যশোরে পুকুরে ভাসছিল শিশুর গলিত মরদেহ

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
যশোরে পুকুরে ভাসছিল শিশুর গলিত মরদেহ
ছবি: কালের কণ্ঠ

যশোরের অভয়নগরে পরিত্যক্ত পুকুর থেকে ৬/৭ মাসের এক শিশুর গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলার একতারপুর গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায় মৃত নিমাই কর্মকারের বাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় সেলিম স্টোরের মালিক নার্গিস বেগম বলেন, ‘আজ সোমবার সকালে স্কুল পড়ুয়া কয়েক শিশু পরিত্যক্ত ওই পুকুরের পাশে খেলা করছিল। পুকুরে ভেসে থাকা কিছু একটা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে তারা আমাকে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জানান।

আরো পড়ুন
গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে চাঁদপুরে বিক্ষোভ

গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে চাঁদপুরে বিক্ষোভ

 

তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ৬/৭ মাস বয়সী এক নবজাতকের গলিত মরদেহ ভেসে রয়েছে এবং তা থেকে দুর্গন্ধ আসছে। এটি ছেলে না মেয়ে, তা বোঝা যায়নি। পরে অভয়নগর থানা পুলিশে খবর দেওয়া হলে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারা।’

অভয়নগর থানার ওসি মো. আব্দুল আলিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।

নবজাতকের অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’     

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চৈত্রের শেষ প্রহরে খনার মেলার উদ্বোধন কেন্দুয়ায়

আসাদুল করিম মামুন, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)
আসাদুল করিম মামুন, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)
শেয়ার
চৈত্রের শেষ প্রহরে খনার মেলার উদ্বোধন কেন্দুয়ায়

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় গ্রামীণ ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রত্যন্ত গ্রামে খনার মেলা শুরু হয়েছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) ভোরে উপজেলা গড়াডোবা ইউনিয়নে আঙ্গারোয়া গ্রামে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ এ মেলার উদ্বোধন করেন। ১৩ এপ্রিল সূর্যোদয় থেকে পরদিন ১৪ এপ্রিল সূর্যোদয় পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টাব্যাপী দিন-রাত চলবে এই আয়োজন। 

মঙ্গল ঘর নামের একটি সংগঠনসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মিডিয়া কমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান কুল এক্সপোজার এ মেলার আয়োজন করেছে।

 

বাংলা ১৪৩১-কে বিদায় জানাতে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা কবি সাহিত্যিকের উর্বর ভূমি ও ময়মনসিংহে গীতিকার ঐতিহ্যবাহী উপজেলা কেন্দুয়ার গড়াডোবা ইউনিয়নের আঙ্গারোয়া গ্রামে এই আয়োজন করা হয়েছে। 

খনার ওপর বিশেষ আলোচনাপর্বে 'জল ভালা ভাসা, মানুষ ভালা চাষা'  প্রতিপাদ্যের আলোকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেখক গবেষক পাবেল পার্থ, প্রাকৃতিক কৃষি আন্দোলনের সংগঠক দেলোয়ার জাহান, কবি আহমেদ নকিব, লেখক সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠক বাকী বিল্লাহ, শিল্পী ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠক বিথী ঘোষ, কবি আসমা বিথী, সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠক আবুল কালাম আজাদ, লোক সাহিত্য গবেষক বাবু রাখাল বিশ্বাস, চর্চা সাহিত্য আড্ডার সমন্বয়ক রহমান জীবন, মঙ্গলঘর পরিসরের প্রধান সংগঠক বদনূর চৌধুরী লিপন প্রমুখ। 

মেলায় উপস্থিত থেকে প্রখ্যাত বাউলশিল্পী সুনীল কর্মকার, প্রবীণ কৃষক বাউল মিয়া হোসেন, বাউল শিল্পী শেফালী গায়েন, শিল্পী কফিল আহমেদসহ অনেকে গান পরিবেশন করবেন। 

