৪০ লাখ টাকার গাঁজাসহ দেলোয়ার গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
৪০ লাখ টাকার গাঁজাসহ দেলোয়ার গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় একটি পিকআপকে ধাওয়া করে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৪০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১৪০ কেজি গাঁজা ও গাঁজা পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপসহ মো. দেলোয়ার (২৫) নামের এক পেশাদার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় খিলক্ষেত থানাধীন কুড়াতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

লালবাগ (ডিবি) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ডিবি-লালবাগ বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে কয়েকজন মাদক কারবারি খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফিট রাস্তার কাঞ্চন ব্রিজের দিক থেকে একটি পিকআপযোগে গাঁজা নিয়ে ঢাকায় আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির টিম ৩০০ ফিট রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপন করে।

এক পর্যায়ে কাঞ্চন ব্রিজের দিক থেকে নির্দিষ্ট পিকআপটি আসলে সেটি থামার জন্য সংকেত দেয় ডিবি। কিন্তু সেটি না থেমে দ্রুত কুড়িল বিশ্বরোডের দিকে চলে যায়। ডিবির টিম পিছু ধাওয়া করে খিলক্ষেত থানাধীন কুড়াতলী এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে পিকআপটি থামায়। এ সময় গাড়ির চালক দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে গাড়িতে থাকা অপর একজন কৌশলে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে চালকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পিকআপের বডিতে বিশেষভাবে তৈরি করা বাক্সের প্লেনসিট খুলে ১৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য ৪০ লাখ টাকা। এ সময় গাঁজা পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপটি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দেলোয়ার ও পলাতক ইয়াসিনসহ আরো ২-৩ জনের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।

থানা সূত্র আরো জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার মাদক কারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। উদ্ধারকৃত গাঁজা কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সংগ্রহ করে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছিল মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে পাঠানো  হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতক ইয়াছিনসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

উত্তরে ঈদের প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত বাণিজ্যমেলার পুরনো মাঠ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
উত্তরে ঈদের প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত বাণিজ্যমেলার পুরনো মাঠ
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রস্তুতি শেষ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সেখানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। ডিএনসিসির উদ্যোগে ঢাকা উত্তরের প্রধান ঈদের জামাত এটি।

ঈদের জামাতের পর থাকছে ঈদ আনন্দ মিছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ঈদ মেলা।

রবিবার (৩০ মার্চ) মাঠের প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এবারের ঈদ জামাত ও ঈদ মিছিলে লাখো মানুষ সমাগমের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ঈদ জামাতে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি ওজুর ব্যবস্থা, পানি পানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই মাঠে একসাথে লক্ষাধিক মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের অনেক উপদেষ্টা এখানে থাকবেন। নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী গত এক সপ্তাহ ধরে কাজ করছে। সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পুরো এলাকা নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।’

তিনি জানান, ঈদের জামাতকে ঘিরে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। মোবাইল ফোন, জায়নামাজ ও ওয়ালেটের বাইরে ভারি কোনো বস্তু কেউ সাথে না আনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এ সময় কাউকে কোনো ‘অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিস বা পতাকা’ না নিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঈদের জামাত শুরু হবে। নারী-পুরুষ সবাই ঈদ জামাতে অংশ নিতে পারবেন। নারীদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদ জামাত শেষে সকাল ৯টায় ঈদ আনন্দ মিছিল শুরু হবে। ঈদ মিছিলটি পুরনো বাণিজ্যমেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে। ঈদ মিছিলটি হবে বর্ণাঢ্য। মিছিলের সামনে শাহী ঘোড়া ও সামনে-পেছনে ২০টির মতো ঘোড়ার গাড়ি থাকবে। ব্যান্ড পার্টি থাকবে, সুলতানি-মোঘল আমলের ইতিহাস সম্বলিত চিত্রকলাও থাকবে। নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই ঈদ আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করবেন। অন্যান্য ধর্মামাবলম্বীরাও আসবেন। এর মাধ্যমে ঢাকার ৪০০ বছরের ঈদ ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা হবে।’

ঈদের আনন্দ মিছিলটি ইতিহাসের একটি অংশ হবে বলে জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘এই প্রথম এতো বড় পরিসরে ঈদ আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। এটি ইতিহাসের একটি অংশ হবে। আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইতিহাসের অংশ হওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘মানিক মিয়া এভিনিউতে ঈদ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। ঈদ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সেমাই ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। এ ছাড়াও ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাতাসা থাকবে আপ্যায়নে।’

বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী ঈদ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ২০০টির মতো স্টল থাকবে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নানা ধরনের পণ্য সামগ্রী, খাবার, চটপটি থাকবে। শিশুদের আনন্দের জন্য নাগরদোলা ও খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। এই মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমাদের ঈদ আনন্দ উৎসব শুধু পুরুষ বা নারীর জন্য নয়, এখানে শিশুদের জন্যও নানা আয়োজন থাকবে। পুরো পরিবার নিয়ে সবাই যেন উপভোগ করতে পারেন এই ব্যবস্থা থাকছে ডিএনসিসির ঈদ আনন্দ উৎসবে।’

