ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেল পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেল পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম মহানগরীর (সিএমপি) ইপিজেড থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ বছরের শিশু ফাতেমা আক্তার ইতিকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেল পলাতক মো. সুমন জোমাদ্দার (২৭) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল।
গ্রেপ্তার আসামি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বুখাইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামের মোস্তফা জোমাদ্দারের ছেলে।

পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল জানান, শিশু ফাতেমা আক্তার ইতি (১০) মঠবাড়িয়া উপজেলাস্থ নানার বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সকালে সে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়। সারাদিন ঘরে না ফেরায় শিশুটির পরিবার ও আত্মীয়স্বজন তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরদিন দুপুরে পাশের বাড়ির একটি বাগানে ফাতেমার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হলে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পিরোজপুর আসামি সুমন জোমাদ্দার (২৭)সহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। আসামি মো. সুমন জোমাদ্দার গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আটক ছিলেন।

গত ৬ আগস্ট কাশিমপুর কারাগারে হামলা-ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে আসামি মো. সুমন জোমাদ্দার জেল থেকে পালিয়ে যান।

পরে কারা কর্তৃপক্ষ উক্ত ঘটনায় কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামি জেল পলাতক হয়ে দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনের পর চট্টগ্রাম শহরের ইপিজেড এলাকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় ভুয়া নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এটিইউ’র একটি চৌকস দল জিএমপি’র কোনাবাড়ী থানার মামলায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, আসামি মো. সুমন জোমাদ্দার (২৭) মঠবাড়িয়া থানার আরো ১০টি মামলার এজাহারনামীয় আসামি। গ্রেপ্তারকৃতকে জিএমপি’র কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করেন : এ্যানি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করেন : এ্যানি
ছবি: কালের কণ্ঠ

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হলে একটি নিয়ম ও পরিকল্পনায় যেতে হবে। দেশ যেহেতু স্বাধীন। তাহলে একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা রয়েছে।

সরকারের সহযোগীতায় শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও দোসরদের বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হতে হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ নাকি আওয়ামী লীগের বিচারটা গুরুত্বপূর্ণ? বিচারের প্রক্রিয়া যদি চলমান থাকতো অটোমেটিক আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। কে রোধ করতে পারতো? রোধ করার কোন সুযোগ থাকতো না। অবিলম্বে বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মান্দারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে এ আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ চট্টগ্রাম কারাগারে

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ চট্টগ্রাম কারাগারে

 

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, হাসিনার পরিবারের বাইরে তার দোসর যারা মন্ত্রী-এমপি ছিল তারা সবাই লুটের সঙ্গে জড়িত ছিল। দুঃশাসন, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল।

রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। তাদের বিচারও এখনো দৃশ্যমান হয়নি। এ বিচারগুলো দৃশ্যমান হওয়া উচিত। আমরা বারবার বলছি হাসিনার বিচার, তার পরিবার ও দোসরদের বিচার আগে করতে হবে। পৌরসভা, থানায়, উপজেলায় ও জেলায় তাদের নেতৃত্ব দুঃশাসন তৈরি করেছিল।
যারা অত্যাচার-নির্যাতন করেছে, তাদেরকে কি গ্রেপ্তার করা হয়েছে? তাদের বিচারও হয়নি। বিচার এখনো হচ্ছে না এতে আমাদের মনে কষ্ট।

আরো পড়ুন
আনোয়ারায় আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

আনোয়ারায় আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

 

তিনি আরও বলেন, বিচারের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয়ে গেলে তখন নির্বাচনের আলোচনা আসবে। সেই আলোকে একটি গোলটেবিল বৈঠক হবে সরকারের সঙ্গে। তখন সকল রাজনৈতিক দল বসে সেখানে একটি সমঝোতা চুক্তি করবে। সমঝোতা করেই বলবে আওয়ামী লীগের নির্বাচন করার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ এদেশে গুম-খুন, অত্যাচার-নির্যাতন, গণহত্যা ও লুট করছে। তাহলে অটোমেটিক সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের একটি বার্তা জাতির সামনে দিতে পারতাম। এখন পর্যন্ত আমরা তা করি নাই। তা না করে আমরা রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিবাধ সৃষ্টি করছি। জাতির সামনে এই বিরোধটা নিয়ে আসছি। এটি খুব কষ্টকর, দুঃখজনক। 

