ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ক্যান্সার হওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করেন মনীষা!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

‘মাইলস টু গো বিফোর আই স্কিপ’—-রবার্ট ফ্রস্টের কবিতার এই বিখ্যাত লাইনই এখন মনীষা কৈরালার জীবনের মূলমন্ত্র। মারণরোগ ক্যান্সারের সঙ্গে কঠিন যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন বলিউডের এই অভিনেত্রী। মনীষা নিজেই বলেন, ক্যান্সার তাঁর জীবনে অভিশাপ নয়, বরং আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল। নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করেন মনীষা।

কারণ দ্বিতীয়বার বাঁচার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে যাওয়ার পর থেকে সুযোগ পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন মনীষা। জঙ্গল যে অভিনেত্রীর অন্যতম পছন্দের গন্তব্য, সেই আন্দাজ আগেই পাওয়া গিয়েছিল মনীষার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে। এবারও সেই জঙ্গলেই ঘুরতে গেছেন অভিনেত্রী।

বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ তিনি। তাই নিজের ট্র্যভেল ডায়েরির নানা মুহূর্ত শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। ছবি-ভিডিও শেয়ার করে মনীষা লিখেছেন, ‘পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করছি।’ সেই সঙ্গে লিখেছেন রবার্ট ফ্রস্টের বিখ্যাত কবিতার দু’লাইন।

নেপালের রাজপরিবারের মেয়ে মনীষা। বলিউডে অভিষেকের পর শুধু সৌন্দর্য নয়, অভিনয়দক্ষতায়ও দর্শকের মন জয় করেছিলেন তিনি। তাঁর ছিপছিপে চেহারা, মিষ্টি হাসির জাদুতে মজে ছিলেন দর্শকরা। রোমান্টিক ফিল্মের নায়িকাদের সারিতে অল্পদিনের মধ্যেই নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছিলেন তিনি। তবে এই সব কিছুর সঙ্গে এখন আরো একটা নামে দুনিয়া মনীষাকে চেনে।

তিনি ক্যান্সারজয়ী।

দীর্ঘ সময়ের চিকিৎসার পর এখন মনীষা ক্যানসার মুক্ত। জীবনের এক কঠিন লড়াইয়ে জিতেছেন তিনি। ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ জয়ের পর থেকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্টে এই মারণরোগের সঙ্গে যারা প্রতিনিয়ত লড়াই করছেন তাদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার চেষ্টা করেন মনীষা। আর সুযোগ পেলেই শেয়ার করেন নিজের ট্রাভেল হিস্ট্রি।

ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে জীবনের ট্র্যাকে ফেরার পাশাপাশি শ্যুটিং ফ্লোরেও দেখা গেছে নায়িকাকে। সিনেমা থেকে ওয়েব সিরিজ, সব জায়গাতেই চুটিয়ে কাজ করছেন তিনি। জীবনে দ্বিতীয়বার ভালভাবে বাঁচার সুযোগ পেয়ে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করছেন অভিনেত্রী।

সূত্র : দ্য ওয়াল।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু
এরফান মৃধা শিবলু

অভিনয় ও গানে মুখর সময় পার করছেন এরফান মৃধা শিবলু। এই ঈদে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র, ওয়েব ছবি, সিরিজ ও নাটক এসেছে। পাশাপাশি সক্রিয় গানেও। ব্যস্ত এই শিল্পীর সঙ্গে কথা বলেছেন কামরুল ইসলাম।

প্রেক্ষাগৃহ থেকে ওটিটি কিংবা ইউটিউব—সবখানে আপনি! সব মিলিয়ে কেমন গেল এবারের ঈদ?

প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সিনেমা, ওটিটি, নাটক—সব মিলিয়ে বলা যায়, এবারের ঈদটা আমারই ছিল।

ঈদে আপনার কী কী কাজ এলো?

