নাঈমকে মনে আছে? চাঁদনী ছবির নাঈম। যার নায়িকা শাবনাজ। সিনেমার নায়িকা শাবনাজ এখন তাঁর স্ত্রী। সেই নাঈমকে যদি এখন ক্ষেতে খামারে নিড়ানি দিতে নেমে পড়েন তাহলে কি ভক্ত ও পাঠকদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে? কিন্তু নাঈম এখন এমঞ্জই জীবন যাপন করছেন।
নাঈমকে মনে আছে? চাঁদনী ছবির নাঈম। যার নায়িকা শাবনাজ। সিনেমার নায়িকা শাবনাজ এখন তাঁর স্ত্রী। সেই নাঈমকে যদি এখন ক্ষেতে খামারে নিড়ানি দিতে নেমে পড়েন তাহলে কি ভক্ত ও পাঠকদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে? কিন্তু নাঈম এখন এমঞ্জই জীবন যাপন করছেন।
’৯০ দশকের শুরুতেই এহতেশামের হাত ধরে চলচ্চিত্রে এসে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলেন নবাব বংশের সন্তান নাঈম। পুরো নাম খাজা নাঈম মুরাদ। এহতেশামের ‘চাঁদনী’ দিয়ে শাবনাজকে সঙ্গে নিয়ে চলচ্চিত্র জগত জয় করা নায়ক নাঈম প্রথম ছবির সাফল্যের পর একাধারে অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেন।
এক সময় প্রেম করে বিয়ে করেন শাবনাজকে। পিতা হন দুই কন্যা সন্তানের। তারপর ধীরে ধীরে সরে যান অভিনয় থেকে। এক সময় তিনি টেলিভিশনের জন্য নাটক নির্মাণও করেন।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে বেশকিছু ছবি শেয়ার করেন নাঈম। টাঙ্গাইলে দেলদুয়ার থানার পাথরাইলে নাঈম কৃষিকাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
১৯৯১ সালে প্রয়াত বিখ্যাত পরিচালক এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন নাঈম। তিনি তাঁর অভিনীত প্রায় সব চলচ্চিত্রে, তার স্ত্রী শাবনাজের সাথে অভিনয় করেন। নাঈমের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘দিল’, ‘জিদ’, ‘অনুতপ্ত’, ‘সোনিয়া’, ‘সাক্ষাৎ’, ‘টাকার অহংকার’, ‘ফুল আর কাঁটা’, ‘চোখে চোখে’সহ অনেক ছবিতে অভিনয় করেন। নাঈম ও শাবনাজ একত্রে প্রায় ২১টির বেশী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, তাঁদের একসঙ্গে অভিনীত শেষ ছবিটি হচ্ছে ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’।
নাঈম, ১৯৯৪ সালে নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নাঈম প্রডাকশন থেকে 'আগুন জ্বলে' প্রযোজনা করেন। নাঈম সর্বশেষ ‘মেয়েরাও মাস্তান' ছবিতে অভিনয় করেন।
নাঈম ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর অভিনেত্রী শাবনাজকে বিবাহ করেন। তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে।
‘গজিনী’ খ্যাত পরিচালক এ আর মুরুগাদোসের সঙ্গে এবার ঈদে পর্দায় হাজির হন সালমান খান। স্বভাবতই ভক্তরা ভেবেছিলেন, এবার হয়তো সালমানের দারুণ একটা প্রত্যাবর্তন হবে। কিন্তু হয়েছে উলটো।
দেড় বছরের বিরতি নিয়ে ফিরেও বক্স অফিসে ব্যর্থ সালমানের ‘সিকান্দার’।
ঈদ উপলক্ষ্যে ছবিটি মুক্তি পায় ৩০ মার্চ, রবিবার। যার কারণে ‘সিকান্দার’ প্রথম সপ্তাহের শুক্র-শনিবারের কালেকশন মিস করে। স্যাকনিল্ক জানায়, ছবিটি প্রথম শুক্রবারে মাত্র ৩.৫ কোটি রুপি আয় করেছে।
২৬ কোটি রুপি দিয়ে খাতা খোলার পর ছবিটি ভারতে ৯৪ কোটির কাছাকাছি আয় করেছে, আর বিদেশের মাটিতে আয় করেছে ৪২ কোটি রুপি।
বলে রাখা ভালো, মুক্তির আগেই ‘সিকান্দার’ পাইরেসির শিকার হয়েছিল। একাধিক ওয়েবসাইটে অনলাইনে ফাঁস হয়ে যায় ছবিটি।
সালমান খান বক্স অফিসে কোনো বড় সাফল্য পায়নি, অনেক দিন হয়ে গেলো। অনেকেই ভেবেছিলেন, ঈদ রিলিজ সিকান্দার দিয়ে ভাইজান অন্তত ৫০০ কোটিতে প্রবেশ করবেন। যেখানে ইতিমধ্যেই বিরাজমান শাহরুখ খান, সানি দেওল, ভিকি কৌশল, রণবীর কাপুররা।
