ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫
২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫
২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ রমজান ১৪৪৬
বিশ্ব কিডনি ও মহান স্বাধীনতা দিবস

১২০০ টাকা প্যাকেজে হেলথ চেকআপ করবে ইনসাফ বারাকাহ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার
১২০০ টাকা প্যাকেজে হেলথ চেকআপ করবে ইনসাফ বারাকাহ
সংগৃহীত ছবি

মহান স্বাধীনতা ও বিশ্ব কিডনি দিবস (১৩ মার্চ) উপলক্ষে মাসব্যাপী ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল। 

মাসব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উপলক্ষে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতাল বিভিন্ন চিকিৎসা সেবামূলক নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ এলাকায় পোস্টার লাগানো এবং লিফলেট বিতরণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক ভিডিও প্রচার করা হয়।

আগামীকাল ১৩ মার্চ সারা বিশ্বে কিডনি দিবস পালন করা হবে।

প্রতি বছর এ দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে কিডনি দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। এ বছর বিশ্ব কিডনি দিবস এর প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘আপনার কিডনি ঠিক আছে কি? তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করুন, কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষা করুন।’

ক্যাম্পে বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ দিবেন ডাক্তাররা। কিডনি সম্পর্কিত সিরাম ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা ফ্রি করা হবে।

এছাড়া মাত্র ১২০০ টাকায় ৫টি পরীক্ষা প্যাকেজ (আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, সিবিসি, ইউরিন আরই এবং সিরাম ক্রিয়েটিনিন) হেলথ চেকআপ করবে। ৫ জন হতদরিদ্র রোগীকে ১ বছর পর্যন্ত ডায়ালাইসিস ফ্রি করা হবে (মেডিসিন ছাড়া)।

কিডনি বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮৫ কোটি। বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটির বেশি লোক কোন না কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত।

দিন দিন কিডনি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি কিডনি বিকল রোগী সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার অভাবে অকাল মৃত্যুবরণ করবে। মৃত্যুঘাতী হিসেবে কিডনি রোগের অবস্থান ২ যুগ আগে ছিল ২৭তম, বর্তমানে এটা দাঁড়িয়েছে ৭ম এবং ২০৪০ সালে ৫ম অবস্থানে পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সহযোগিতায় আগ্রহী নেদারল্যান্ডস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সহযোগিতায় আগ্রহী নেদারল্যান্ডস
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায় খাল ও জলাশয়ের টেকসই উন্নয়নে এবং ঢাকা শহরে ব্লু নেটওয়ার্ক স্থাপনে সহযোগিতা করার আগ্রহ জানিয়েছে নেদারল্যান্ডস। ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠকে এ কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কার্সটেন্স।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশান নগর ভবনে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন
শাহরুখের জন্য বাতিল হয়েছিল মুম্বাইয়ের শতাধিক বিয়ে!

শাহরুখের জন্য বাতিল হয়েছিল মুম্বাইয়ের শতাধিক বিয়ে!

 

বৈঠকে আলাপকালে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের খাল দখলমুক্তকরণ ও খনন কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত করেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে ব্লু নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষে ডিএনসিসি ইতিমধ্যে খালের খনন ও পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। ডিএনসিসি ঢাকা শহরে ব্লু নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে অন্যান্য সরকারি সংস্থা ও উন্নয়ন সংস্থার সাথে যৌথভাবে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকার ব্লু নেটওয়ার্ক স্থাপনের এই উদ্যোগে নেদারল্যান্ডস আমাদের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দিতে পারে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করেন ডিএনসিসি প্রশাসক।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপকালে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের দৃষ্টিনন্দন খালগুলো বিশ্বে রোল মডেল। খালগুলোতে নৌযান চলাচল করে। নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোর যে ব্লু নেটওয়ার্ক ও হাইড্রো ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট রয়েছে তাদের কার্যক্রমের মডেল ও অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য সহায়ক হবে।’

জবাবে ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কার্সটেন্স বলেন, ‘ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, স্যানিটেশন ম্যানেজমেন্ট, ও খালগুলোর টেকসই উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস কাজ করতে আগ্রহী।

