সারা সপ্তাহজুড়ে ভারতীয় টিভি সিরিয়াল গুলোর সমস্ত ধারাবাহিকে প্রতিনিয়ত দর্শকদের নজর। দুই বাংলার কোটি কোটি দর্শকদের প্রিয় ধারাবাহিকগুলি আবার ভিড় জমিয়েছে ড্রয়িংরুমে। লড়াই চলছে হাড্ডাহাড্ডি। মন্দ হচ্ছে না এবারের লড়াইটাও।
লীনা গাঙ্গুলীর নতুন চমক ‘খড়কুটো’
- তুরুপের তাস ‘মোহর’ ও ‘শ্রীময়ী’তেও অনবদ্য
এস এম রওনক রহমান আনন্দ,

প্রায় একমাস যাবৎ ‘খড়কুটো’ ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন দর্শক। ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭.৩০ টা(বাংলাদেশ সময় ৮.০০টা) থেকে চ্যানেলটিতে প্রচারিত হচ্ছে নতুন ধারাবাহিক– খড়কুটো। ম্যাজিক মোমেন্টস্ মোশন পিকচার্সের প্রযোজনায় সিরিয়ালটি প্রযোজিত । পর্ব পরিচালনায় ‘মোহর’ ধারাবাহিকের স্নেহাশিস জানা ৷ উল্লেখ্য, তুমুল জনপ্রিয় ‘খোকাবাবু’ সিরিয়াল ও ‘কলের বউ’ সিরিয়ালের পর আবার এই ধারাবাহিকের মধ্য দিয়ে ছোট পর্দায় ফিরেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তৃণা সাহা।
যদিও সবাইকে টপকে ট্রফি নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন ‘কলের বউ’ খ্যাত তৃণা সাহা । নায়ক হিসেবে থাকছেন ‘ফাগুন বউ’ ধারাবাহিকের অনুরূপের ভূমিকায় অভিনয় করা কৌশিক রায়। সুখ দুঃখ, হাসি কান্নার পাঁচমিশালী জীবনে মোড়া একটি পারিবারিক গল্প নিয়ে চলছে ধারাবাহিকটি।‘খড়কুটো’ গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে মুখার্জি বাড়ির হাসি, কান্না আর ভালোবাসার ত্রিকোণ প্রেম। এখানে কেউ কৃপণ, কেউ বদমেজাজি, কেউ বা তানপুরা হাতে ভুল গান গায়, কেউ বা অতিমাত্রায় শিশুসুলভ। এরা সকলে সকলকে দারুণ ভালোবাসে।এমনই এক মজাদার পরিবারের গল্প ‘খড়কুটো’। এরা ঝগড়া করে আবার একে অন্যকে আঁকড়ে ধরে থাকে। ধারাবাহিকটিতে কমেডি আছে ঠাসা ; আছে রাগ, ঝগড়া, ভালোবাসা। কমেডিতে যথারীতি স্বভূমিকায় থাকছেন চন্দন সেন, দুলাল লাহিড়ী, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, রত্না ঘোষাল, সোহিনী সেনগুপ্ত, অনুশ্রী দাস সহ আরও অনেকে।
পরিবারের সবচেয়ে বড় হাড় কৃপণ দুলাল লাহিড়ী ,কমপ্লিট বেসুরো গান গাওয়া চন্দন সেন,ছোটদের আদরের ছোট কাকা অম্বরিশ ভট্টাচার্য। গুনগুনের পরিবারে আছে পিসি এবং তার বাবা। গুনগুনের মা কর্মসূত্রে দেশের বাইরে থাকেন। গুনগুনের বাবার চরিত্রে রয়েছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায় এবং পিসির চরিত্রে শুচিস্মিতা। নায়ক সৌজন্য (কৌশিক) থাকেন যৌথ পরিবারে। পরিবারের সকলেই বেশ হাসিখুশি, মজাঠাট্টায় মশগুল। তবে সংস্কারী। অন্যদিকে নায়িকা সমসাময়িক এক মডার্ন মহিলা। যে পরিবারটি কিছু প্রাচীনপন্থী ধ্যানধারণা আঁকড়ে বাঁচে; সেই পরিবারেই প্রবেশ ঘটে গুনগুনের(তৃণা)। গুনগুন শিক্ষিতা, সুন্দরী, আধুনিকা। ওই পরিবারের কাছে অনেকটাই বেমানান। বিপরীতমুখী প্রেমের সাতকাহন খড়কুটোর কাহিনীর মূল স্রোত। লীনা গাঙ্গুলীর মতে এই সিরিয়ালটির নাম ‘খড়কুটো’ কারণ আজ এই ব্যস্ত সময়ের মধ্যে নিউক্লিয়ার পরিবারের উচ্চবিত্ত জীবন-যাপনে খড়কুটোর মত রয়ে গেছে বাঙালির বড় আপন একান্নবর্তী পরিবার।