প্রসঙ্গত, সিকান্দারে সালমানের সঙ্গে জুটি হয়েছেন রাশমিকা মান্দানা। এ ছাড়াও অভিনয় করেছেন সত্যরাজ, কাজল আগরওয়াল, শারমান যোশি, প্রতীক বব্বর, কিশোর, যতীন সরনা ও সঞ্জয় কাপুর।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে প্রয়াত হন হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের বর্ষীয়ান অভিনেতা মনোজ কুমার। জানা যায়, বার্ধক্যজনিত একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন ৮৭ বছরের অভিনেতা। বলিউডের তারকারা বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন।
প্রয়াত বলিউড অভিনেতা মনোজ কুমারের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের স্মৃতি রয়েছেন।
২০০৭ সালে মুক্তি পায় ফারহা খানের ‘ওম শান্তি ওম’। নায়ক-নায়িকা শাহরুখ খান-দীপিকা পাড়ুকোন। দীপিকার প্রথম বলিউড সিনেমা ছিল সেটি। সিনেমাটি বক্স অফিসে সুপারহিট হয়।
উক্ত দৃশ্যে শাহরুখের চরিত্র ওম প্রকাশ মাখিজাকে প্রবীণ অভিনেতার পাস চুরি করে একটি সিনেমার প্রিমিয়ারে ঢুকে পড়তে দেখা যায়। তবে পুলিশ তাঁকে চিনতে পারেনি। মনোজ কুমারের অভিযোগ ছিল ওই দৃশ্যে শাহরুখ তাঁকে নকল করেছেন, তাঁকে ব্যঙ্গ করেছেন।
মনোজ কুমারের কাছে তাঁর অনুভূতিতে আঘাত করার কারণে ক্ষমা চেয়ে নেন কিং খান শাহরুখ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ ভুল ছিলাম। যদি তিনি আঘাত পেয়ে থাকেন, আমি ক্ষমা চাইছি। আমি বিকেলে তাঁকে ফোন করেছিলাম, উনি আমাকে প্রথমেই বলেছিলেন, ‘এটা এমনকিছু বড় বিষয় নয়, বাবা।’
এদিকে ২০০৭ সালের সেই ঝামেলা শেষ হয়েও হয়নি। ২০১৩ সালে ওম শান্তি ওম জাপানে ওই বিতর্কিত দৃশ্যটি সহ আবারও মুক্তি পায়। যে দৃশ্য নিয়ে মনোজ কুমারের আপত্তি ছিল। এরপর বর্ষীয়ান অভিনেতা আইনি সহায়তা চেয়ে শাহরুখ এবং ইরোস ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তিনি ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
অভিনেতার আইনজীবী জানান, ‘শাহরুখ খান এর আগে মনোজ কুমারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু জাপানে আবারও এই ভুলটিরই পুনরাবৃত্তি হয়েছে। শাহরুখ ব্যক্তিগত ক্ষমা চাননি। তিনি আসলে মীমাংসা করতেই চান না।’
সেসময় মনোজ কুমারও হতাশা গোপন করেননি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি জাপানে ওই দৃশ্যগুলি না মুছেই মুক্তি পেয়েছ। আমি দুবার ওদের ক্ষমা করে দিয়েছিলাম কিন্তু এবার নয়। ওরা আমাকে অসম্মান করছেন। ওরা আদালত অবমাননারও সম্মুখীন হবেন কারণ ২০০৮ সালে আদালত নির্মাতাদের চিরতরে ওই দৃশ্যের সমস্ত প্রিন্ট এবং সম্প্রচার সামগ্রী থেকে ওই দৃশ্যগুলি মুছে ফেলতে বলেছিল।’
এরপর এ বিষয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর মনোজ কুমার মামলা তুলে নেন। প্রয়াত এ অভিনেতার মতে, আইনি প্রক্রিয়া শাহরুখ এবং ফারাহ খানের মধ্যে দায়িত্ববোধ জাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এই মামলা চালিয়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
সিনে পর্দায় উঠে আসছে সৌরভ গাঙ্গুলির বর্ণময় ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে ব্যক্তিগতজীবন। ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’র ভূমিকায় দেখা যাবে রাজকুমার রাওকে। বায়োপিকের জন্য ইতিমধ্যে নেট প্র্যাকটিসও শুরু করে দিয়েছেন অভিনেতা। কিন্তু স্ত্রী ডোনার ভূমিকায় থাকছেন কোন নায়িকা? এই কৌতূহল দীর্ঘদিনের।
সৌরভকন্যা সানা গাঙ্গুলি অবশ্য তৃপ্তি দিমরিকে পছন্দ করেছেন ‘পর্দার মা’ হিসেবে। কিন্তু মহারাজের বায়োপিকে নায়িকা নির্বাচনে রয়েছে টুইস্ট!
