দেরিতে বাড়ি ফেরায় গত ঈদে শাসিয়েছি, আর ফিরবে না : শহীদ সুজয়ের মা

মো. মাজেদুল ইসলাম, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
মো. মাজেদুল ইসলাম, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
শেয়ার
দেরিতে বাড়ি ফেরায় গত ঈদে শাসিয়েছি, আর ফিরবে না : শহীদ সুজয়ের মা
শহীদ সুজয়। ফাইল ছবি

‘গত ঈদে বাড়িতে ছিল। ঈদের নামাজ শেষে কোথায় যেন ঘুরতে চলে গিয়েছিল। দেরিতে বাড়ি ফেরার কারণে অনেক শাসিয়েছি। এবারের ঈদে নাই।

আর ফিরবেও না।’

‘নিজেরা খেয়ে-না খেয়ে ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছিলাম। মৃত্যুর পরে জানতে পারলাম, আমাদের ছেলে এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে।’

চোখের পানি মুছতে মুছতে কালের কণ্ঠের কাছে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর (দ. পাড়া) গ্রামের তানজিল মাহমুদ সুজয়ের মা তাহমিনা আক্তার।

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে এবারের ঈদে বাকরুদ্ধ তার গোটা পরিবার। সুজয়ের দুই বোন এনি ও স্বর্ণা এখনও ভাইয়ের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আছেন। তারা বলল দুষ্টুমির বয়স শেষ হয়নি আমার ভাইয়ের। এ বয়সে দেশের জন্য শহীদ হয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।

সুজয়ের বাবা মো. সফিকুল ইসলাম আগে গাজীপুরে বেকারি ব্যবসায়ী ছিলেন। এখন আর ব্যবসা করেন না। সপরিবারে সেখানেই থাকতেন। দুই মেয়ে আছে তার। গত ঈদেও কেনাকাটা করে গ্রামের বাড়ি নবীনগরে চলে এসেছিলেন।

গ্রামের মানুষের সাথে ছেলে মেয়েদের পরিচিতি হওয়ার জন্য এমনটা করতেন তিনি।

লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে সংসারের হাল ধরবে একমাত্র ছেলে সুজয়, এমনটাই চাওয়া ছিল তার। তবে স্বপ্ন যেন স্বপ্নই রয়ে গেল। গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র ছিল সুজয় (১৯)। গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান সুজয়।

তারপর ঢাকা থেকে চলে এসে সপরিবারে এখন গ্রামে বসবাস করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে সুজয়ের বাবা বলেন, ‘জুলাই ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নগদ সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছি। তবে কী হবে তাতে? আমার ছেলে সুজয় কি আর ফিরবে?’

তিনি বলেন, ‘বাড়ির সামনে শিবপুর নামক স্থানে সরকারি জায়গায় আমার ছেলেকে ভালোবেসে সকলে মিলে সুজয় স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করছেন। কাজ চলমান আছে। এপ্রিলের ৫ তারিখ উদ্বোধন হবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চুরির অপবাদে শ্রমিক দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
চুরির অপবাদে শ্রমিক দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪
সংগৃহীত ছবি

লক্ষ্মীপুরে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে মো. রাজু (৩৫) নামের এক শ্রমিক দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। 

মঙ্গলবার বিকেলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভিকটিমের স্ত্রী জোসনা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। এতে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৩০ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার পর ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন
দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ৪ যুবক নিহত

দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ৪ যুবক নিহত

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের সবুজের গোজা এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন, ইব্রাহিম খলিল, লিটন হোসেন ও রেখা বেগম। এজাহারে উল্লেখিত অন্য ৫ জনের নাম জানায়নি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের সবুজের গোঁজা এলাকায় কাজল কম্পানির ইটভাটার সামনে রাজু গণপিটুনির শিকার হন।

স্থানীয় কবিরের বাড়িতে ঢুকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে পিটুনি দেওয়া হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে ঘটনাস্থল এলাকা থেকে ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। 