একান্নবর্তী পরিবার মানে এক অন্নে পালিত পরিবার। এসব নিয়েই এগোবে গল্পের ধারা ৷ খুশির কথা, ধারাবাহিকটি দেখানো হবে সপ্তাহের সাতদিনই। স্টার জলসার অন্যতম বহুল জনপ্রিয় ‘কে আপন কে পর’ এর স্থলে শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিকটি। স্টার জলসার পাশাপাশি হটস্টার ডিজনি প্ল্যাটফর্মেও দেখানো হবে খড়কুটো। প্রসঙ্গত, এই ধারাবাহিকের স্টার কাস্ট তাক লাগিয়ে দেয়। ম্যাজিক মোমেন্টসের বিখ্যাত জুটি শৈবাল ব্যানার্জি ও লীনা গাঙ্গুলি এবং এই সিরিয়ালের এক ঝাঁক কলাকুশলীরা;কৌশিক রায়,তৃণা সাহা,দুলাল লাহিড়ী,চন্দন সেন,অম্বরিশ ভট্টাচায্য,জয়শ্রী মুখার্জী,রাজন্যা মিত্র,দেবোত্তম মজুমদার,প্রিয়াংকা মিত্র,সোন্যাল মিশ্রা এবং মেগা সিরিয়ালে এই প্রথম সোহিনী সেনগুপ্ত। প্রত্যেকেই যথেষ্ট বলিষ্ঠ এবং বহুল পরিচিত অভিনেতা-অভিনেত্রী ।
সাধারণত লীনা গাঙ্গুলীকে তাঁর সব ধারাবাহিকে প্রায় একই সহঅভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাস্ট করেন ৷ ম্যাজিক মোমেন্টসের ব্যানারে ‘ইচ্ছেনদী’,‘ইস্টিকুটুম’,’ফাগুন বউ’,’শ্রীময়ী’,’কুসুম দোলা’,’মোহর’ মেগা সিরিয়াল দুনিয়ায় প্রবল জনপ্রিয় তাই স্টার জলসার ‘চলো পাল্টাই’ থিমের সঙ্গে মানানসই নতুন সিরিয়াল ‘খড়কুটো’ সবাই নিশ্চয়ই খুব আগ্রহ নিয়ে দেখবেন। ফলে, দর্শকের জন্য ভাল কিছু অপেক্ষা করছে তা বলাই বাহুল্য।
সেই সঙ্গে ‘মোহর’ ও ‘শ্রীময়ী’ তাক লাগিয়ে আসছে গত এক বছর ধরে ৷ সেগুলো ইতিমধ্যেই ‘অলটাইম ব্লকবাস্টার’ এর খেতাব পেয়ে গেছে ৷ তাই হয়তো লীনা গাঙ্গুলীকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে স্টার জলসার প্রাইম টাইম স্লট তুলে দিয়েছেন তাঁর হাতে ৷ এবার বাকিটা দর্শকদের উপরে নির্ভর করছে ৷ উল্লেখ্য, স্টার জলসায় লীনা গাঙ্গুলীর চিত্রনাট্যে ও শৈবাল ব্যানার্জীর পরিচালনায় মোট চারটি ধারাবাহিক প্রচারিত হচ্ছে ৷
সম্পর্কিত খবর

যিনি অতিথি তিনিই উপস্থাপিকা
বিনোদন প্রতিবেদক

স্টুডেন্ট থাকাবস্থাতে স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। কবিতা আবৃত্তি করা, উপস্থাপনা করা, রচনা লেখা পাশাপাশি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বরাবরই ছিলেন এগিয়ে। বছর কয়েক আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে অতিথি হিসেবে ডাক পান তিনি। এর পর অতিথি হয়ে আসা এই তরুণী পরবর্তীতে সেই অনুষ্ঠানেরই উপস্থাপিকা হিসেবে ডাক পান।
