আফজাল শরীফ বড়পর্দা ছোট দুটোতেই বেশ পরিচিত মুখ। সম্প্রতি অহঙ্কার ও পবিত্র ভালোবাসা ছবির কাজ শেষ করেছেন। বড় পর্দা আর ছোট পর্দা দুইজায়গার আফজাল শরীফ যেন ভিন্ন। নিজেকেও সেভাবেই প্রেজেন্ট করেন তিনি।
আফজাল শরীফ বড়পর্দা ছোট দুটোতেই বেশ পরিচিত মুখ। সম্প্রতি অহঙ্কার ও পবিত্র ভালোবাসা ছবির কাজ শেষ করেছেন। বড় পর্দা আর ছোট পর্দা দুইজায়গার আফজাল শরীফ যেন ভিন্ন। নিজেকেও সেভাবেই প্রেজেন্ট করেন তিনি।
দারুণ লাগলো নাটকের এই জগত।
বলা হয় আফজাল চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন গৌতম ঘোষ পরিচালিত পদ্মা নদীর মাঝি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। ১৯৯২ সালে এটা মুক্তি পায়। সবাই জানে আফজাল শরীফের প্রথম ছবি গৌতম ঘোষ পরিচালিত পদ্মা নদীর মাঝি। মুক্তির দিক থেকে এটিই আগে। তবে আফজাল শরীফের চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে চাষী নজরুল ইসলামের হাত ধরে। আফজাল কালের কণ্ঠকে বলেন, একদিন চাষী নজরুল আমাদের মঞ্চে চলে এসেছেন। আমরা রিহার্সেল করছিলাম। তখন থিয়েটারের বাইরে কাজ করতে হলে দলের প্রধানের অনুমতি লাগতো, জানি না এখনকার অবস্থা কি। আমাদের দলের প্রধান ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। উনি তাঁকে বললেন 'আফজালকে আমাকে দিন', তাকে আমার ছবিতে অভিনয় করাবো। বলা যায় চাষী নজরুল থিয়েটার থেকে আমাকে চেয়েই নিয়ে আসেন। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। আমার প্রথম ছবি 'দাঙ্গা ফ্যাসাদ।' তবে শুটিং শুরু হয় পদ্মা নদীর মাঝি আগে।
আফজাল পদ্মা নদীর মাঝি ছবির বিষয়ে বলেন, গৌতম ঘোষ ঢাকায় এসে অভিনয়শিল্পী খুঁজছিলেন। সম্ভবত আমি তখন রাক্ষুসি নাটক নিয়ে মঞ্চে অভিনয় করছিলাম। তিনি আমাকে সেখান থেকেই কাস্ট করেন। এভাবেই পদ্মা নদীর মাঝিতে আমার যুক্ত হওয়া।
কমেডি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। অভিনয়ে রয়েছেন দীর্ঘদিন। ক্রমাগত চোখের সামনেই দেখছেন অভিনয়ের মাধ্যমের পরিবর্তন। অভিনয়ের টেকনিক্যাল বিষয়ের পরিবর্তন, অভিনয়ের কৌশলগত পরিবর্তন। এসব সম্পর্কে আফজাল শরীফ কালের কণ্ঠকে বলেন, আসলে আমরা শুধু অভিনয়শিল্পী ছিলাম না, ছিলাম সচেতন একজন মানুষ। আমাদের মাথার পেছনে সামনে একটা বাড়তি চোখ রাখতে হতো। কেননা এখনকার মতো তখন মেমোরি কার্ডের যুগ ছিল না। রিল নষ্ট করা যাবে না। শট যেন একবারেই দেওয়া যায় সেই প্রচেষ্টাই থাকতো। এখন এটা বাড়তি সুবিধা, শট ভুল হলে আবার দেওয়া যাচ্ছে। এটার একটা ক্ষতিকর দিক হচ্ছে অভিনয়ের দিকে শিল্পীদের মনোযোগ কমে যাচ্ছে।
আশির দশকের মধ্যভাগের পরে বিয়ে করেন আফজাল শরীফ। স্ত্রীর নাম তাহমিনা শরীফ। মানে টিভি পর্দায় আত্মপ্রকাশের আগেই বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়ে যায়। এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার আফজাল শরীফের। জন্ম ঢাকায়, থাকেন রাজধানীর গাবতলিতে। ছেলে তানজিব শরীফ মিরপুরের বিইউবিটিতে পড়েন আর মেয়ে আফসানা শরীফ লালমাটিয়া মহিলা কলেজে অনার্স করছেন। আফজাল শরীফের বাবা আলিম মিয়া ছিলেন গাবতলী এলাকার একজন ডাক্তার।