সদ্য কলকাতায় পা রেখেছিলেন মুম্বাইয়ের জনপ্রিয় কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া। পার্পল মুভি টাউনের কর্ণধার প্রীতিময় চক্রবর্তীর উদ্যোগে ‘রক্তবীজ ২’-এর সেটে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই জল্পনার সূত্রপাত, টলিপাড়ার তারকাদের সঙ্গে নাকি কাজ করতে চাইছেন মুকেশ।
প্রসঙ্গত, কলকাতার অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই বর্তমানে টলিপাড়ার পাশাপাশি মুম্বাইতে সমান তালে কাজ করছেন। সেই তালিকায় যেমন শাশ্বত চট্টোপধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত, টোটা রায়চৌধুরীরা রয়েছেন, তেমনই স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও। এবার টলিপাড়ার অন্দরমহলে কানাঘুষো শোনা গেল, সৌরভের বায়োপিকে নায়িকা হিসেবে নাকি প্রাথমিক পর্যায়ে মিমি চক্রবর্তী এবং ইশা সাহার নাম উঠে আসছে।
ডোনা গাঙ্গুলির ভূমিকায় বাঙালিয়ানা ফুটিয়ে তুলতে মুম্বাইয়ের কাস্টিং ডিরেক্টর নাকি ভরসা রাখছেন বাঙালি অভিনেত্রীর উপরই।
উল্লেখ্য, স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী তথা সৌরভপত্নীর চেহারায় আদ্যোপান্ত বাঙালিয়ানা। যার সঙ্গে তৃপ্তি দিমরির কোনও মিল নেই! আর সেই প্রেক্ষিতেই সম্ভবত নায়িকার খোঁজে শহরে পদার্পণ মুকেশ ছাবড়ার। এদিকে, মিমি এবং ইশা, দু’জনেই বেশ দক্ষ অভিনেত্রী। ফলত মহারাজের বায়োপিকে যদি তাদের কোনও একজন নির্বাচিত হন ডোনার চরিত্রে, তাহলে যে মন্দ হবে না, হলফ করে বলা যায়।
বিয়ে করেছেন গায়ক ও সংগীত পরিচালক আরাফাত মহসিন নিধি ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাবা খান। গতকাল শুক্রবার ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধমে তারা নিজেরাই বিয়ের ছবি প্রকাশ করেছেন।
ছবিতে দেখা যায়, বিয়ের পোশাকে দুজনের মুখেই আনন্দের ছাপ স্পষ্ট।
সেই পোস্টের ক্যাপশনে রাবা খান লেখেন, ‘এক প্রেমের গান দিয়েই ছিল শুরুটা’। এরপর সেখানে বিয়ের তারিখটিও (৪ এপ্রিল) উল্লেখ করেন তিনি।
রাবা ও আরাফাতের বিয়ে নিয়ে ভক্তদের পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত দেশের তারকাঅঙ্গন। উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু তারকা তাদের জন্য সামাজিক মাধ্যমে শুভকামনা জানিয়েছেন। পরিচালক আদনান আল রাজিব তাদের বিয়ের ছবি ও পোস্ট নিজের সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন অনুরাগীদের মাঝে।
রাবা খান একজন সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও লেখক হিসেবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয়। অন্যদিকে, আরাফাত মহসিন গান গাওয়ার পাশাপাশি নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাণে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। এই বিয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গন আরও এক জুটিকে পেল, যারা ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে দুজনই আলোচিত ও প্রশংসিত।