জ্ঞাতআয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশের সাবেক পরিদর্শক শেখ সিরাজুল ইসলামকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত শেখ সিরাজুল ইসলাম যশোর নতুন উপশহর এ ব্লকের শেখ মোহাম্মদের ছেলে ও ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার সাবেক পরিদর্শক।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) এসএম নূরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুর্নীতির মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালত তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত শেখ সিরাজুল ইসলাম পলাতক।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জ্ঞাতআয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ায় বাগেরহাট পুলিশের তৎকালীন (ডিআইও) পরিদর্শক শেখ সিরাজুল ইসলামকে যশোর জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো নোটিশ জারি করে। কিন্ত সিরাজুল ইসলাম তখন নোটিশটি গ্রহণ করেননি।
আরো পড়ুন
কুমিল্লায় ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে ওসিসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১৯৯৮ সালের ১৭ মে যশোর ডিএসবির মাধ্যমে নোটিশটি আবার বাগেরহাটে পাঠানো হলে তিনি গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে এ নোটিশ বাগেরহাট পুলিশ সুপারের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু সেবারও তা গ্রহণ না করে পদোন্নতি পেয়ে ঝিনাইদহ জেলায় চলে যান সিরাজুল ইসলাম।
তিনি ঝিনাদহের শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় এ নোটিশ পুলিশ সুপারের মাধ্যমে আবার পাঠায় দুর্নীতি দমন ব্যুরো যশোর।
কিন্তু সিরাজুল ইসলাম সেবারও নোটিশ গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেন।
অবশেষে ২০০০ সালের ১১ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক এমএ সোহবান আসামি শেখ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাতআয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
আরো পড়ুন
সাভারে ট্রাকচাপায় এসআই নিহত
এ মামলার তদন্ত শেষে সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে অবৈধভাবে প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আাসামি সিরাজুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দুদক যশোরের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ আদালতে চার্জশিট জমা দেন।