সিনেমা হলে চলছে এম রাহিমের ‘জংলি’, ওটিটিতে কাজল আরেফিন অমির ‘হাউ সুইট’ এবং আশফাক নিপুণের ‘জিম্মি’। পাশাপাশি ইউটিউবে কিছু নাটক এসেছে; যেমন—তানিম রহমান অংশুর ‘খালিদ’, এ কে পরাগের ‘হাউ কাউ’ ইত্যাদি।

কোনটা থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

সিনেমা বড় মাধ্যম, স্বাভাবিকভাবেই সেটার ফিডব্যাক অন্য রকম। ‘জংলি’তে আমার যে চরিত্র বা উপস্থিতি, সেটা অনুযায়ী ভালো সাড়া পাচ্ছি। আর ওটিটিতে ‘হাউ সুইট’-এ আমার চরিত্র বড় পরিসরের। গল্পের অনেকটা সময় জুড়ে আমার উপস্থিতি।

এত বড় পরিসরে আমাকে আগে দেখা যায়নি। ফলে এখান থেকে সবচেয়ে বেশি সাড়াও পাচ্ছি। ‘জিম্মি’র জন্যও মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। সব মিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট।

‘হাউ সুইট’ ও ‘খালিদ’-এ নেতিবাচক চরিত্র করেছেন।

আগেও আপনাকে খল চরিত্রে দেখা গেছে। এ ধরনের চরিত্রে নিজের ভবিষ্যৎ কেমন দেখেন?

দর্শকই হলো অভিনয়শিল্পীদের উৎসাহদাতা। তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় বোঝা যাবে, আমি কত দূর যেতে পারব, কতখানি কী অর্জন করতে পারব। আমার তো অবশ্যই ইচ্ছা আছে অন্যান্য চরিত্রেও নিজেকে মেলে ধরার। তবে আমার যে লুক, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চরিত্রই পছন্দের। এ ধরনের চরিত্র সহজেই নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারি, শতভাগ আত্মবিশ্বাস নিয়ে করতে পারি।

আপনি তো গানেরও মানুষ। ইমন চৌধুরীর গানের দল বেঙ্গল সিম্ফনির সঙ্গে আছেন। সর্বশেষ কোথায় শো করলেন?

চাঁদরাতে শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শো করেছিলাম। এর আগে এ রকম অনুষ্ঠান কখনো দেখিনি। খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল। এই শোর কারণে আমার ঈদ শুরু হয়েছিল চাঁদরাত থেকেই। সামনেও বেঙ্গল সিম্ফনির কিছু শোর ব্যাপারে কথা চলছে। শিগগিরই জানাতে পারব।

নতুন কী গান করছেন?

নির্দিষ্ট করে এখনই বলছি না, তবে গান রেকর্ডিং চলছে। সময় বুঝে আমরা জানাব। এ ক্ষেত্রে বলে রাখি, একেবারে ব্যক্তিগত কোনো গান যদি করি, তাহলে তো একা করব। দলগত কোনো কাজ করলে অবশ্যই সেটা বেঙ্গল সিম্ফনির সঙ্গে।

অভিনেতা ও গায়ক শিবলুর মধ্যে কোনো তফাত দেখেন?

তফাত খুবই কম; আসলে নেই বললেই চলে। ছোটবেলা থেকেই আমি মানিয়ে নিতে পারি। যেখানেই যাই না কেন, সেই স্থান ও মানুষের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি। ফলে আমি গান ও অভিনয়—দুটিই উপভোগ করি। শিবলু আসলে একই, জাস্ট গানের সময় গান আর অভিনয়ের সময় অভিনয়—এইতো।

আপনার কণ্ঠে জনপ্রিয় দুই গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ ও ‘কথা কইও না’র স্রষ্টা হাশিম মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে অনেক আগে থেকেই আপনার সখ্য। এখন যোগাযোগ হয়?

খুব কম। একদিকে আমার নিজের কর্মব্যস্ততা আছে, আবার হাশিম ভাইয়ের কোনো ফোন নেই। ফোন কী কাজে লাগে, কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, এসব চিন্তা-ভাবনার মধ্যে নেই তিনি। মাঝেমধ্যে উনার মায়ের নম্বরে কল করে খোঁজখবর নিই। হাশিম ভাই তো অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসা চলছে। সেটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। দোয়া করবেন, তাঁকে নিয়ে যেন আরো কিছু কাজ করতে পারি।

হাশিম মাহমুদের আর কোনো গান নিয়ে কাজ করবেন?