এ্যানি বলেন, যেসকল রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা না করে সরকারের সঙ্গে বসেন। এবং সরকারের দায়িত্ব সকল রাজনৈতিক দলকে এক টেবিলে এনে আলাপ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুত সম্পন্ন ও এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণের কাজ সম্পন্ন করা। এজন্য একটি ঐক্যমত-চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া খুব জরুরি।

মন্তব্য

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ চট্টগ্রাম কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ চট্টগ্রাম কারাগারে
সংগৃহীত ছবি

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মো. শরীফ মাহমুদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক শুনানি শেষে এ আদেশে দেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আজকে (২১ মার্চ) শরীফ মাহমুদকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়।

শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত (কর্মকর্তা) ওসি রফিক আহমেদ জানান, আটক শরীফ মাহমুদকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। সরকারি ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি মামলা রয়েছে। এই ব্যাপারে দুদকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়।

দুদক পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে বাংলাদেশ বেতার ভবনে শরীফ মাহমুদকে অবরুদ্ধ করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা। এই খবর পেয়ে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বছরের ৪ আগস্ট শরীফ মাহমুদের স্বাক্ষর করা চিঠিতে কারফিউ জারি হয়েছিল।

তাই তাকে আটক করতে হবে।

মন্তব্য

বাঘায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
শেয়ার
বাঘায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে দিনে-দুপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে তুষার (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার ছয় দিন পর রাজশাহীর র‌্যাব-৫ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাতে রাজশাহীর বেলপুকুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হাবাসপুর এলাকার মুক্তার আলীর ছেলে তুষার।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মার্চ উপজেলার হাবাসপুর এলাকায় স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তুষার এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার তিন দিন পর ১৮ মার্চ সকালে স্বামী বাড়ি ফিরে এলে বাঘা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী। মামলা রেকর্ড করার দুদিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহী র‌্যাব-৫ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীর বেলপুকুর এলাকা থেকে তুষারকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি তুষার ইতোমধ্যে তার অপরাধ স্বীকার করেছেন বলেও নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।

আরো পড়ুন
‘গৌণ ইস্যুকে মুখ্য বানাতে গিয়ে ফ্যাসবাদ বিরোধী ঐক্যে সংশয় তৈরি করা হয়েছে’

‘গৌণ ইস্যুকে মুখ্য বানাতে গিয়ে ফ্যাসবাদ বিরোধী ঐক্যে সংশয় তৈরি করা হয়েছে’

 

এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে বাঘা থানায় তুষারকে সোপর্দ করেছে র‌্যাব। বাঘা থানার (মামলা) তদন্ত কর্মকর্তা (এস.আই) প্রদ্যুৎ কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য গৃহবধূকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি-তে) পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে তুষার পলাতক ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত  তাকে গ্রেপ্তার করছে রাজশাহী র‌্যাব-৫। 

মন্তব্য

আনোয়ারায় আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

নিজস্ব সংবাদদাতা, আনায়ারা
নিজস্ব সংবাদদাতা, আনায়ারা
শেয়ার
আনোয়ারায় আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

আনোয়ারা উপজেলায় সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উৎপল সেনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বিএনপি নেতার দায়ের করা মামলার ৮৯ নং আসামি।

শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে আনোয়ারা সদরের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, বিএনপি নেতার মামলার ৮৯ নং আসামি উৎপল সেনকে আজ দুপুরে তার বাসা থেকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
‘ভোটাধিকার প্রয়োগের নূন্যতম বয়স ১৬ করতে হবে’

‘ভোটাধিকার প্রয়োগের নূন্যতম বয়স ১৬ করতে হবে’

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