ঢাকা শহরে যে খাল রয়েছে সেগুলো উন্নয়ন করে ব্লু নেটওয়ার্ক স্থাপনের সুযোগ রয়েছে। ব্লু নেটওয়ার্ক স্থাপনে যৌথভাবে নেদারল্যান্ডস কাজ করতে চায়। দ্রুতই এই বিষয়ে আমরা বিস্তারিত উল্লেখপূর্বক প্রস্তাবনা দিব। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

মন্তব্য
কর্মশালায় বক্তারা

সিগারেট করকাঠামো সংস্কারে রাজস্ব বাড়বে ২০ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সিগারেট করকাঠামো সংস্কারে রাজস্ব বাড়বে ২০ হাজার কোটি টাকা
ছবি: কালের কণ্ঠ

সিগারেটের চারটি মূল্যস্তর (নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ এবং প্রিমিয়াম) থাকায় তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ সঠিকভাবে কাজ করছে না। বিশেষ করে নিম্ন এবং মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম কাছাকাছি হওয়ায় ভোক্তা যে কোন একটি স্তরের সিগারেট বেছে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে দাম বাড়ানো হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং তরুণ প্রজন্ম ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে। একইসাথে, তামাকখাতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত 'তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ: বাজেট ২০২৫-২৬' শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব বিষয় তুলে ধরেন আলোচকরা। গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) আয়োজিত কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত মোট ৫০জন সাংবাদিক অংশ নেন।

আরো পড়ুন
আছিয়ার ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক: হাসনাত-সারজিস

আছিয়ার ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক: হাসনাত-সারজিস

 

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে তামাকপণ্য অত্যন্ত সস্তা এবং নিত্যপণ্যের তুলনায় এগুলো আরো সস্তা হয়ে পড়ছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত ৭টি মহানগরীর (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল এবং রংপুর) নিত্যপণ্যের গড় খুচরা মূল্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ৪ জুলাইয়ের তুলনায় ২০২৩ সালের ৪ জুলাই খোলা চিনির দাম বেড়েছে ৮৯ শতাংশ, আলু ৮৭ শতাংশ, খোলা আটা ৭৫ শতাংশ, পাঙ্গাস মাছ ৪৭ শতাংশ, ডিম ৪৩ শতাংশ, সয়াবিন তেল ৩৪ শতাংশ, গুঁড়ো দুধ ৩০ শতাংশ, এবং ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২৭ শতাংশ।

অথচ একইসময়ে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের দাম বেড়েছে মাত্র ৬ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই ক্ষতিকর পণ্য ব্যবহারে বিশেষভাবে উৎসাহিত হচ্ছে।

আসন্ন বাজেটে তামাকপণ্যের কর ও মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত যেসব প্রস্তাব কর্মশালায় তুলে ধরা হয় সেগুলো হচ্ছে, নিম্ন স্তর এবং মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণ করা; উচ্চ স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৪০ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা; এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা। সিগারেটের খুচরা মূল্যের ওপর ৬৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখা।

ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা এবং ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এছাড়া সকল তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখা।

আরো পড়ুন
আমার চ্যালেঞ্জ নেওয়া সার্থক হয়েছে : তিশা

আমার চ্যালেঞ্জ নেওয়া সার্থক হয়েছে : তিশা

 

কর্মশালায় জানানো হয়, তামাকবিরোধীদের কর ও মূল্য প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে ধূমপান হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে। একইসাথে দীর্ঘমেয়াদে প্রায় নয় লাখ তরুণসহ মোট সতেরো লাখের অধিক মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।

কর্মশালাগুলোতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক জনকন্ঠের সিটি এডিটর কাওসার রহমান, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান, আত্মা’র কনভেনর লিটন হায়দার, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী, প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের, মো. হাসান শাহরিয়ার প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সেই সিঁথিকে ধর্ষণের হুমকি, কনটেন্ট ক্রিয়েটরের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সেই সিঁথিকে ধর্ষণের হুমকি, কনটেন্ট ক্রিয়েটরের বিরুদ্ধে মামলা
ফারজানা সিঁথি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বিভিন্ন ঘটনায় আলোচনায় আসেন ফারজানা সিঁথি। আন্দোলনের সময় তার স্লোগানসহ বিভিন্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আন্দোলনের পর বিভিন্ন সময়ে নানান কারণে ছিলেন আলোচনায়। ফলে ভাইরাল কন্যা হিসেবেই পরিচিত পান সিঁথি।

