অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, দূরপাল্লার বাসের জরিমানা

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, দূরপাল্লার বাসের জরিমানা
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঈদযাত্রার শেষের দিকেও ভোগান্তি রোধে এবং ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগে সাভার-আশুলিয়ার বাসস্ট্যান্ডগুলোতে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় চার কাউন্টারে থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

রবিবার (৩০ মার্চ) সকালে আশুলিয়ার নবীনগর ও বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ভূমি (আশুলিয়া সার্কেল) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আক্তার। এসময় বিভিন্ন যাত্রীদের সাথে কথা বলে তাদের অভিযোগ শুনেন।

আরো পড়ুন
কবে ফিরবেন খালেদা জিয়া, জানালেন ফখরুল ইসলাম

কবে ফিরবেন খালেদা জিয়া, জানালেন ফখরুল ইসলাম

 

জানা যায়, ভাড়া বৃদ্ধিসহ যাত্রীদের ভোগান্তির রোধে বেশ কিছু কাউন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। নবীনগর ও বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী কয়েকটি কাউন্টারে ভাড়া বৃদ্ধিসহ দীর্ঘ সময় যাত্রীদের অপেক্ষায় রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে নবীনগর ও বাইপাইলের মোট চারটিতে আর্থিক জরিমানা আদায়সহ বেশ কিছু কাউন্টারে সতর্ক করা হয়। 

সহকারী কমিশনার ভূমি (আশুলিয়া সার্কেল) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আক্তার বলেন, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও বেশ কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে নবীনগর ও বাইপাইল কাউন্টার গুলোতে অভিযান চালানো হয়।

অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় চারটি কাউন্টারকে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বাকিদের সতর্ক করা হয়েছে।

এদিকে সাভারে বাস কাউন্টারে টিকিটের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৩৯ ধারায় ছয়টি কাউন্টারকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ড ও হেমায়েতপুর বাসষ্ট্যান্ডে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম।

আরো পড়ুন
যে রেকর্ডে গেইলের পর গিল

যে রেকর্ডে গেইলের পর গিল

 

 

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম এ সময় বলেন, ঈদ উপলক্ষে সাভারে কাউন্টার গুলোতে ঈদে ঘর মুখো যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিট মূল্য বেশি নেওয়ার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বাস কাউন্টারে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৩৯ ধারায় টিকিটের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ছয়টি কাউন্টার কর্তৃপক্ষকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া সাভারে হানিফ কাউন্টারে টিকিটের মূল্য তালিকা দেখতে চাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিকদের মামলার হুমকি গালিগালাজ করেন ঢাকা জেলা উত্তরের হানিফ কাউন্টারের পরিচালক রমিজ উদ্দিন। এসময় তাকে আটক করা হলে তিনি মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ভোগান্তি কমাতে নিয়মিত এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কালুরঘাটে রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ১৪ মে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কালুরঘাটে রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ১৪ মে
সংগৃহীত ছবি

কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাটে আগামী ১৪ মে নতুন রেল ও সড়ক সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলেও জানান তিনি।

বুধবার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ইঞ্জিনিয়ার ওমরের কবর জিয়ারত ও ওমরের পরিবারের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উপদেষ্টা। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ফারুক ই আজম বলেন, আগামী ১৪ মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আসবেন চট্টগ্রামের সন্তান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। খুব সম্ভাবনা রয়েছে এসময় তিনি এই সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন। 

তিনি বলেন, শহীদ পরিবার তাদের প্রিয়জনকে আর ফিরে পাবেন না, তবে আমরা তাদের পাশে আছি। অন্যায় করলে বিচার হবে না, এমনটি হতে পারে না।

আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করি, তাহলে কীভাবে ন্যায়ের সমাজ গড়ে উঠবে? ন্যায়ের সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আরও কত মানুষকে আত্মত্যাগ করতে হবে? তাই অবশ্যই গণহত্যাকারীদের বিচার হতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম সারোয়ার, উপজেলা জামায়াতের আমির ডা. খোরশেদুল আলম ও নায়েবে আমির ডা. আবু নাছের প্রমুখ।

মন্তব্য

ভারতের সংখ্যালঘু অধিকার লঙ্ঘনের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে : দেবপ্রিয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতের সংখ্যালঘু অধিকার লঙ্ঘনের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে : দেবপ্রিয়

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘নয়াদিল্লির মনে রাখা উচিত তাদের দেশে মুসলিমসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে।’

ভারতের পাক্ষিক ম্যাগাজিন ফ্রন্টলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ম্যাগাজিনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

ফ্রন্টলাইনের এক প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় বলেন, ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা গণনার একাধিক উপায় আছে।

