সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ১৬ গ্রামের মুসল্লিরা ঈদুল ফিতর নামাজ আদায় করেছেন।
আজ রবিবার (৩০ মার্চ) সকালে সরিষাবাড়ি পৌরসভার বলার দিয়ার মধ্যপাড়া মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদসহ পৃথক চার স্থানে এ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এ নামাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও জামাতে অংশগ্রহণ করেন।
জানা যায়, উপজেলার বলারদিয়ার, মুলবাড়ী, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, বাউসী, হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুটিয়ারপাড়, বগারপাড়, উচ্চগ্রাম, চর লোটাবর ও করগ্রাম গ্রামের প্রায় ৪ শতাধিক মুসল্লি এ নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
এতে বলারদিয়ার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমাম হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।
আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের পুরস্কার ‘ব্যক্তিগতভাবে’ প্রত্যাখ্যান করলেন উমামা ফাতেমা
নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা জানান, দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর সারা দেশে সোমবার (৩১ মার্চ) মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন হবে। কিন্তু সরিষাবাড়ী পৌরসভার বলারদিয়ার মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদ মাঠে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ১৬ গ্রামে প্রায় ৪ শতাধিক মুসল্লি ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
ইমাম আজিম উদ্দিন মাস্টার বলেন, ‘সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রমযানের রোজা শুরু করি আমরা। তাই ওই সব দেশের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ এবং ঈদ আনন্দ উৎসব করে থাকি। মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। মধ্যপ্রাচ্যের চন্দ্র উদয়ের পুরো একদিন পর বাংলাদেশে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
তাই আমরা একদিন আগে রোজা শুরু করি এবং একদিন আগে ঈদ উৎসব পালন করে আসছি।’
সরিষাবাড়ী থানার ওসি চাঁদ মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কয়েকটি গ্রামের মানুষ রমযানের রোজা ও ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও তারা সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে পঞ্চপীর, বনগ্রাম, উচ্চ গ্রাম ও বলার দিয়ার দক্ষিণ পাড়া এলাকায় পৃথক চার স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।’