একটা সিক্রেট শেয়ার করি, হাশিম ভাইকে নিয়ে অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ নিয়ে আসব আমরা। চেষ্টা করছি শিগগিরই সেই ধামাকা সামনে আনার।

মন্তব্য

এফডিসি পরিদর্শনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ, পূর্ণাঙ্গ ফিল্ম সিটির আশ্বাস

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
এফডিসি পরিদর্শনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ, পূর্ণাঙ্গ ফিল্ম সিটির আশ্বাস
সংগৃহীত ছবি

মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত দায়িত্বের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) আসেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন শুটিং ফ্লোর ঘুরে দেখার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন মাহফুজ। 

এফডিসির বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখার পাশাপাশি পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতির কার্যালয়েও যান। সেখানে পরিচালক ও শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন মাহফুজ আলম।

শিল্পী সমিতিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনয়শিল্পী আনোয়ারা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এফডিসির এমডি মাসুমা রহমান তানি, চিত্রনায়ক নাঈম, অভিনয়শিল্পী আলীরাজ, সুব্রত, রুমানা ইসলাম মুক্তি, শিবা শানু প্রমুখ।

সবার সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি জহির রায়হান মিলনায়তনে এফডিসি নিয়ে নিজের পরিকল্পনা ও ভাবনার কথা জানান তিনি। এফডিসিকে কম্পোজিট ফিল্ম সিটি বানানোর কথা বলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

 

image

মাহফুজ আলম বলেন, ‘এফডিসিতে মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত অনেকগুলো দপ্তর আছে। এগুলোর দেখার উদ্দেশ্যে এখানে আসা। আসার পর অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখানে অনেকগুলো সংকট আছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা আছেন, তাদেরও অনেক চাহিদা আছে। আমি সরেজমিনে দেখতে এলাম, যাতে বিষয়টা আমার বোধগম্য হয়, কী চলছে, কিভাবে চলছে।’

এফডিসির সম্ভাবনা অনেক উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, এফডিসির সম্ভাবনা অনেক। ঢাকার একেবারে প্রাণকেন্দ্রে এত বড় জায়গা নিয়ে তৈরি এফডিসিতে যে সুযোগ-সুবিধাগুলো আছে, সেগুলো সাধারণত যেকোনো রাষ্ট্রের ফিল্ম সিটি বা এ রকম কোনো জায়গাতে থাকে। বিষয়টা এমন, কম্পোজিট একটা ব্যাপার—যেখানে শুটিং, এডিটিং, ডাবিংসহ সব সুযোগ-সুবিধা একসঙ্গে পাওয়া যাবে।

সম্পাদনা থেকে শুরু করে প্রি-প্রডাকশন, পোস্ট-প্রডাকশনের সব কাজ একই জায়গায় হয়। আমি মনে করি, আমার দায়িত্বকালের মধ্যে এফডিসিকে কম্পোজিট ফিল্ম সিটি বানিয়ে দেওয়ার। এফডিসি যাতে লাভজনক হয়ে ওঠে, তাহলে এখানে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাদের সবার বেতন-ভাতা থেকে শুরু করে প্রণোদনা সবই এখান থেকে দেওয়া সম্ভব হবে। এফডিসি নিয়ে এটাই হচ্ছে আমার একমাত্র লক্ষ্য। আশা করি, এখানে আপনারা যারা আছেন, সবাই সহযোগিতা করবেন।’

image

সব শেষে এফডিসিতে একটি প্রকল্প চলমান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এফডিসিতে একটা প্রকল্প চলছে। কবিরপুর ফিল্ম সিটিতে আরেকটা প্রকল্পের কাজ চলছে। এই দুটি জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করব যেসব ইস্যু আছে, তা শেষ করতে। এখানে রিসোর্সগুলো যাতে ঠিক হয়, আপনরা সবাই যাতে কাজের সুযোগ পান এবং যারা ফিল্ম মেকার, প্রযোজক আছেন—তারা যাতে খুব সহজে কাজ করতে পারেন। যাতে ভালো মানের ফিল্ম বাংলাদেশে তৈরি হয়।’

মন্তব্য

বন্ধ হোক সব চিড়িয়াখানা নামক জেলখানা—আহ্বান জয়া আহসানের

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
বন্ধ হোক সব চিড়িয়াখানা নামক জেলখানা—আহ্বান জয়া আহসানের
সংগৃহীত ছবি