প্রস্তুতি পরিদর্শনে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম, সচিব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাণিজ্য মেলার পুরনো মাঠে ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

বাণিজ্যমেলার পুরোনো মাঠে ঈদুল ফিতরের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নামাজের জামাতে মূল ইমামতি করবেন কারি গোলাম মোস্তফা। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুফতি জুবাইর আহাম্মদ আল-আযহারী।

ঈদের জামাতের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে প্রায় ৪৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্যান্ডেল করা হয়েছে। প্যান্ডেলের বাইরেও নামাজ আদায়ের জন্য থাকবে কার্পেট ও নামাজের বিছানা। প্যান্ডেলের ভেতরে দক্ষিণ পাশে নারীদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। 

মাঠে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন অংশে ছয়টি ফটক থাকবে। ফটকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন পুলিশের সদস্যরা। প্যান্ডেলের দুই পাশে একসঙ্গে ১০০ জন পুরুষ ও ৫০ জন নারীর অজু করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাঠের বিভিন্ন জায়গায় খাওয়ার পানির ট্যাংক রাখা থাকবে। ঈদের জামাতের জন্য মোট ১২ পেয়ার সাউন্ড সিস্টেম ও ১০০টি মাইক ব্যবহার করা হবে। জামাতে অংশ নিতে যাঁরা ব্যক্তিগত যানবাহনে আসবেন, তাঁদের গাড়ি রাখা যাবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কিংবা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে।

ঈদ আনন্দ মিছিল

ঈদের জামাত শেষে বাণিজ্য মেলার পুরনো মাঠ থেকেই শুরু হবে ঈদ আনন্দ মিছিল। মিছিলটি বাণিজ্য মেলার মাঠ থেকে আগারগাঁওয়ের প্রধান সড়ক দিয়ে খামারবাড়ি মোড় হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে এসে শেষ হবে। আনন্দ মিছিলে বাদ্যবাজনা বাজাবে ব্যান্ড পার্টি। অংশগ্রহণকারীদের হাতে থাকবে ঈদের শুভেচ্ছা ও সচেতনতার বার্তাসংবলিত প্ল্যাকার্ড।

আনন্দ মিছিলের অগ্রভাগে পাঁচটি সুসজ্জিত ঘোড়া রাখা হবে। মিছিলের সঙ্গে থাকবে ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি। পাশাপাশি মোগল ও সুলতানি আমলের ইতিহাস–সংবলিত ১০টি পাপেট শো রাখা হবে। আনন্দ মিছিল থেকে ন্যায্য ঢাকা শহর গড়ার বার্তা দেওয়া হবে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আপ্যায়ন

সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে মিছিল গিয়ে শেষ হওয়ার পর সেখানেই হবে সংক্ষিপ্ত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে শিল্পীরা ঈদের গান পরিবেশন করবেন। থাকবে বাউলশিল্পীদের পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময়ে সাধারণ মানুষদের আপ্যায়ন করা হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এ সময় ঈদের সেমাই, মিষ্টি ও বাতাসা খেতে পারবেন।

দুই দিনব্যাপী ঈদমেলা

ঢাকা উত্তর সিটির ঈদ আনন্দ উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ দুই দিনব্যাপী ঈদ আনন্দমেলা। ঈদের দিন ও এর পরদিন এ মেলা হবে বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে।

মেলায় বিভিন্ন পণ্যের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ২০০টির বেশি স্টল থাকবে। দুই দিনই মেলা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা থাকবে। খেলাধুলার জন্য রাখা হবে বিভিন্ন খেলার সামগ্রী।

মন্তব্য

জাতীয় ঈদগাহে ৫ স্তরের নিরাপত্তা : ডিএমপি কমিশনার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জাতীয় ঈদগাহে ৫ স্তরের নিরাপত্তা : ডিএমপি কমিশনার
সংগৃহীত ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রবিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এখানে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।

এ ছাড়া, মহানগরীতে ১১১টি ঈদগাহে এবং ১৫৭৭টি মসজিদসহ মোট ১৭৩৯টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

আরো পড়ুন
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

 

জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ও ঢাকার অন্যান্য সকল স্থানে অনুষ্ঠিতব্য ঈদ জামাতের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পুরো জাতীয় ঈদগাহ মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবে ডিএমপির বম্ব স্কোয়াড, সোয়াট ও ক্যানাইন (কে-৯) ইউনিট।

জাতীয় ইদগাহ মাঠে আসা মুসল্লীদের জন্য থাকবে নির্দিষ্ট পার্কিং এলাকা। জিরো পয়েন্ট, সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল, দোয়েল চত্বর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর ভবনের পাশের গলি, ইউবিএল ক্রসিং, কন্ট্রোল রুম গ্যাপ ও মৎস্যভবন ক্রসিংয়ে ডাইভারশন থাকবে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।

এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, পিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিমসহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রাজধানীর কখন কোথায় ঈদের জামাত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাজধানীর কখন কোথায় ঈদের জামাত

 

রাজধানীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান জামাতে অংশ নেবেন- রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন। ক্বারী হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

প্রধান ঈদ জামাতের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠ। সেখানে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বা অন্য কোনও কারণে জাতীয় ইদগাহ মাঠে জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। 

