নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় হচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। উপস্থিতি জানান দিতে অনেকেই করেছেন আড়ম্বর শো-ডাউন। ইফতার আয়োজন, গ্রামে ছোট জনসংযোগ করে তারা মানুষের কাছাকাছি যাচ্ছেন। এসব কার্যক্রম চালাতে গিয়ে চাপেও পড়ছেন কেউ কেউ।
নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় হচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। উপস্থিতি জানান দিতে অনেকেই করেছেন আড়ম্বর শো-ডাউন। ইফতার আয়োজন, গ্রামে ছোট জনসংযোগ করে তারা মানুষের কাছাকাছি যাচ্ছেন। এসব কার্যক্রম চালাতে গিয়ে চাপেও পড়ছেন কেউ কেউ।
তবে এসব চাপ মোকাবিলা করে ঈদের পর আরো জোরেশোরে তৃণমূলে সক্রিয় হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এনসিপির।
দলটি বলছে, ঈদ উপলক্ষে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন।
রংপুর-৪ আসনে নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নির্বাচন করতে পারেন। গত বৃহস্পতিবার দুই শতাধিক ভ্যান নিয়ে তিনি এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।
কুমিল্লার দেবীদ্বারে কয়েকদিন ধরেই সক্রিয় দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি কুমিল্লা-৪ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন।
গত সোমবার উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম শতাধিক গাড়ির শো-ডাউন করে নিজ এলাকা পঞ্চগড়ে ফিরেছেন। তিনি অটোয়া উপজেলায় বিভিন্ন বাজারে, পথেঘাটে ঘুরে তিনি মানুষের সঙ্গে দেখা করছেন।
মঙ্গলবার হাজীগঞ্জে ফিরেছেন দলের মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। হাজীগঞ্জের শাহারাস্তি আসনে তিনি নির্বাচন করতে পারেন। তবে এই উপজেলায় ইফতার করতে গিয়ে প্রথমদিনই তিনি হুমকির মুখে পড়েন।
দলটির সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ নোয়াখালী-৬ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এলাকায় গণসংযোগ করছেন। তিনি হাতিয়া দ্বীপে ফেরিঘাট চালু, ভূমিহীনদের জমি বুঝিয়ে দেওয়া, নদীভাঙন নিয়ে গ্রামে গ্রামে গণশুনানি কর্মসূচি করেছেন।
গত সোমবার মাসউদ ও তার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়। বিএনপির একদল নেতাকর্মী তার ওপর হামলা করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে এখনো নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় দেখা যায়নি। সূত্র বলছে তিনি ঢাকা-১১ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। দলের আরেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব ঢাকা-১৪ আসনে নির্বাচন করতে পারেন। তবে তাকেও এখনো আসনকেন্দ্রীক সক্রিয় হতে দেখা যায়নি।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আকরাম হোসাইন মোহাম্মদপুর এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন। তিনি এলাকায় খাল ও মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেছেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে মিছিল করেছেন। জেনেভা ক্যাম্পের ড্রিম এনএলজে হাইস্কুলে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ সৈকতের নামে একটি কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করেছেন। ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর-আদাবর) আসন থেকে তিনি নির্বাচন করতে পারেন।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় দীর্ঘদিন থেকেই সক্রিয়। তিনি রোজায় ওয়ার্ড ঘুরে ঘুরে ইফতার করেছেন। এহাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন।
নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ভাই মাহবুব আলম লক্ষ্মীপুর এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন। তিনি ইতোমধ্যে ইফতার মাহফিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মাঠে দৃশ্যমান হচ্ছেন। দলের আরেক যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি এলাকায় সক্রিয় হচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি সিরাজগঞ্জ এলাকায় বিশাল শো-ডাউন দিয়েছেন। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় তিনি আহত ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি এই এলাকায় নির্বাচন করতে পারেন।
চট্টগ্রামের বাশখালীতে সক্রিয় হচ্ছেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক। কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর এলাকা থেকে নির্বাচন করতে পারেন যুগ্ম সদস্য সচিব নুসরাত তাবাসসুম। একাধিকবার তিনি এই আসন থেকে নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে বর্তমানে তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিজিওনাল ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে শ্রীলংকা রয়েছেন।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে উলিপুর, বাজারহাট এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি একাধিক উঠান বৈঠক করেছেন। তিনি কুড়িগ্রাম-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। টাঙ্গাইলের মধুপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন দলের উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলিক মৃ। আগে থেকেই তিনি মধুপুরে নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় রয়েছেন। গত ১০ মার্চ তিনি মধুপুর এলাকায় শো-ডাউন করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, যেহেতু ঈদ কেন্দ্রিক সবাই নিজ নিজ জেলায় যাবেন, সেহেতু ওখানকার যারা সংগঠক আছেন, যারা নাগরিক পার্টিতে আসতে চায় এবং স্থানীয় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে আমাদের দুইশতাধিক ইফতার আয়োজন হয়েছে। তবে এটা একেবারেই নির্বাচনকেন্দ্রীক না।
বিভিন্ন স্থানে বাধার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা ওপেন সিক্রেট। আগস্টের পরে বিএনপি অনিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এ পর্যন্ত শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার করতে হয়েছে। তাও তাদের থামছে না। তৃণমূলের কিছু জায়গায় আমাদের জন্য চাপ আছে, তবে সব জায়গায় না। বিএনপির তৃণমূল নেতারা যদি মনে করে, পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি বা পেশিশক্তি প্রদর্শন করে ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করবে, তবে যারা নতুন রাজনীতি করতে চায়, তারা সংগঠিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানাবে। বর্তমানে একটি নিরপেক্ষ সরকার ক্ষয়তায় রয়েছে। এই সরকারের অধীনে সবার রাজনীতি করার সমান সুযোগ রয়েছে। আমরা আশা করব, সবাই রাজনীতি করবে।