প্রাণীদের বরাবরই খুব পছন্দ করেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। যার প্রমাণও ইতিমধ্যে দিয়েছেন বহুবার। প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসার প্রতিদানস্বরূপ পেয়েছেন ‘প্রাণবিক বন্ধু’ সম্মাননাও। সর্বশেষ হাতির ওপর নির্যাতন বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন ‘দেবী’খ্যাত এই অভিনেত্রী।

জয়ার সেই রিটে আদালতের আদেশে বন্ধ হয় হাতি নির্যাতন।

এবার চিড়িয়াখানা নামক ‘জেলখানা’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জয়া আহসান। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের জেরে তিনি এ কথা বলেন। প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহ নগরের জয়নুল আবেদিন উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় একটি ভালুকের শরীরে পচন ধরেছে।

ইতিমধ্যে প্রাণীটির পায়ের অংশবিশেষ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ভালুকটির শরীর থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধও। ভালুকটিকে সারিয়ে তোলা কঠিন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংবাদটি নিজ ফেসবুকে শেয়ার করে জয়া আহসান লিখেছেন, ‘চিড়িয়াখানাই পৃথিবীর সেই জেলখানা, যেখানে বিনা দোষে সাজা হয়।

বন্ধ করা হোক পৃথিবীর সব চিড়িয়াখানা নামক জেলখানা।’ জয়ার এমন কথায় একবাক্যে একমত পোষণ করেছেন নেটিজেনরা।

মন্তব্য

দুই লাখ টাকা দিয়েও হৃত্বিকের দেখা পেলেন না, ক্ষোভ ভক্তের!

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
দুই লাখ টাকা দিয়েও হৃত্বিকের দেখা পেলেন না, ক্ষোভ ভক্তের!
সংগৃহীত ছবি

আমেরিকার টেক্সাস শহরে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাজির হয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা হৃত্বিক রোশন। কথা ছিল সেখানে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলবেন, কাটাবেন খানিকটা সময়। অভিনেতাকে কাছ থেকে দেখার জন্য রীতিমতো মোটা অঙ্কের টাকার টিকিট কাটেন দর্শকরা। টিকিটের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১.৮২ লাখ টাকা।

পাশাপাশি ২ ঘণ্টার অপেক্ষা। তবু শেষ পর্যন্ত হতাশই হয়েছেন অনুরাগীরা।
 
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক দর্শক সমাজমাধ্যমে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। যদিও তিনি দোষ দিয়েছেন উদ্যোক্তাদেরই।
তবে অভিনেতা অনুরোধ সত্ত্বেও একটি ছবি তুলতে রাজি হননি বলে হতাশ তিনি। এমনকি সেদিন অভিনেতার মেজাজটাও খুব ভালো ছিল না, সেটাই জানিয়েছেন ওই দর্শক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হৃত্বিক রোশনের এক অনুরাগী লেখেন, ‘হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে দেখা করার জন্য মাথাপিছু ১৫০০ ডলার টিকিটের জন্য খরচ করেছি। একটি ছবিও তুলতে পারিনি।

তারকার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েও ছবি তুলতে পরিনি। এত টাকা খরচ করার পরেও আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমরা ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছি কি কেবল প্রত্যাখ্যানের জন্য?’ 

দর্শকদের সামনে মঞ্চে হৃতিক।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো লেখেন, ‘সেদিন আবহাওয়া এতটা ঠাণ্ডা ছিল যে বলার অপেক্ষা রাখে না। মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন হৃত্বিক।

ভিআইপি টিকিট নষ্ট হলো আমার! এখন তারা আমাদের টাকাও ফেরত দেবে না! হৃত্বিক রোশনকে ভালোবাসি, কিন্তু অনুষ্ঠানটি এতটা বিশৃঙ্খল ছিল যে তিনি নিজেও যথেষ্ট বিরক্ত হয়েছেন।’

এখানেই শেষ নয়, অনুষ্ঠানে আগত খুদে দর্শকদের মঞ্চ থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর হৃত্বিক রোশন কিংবা তার সহযোগী দলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