খিলক্ষেতের সেই কিশোর বেঁচে আছে, জানা গেল শারীরিক অবস্থা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
খিলক্ষেতের সেই কিশোর বেঁচে আছে, জানা গেল শারীরিক অবস্থা

গতরাতে রাজধানীর রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হয় এক কিশোর। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে, গণপিটুনিতে ওই কিশোর মারা গেছে। তবে আজ বুধবার জানা যায়, অভিযুক্ত ওই কিশোর মারা যায়নি।

বুধবার (১৯ মার্চ) রবিউল হাসান নামের ওই কিশোরকে দেখা গেছে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।

এ ছাড়া তার পরিবারের দাবি, ধর্ষণের মতো কোনো ঘটনাও ঘটেনি।

ওই কিশোর দাবি করে, সন্দেহের বশে তাকে আটক করা হয় এবং পরে গণপিটুনির শিকার হয় সে। সব অভিযোগ অস্বীকার করে সে বলে, আমি নির্দোষ, শুধু সন্দেহের বশে আমাকে মারধর করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার শিশির কুমার ঘোষ জানান, খিলক্ষেতে ধর্ষণের অভিযোগে মারধরের শিকার অভিযুক্ত রবিউল হাসানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে।

তবে শঙ্কামুক্ত নয়।

গতকাল রাতে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা রবিউলকে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থাতেই গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। এ সময় ওই কিশোর ছাড়াও খিলক্ষেত থানার ওসি (তদন্ত) আশিকুর রহমানসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আহত কিশোরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও বাকিদের একই হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ৮

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ৮
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের একটি মিছিল থেকে সংগঠনের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক।

তিনি জানান, ধানমন্ডি ৮ নম্বরের তাকওয়া মসজিদ থেকে হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা আকস্মিকভাবে একটি মিছিল বের করার চেষ্টা করে।

এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত তাদের ধাওয়া দিলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মিছিলকারীরা বিভিন্ন গলিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই আটজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্লেকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন উদ্ধার করা হয়।

এ সময় অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ও সহকারী কমিশনারসহ (এসি) ধানমন্ডি থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ৭ মার্চ রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের একটি মিছিল টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে ৩৪ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

মন্তব্য

‘ম্যাগনেটিক কয়েন’ প্রতারক চক্র, লোভে সর্বনাশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘ম্যাগনেটিক কয়েন’ প্রতারক চক্র, লোভে সর্বনাশ
সংগৃহীত ছবি

নকল ম্যাগনেটিক কয়েন প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ইবনে মিজান। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টা থেকে শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ঢাকার আদাবর থানা এলাকার প্রিন্স বাজার, শেখেরটেক, সূচনা কমিউনিটি সেন্টার ও কৃষি মার্কেটসহ অন্যান্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ইফতেখার আহম্মেদ (৪৪), আবু নাঈম মো. ফাইজানুল হক ওরফে ডক্টর নাঈম (৪৮), মো. আব্দুল হালিম তালুকদার কুরাইশি (৪২) ও আবুল কালাম আজাদ (৪৬)।

তাদের কাছ থেকে চারটি  'এন্টিক মেটাল কয়েন' (ধাতব মুদ্রা), ৫০ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক, নগদ ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান জানান, প্রতারকরা ধাতব মুদ্রার উচ্চমূল্যের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করত। ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানকে তারা কয়েনের মূল্য ২০ বিলিয়ন ডলার বলে বিভ্রান্ত করে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা নেয়।

যাচাইয়ের পর তিনি বুঝতে পেরে আদাবর থানায় মামলা করেন।

ডিসি ইবনে মিজান জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের সদস্য এবং এর আগেও এভাবে বহু মানুষকে প্রতারণা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

মন্তব্য

ফিলিস্তিনে বর্বর হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফিলিস্তিনে বর্বর হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনে বর্বর ইসরায়েলি হামলার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২১ মার্চ) বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে জুমার নামাজ শেষে তারা এই বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর পাশে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশ শুরু করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর শাখা।

অপরদিকে ইসলামী দলগুলোর ডাকা বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পল্টন মোড়ে রাখা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জলকামান, এপিসি কার ও দুটি প্রিজন ভ্যান। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আর নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিজিবি সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।

মন্তব্য

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে ইনকিলাব মঞ্চ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে ইনকিলাব মঞ্চ
সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন এবং দলটিকে ‘স্বৈরাচারী’ ও ‘গণবিরোধী’ বলে অভিহিত করেন।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল মসজিদ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আজ জুমার পর বিক্ষোভ মিছিল করার কথা রয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের।

গত রাতে ‘দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছে’ দাবি করে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ।

এ নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা। আজ জুমার পর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিও দিয়েছে কয়েকটি সংগঠন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