ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

চাকরি না পাওয়ায় ছাদ থেকে তরুণের লাফ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
চাকরি না পাওয়ায় ছাদ থেকে তরুণের লাফ
প্রতীকী ছবি

পড়ালেখা শেষে চাকরি না পাওয়ার হতাশায় ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক তরুণ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আত্মহননকারী যুবকের নাম রুবায়েত রাজ হাসনাত অপূর্ব (২২)। তিনি গলাচিপা এলাকার ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলামের ছেলে।

 নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন
সাপাহারে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি আটক

সাপাহারে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি আটক

 

তিনি বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। তিনি ছাদে ওঠা থেকে শুরু করে ছাদে কিছু সময় হাঁটাহাটি করা পর্যন্ত আশপাশে কেউ ছিল না। তার পরিবার থেকে জানিয়েছে, পড়ালেখা শেষে চাকরি না পাওয়াতে তিনি বিষণ্নতায় ভুগছিলেন।

এই হতাশা থেকে হয়তো তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চরভদ্রাসন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান

সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
চরভদ্রাসন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান
সংগৃহীত ছবি

দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি, নকল উত্তোলনসহ অন্যান্য কাজে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি এবং ঘুষ দাবিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপসহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল।

অভিযানকালে সিটিজেন চার্টার না থাকাসহ নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় কিছু রেকর্ডপত্র জব্দ করা হয়। সেগুলো পর্যালোচনা করে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর পাঠানো হবে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপসহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসান জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক চরভদ্রাসন উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে সিটিজেন চার্টার পাওয়া যায়নি। এছাড়া অনিয়মের কিছু রেকর্ডপত্র জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর পাঠানো হবে।

এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
তদন্ত প্রতিবেদন

ফরিদপুরে বাস দুর্ঘটনার ৫ কারণ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
ফরিদপুরে বাস দুর্ঘটনার ৫ কারণ
পুরোনো ছবি

ফরিদপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফারাবি এক্সপ্রেস নামের একটি বাস দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ ৭ জন নিহতের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে চালকের বেপরোয়া গতিতে নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালানোসহ দুর্ঘটনার ৫ কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামীতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ১৪টি সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মিন্টু বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।

জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল সকাল ১১ টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের বাখুন্ডা এলাকার শরিফ জুটমিলের সামনে মুকসুদপুর থেকে ফরিদপুরগামী ফারাবি এক্সপ্রেস নামের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে বাবা-ছেলেসহ ৭ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়। ঘটনার পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাসকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসন এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়।

এ কমিটিতে ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমীর হোসেন, হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ, বুয়েটের এআরআই বিভাগের প্রভাষক ড. নাজমুল হক, ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন।

তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়।

সেগুলো হলো, চালকের বেপরোয়া গতিতে নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালানো, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং, ওভারটেকিং আইন অমান্য করা এবং সড়কে এ বিষয়ে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড না থাকা, ফিটনেস ও ট্যাক্সটোকেন মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় সড়কে চলাচল করা এবং দুর্ঘটনাকবলিত স্থানের রাস্তাটি পার্শ্ব সড়ক অংশে ঝুঁকিপূর্ণ সোল্ডার ড্রপ থাকা। তদন্ত কমিটি বাসটির চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সের কোনো তথ্য পায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি দুর্ঘটনার নিরসনে ১৪টি সুপারিশ করেছে। এ সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- মহাসড়কে ফিটনেস ছাড়া গাড়ি চলাচল না করা, রুটপারমিট ব্যতীতে কোনো গাড়ি চলাচল না করা, বিকল্প চালক রেখে টানা ৫ ঘণ্টার বেশি গাড়ি না চালানো, প্রতিটি গাড়িতে অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা রাখা, বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি না চালানো, থ্রি-হুইলার এবং ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচল নিষিদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় রাস্তার পাশে ট্রাফিক সাইন প্রদর্শন, পর্যাপ্ত সিগন্যাল, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সকল যানবাহনে গতি নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বসানো, ঝুঁকিপূর্ণ সোল্ড্রার ড্রপ মেরামত, অনুমোদনহীন পার্শ্বরাস্তা সংযোগ না দেয়া এবং রাইট অফ ওয়ের বাইরে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করা।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, বিগত দিনের দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ এবং এ ঘটনায় পাওয়া সুপারিশগুলো নিয়ে বাস মালিক, শ্রমিক, সড়ক বিভাগ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দ্রুত সভা করা হবে। সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য সভায় প্রত্যেক বিভাগকে আলাদা করে দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হবে। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ের সুপারিশগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

অপরদিকে এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হলে বাস চালক সুমন গাজীকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে আদারতে সোপর্দ করা হয়।

মামলার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন জানান, আদালত পরে রিমান্ডের শুনানির তারিখ ঠিক করা হবে জানিয়ে সুমন গাজীকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।

বিআরটিএ’র ফরিদপুর কার্যালয় জানায়, চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় ২৮১ টি ডিজেল গাড়ি ফিটনেস নবায়নকালে গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্পিড গভর্নর শিল্ড করা হয় ।

বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. নাসীর উদ্দীন বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিতে ডিজেল দ্বারা চালিত এবং স্পিড গভর্নর শিল্ড করা পাওয়া যায়নি। এছাড়া বাসটি ফিটনেস বিহীন ছিল। বর্তমানে বাসটি বিআরটিএ থেকে সাসপেন্ড করা আছে।