এক্সট্রা কারিকুলামে পারদর্শী এই তরুণী বাংলা, ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি আয়ত্তে নিয়ে আসেন চীনা ভাষা।
সূচনার ভাষ্যে, যখন আমি স্টুডেন্ট ছিলাম তখন থেকেই আমি এই বিষয়গুলোর সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমার কাছে খুব ভালো লাগতো। ২০১৬ সালে চ্যানেল আইয়ে বাংলা একাডেমির একটি বিশেষ আয়োজন উপস্থাপনা করেছিলাম।
তাকে বিভিন্ন করপোরেট শোতেই বেশি দেখা যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন রান্নার অনুষ্ঠান এবং মাঝেমাঝে শোবিজ সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে পাওয়া যায়। তার অফিশিয়ালি টেলিভিশনে উপস্থাপিকা হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চে।
অতিথি থেকে উপস্থাপিকা, এমন প্রসঙ্গে সাদিয়া রশ্নি সূচনা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চীনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাই, পাশাপাশি ওই সময়ে আমার আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেবার অভিজ্ঞতাগুলো বলার জন্য বাংলা ভিশন চ্যানেল থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে অতিথি হিসেবে গিয়ে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। এর পর একটা সময়ে তাদের কাছে মনে হলো আমাকে দিয়ে উপস্থাপনা করানো যেতে পারে, এরপর তারা আমাকে উপস্থাপনার প্রস্তাব দেন। যেহেতু ওইসময় করোনা মহামারী ছিল ২০২০ সালে, আমি তখন আর যাইনি। পরের বছর মার্চে আমি যাই এবং উপস্থাপনা শুরু করি। তখন থেকে এখনো পর্যন্ত গত চার বছর ধরে আমি সেই ‘দিন প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছি।’
ইচ্ছে থাকলেও কথিত কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে টেলিভিশনে শোবিজ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে পারছেন না বলেই জানালেন তিনি। তার মতে, অনেকেই বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন আমার নাকি কমিউনিকেশন গ্যাপ রয়েছে। অথচ আমি জাতিসংঘের ইউএনডিপির সঙ্গে যে কাজ করছি সেটা কমিউনিকেশন নিয়েই। সেদিক থেকে বলতেই পারি যে, যোগাযোগের বিষয়ে আমি বিশেষ ভূমিকা রাখি বলেই ইউএনডিপির এমন একটা ডিপার্টমেন্টে কাজ করতে পারছি। এখন অন্যরা কমিউনিকেশন বলতে কী বুঝান, সেটা হয়তো আমি বুঝিনা। তাদের দিক থেকে হয়তো আমার যোগাযোগ দক্ষতা এতটা ভালো না। ভালো হলে তো এখানে অনেকগুলো প্রোগ্রাম পেতাম।
সেইসঙ্গে যোগ করে সূচনা আরো বলেন, ‘এখন আমি টেলিভিশনে যে কয়েকটা শো করছি সেগুলো আমার কাছে এসেছে তখন যখন আমি করপোরেটে প্রচুর শো করছি। নিজেকে উপস্থাপিকা হিসেবে প্রমাণ করার পর টেলিভিশন শোগুলো পেয়েছি। শুরুর দিকে পাইনি। একমাত্র ‘দিন প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানটাই ছিল। মানুষ টেলিভিশনে কাজ করতে করতে করপোরেটে যায়, আমার ক্ষেত্রে উলটো হয়েছে। করপোরেট থেকে আমি টেলিভিশনে এসেছি।’