এ ছাড়াও কৃষ্ণকলি ও তার দল, সংগঠন সমগীত, ব্যান্ড সহজিয়া, মুসা কলি মুকুল, নূপুর সুলতানা, মঙ্গলঘরের শিল্পী কৃষক দুদু কাঞ্চনসহ আরো অনেকেই গান পরিবেশন করবেন।

 

আয়োজনে বয়াতি পালা গান, জারি গান, কেচ্ছা গান, লাঙ্গল, কোপিবাতি, বিন্দা, মাটির পাত্র, বাঁশের তৈরী বিভিন্ন তৈজসপত্রসহ গ্রামের ঐতিহ্যের সকল কিছু এখানে তুলে ধরা হয়। তবে মেলা বলতে সাধারণত নানা পণ্যের পসরা বোঝালেও এই মেলা সেই মধ্যে মেলা নয়। এখানে কথা-গানের ভরপুর আয়োজন চলে। আর সেই কথায় বা গানে গানে গ্রামীণ চিরায়ত চিত্র ফুটে উঠেছে।

বয়াতিরা নিজেদের ভাষায় পালা গানের মাধ্যমে তুলে ধরেন এই গ্রামীণ সংস্কৃতি। খনার মেলার মূল প্রতিপাদ্যই ছিল  'জল ভালা ভাসা, মানুষ ভালা চাষা'। অর্থাৎ কৃষি উপজীব্যকে সামনে তুলে আনতেই এমন আয়োজন।

আর এই আয়োজনে গ্রামে বেড়াতে আসা বিভিন্ন বয়সের শ্রেণি-পেশার মানুষও উপস্থিত থেকে ঈদ এবং বৈশাখের ছুটির আনন্দ উপভোগ করেছে। শুধু গ্রামের মানুষই নয় জেলা ছাড়াও ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন অনেকেই।

বিভিন্ন শিল্পীরাও পরিবেশন করেছেন স্থানীয় বাউল সাধকদের গান। এ ছাড়াও স্থানীয় বয়াতিরা পালা গান, জারি গান, কেচ্ছা গান পরিবেশন করে। সবাই মিলে গ্রামীণ খাবার খেয়েছেন মাটির পাত্রে। পুরনো আসবাবপত্র তুলে ধরা হয় নতুন প্রজন্মকে চিনিয়ে দিতে।

খনার মেলায় ময়মনসিংহ থেকে আসা রুবিনা আক্তার বলেন, এই যে গ্রামে এই সময়ে আনন্দ করছে মানুষ, এটাই তো হারিয়ে গিয়েছিল। এটি আবারো  জাগ্রত হলে আবার গ্রামে ফিরবে মানুষ।

এই খনার মেলায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিল্পকলা ও নাট্যকলা শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, শুনেছি গত বছরও এ আয়োজন হয়েছিল। খনাকে নিয়ে আয়োজন এটা দ্বিতীয়বারের মতো। আমরা চাই প্রতিবছর আয়োজনটি বড় পরিসরে হোক এবং গ্রামের ঐতিহ্য ধরে রাখুক। 

মেলা উদযাপন কমিটির উদ্দোক্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত বছর থেকে আঙ্গারোয়া গ্রামে তারা এ মেলা শুরু করেছে। মেলার আয়োজন করতে পেরে তাদের এক দরনের নতুন অনুভূতি ও আত্মতৃপ্তির সৃষ্টি হয়। মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কবি ও সংস্কৃতিকর্মী ছাড়াও নানা শ্রেণির মানুষজন আসে।  