সম্পর্কিত খবর
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের স্পিড হচ্ছে, অন্যায়-জুলুম-চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। কিন্তু কেউ কেউ ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে ক্ষমতা লোভী হয়ে নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।’
বুধবার বিকেলে বসুরহাট ইসলামীয়া কামিল মাদরাসা মাঠে নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবির (দক্ষিণ) শাখার আয়োজনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ঈদ প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে নতুন করে কেউ ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে তা কখনো সফল হবে না। আবারও দেশপ্রেমিক সৎ ও খোদাভীরু নির্ভিক তাকওয়ার গুণাবলি সম্পন্ন ছাত্র-জনতা নব্য ফ্যাসিবাদকে রুখে দিতে রক্তদান ও শহীদ হতে প্রস্তুত।’
শিবির সভাপতি বলেন, ‘যাদের রক্ত ও আত্মদানের ফলে আজ মুক্ত বাংলাদেশে কথা বলছেন, ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, সে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না। আর যদি ভারতীয় প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের চেয়েও কঠিন ভাগ্যবরণ করতে হবে।
নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাফেজ সাইফুর রসুল ফুয়াদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মিছবাহুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসাইন, সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, বসুরহাট পৌরসভার আমির মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, মাদরাসা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবির দক্ষিণের অফিস সম্পাদক গোলাম আজম টিপু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি শাকিল হোসেন সম্রাট প্রমুখ।
সমাবেশের আগে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর কবর জিয়ারত ও শহীদ পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন শিবির সভাপতি।
জামায়াতকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘দুই পারসেন্ট লোক নেই। পায়ের ওপর পা তুলে কথা বলে। ইউএনও চলে তার কথায়, ডিসি চলে তার কথায়। প্রশাসন চলে তার কথায়।
মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জের ইটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি জামায়াতের আমিরকে জিজ্ঞেস করব, আমি একটা কথা মিছা কইছি কি না? তাহলে আপনার শিবির ও জামায়াতের কর্মীরা আমারে এত বকাবকি করে কেন? আমারে ফজু পাগলা কয় কেন? ঠিক আছে আপনারা পাল্লা (দাড়িপাল্লা প্রতীক) নিয়া করবেন, আমরা ধানের শীষ নিয়া করব। পাবলিককে ডিসিশন নিতে দেন।
তিনি বলেন, ‘খালি বকাবকি করেন কেন? আর পেছন দিক দিয়ে কালো অন্ধকারে বসে কুটকুট করেন কেন? ১০ বছর কেমনে বিনা ভোটে থাকা যায়। কারণ জানেন, ভোট করলে জামানত থাকবে না। কূটকৌশল করে ক্ষমতায় থাকতে চান। এইটা কইলেই ফজলুর রহমান খারাপ।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ফজলুর রহমান বলেন, ‘কলাগাছ কি বটগাছের চেয়ে বেশি উঁচু হয়? অনির্বাচিত সরকার কি নির্বাচিত সরকারের চেয়ে বেশি আইন পাবে? কাজেই আমরা চাই না, এই দেশে অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন থাকুক।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। আগে কইছে ডিসেম্বর মাসে ভোট দেব। কয়দিন পরে গলা টাইনা বলে ইলেকশন ছয় মাস দেরি করে জুন মাসে দেব। জুন মাস যখন হয়ে যাবে, তখন বলবে আরে জুন মাসে তো আওয়ামী লীগের জন্মদিন। এ মাসে ফ্যাসিস্টদের জন্ম। এই মাসে তো কোনো ইলেকশন হইতে পারে না। এরপরে কইব, আগস্ট-সেপ্টেম্বর, এটাতে তো আমরা আন্দোলন করছিলাম, বিপ্লবের মাস। সেই মাসে ইলেকশন হবে না। আরেকটু পিছিয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হোক। এইভাবে ইলেকশন টেনে কূটকৌশল করে পিছাইতেছে। কারণ, তারা জানে, ইলেকশন অইলে বিএনপি ৮০ ভাগ ভোট পাবে। যেই কারণে ইলেকশন দিতে চায় না।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই বলে মন্তব্য করেছে জুলাই আন্দোলনের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ অবস্থা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘোলাটে ও অস্থির করে তুলছে বলেও অভিযোগ তাদের।
বুধবার (২ এপ্রিল) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তরে সংযুক্ত) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত আন্তঃসংঘর্ষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩০ মার্চ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্থানীয় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে হামলার শিকার হন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুব আলম মাহিরের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা। এতে তার হাত ভেঙে যায় এবং তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।
২৪ মার্চ নোয়াখালীর হাতিয়ায় পথসভা ও জনসংযোগের সময়ে স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদের ওপর হামলা চালান। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা এনসিপির কর্মী-সংগঠকদের নিয়মিত হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজনৈতিক কারণে হামলার বিরুদ্ধে কথা বললেও এবং অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হলেও এ ধরনের হিংস্র কার্যকলাপ থেমে নেই। এনসিপির নেতারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগ নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। তারা হাজার হাজার কোটি অবৈধ টাকার মালিক। তারা সেই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে।
বুধবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশে কোনো উগ্রবাদের উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করছে, কথা বলতে পারছে। শেখ হাসিনার আমলে কেউ স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অপতথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে যেভাবে মুগ্ধ-ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে তার কোনো বক্তব্যে অনুতপ্ততা নেই।