ডাক্তার বাবা কেমন সাপোর্টিভ ছিলেন? আফজাল শরীফ বলেন, আমার বাবা ছিলেন ডাক্তার, কিন্তু আমার অভিনয়ের প্রতি তার অসীম আগ্রহ ছিল। তার সমর্থনের কারণেই অভিনয়ের এতোটা পথ চলতে পেরেছি। বাবা চলে গেছেন ২৩ বছর হয়ে গেল। বাবার অনুপ্রেরণা আমার মনে পড়ে।
সম্পর্কিত খবর
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক শান। যার সুরের জাদুতে বুদ হয়ে থাকে লাখো অনুরাগী। বলতে গেলে সবসময় ভক্ত অনুরাগীদের ভালোবাসাতেই থাকতে দেখা যায় শানকে। নেই কোনো বিতর্কে।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ের খ্যাতনামা পরিবেশবিদ আসিফ ভামলার ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন শান। রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে সেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তাও দিয়েছেন গায়ক। বিশেষ করে নেটিজেনদের নজর কেড়েছে শানের সাজপোশাক।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, ২০০৬ সালের ‘ফানা’ সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘চাঁদ সিফারিশ’ গাইছেন শান। গানটি মুলত তারই গাওয়া। সেই গান ধরেই আসিফ ভামলার ইফতার পার্টি মাতিয়ে দেন গায়ক।
সামাজিক মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে বিভিন্নরকম বিদ্রুপমুলক মন্তব্য। একজন লিখেছেন, ‘কাফের’। অপরজনের মন্তব্য, ‘কোনো দিন কোনো মুসলিমকে দেখেছেন হিন্দু উৎসবে সামিল হতে?’ অন্যজন লেখেন, ‘মৌলানা শান’! অন্য আরেকটি মন্তব্যে লেখা হয়, ‘কী দরকার ছিল এসব পোশাক পরে যাওয়ার’। কারো মন্তব্য, ‘ইসলামকে কেন নিয়ে এসব উপহাস কেন! এসব গান, তাও রমজান মাসে, একটু তো লজ্জা পাও!’
বিগত কয়েক দশকের ক্যারিয়ারে একাধিক হিট গান উপহার দিয়েছেন শান। যা বর্তমান প্রজন্মের মাঝেও জনপ্রিয়। সম্প্রতি ‘সিকান্দার’ সিনেমায় ‘ব্যোম ব্যোম ভোলে’ গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গানটি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। সে সময় নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করেন।
আদেশে নৌকা প্রতীক নিয়ে ডিএসসিসির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র হিসেবে সরকারের গেজেট বাতিল করা হয়। একই সাথে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইশরাক হোসেন।
এদিকে, ইশরাককে ঢাকার মেয়র ঘোষণার পর নিজের আসনে এমপি পদ দাবি করলেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমনটা দাবি করেন তিনি। নিজের স্ট্যাটাসে হিরো আলম লেখেন, ‘যেহেতু ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা করা হয়েছে। হিরো আলমের ঢাকা-১৭, বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের এমপি পদ ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
হিরো আলমের এই স্ট্যাটাসে নেটিজেনদের সমর্থন লক্ষ করা গেছে। বেশির ভাগ নেটিজেন হিরো আলমের কথায় একমত পোষণ করেছেন। কেউ বলছেন, ‘হিরো আলমের দাবি যৌক্তিক’। কেউ কেউ বলছেন, ‘ইশরাক যদি মেয়র হয়! হিরো আলম কেন নয়?’