নিজের কাজটাই তার কাছে অনুপ্রেরণা বলে মনে করেন। এর জন্য কাজের বাইরে যতটুকু সময় পান সেটা নিজেকে দিতেই পছন্দ করেন। তিনি বলেন, আমার কাছে আমার কাজটাই অনুপ্রেরণা। যখন কাজ থেকে বাড়ি ফিরি সেটা আমাকে যে প্রশান্তি দেয়, সারাদিন ঘুমিয়েও আমি সেটা পাই না। এ কারণে সবকিছুর চেয়ে আমি কাজটাকেই বেশি গুরুত্ব দেই।
মডেলিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্য সূচনার অভিনয় খুব একটা টানে না, তারপরেও নাটক এবং সিনেমার একাধিক প্রস্তাব তিনি পেয়েছেন। বিনয়ের সঙ্গে তা ফিরিয়েও দিয়েছেন। তার ভাষ্যে, বেশ অনেক নাটকের অফার পেয়েছি, সামহাউ কাজ করা হয়নি। সিনেমারও পেয়েছি কিন্তু মনে হয়েছে, অভিনয় এতটাও ভালো জানি না। তবে ইচ্ছে আছে সিনেমাতে কাজ করার। যদি ব্যাটে-বলে মিলে তাহলে হয়তো করতে পারি।
উপস্থাপনায় কাউকে অনুসরণ করেন না মিষ্টিভাষী এই তরুণী। তবে এই সময়ে যারা উপস্থাপনা করছেন তাদের সবার উপস্থাপনাই দেখেন সূচনা। তবে উপস্থাপনায় তার প্রিয় দুজন মানুষ হলেন অপি করিম এবং রুমানা মালিক মুনমুন। এর বাইরে অপরা উইনফ্রের উপস্থাপনা তার কাছে অসাধারণ লাগে। তার মতো উপস্থাপনা করতে পারলে উপস্থাপনায় নিজেকে ধন্য মনে করতেন সূচনা।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বেশ কিছু ফ্যাশন হাউজের মডেল হিসেবে কাজ করা হয়েছে সূচনার। এ ছাড়াও দুটি বিজ্ঞাপন করা হয়েছে সম্প্রতি। এংকর পুষ্টি মিল্ক এবং ভিশন রেফ্রিজারেটরের। পাশাপাশি চলছে দুটি রান্নার শো এবং একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক শো।

প্রেমের দায়ে কারাগারে ইয়াশ, পাগলা গারদে নিহা!
বিনোদন প্রতিবেদক

কলেজ জীবনের প্রেম সাধারণত তীব্র হয়। যে প্রেম পৃথিবীর সকল বাধা টপকানোর ক্ষমতা রাখে। তেমনই এক দুর্বার প্রেমের গল্পে নির্মিত হলো ঈদের বিশেষ নাটক ‘অবুঝ প্রেম’।
এতে প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান ও নাজনীন নিহা।
ফুয়াদ বিন আলমগীরের সিনেমাটোগ্রাফিতে এই নাটকে দুটি ভিন্ন লুক ও চরিত্রে হাজির হবেন ইয়াশ রোহান ও নাজনীন নিহা।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা জানান, ‘অবুঝ প্রেম’ নাটকের চ্যালেঞ্জিং অংশ ছিলো দুটি।
এদিকে গল্পের বিষয়ে আগাম একেবারেই মুখ কুলতে চাইছেন না সংশ্লিষ্ট কেউ।
‘অবুঝ প্রেম’ ছাড়াও এবারের ঈদ আয়োজনে সিএমভি’র ব্যানারে মুক্তি পাচ্ছি ২০টি নাটক। প্রযোজক-পরিবেশক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, চাঁদরাত থেকে বিশেষ নাটকগুলো ধারাবাহিকভাবে উন্মুক্ত হতে থাকবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।

জমজমাট ট্রেলার, এ মাসেই আসছে ‘লুসিফার ২’
বিনোদন ডেস্ক