কেউ অস্বীকার করে না যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদায়ের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। পুলিশ বাহিনী বিপর্যস্ত ছিল। কিছু সময়ের জন্য নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর হাতে চলে গিয়েছিল, তবে পরিস্থিতি অস্থির ছিল।’

উপরন্তু বাংলাদেশের অনেক ধর্মীয় সংখ্যালঘু ঐতিহাসিকভাবে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে।

সুতরাং কিছু ক্ষেত্রে কোনো হিন্দু ব্যক্তির ওপর হামলা তার ধর্মের কারণে ছিল নাকি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সমর্থক হওয়ার কারণে ছিল, তা আলাদা করা কঠিন। তবে আরেকটি দিক বিবেচনা করার আছে। বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা—যেমন হিন্দু ও বৌদ্ধরা ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ। একইভাবে ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা—যেমন মুসলমানরা বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ।

সুতরাং ভারত যখন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে হওয়া আচরণ নিয়ে মন্তব্য করে, তখন দেশটিকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে তার নিজের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কী আচরণ হচ্ছে, সেটাও অন্যরা খতিয়ে দেখছে।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন সদস্য হয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশে নিরাপদ কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি হয়তো এ প্রশ্নের জন্য সেরা উদাহরণ নই। আমি দুইবার ভারতে শরণার্থী হয়েছিলাম। প্রথমবার, ১৯৬০-এর দশকের দাঙ্গার পর—১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়বার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়। কিন্তু আমার মা-বাবা কখনোই বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি।

আমি ফিরে এসেছি, আমার মাতৃভূমিতে বিনিয়োগ করেছি এবং এখানেই আমার জীবন গড়েছি। আমি আমার দেশের জন্য অবদান রাখতে গিয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পদ ছেড়ে দিয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার পরিবারের বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বিচার বিভাগীয় ইতিহাসে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমার মা আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য ছিলেন এবং আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছিলেন। কিন্তু এই ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো আমার পেশাদারি এবং তথ্যভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে না।’

ব্যক্তিগতভাবে আমি বাংলাদেশে থাকার ঝুঁকিগুলো মেনে নিয়েছি। তবে আমি বিশ্বাস করি যে পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতি যেখানে একটি ভূমিকা রাখে, এমন যেকোনো দেশের যেকোনো নাগরিকের জন্যই এ ধরনের ঝুঁকি বিদ্যমান। আমি আরো বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবাধিকার এবং সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের—হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগত সংখ্যালঘু এবং সমতলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর—সুরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্তর্ভুক্তির প্রতি এই অঙ্গীকারই জাতি গঠনের মূল ভিত্তি।

বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলোর মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে বহুত্ববাদকে প্রতিষ্ঠিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে দেবপ্রিয় বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আলোচনার টেবিলে। এই পর্যায়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো অপরিণত কাজ হবে, কারণ এটি এখনো পর্যালোচনাধীন।’

মন্তব্য

বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. ইউনূস
সংগৃহীত ছবি

বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান। তাই সব দেশের প্রধানদের সঙ্গে পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা দরকার।

আরো পড়ুন
কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে : শিবির সভাপতি

কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে : শিবির সভাপতি

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্কক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। সম্মেলনের প্রথমদিন ইয়ুথ কনফারেন্সে যোগ দেবেন তিনি। পরদিন সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। 

এতে আরো জানানো হয়, সেখানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হতে পারে।

এ ছাড়া সাইডলাইনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সম্মেলনে তিনটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ও ডেপুটি প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল
ছবি : কালের কণ্ঠ

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন। আমরা শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মুগ্ধ, শহীদ আনাসের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শপথ নিয়েছি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতেই করা হবে। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা তাদের বিচার করব।

দিল্লি থেকে কোনো নসিহত বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’

বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
ঈদের ছুটিতে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়

ঈদের ছুটিতে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়

 

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে যেসব শহীদের রক্তের ওপর দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে, তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে তার আত্মীয়-স্বজনদের দেশ ছাড়ার সিগন্যাল দিয়েছিলেন।

দেশে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বিপদে রেখে হাসিনা ও তার আত্মীয়-স্বজন সবাই পালিয়ে গেছেন।’

আরো পড়ুন
অসহায় আত্মসমর্পণ সাংবাদিকদের মানায় না : কাদের গনি চৌধুরী

অসহায় আত্মসমর্পণ সাংবাদিকদের মানায় না : কাদের গনি চৌধুরী

 

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যতই ষড়যন্ত্র করুক ফ্যাসিবাদী খুনিদের বিচার আমরা করবই। দিল্লিতে বসে করা কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের মানুষকে সেই বিচার থেকে পেছনে ফেরাতে পারবে না।

জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মেহাম্মদ নসরুল্লাহ। দিনব্যাপী পুনর্মিলনী আয়োজনে কলেজের বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