এর আগে দেশের আলোচিত এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেছিলেন, তিনি আর রাজনীতিতে নেই।
ঢালিউড মেগাস্টার শাকিব খানের ‘বরবাদ’ সিনেমার প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সেখানে সিনেমার প্রদর্শন দেখতে যান নির্মাতা ও বোর্ড সদস্য কাজী হায়াত। সিনেমা দেখে বের হওয়ার সময় গেটে তার গাড়ি আটকে রাখেন শাকিব খানের ভক্তরা। কাজী হায়াত গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে, ‘তুমি কে আমি কে, শাকিবিয়ান, শাকিবিয়ান’ বলে স্লোগান দিতে থাকে তারা।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাজী হায়াতপুত্র চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন চিত্রনায়ক ওমর সানী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে ওমর সানী লিখেছেন, ‘কাজী হায়াত কিংবদন্তির নাম।
অভিনেতা মনে করেন কাজী হায়াতের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়েছে।
সর্বশেষে ওমর সানী লিখেছেন, ‘যা-ই হোক আমরা সম্মানের সাথে থাকি। জোর শব্দটা কারো একার নয়।’
এদিকে ওমর সানীর এ পোস্টে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে নেটিজেনদের। শাকিবের পক্ষ নিয়ে যেমন অনেকে মন্তব্য করেছেন, কেউ কেউ আবার ওমর সানীর কথাতেও যুক্তি দেখেছেন।
‘বরবাদ’-এর আনকাট সেন্সরের দাবিতে মঙ্গলবার চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সামনে মানববন্ধন করেন শাকিবভক্তরা। দুপুর ১২টার দিকে শাকিবিয়ানরা একসঙ্গে জড়ো হন। ব্যানার প্ল্যাকার্ড হাতে তারা দাবি তোলেন, চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে আটকে থাকা ‘বরবাদ’ অনতিবিলম্বে কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি দিতে হবে! সিনেমার প্রদর্শন দেখতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে গিয়েছিলেন কাজী হায়াত। সিনেমা দেখে বের হওয়ার সময় গেটে তার গাড়ি আটকে রাখেন শাকিব খানের ভক্তরা। কাজী হায়াত গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করে।
বলিউড মেগাস্টার সালমান খান গত বছর থেকেই লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের কারণে শান্তির ঘুম শেষ হয়ে গেছে ভাইজানের। কড়া নিরাপত্তাবলয় বেষ্টিত হয়ে সর্বত্র চলাফেরা করতে হয়। তার জীবন এখন ঘুরপাক খায় শুধু বাড়ি আর শুটিং সেটের মধ্যে।
সম্প্রতি নিজের আসন্ন সিনেমা সিকান্দারের প্রচারণায় হুমকি প্রসঙ্গে কথা বলেন ভাইজান। সালমানকে যখন মিডিয়া জিজ্ঞাসা করে যে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হুমকিতে তিনি কি ভয় পাচ্ছেন? তখন সালমান বলেন, ‘ঈশ্বর, আল্লাহ সব সমান। আমি শুধু তাকেই মানি।
খুনের হুমকি পাওয়ার পর থেকে বাড়ি আর সিনেমার সেটের মধ্যেই তার জীবন সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। খুব একটা ফটোশিকারিদের ক্যামেরার সামনেও খুব একটা ধরা দেন না তিনি, এমন অভিযোগও উঠেছে।
১৯৯৮ সালে রাজস্থানের কঙ্কানি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ান সালমান খান। বলিউড সুপারস্টারের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। দুই দশক আগের সেই ঘটনার পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সালমান। একাধিকবার বলিউডের ভাইজানকে খুনের হুমকি দিয়ে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।
গত বছর থেকেই সালমান খানের পেছনে ব্যাপকভাবে লেগেছে বিষ্ণোই গ্যাং। মাসখানেক আগে সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানো হয়। বিদেশে সালমানের বন্ধু-গায়কের বাড়িতে হামলা, তার পর গতবছর অক্টোবর মাসে সালমান ঘনিষ্ঠ বাবা সিদ্দিকির খুন! একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে ভাইজানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। যার জেরে ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটাগরির পাশাপাশি সালমান খানের নিরাপত্তা বর্তমানে আরো জোরদার হয়েছে। দুবাই থেকে ২ কোটি টাকা খরচ করে বুলেট প্রুফ গাড়িও আনিয়েছেন ভাইজান। এমনকি নিজের বাংলোর গোটা বারান্দা মুড়ে ফেলেছেন বুলেট প্রুফ কাচে। কিন্তু সারা জীবন কি এভাবে প্রাণভয় বয়ে বেড়াতে হবে তাকে? অনুরাগীদের সেই কৌতূহল মেটাতেই এবার স্পষ্ট জবাব সালমান খানের।