 

সম্প্রতি মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন তিনি। সবশেষ দেখা গেছে হাবিব ওয়াহিদের একটি মিউজিক ভিডিওতে। ‘একলা মানুষ’ শিরোনামের ওই গানচিত্রে মডেল হিসেবে ছিলেন তিনি। 

এবার সেই সিঁথি ধর্ষণের হুমকি পেয়েছেন।

খালেদ মাহমুদ হৃদয় খান নামের এক কনটেন্ট ক্রিয়েটরের কাছ থেকে ধর্ষণের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে হৃদয়ের নামে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তিনি।

সিঁথি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২৭ ফেব্রুয়ারি হৃদয় ফেসবুক লাইভে এসে আমাকে ধর্ষণের হুমকি দেন। পাশাপাশি আমার জীবন যাপন, চলাফেরা, পোশাক আশাক নিয়ে নোংরাভাবে কথা বলে।

সেইসঙ্গে আমাকে ধর্ষণ করলে তিনি পুরস্কার দেবেন বলেও ঘোষণা দেন।’

অভিযুক্ত হৃদয়ের পরিচয় তুলে তিনি বলেন, ‘ওনাকে আপনারা চিনবেন, সম্প্রতি সাভার থানা তাকে গ্রেপ্তার করেছে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য। আমি তার নামে একটি এফআইআর দায়ের করেছি ধর্ষণের হুমকি ও মানহানির জন্য। যারা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিত।’ 

সম্প্রতি পাগলের বেশ ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বানিয়ে নারীদের প্রতি অশালীন অঙ্গভঙ্গি ও মন্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মন্তব্য

দুই উপদেষ্টার অনুরোধে মুক্তি পান সেই মহিউদ্দিন!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুই উপদেষ্টার অনুরোধে মুক্তি পান সেই মহিউদ্দিন!
সংগৃহীত ছবি

ধানমন্ডিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে আটক মহিউদ্দিনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের পর বাবা-মার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ সেই মহিউদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে বুধবার ৩টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত।

তিনি লিখেন, ‘ধানমন্ডিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে আটক মহিউদ্দিনকে কিছুক্ষণ আগে ধানমন্ডি থানা থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মাহবুব আলম মাহির ও মুশফিকুর রহমান জোহান ভাই এবং আমি রাত ১০টায় তার জামিনের ব্যাপারে কথা বলতে ধানমন্ডি থানায় যাই। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আটক হওয়ায় পুলিশ প্রথমে নিজেদের পক্ষ থেকে মুক্তি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।’

আরো পড়ুন
এবার ২০ বছরের যুবককে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, থানায় মামলা

এবার ২০ বছরের যুবককে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, থানায় মামলা

 

সিফাত আরো লিখেছেন, ‘পরবর্তীতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ ভাইয়ের মাধ্যমে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তিনি ছেলেটির মুক্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরবর্তীতে রাত ১২টা নাগাদ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি পর্যালোচনার পর মুচলেকা নিয়ে মহিউদ্দিনকে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেন।’ 

আরো পড়ুন
মাগুরার শিশুটির ব্রেনফাংশন করছে না, জানা গেল সর্বশেষ অবস্থা

মাগুরার শিশুটির ব্রেনফাংশন করছে না, জানা গেল সর্বশেষ অবস্থা

 

বুধবার ধানমন্ডিতে ফুটপাতে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চালায় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেসময় মহিউদ্দিনের একটি ফুডকার্ট উচ্ছেদ করা হয়।

তখন মহিউদ্দিন এই উচ্ছেদ বন্ধে প্রতিবাদ করেন। তিনি দাবি করেন, এই বাজারের সবকিছুর দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন পরিবারকে সহযোগিতা করতে তিনি এই দোকান পরিচালনা করছেন। তিনি তো চুরি ডাকাতি করছেন না। কাউকে অসুবিধা না করে এমন সৎ কাজও কেন তিনি এই বাংলাদেশে করতে পারবেন না? উপস্থিত গণমাধ্যমের সামনে এমন বক্তব্য দেওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে আটক করে মারধর করতে করতে পুলিশ ভ্যানে ওঠায়। মহিউদ্দিনের এই বক্তব্য এবং পুলিশের মারধরের ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