বাকি ট্রেনগুলোগুলো সঠিক সময় প্ল্যাটফর্ম ছাড়ে।
আরো পড়ুন
ঝিনাইদহে দেখা মিলল বিলুপ্তপ্রায় মেছো বাঘ
জানা গেছে, গতকাল শনিবার ভোর পৌনে ৫টা বেলা ১১টা পর্যন্ত ২২টি ট্রেন পূর্ব নির্ধারিত ট্রেনগুলো যথাসময়ে ছেড়ে যায়। এর মধ্যে রয়েছে বলাকা, তুরাগ এক্সপ্রেস, জয়দেবপুর কমিউনিটার, দেওয়ানগঞ্জ, ধূমকেতু, পর্যটক এক্সপ্রেস, পারাবত, নীলসাগর, সোনার বাংলা, সৈয়দপুর, তিশা, মহানগর প্রভাতী, সুনাদরবন, মহুয়া, বুড়িমারী, কর্ণফুলী, রংপুর, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর এক্সপ্রেস, একোতা ও রুপসী বাংলা এক্সপ্রেসসহ মোট ২৩টি ট্রেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ১২০টি আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি ৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলছে। এ ছাড়া লোকাল, কমিউটার ও মেইল ট্রেন স্বাভাবিকভাবে চলছে। পাশাপাশি ট্রেনের সময়সূচি ঠিক রাখতে এবং যাত্রীদের সুবিধার্থে ঢাকাগামী নয়টি ট্রেনের বিমানবন্দর স্টেশনের যাত্রাবিরতি বাতিল করা হয়। ঢাকামুখী ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ঢাকামুখী এবং ঢাকা স্টেশন থেকে জয়দেবপুরমুখী ট্রেনে টিকিট ইস্যু বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন
ঝিনাইদহে দেখা মিলল বিলুপ্তপ্রায় মেছো বাঘ
কঠোর নিরাপত্তা বলয়
ঈদে মানুষজন যেন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে, সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে মাঠে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থানে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রথম স্তরে ২৪টি টহল কার্যক্রম চালানো হবে। দ্বিতীয় স্তরে ছিনতাইকারী ও মলমপার্টির হাত থেকে রক্ষা করতে সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা কাজ করছেন। তৃতীয় স্তরে মোবাইল স্ট্রাইকিং কোর্ট রয়েছে, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
সূত্র আরো জানায়, প্রথম স্তরে বাসস্ট্যান্ড বা যেসব জনবহুল শপিং সেন্টার আছে, সেসব স্থানগুলোতে এবং এর আশপাশে ২৪টি পেট্রোল টিম টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দ্বিতীয় স্তরে বাসস্ট্যান্ড বা অন্যান্য যেসব শপিং সেন্টার আছে, যেখানে ছিনতাই বা অজ্ঞান পার্টি বা মলমপার্টি এ ধরনের চক্রগুলো সক্রিয়, সেসব এলাকায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে এবং আমরা যেকোনো ধরনের তথ্য পেলে প্রাথমিকভাবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন
আকাশ পথে ঈদযাত্রায় ভিন্ন চিত্র
তৃতীয় পর্যায়ে স্ট্রাইকিং মোবাইল রিজার্ভ রয়েছে, যেখানে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কোনো স্থানে যদি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়, বেশি ভাড়া আদায় করা ও চাঁদাবাজির কোনো সিন্ডিকেট যদি শনাক্ত করা যায়, অথবা অন্যকোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, সেক্ষেত্রে স্ট্রাইকিং ফোর্স স্বল্প সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হবে।
এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘিরে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে স্টেশনগুলোতে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন
লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়ার প্রতিবাদ, কর্মচারীদের সঙ্গে মারামারির পর কারাগারে ২৮ যাত্রী!
টিকিট ছাড়া ঢুকতে পারছেন না কেউ
এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে যাত্রীদের রেলস্টেশনে প্রবেশের আগে তিন স্তরে তল্লাশি করা হচ্ছে। বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি চারটি পৃথক লাইনে টিকিট যাচাই করে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। ফলে কেউই টিকিট ছাড়া স্টেশনে প্রবেশ করতে পারেনি।
কমলাপুর রেলস্টশনের কর্মকর্তা (স্টেশন মাস্টার) আনোয়ার হোসেন বলেন, স্টেশনে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় থাকলেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। ৪৬টি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে ৩টি ট্রেন সামান্য বিলম্বে ছেড়েছে, তাও ছাদ থেকে লোক নামাতে গিয়ে কিছুটা বিলম্বে ট্রেন দুটি ছেড়ে যায়। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত মোট ২২টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ধূপকেতু ৩০ মিনিট দেরি করেছে, জামালপুর এক্সপ্রেস ১০ মিনিট ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ১০ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে।