়াই। নামাজে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় শতবর্ষ আগে থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোন্তাকটা, লক্ষীপুরা, গ্রেদ লক্ষীপুরা, কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কাজিরাবাদ, বকুলতলী, বুড়ামজুমদারের কাজির হাঁট গ্রাম ও হোসনবাদ এলাকার একটি অংশের প্রায় ১০ গ্রামের চিশতিয়া কাদেরীয়া সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার অনুসারীরা অগ্রিম রোজা ও অগ্রিম ঈদ পালন করে আসছেন। প্রথম দিকে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও প্রতিবছরই এ সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বরগুনার কিছু এলাকায় ঈদ উদযাপিত হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদের নামাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

মন্তব্য

‘টাকার বিনিময়ে চোর মুক্তি’র অভিযোগ

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘টাকার বিনিময়ে চোর মুক্তি’র অভিযোগ
সংগৃহীত ছবি

জয়পুরহাটের কালাইয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘চোর মুক্তি’র অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৩০ মার্চ) এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মালিক আবু ইউসুফ।

ইউসুফ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, 'চোর ধরলাম, পুলিশের হাতে তুলে দিলাম, আর তারাই টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দিল! তাহলে ন্যায়বিচার কোথায়? পুলিশের কাজ কি অপরাধীদের রক্ষা করা?'

আরো পড়ুন
বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিনে নতুন পথের দিশা

বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিনে নতুন পথের দিশা

তিনি জানান, ১১ মার্চ বিকেলে তার মোটরসাইকেলটি বাড়ির সামনে রেখে ঘরে ঢোকেন। কিছুক্ষণ পর বারান্দায় এসে দেখেন, দুইজন অপরিচিত ব্যক্তি তার মোটরসাইকেলের আশপাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছে।

তিনি দ্রুত পিছনের গেট দিয়ে বের হন, ঠিক তখনই তারা মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়। 

তিনি আরো জানান, তাদের পিছু ধাওয়া করলেও ধরতে পারেননি তিনি। পরে পাশের একটি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা ফেসবুকে পোস্ট এবং কালাই থানায় একটি মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ করেন ইউসুফ।

ফেসবুকে পোস্টের জের ধরে ২৯ মার্চ স্থানীয়রা চোরকে শনাক্ত করে এবং বিষয়টি ইউসুফকে জানায়।

তিনি কালাই থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম কামাল হোসাইনকে বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মনোয়ার হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

আরো পড়ুন
কুলাউড়ায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের ঈদ উপহার

কুলাউড়ায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের ঈদ উপহার

মোটরসাইকেল মালিক আবু ইউসুফ বলেন, 'আমি নিজেই চোর ধরতে সহযোগিতা করেছি। রাতেই থানায় গেলে ওসি সাহেব আমাকে বলেন, ‘রাত অনেক হয়েছে, সকালে আসেন, মামলা হবে, চোরকে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

কিন্তু সকালে গিয়ে দেখি, চোরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে! টাকা ছাড়া কি চোরদের মুক্তি দেওয়া হয়? তাহলে পুলিশের ভূমিকা কী? তারা কি জনগণের সেবক, নাকি অপরাধীদের রক্ষাকর্তা?'

কালাই থানা ওসি বলেন, অভিযোগকারীর দেওয়া ছবির ভিত্তিতে একজনকে থানায় আনা হয়েছিল, পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

ইউসুফের বাবা আব্দুল খালেক বলেন, 'পুলিশের এই ব্যাখ্যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। একটি সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে চোর চিহ্নিত করা হয়েছে, তাকে রাতভর থানায় আটকে রাখার পরও কেনো কোনো মামলা করা হলো না? কার স্বার্থে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো?'

আরো পড়ুন
ফাইনালের আগে জোকোভিচকে মেসির ‘উপহার’

ফাইনালের আগে জোকোভিচকে মেসির ‘উপহার’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মিনহাজুল ইসলাম চৌধুরী টোপন বলেন, 'সিসিটিভি ফুটেজে যে ছবি দেখা যাচ্ছে, সেই ব্যক্তিই মনোয়ার হোসেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ছবি দেখেই গত রাতে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

সকালে শুনি, রাতেই নাকি তাকে ছেড়ে দিয়েছে।'

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব জানান, এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মন্তব্য

নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত : আহত ১০

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল প্রতিনিধি
শেয়ার
নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত : আহত ১০

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় জামরিলডাঙ্গা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে তালেব শেখ (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের ইমতিয়াজ শেখের ছেলে। এ ঘটনায় আরো ১০ জন আহত হয়েছেন। 

রবিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জামরিলডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার জামরিলডাঙ্গা গ্রাামে লস্কর বংশ ও শেখ বংশের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সন্ধ্যায় গ্রামের স্লুইস গেট এলাকায় বাজারে একটি ভ্যানগাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বাজার এলাকায় দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের কোপে শেখ বংশের তালেব শেখ নামে এক বৃদ্ধ গুরুতর জখম হলে স্থানীয় ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পরে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অন্তত আরো ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর তিনজনকে খুলনা মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশিদুল ইসলাম জানান, খুন পরবর্তী সহিংসতায় দোকানে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়।

পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

মন্তব্য

নারীদের ‘গর্ভফুল’ পাচারচক্রের ৩ সদস্য আটক

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
শেয়ার
নারীদের ‘গর্ভফুল’ পাচারচক্রের ৩ সদস্য আটক
সংগৃহীত ছবি

ময়মনসিংহের ভালুকায় হিমায়িত ও প্যাকেটজাত করে মানব দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অংশ বিশেষ (নারীদের গর্ভফুল) পাচারচক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে ভালুকা মডেল থানায় মামলা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস আই মো. নজরুল ইসলাম।

এর আগে পৌর এলাকার এআর ফিলিং স্টেশনের বিপরিত পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন দেওয়ানগঞ্জের চর কালিকাপুরের মো. হযরত আলী ছেলে মো. আলমগীর (৩৫), ময়মনসিংহ ধোবাউড়া মান্দারতলীর গিলবার্ট চিচাংয়ের ছেলে উর্গম মানকিন (২২), মানিকগঞ্জ হাপানিয়া গ্রামের মো. হাবিব শেখের চেলে মো. নাহিদ শেখ (২৪)।

 

মামলা ও থানা সূত্রে জানা গেছে, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে নারীদের গভফুল অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশ এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছে। শুক্রবার গর্ভফুল হিমায়িত ও প্যাকেটজাত করে গাজীপুরের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ দল এআর ফিলিং স্টেশন এলাকায় অবস্থান নেয়। ওই সময় একটি হাইব্রীজ মাইক্রোবাসে তল্লাশী চালিয়ে আসামিদের আটক এবং তিনটি ককশিট বক্সে কস্টেপ দিয়ে মোড়ানো ১৫০টি গর্ভফুল জব্দ করে তারা।

মামলার বাদী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে আয়াদের মাধ্যমে অবৈধভাবে গর্ভফুল সংগ্রহ এবং বিক্রির উদেশ্যে হিমায়িত ও প্যাকেটজাত করে বিদেশে পাচার করে তারা।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. আমিনূল ইসলাম জানান, রবিবার আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুল হুদা খান জানান, অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