মালায়ালাম চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম সেরা হিট ছবি ‘লুসিফার’। অবশেষে জানা গেল, আসছে এর সিক্যুয়েল। জমজমাট ট্রেলার উন্মোচন করে সুখবরটি দেন এর নির্মাতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারান। সিক্যুয়েলের নাম রাখা হয়েছে ‘লুসিফার ২: এমপুরান’।
প্রায় চার মিনিটের ট্রেলারটি ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। দলের অভ্যন্তরে এবং কেরালা রাজ্যে ক্ষমতার লড়াইকে ঘিরে আবর্তিত হয় ট্রেলারটি। দুর্দান্ত অ্যাকশনের ঝলকের পাওয়া গেছে এতে।
কেউ কেউ বলছেন, পৃথ্বীরাজ অভিজ্ঞ পরিচালক না হলেও ট্রেলার কাট দুর্দান্ত করেছেন। প্রতিটি ফ্রেমেই অসাধারণ পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। অসাধারণ দৃশ্যায়ন এবং নিখুঁত ব্যাকগ্রাউন্ড।
লাইকা প্রোডাকশনস, আশীর্বাদ সিনেমাস এবং শ্রী গোকুলাম মুভিজ প্রযোজিত ‘লুসিফার ২: এমপুরান’ আগামী ২৭ শে মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে।

রেকর্ড ভাঙবে কি না জানি না, চাই সবাই বরবাদ দেখুক : মেহেদী হাসান হৃদয়

ইমরুল নূর

২০১২ সালে শোবিজে পদচারণ। সহকারী হিসেবে এক-দুই বছর কাজ করার পর পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এর পর নির্মাণ করেন আড়াইশরও বেশি নাটক। ছোট পর্দার লম্বা সফর শেষে এবার বড় পর্দায় অভিষেক ঘটছে মেহেদী হাসান হৃদয়ের।
সিনেমায় আসতে এতটা সময় কেন নিলেন?
নিজেকে প্রস্তুত করতেই সময়টা নিয়েছি। আরো কয়েক বছর আগেই মনে হয়েছিল যে, এখন সিনেমা করা উচিত।
আপনার প্রথম সিনেমাতেই দেশের শীর্ষ তারকা শাকিব খান। লক্ষ্যই কি এটা ছিল যে প্রথম সিনেমাটা তাকে নিয়ে করবেন?
না, বিষয়টা এ রকম না। সব নির্মাতাই স্বপ্ন দেখে সিনেমা বানানোর।
গল্পের প্রয়োজনে শাকিব খান এসেছেন, নাকি শাকিব খানের জন্য গল্প?
একেবারেই গল্পের প্রয়োজনে। এটা কয়েক বছর আগের ঘটনা, ২০২০ কিংবা ২০২১ সালের দিকে। একদিন গ্লোরিয়া জিনসে বসে কফি খাচ্ছিলাম। কফি খেতে খেতে হুট করে গল্পটা মাথায় এলো। প্লট পেয়ে গেলাম আর তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই গল্পে সিনেমা বানাব। এরপর যখন গল্পে প্রোটাগনিস্ট চরিত্রটাকে খুঁজে পেলাম, তখন ওই চরিত্রটার জন্য আমার চোখের সামনে শুধু শাকিব খানই ভেসে উঠেছে। এটা ওনাকে ছাড়া আর কাউকে দিয়ে হবে না। যেহেতু প্রোটাগনিস্ট চরিত্রকে ভেবেই একটা গল্প লেখার কাজটা এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তখন আমি ওনাকে মাথায় রেখেই গল্পটা প্রস্তুত করি। এরপর শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে গল্পটা শেয়ার করলে উনি খুব পছন্দ করেন এবং কাজটা করতে রাজি হন।
গেল বছরে শাকিব খানের সংখ্যা রেকর্ডসংখক ব্যবসা করেছে। তার টার্গেট তো একশত কোটি, আপনার টার্গেট কী?