মন্তব্য

আশুলিয়া সাবরেজিস্ট্রার অফিসে দুদকের অভিযান

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
আশুলিয়া সাবরেজিস্ট্রার অফিসে দুদকের অভিযান
সংগৃহীত ছবি

দলিলে‌ তথ্য গোপন করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে আশুলিয়া সাবরেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় তারা সাবরেজিস্ট্রার অফিসের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি, রেজিস্ট্রিকৃত দলিল যাচাইসহ সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে নানা অনিয়মের সত্যতা পান। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২-এর সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগের নেতৃত্বে একটি দল আশুলিয়া সাবরেজিস্ট্রার অফিসে এই অভিযান পরিচালনা করেন। 

অভিযান পরিচালনার সময় দুদক কর্মকর্তারা আবাসিক স্থাপনাকে বাগান দেখিয়ে দলিলের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার বিষয়ে সত্যতা পায়।

এ ছাড়া বিভিন্ন ফি হিসেবে নকলনবিশদের অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ সময় দুদক প্রমাণ হিসেবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জব্দ করে নিয়ে গেছে। 

আরো পড়ুন
দুদকের উপস্থিতি টের পেয়ে পালালেন জেলা রেজিস্ট্রার

দুদকের উপস্থিতি টের পেয়ে পালালেন জেলা রেজিস্ট্রার

 

অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আশুলিয়া সাবরেজিস্ট্রার অফিস আমাদের গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিল। এর ধারাবাহিকতায় কিছু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজকে সকাল থেকে আমরা এখানে অভিযান পরিচালনা করি।

অভিযানের সময় আমরা সাবরেজিস্ট্রার অফিসের বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করি। এখানে কারা কাজ করছে, কিভাবে কাজ করছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করি। এখানে দালালের দৌরাত্ব আছে কি না, নকল নবিশরা কিভাবে কাজ করে সব কিছু খতিয়ে দেখার পর আমরা গত দুই তিন দিনে যেসব দলিল সম্পাদন হয়েছে সেগুলো যাচাই করি। 

দলিল যাচাই করতে গিয়ে আমরা অনেকগুলো অনিয়ম পেয়েছি।

একটি দলিলে আবাসিক ভবন থাকা সত্ত্বেও সেটিকে গোপন করে দলিল করা হয়েছে। যেখানে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ ছাড়া আমরা সেবাগ্রহীতাদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, নকলনবিশরা নানাভাবে অতিরিক্ত ফি ধরে টাকা আদায় করছে। এগুলোর বিষয়ে আমরা সাবরেজিস্ট্রার সতর্ক করেছি এবং আমরা দুর্নীতির যেসব রেকর্ড পেয়েছি এগুলোর আলোকে কমিশন বরাবর একটি প্রতিবেদন জমা দেব। কমিশন আমাদের যে ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দেবে আমরা সেই ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
 

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এনফোর্সমেন্ট একটি চলমান প্রক্রিয়া, প্রতিদিনের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। কমিশন যখন যেখানে অভিযান পরিচালনার অনুমতি দেয়, আমরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করি।’

মন্তব্য

রায়পুর সাবরেজিস্ট্রারকে সতর্ক করল দুদক

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
রায়পুর সাবরেজিস্ট্রারকে সতর্ক করল দুদক
ছবি : কালের কণ্ঠ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে অনিয়ম-হয়রানি বন্ধ করতে সাবরেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউনুসকে সতর্ক করা হয়।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের চাঁদপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আজগর হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় দুদকের উপসহকারী পরিচালক তাফসির বিল্লাহ ও উপপরিদর্শক এমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

দুদক জানায়, সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে পদে পদে হয়রানি, ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অস্থিতিশীল পরিবেশের অভিযোগ ছিল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক রায়পুর সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা চালায়। গত দিনে দলিল ও নকল তুলে নিয়ে যাওয়া সেবাগ্রহীতারা ও কয়েকটি ডকুমেন্ট দুদক কর্মকর্তারা দেখেছেন। দলিলের সঙ্গে যেসব কাগজপত্র রয়েছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়েছে।

নকল তোলার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে কি না তা যাচাই-বাছাই করে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

সহকারী পরিচালক আজগর হোসেন বলেন, ‘অভিযানে একটি দলিলে রাজস্ব (খাজনা রসিদ) কপি ছিল না। ভুলবশত এটি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। পরবর্তীতে যেন এ ধরনের ভুলভ্রান্তি না হয়, সে জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সব রেকর্ডপত্র যেন সঠিকভাবে দেখে দলিল করা হয়। যারা দলিল করতে ও নকল নিতে আসেন কেউ যেন কোন হয়রানির শিকার না হয়, ঘুষ দিতে না হয়, এ বিষয়ে সাবরেজিস্ট্রারকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’

রায়পুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার মো. ইউনুস বলেন, ‘দুদক কয়েকটি দলিল যাচাই-বাছাই করেছেন। তারা সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গেও মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। সরকারি ফি প্রায় ২৫০০ টাকা।

এর চেয়ে ৫০০ টাকা বেশি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে এক সেবাগ্রহীতা জানিয়েছেন, কেউ তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিইনি, তারা খুশি হয়ে টাকাটা দিয়েছে।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রায়পুর সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ঝাড়ুদার সোহেলে চেয়ারে বসে টাকা গুণে নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তার মাধ্যমেই ঘুষ লেনদেন হতো। পরে দুদকের অভিযানে ঘটনার প্রমাণ মিললে তাকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