৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে গতকাল সন্ধ্যা থেকে। তবে এবারের পর্বে বিদেশি মেহমানের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। আয়োজকদের হিসাব করা সংখ্যার সঙ্গে সরকারি পরিসংখ্যানের অমিল দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ গড়মিল লক্ষ্য করা যায়।
সরকারি সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৪৬ দেশের ১ নাজার ১০৭ জন বিদেশি মেহমান এসেছেন।
এদিকে বিদেশি মেহমানের সংখ্যা উল্লেখ করে শুরায়ে নেজামের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান কালের কণ্ঠকে বলেন, সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭২টি দেশের ২ হাজার ১৫০ জন বিদেশি মেহমান এসেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ৭২টি দেশের ২ হাজার ১৫০ জন মুসুল্লি ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আরো বাড়বে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, শুক্রবার সকাল ১০টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত বিশ্বের ৪৬টি দেশের ১১০৭ জন বিদেশি মেহমান ইজতেমায় উপস্থিত হয়েছেন। তার মধ্যে উর্দু ৭১৮ জন, ইংলিশ ৩০০ জন, আরব ৮৯ জন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মেহমান রয়েছে ভারতের ৫১৯ জন, এরপর পাকিস্থান ১৭৭ জন ও কিরগিস্থান ১৩২ জন।
৪৬টি বিদেশি রাষ্ট্রের মধ্যে আফগানিস্থান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইথিওপিয়া, ভারত, ওমান, সৌদিআরব, ইয়েমেন, কিরগিস্থান, দক্ষিন আফ্রিকা, থাইল্যান্ড, পাকিস্থান, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, আলজেরিয়া, মিশর, সিঙ্গাপুর, জর্ডান ও রাশিয়া অন্যতম।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ইজতেমা প্রশাসন। বিদেশি মেহমানদের খিত্তাকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিদেশি খিত্তার পাশে পুলিশ র্যাবসহ সকল বাহিনীর উপ-নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মেহমানদের থাকা খাওয়া যাওয়াত ও ভ্রমনের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্বের দুই ধাপের আয়োজক শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জুবায়েরপন্থিরা। দ্বিতীয় পর্বের আয়োজক মাওলানা সাদপন্থিরা। আজ ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে প্রথম পর্ব। প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারী থেকে ২ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় ধাপ ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় পর্ব হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি।
আজ শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করেছেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়া উল হক। সকাল পৌনে ১০টায় খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল হয়। তালিমের আগে মোজাকেরা (আলোচনা) করেন ভারতের মাওলানা জামাল। শিক্ষকদের বয়ানের মিম্বারে বয়ান করবেন মাওলানা ফারাহিম, ছাত্রদের সঙ্গে নামাজের মিম্বারে বয়ান করবেন আলিগড়ের প্রফেসর আব্দুল মান্নান, খাওয়াছদের (গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ) মাঝে টিনশেড মসজিদে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আকবর শরিফ।