এখন সিনেমাটাই করতে চাই। বরবাদ বানিয়েছি, এটা সবাই দেখুক, সবার কাছে ভালো লাগুক, আপাতত এটাই আমার চাওয়া। পাশাপাশি চাইব ব্যবসাটাও যেন ভালো হয়। আগের রেকর্ড ভাঙবে কি না আমি জানি না, তবে এটা চাই ছবিটা সবাই দেখুক। দেখেন প্রিয়তমা, তুফানের পর বরবাদ যদি ভালো যায় তাহলে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। প্রযোজক বাড়বে, তারা লগ্নি করতে সাহস পাবে। যেটা এখন ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুব দরকার।
যারা শাকিবভক্ত না, তারা ‘বরবাদ’ কেন দেখবে?
দেখুন, তুফান কিন্তু সব শ্রেণির দর্শকই দেখেছে। গল্প, নির্মাণ ভালো হলে সেটা সব দর্শকই দেখে। বরবাদ একেবারে বিনোদনধর্মী সিনেমা, যেখানে রোমান্স, অ্যাকশন, ড্রামা, ইমোশন, নাচ-গান সব কিছুই আছে। ছবিটা সব দর্শককে বিনোদন দেবে। সবার কাছেই ভালো লাগবে।
এখনো সিনেমাটি সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা পড়েনি কেন?
সিনেমার কাজ সম্পন্ন। প্রিভিউ করার পর মনে হলো, কিছু জায়গায় কারেকশন করলে হয়তো আরো বেশি ভালো লাগবে। আপাতত সেই কাজটাই করছি, এ জন্য একটু দেরি হচ্ছে। সপ্তাহান্তেই জমা দিয়ে দেব।
‘বরবাদ’-এর পর কী আসবে?
কী আসবে সেটা এখনো জানি না। দুই-তিনটা সিনেমার প্রস্তাব এসেছে। আপাতত বরবাদ মুক্তি পাক, এক মাস পর নতুন সিনেমা নিয়ে বসব। যেহেতু আমি নির্মাতা, সব প্ল্যাটফরমেই কাজ করব। সেটা নাটক হতে পারে, ওটিটিও হতে পারে। আমার যেহেতু গল্পের ক্ষুধা আছে, সেটা তো আমি মেটাতে চাইবই, সেটা যে মাধ্যমেই হোক।
নাটক থেকে যারা অভিনয়ে কিংবা পরিচালনায় আসে, তাদের একটা কটূক্তি সব সময়ই শুনতে হয় যে অভিনয় পারে না, নির্মাণ জানে না, নাটক থেকে আসছে এ রকম। আপনিও তো নাটক থেকেই এসেছেন। এসব কটূক্তিগুলো নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
এ ক্ষেত্রে আমি বলব, যে পারে সে সব জায়গাতেই পারে। তার জন্য হয়তো শুধু মাধ্যমটাই চেঞ্জ হয়, আর কিছু না। আমি নাটক নির্মাণ করে এখন সিনেমা বানিয়েছি। এখন পর্যন্ত টিজার বা গান যা-ই প্রকাশ্যে এসেছে, সেগুলো দেখে কিন্তু কেউ বলেনি যে এটা নাটক হয়েছে। আমি কিন্তু সিনেমার ধুন রেখেছি। যা বলেছি, দর্শকরা হলে গিয়েও তা-ই দেখতে পাবে। যদি কথার সঙ্গে কাজে মিল না পায় তখন আমাকে জানাবেন।
এটা শুধু আমার জন্য না, সবার কথা মাথায় রেখেই বলব। যারা এ ধরনের মন্তব্য করেন, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা মন্তব্য করার আগে কাজটা দেখুন, তারপর মন্তব্য করুন।
ঈদে তো আরো বেশ কয়েকটা সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। নিজের সিনেমা ছাড়া আর কোন ছবিটা দেখতে হলে যাবেন?
এখন পর্যন্ত জংলি আর চক্কর সিনেমার টিজার আমার কাছে ভালো লেগেছে। দুটিই অসাধারণ হয়েছে। ইচ্ছা আছে সবগুলো সিনেমা হলে গিয়ে দেখব।