বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ পাবনা জেলা শাখার আওতাধীন চাটমোহর উপজেলা শাখার আংশিক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে দলটির পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আগামী এক বছরের জন্য ঘোষিত কমিটিতে গুরত্বপূর্ণ দুটি পদ পেয়েছেন চাটমোহর উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একজন সৌদি প্রবাসী।
নতুন কমিটি প্রকাশের পর শ্রমিক লীগ নেতার যুব অধিকারে অনুপ্রবেশ ও পুনর্বাসন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়।
জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি সোহেল রানা নোমান এবং সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত কমিটিতে মো. রিপন হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি জাতীয় শ্রমিক লীগ চাটমোহর উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির ১ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক হন রিপন হোসেন।
সে সময় জোরপূর্বক এলাকার খাল-বিল দখলসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন তিনি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গণ অধিকার পরিষদে যুক্ত হয়ে পোস্টারিং ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে গণ অধিকার পরিষদের নেতা হিসেবে প্রচারণা চালান। সবশেষ বাগিয়ে নেন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ চাটমোহর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের পদ।
অপরদিকে সৌদি প্রবাসী শরিফুল ইসলাম সবুজ বিদেশে থেকেও যুব অধিকার পরিষদ চাটমোহর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন। নতুন এ কমিটিকে আগামী ১ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা কমিটি।
নতুন কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক জানান, রিপন হোসেন শ্রমিক লীগ করতেন কি-না এটি তার জানা নেই। জেলায় কমিটিতে জমা দেওয়ার পর গত ৫ এপ্রিল জেলা কমিটি তা অনুমোদন করে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি সোহেল রানা নোমান জানান, রিপন হোসেন জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা ছিলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। কমিটি অনুমোদনের পূর্বেই শরিফুল ইসলাম সবুজ বিদেশে চলে গেছেন, সেটাও জানা নেই। তবে কেউ দলের জন্য কাজ করলে বিদেশ থেকেও করা সম্ভব।