প্রধান আয়োজক গড়াডোবা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বদনূর চৌধুরী লিপন জানান, মঙ্গল ঘর নামে তাদের একটি মাত্র কক্ষ রয়েছে যেখানে প্রতিদিন আড্ডা হয়। এ সকল আড্ডায় ভালো ভালো চিন্তা বেরিয়ে আসে। আর সেখান থেকেই এই খনার মেলার আয়োজন। এ বছর দ্বিতীয়বারে মতো এমন আয়োজনে স্থানীয় গ্রামের মানুষ আনন্দ নিচ্ছে এটাই অনেক বড়। বিশেষ করে খনার বচন এখন আর শোনাই যায় না। এগুলো নতুন প্রজন্ম শুনবে এবং ধারণ করবে। খনার বচনের সাথে প্রকৃতির সকল কিছু মিশে আছে।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

প্রতিবন্ধী মা-দুই মেয়ে, ভিক্ষার টাকায় চলে সংসার

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
প্রতিবন্ধী মা-দুই মেয়ে, ভিক্ষার টাকায় চলে সংসার
ছবি: কালের কণ্ঠ

জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে দিন পার করছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের গণোপৌত বিলপাড়া গ্রামের প্রমিলা ও তার দুই কন্যা। পরিবারের পাঁচ সদস্যের এই সংসার চলছে চরম অভাব-অনটনের মধ্যে, যাদের একমাত্র আয়ের পথ ভিক্ষাবৃত্তি।

প্রমিলা নিজেই শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তার দুই মেয়ে—অনামিকা (১০) ও সনজিতা (৮)—জন্ম থেকেই একই প্রতিবন্ধকতায় ভুগছে।

স্বামী প্রশন্ন চন্দ্র রায় (৫৫) একহাত প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন কর্মক্ষমতার বাইরে। টিকে থাকার জন্য বাধ্য হয়ে তিনিই ভিক্ষা করে চলেন।

সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি ঘর মিললেও নেই খাবারের নিশ্চয়তা, নেই কোনো স্থায়ী আয়ের উৎস। প্রমিলা ও তার মেয়েরা প্রতিবন্ধী ভাতা এবং তার বৃদ্ধা মা জোছনা বয়স্ক ভাতা পান।

তবে এই ভাতা দিয়ে ওষুধ, খাবার কিংবা প্রয়োজনীয় খরচ চালানো সম্ভব হয় না। অসুস্থ মায়ের চিকিৎসাও থেমে আছে টাকার অভাবে।

অভাবের মাঝেও প্রমিলা তার দুই কন্যাকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন। অনামিকা স্থানীয় বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে এবং সনজিতা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।

কিন্তু প্রতিদিনের খাদ্যসংকট আর দারিদ্র্যের বেড়াজাল তাদের শিক্ষাজীবন কতটা এগোতে দেবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

স্থানীয় দোকানদার ফয়েজ উদ্দিন বলেন, এই পরিবারটা খুব অসহায়। প্রশন্ন মাঝে মাঝে দোকানে এসে সাহায্য চায়, আমি যা পারি করি।

শিবরামপুর ইউনিয়নের মুরারিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিমউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রমিলাদের অবস্থা খুব করুণ। সমাজের হৃদয়বান মানুষদের এখনই পাশে দাঁড়ানো উচিত।

এলাকাবাসীরও দাবি, এই পরিবারকে বাঁচাতে শুধু সরকারি সহায়তা নয়, দরকার বেসরকারি সংস্থা ও সমাজের বিত্তবানদের মানবিক সহযোগিতা।

মন্তব্য

অপার সম্ভাবনা, পর্যটনে পিছিয়ে কয়রা

ওবায়দুল কবির সম্রাট, কয়রা, খুলনা
ওবায়দুল কবির সম্রাট, কয়রা, খুলনা
শেয়ার
অপার সম্ভাবনা, পর্যটনে পিছিয়ে কয়রা
ছবি: কালের কণ্ঠ