নিহত রাজু চররুহিতা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের দপ্তর সম্পাদক ও সবুজের গোজা এলাকার সফিক উল্যা সবুজের ছেলে। 

নিহতের ভাই ওহিদ হোসেন ও বোন জেসমিন বেগম জানান, রাজুর মোবাইলে চার্জ ছিল না।

এতে সে ভাতিজা কবিরের ঘরে ঢুকে মোবাইল চার্জ দেয়। এর পরপরই কবির লোকজন ডেকে এনে রাজুকে পিটিয়ে হত্যা করে। তার শরীরে টেঁটা ও ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়। তার চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে কোনো দুর্নীতি হবে না’

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে কোনো দুর্নীতি হবে না’
সংগৃহীত ছবি

বিএনপি সরকার গঠন করলে এ দেশে আর কোনো দুর্নীতি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতীতে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘বিগত প্রায় ১৭ বছর আপনারা নিগৃহীত, নিপীড়িত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আপনাদের মনে অনেক ক্ষোভ ও কষ্ট আছে।

তবে আপনারা ফ্যাসিস্টদের মতো না হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। কোনো মানুষ যাতে নিপীড়নের শিকার না হয় সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের কথা এবং আমাদের আগামী দিনের যে কর্মপন্থা ৩১ দফার কথা বলেন, তা জানাতে হবে।’

বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির এই সহসাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সরকার গঠন করলে এ দেশে আর কোনো দুর্নীতি হবে না, সন্ত্রাস হবে না, ব্যাংক ডাকাতি হবে না, মা-বোনেরা নিপীড়িত ও নির্যাতিত হবেন না।

এ সময় গোপালগঞ্জের বিএনপি নেতা মো. সামসুল আলম সবুজ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রোমানসহ কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

নিরাপত্তাকর্মীকে জিম্মি করে কারখানায় ডাকাতি

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
নিরাপত্তাকর্মীকে জিম্মি করে কারখানায় ডাকাতি
সংগৃহীত ছবি

ঢাকার ধামরাইয়ে তাকওয়া কনজ্যুমার ফুড তৈরির কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে বাথুলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

কারখানার পরিচালক ওসমান মাহমুদ বলেন, রাতে ডাকাতরা ঢুকে নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে হাত-পা মুখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও মাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে সকালে ধামরাই থানায় অভিযোগ করলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ।

আরো পড়ুন
আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালের গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত

আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালের গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৭-১০ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল কারখানায় ঢুকে নিরাপত্তাকর্মীকে জিম্মি করে। এরপর সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও কম্পিউটারসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার মাল লুট করে তারা।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, কারখানার মালিক মো. ওসমান মাহমুদ ধামরাই থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ডাকাতদের শনাক্তে কাজ চলছে।

আরো পড়ুন
সাতক্ষীরায় এখনো পানিবিন্দ ১৫ হাজার মানুষ

সাতক্ষীরায় এখনো পানিবিন্দ ১৫ হাজার মানুষ

মন্তব্য

বকশীগঞ্জে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
বকশীগঞ্জে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিজ ঘর থেকে আজমাইন হোসেন (২০) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ভোরে ‍উপজেলার পৌর এলাকার ধুমালীপাড়া থেকৈ তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আজমাইন হোসেন ধুমালীপাড়া গ্রামের মো. তৌফিক হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাত ১০টার দিকে নিজ ঘরে ঘুমানোর জন্য যান আজমাইন।

পরে মঙ্গলবার ভোরে তার বাবা তাকে ডাকতে গেলে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায়। পরে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আরো জানায়, আজমাইন দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন। এ কারণে তাকে জামালপুর জেলা শহরের একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি রাখা হয়।

 ঈদের দুই দিন আগে আজমাইনকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তার বাবা তৌফিক হোসেন। স্থানীয়দের ধারণা, মাদকের টাকা না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ‘মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