এবারও মসজিদটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, এর এক ঘণ্টা পর পর তিনটি জামাত এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত

প্রথম জামাত : সকাল ৭টায়

সকাল ৭টায় প্রথম ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

দ্বিতীয় জামাত : সকাল ৮টায় 

সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।

মুকাব্বির থাকবেন প্রধান খাদেম মো. নাসিরউল্লাহ।

তৃতীয় জামাত : সকাল ৯টায়

সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত : সকাল ১০টায়

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আলাউদ্দীন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত : সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে

বেলা পৌনে ১১টায় পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. রুহুল আমিন।

এদিকে প্রতি বছর দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের আয়োজন হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে। এবার সেখানে হবে ঈদুল ফিতরের ১৯৮তম জামাত। সকাল ১০টায় এ জামাতে ইমামতি করবেন বড় বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল খায়ের মো. সাইফুল্লাহ।

ঢাকায় যেসব স্থানে ঈদে জামাত হবে

এবার ঢাকার ১ হাজার ৪৩৫টি মসজিদ ও ১৮৯টি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার বাসিন্দাদের ঈদের জামাতের জন্য এবার প্রস্তুত করা হয়েছে আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ। সেখানে ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে একসঙ্গে ১০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের সিনিয়র ইমাম খতিব হাফেজ মাওলানা নাজীর মাহমুদ এবং দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের সিনিয়র মোয়াজ্জিন এম এ জলিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় জমিয়তে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন বংশাল বড় জামে মসজিদের খতিব এবং বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের সেক্রেটারি জেনারেল শাইখ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী।

এছাড়া সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদ ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল লন মসজিদ এবং ঢাবির আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত হবে।

সকাল সোয়া ৭টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে খেলার মাঠের পরিবর্তে নামাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে প্রথম জামাত বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত বকসি বাজার বায়তুস সালাম মসজিদে সকাল ৮টায় এবং আজাদ আবাসিক এলাকা মসজিদে সকাল ৮টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদ জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এছাড়া মগবাজারের বিটিসিএল (সাবেক টিঅ্যান্ডটি) কলোনির জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এ জামাত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এছাড়া গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে সকাল সাড়ে ৬টা, সাড়ে ৭টা ও ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। লালবাগ শাহী মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টায় ঈদের দুটি জামাত হবে। পুরান ঢাকার তারা মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ও ৯টায় হবে ঈদের জামাত। সোবহানবাগ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় হবে ঈদ জামাত।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ছয়টি জামাত হবে। মারকাজুল ফিকরিল ইসলামি (বড় মসজিদ) মসজিদে সকাল ৭টায়, সকাল সোয়া ৭টায় সি ব্লকের উম্মে কুলসুম জামে মসজিদে, সাড়ে ৭টায় এফ ব্লক জামে মসজিদে, ৮টায় জি ব্লকের বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে ঈদ জামাত হবে। কে ব্লকের মদিনাতুল উলুম মসজিদে সকাল সোয়া ৮টায় এবং এন ব্লকের ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত হবে।

এছাড়া রাজধানীর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায়, ধানমন্ডি ঈদগাহ জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, মিরপুর দারুস সালাম এলাকার মীর বাড়ি আদি (মাদবর বাড়ি) জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ও সকাল ৯টায়, মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের হারুন মোল্লাহ্ ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায়, মতিঝিলের আরামবাগের দেওয়ানবাগ শরিফে সকাল ৮টা ও সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

দারুস সালামের মাতবর বাড়ি জামে মসজিদে, সকাল সাড়ে ৭টায় ও সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদ জামাত হবে। এলিফ্যান্ট রোডের তাকওয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, বায়তুল আমান জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, ইদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য

মিরপুরে দর-কষাকষিকে কেন্দ্র করে নারীসহ ২ ক্রেতাকে মারধর, ৪ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মিরপুরে দর-কষাকষিকে কেন্দ্র করে নারীসহ ২ ক্রেতাকে মারধর, ৪ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া।

দর-কষাকষিকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে এক নারী ও এক যুবককে মারধর করেছেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১০ এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, মায়ের উপস্থিতিতে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে হকারদের মারধরের শিকার হয়েছেন এক যুবক। শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে ফুটপাতের এক দোকানদারের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হলে কয়েকজন হকার মিলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।

একইভাবে এক নারীর ওপরও হামলা করতে দেখা যায় কয়েকজনকে।

আরো পড়ুন
হজযাত্রীদের বড় সুখবর দিল সরকার

হজযাত্রীদের বড় সুখবর দিল সরকার

 

এসব ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের আটকের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। একই সঙ্গে তারা মিরপুর-১০-এর ফুটপাত ও নন-ব্র্যান্ডের দোকানগুলো থেকে কেনাকাটা বর্জন করারও ডাক দিয়েছেন।

জানা যায়, এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বেশ কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে অভিযুক্তদের দোকানে যান এবং সিন্ডিকেটের কয়েকজনকে চিহ্নিত করে আটক করেন এবং গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত পালিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