খুলনার কয়রা উপজেলা সুন্দরবনের সবচেয়ে কাছাকাছি জনবসতি হওয়া সত্ত্বেও পর্যটন খাতে এখনো পিছিয়ে। অথচ এখান থেকে হিরণপয়েন্ট, শেকের টেক, কলাগাছিয়া ও বঙ্গোপসাগর খুব সহজেই দেখা যায়। রয়েছে ৯০০ বছরের প্রাচীন মসজিদকুঁড় মসজিদ, রাজা প্রতাপাদিত্যের বাড়ি, খালে খাঁর দিঘির মতো ঐতিহাসিক স্থাপনাও। তবুও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার অভাবে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারছে না এলাকাটি।

২০২১ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কয়রার গোলখালীতে পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দিলেও বন বিভাগের আপত্তির কারণে কাজ শুরু হয়নি। পরে স্থান পরিবর্তন করে কেওড়াকাটায় কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু চার বছর পার হলেও কাজের গতি মন্থর। অন্যদিকে, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা ও পটুয়াখালীতে সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলেও খুলনার কয়রা উপজেলায় এখনো কোনো উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র নেই।

স্থানীয় বাসিন্দা শরিফুল আলম বলেন, সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক আসেন, কিন্তু মানসম্মত হোটেল, রিসোর্ট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবের কারণে তারা দ্রুত চলে যান।

খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, কয়রায় পর্যটন সুবিধা বাড়াতে নতুন ওয়াচ টাওয়ার ও জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সড়ক ও হোটেলের সমস্যা দূর করতে বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন।

কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলি বিশ্বাস জানান, মসজিদকুঁড় মসজিদ ও কেওড়াকাটায় পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে।

এটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সুন্দরবনে ২ লাখ ১১ হাজার ৫৭ জন পর্যটক ভ্রমণ করেছেন, যার মধ্যে বিদেশি পর্যটক ছিলেন ২ হাজার ৬২২ জন। রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। তবে কয়রার মতো সম্ভাবনাময় এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে এই আয় কয়েক গুণ বাড়তে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় উদ্যোক্তারা।

সুন্দরবন-নির্ভর জেলেদের জন্য পর্যটন একটি বিকল্প আয়ের উৎস হতে পারে বলে মনে করেন সমাজকর্মী আশিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, পর্যটন শিল্প গড়ে উঠলে বনজীবীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে, যা সুন্দরবন সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখবে।

সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কয়রাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা গেলে এখানকার অর্থনীতি যেমন চাঙ্গা হবে, তেমনি বিশ্বের দরবারে সুন্দরবনের সৌন্দর্য আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে।

মন্তব্য

নরসিংদীতে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার পর পালিয়ে গেল স্বামী

নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদী প্রতিনিধি
শেয়ার
নরসিংদীতে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার পর পালিয়ে গেল স্বামী
ছবি: কালের কণ্ঠ

নরসিংদীর শিবপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে শিবপুর থানার ভরতেরকান্দি গ্রামের বসত ঘর হতে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে (৩৫) গলাটিপে হত্যার পর স্বামী তারেক মিয়া (৪০) পালিয়ে যায় বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। 

আরো পড়ুন
সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

 

পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা জানান, রবিবার সকালে সাড়া না পেয়ে বাড়ির লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গৃহবধূ খাদিজার মরদেহ দেখতে পায়।

পরে শিবপুর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে ভরতেরকান্দি গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে তারেক মিয়ার সাথে তার স্ত্রী খাদিজা আক্তারের পারিবারিক কলহ চলছিল। এ কলহের জেরে শনিবার রাতের কোন এক সময় স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।
পরে মরদেহ ঘরের ভেতর রেখে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে স্বামী তারেক মিয়া পালিয়ে যায় বলে ধারণা পুলিশ ও স্থানীয়দের। 

আরো পড়ুন
গতকালের কর্মসূচি নিয়ে জামায়াত আমিরের বিশেষ বার্তা

গতকালের কর্মসূচি নিয়ে জামায়াত আমিরের বিশেষ বার্তা

 

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হত্যার পর হতে স্বামী তারেক মিয়া পলাতক রয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