শাহরুখের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মামলা, কেন খেপেছিলেন মনোজ কুমার?

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
শাহরুখের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মামলা, কেন খেপেছিলেন মনোজ কুমার?
মনোজ কুমার ও শাহরুখ খান

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে প্রয়াত হন হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের বর্ষীয়ান অভিনেতা মনোজ কুমার। জানা যায়, বার্ধক্যজনিত একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন ৮৭ বছরের অভিনেতা। বলিউডের তারকারা বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন।

প্রয়াত বলিউড অভিনেতা মনোজ কুমারের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের স্মৃতি রয়েছেন।

তবে শাহরুখ খানের সঙ্গে রয়েছে তার তিক্ত এক স্মৃতি। এক সময়ে শাহরুখ খানের উপর রুষ্ট হয়েছিলেন মনোজ কুমার। মনোজ-শাহরুখ সেই দ্বন্দ্ব আজও বলিউডে আলোচিত এক অধ্যায়। এমনকী শাহরুখের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেছিলেন মনোজ কুমার।

আরো পড়ুন
কাকে বিয়ে করলেন শামীম হাসান? জানা গেল স্ত্রীর পরিচয়

কাকে বিয়ে করলেন শামীম হাসান? জানা গেল স্ত্রীর পরিচয়

 

২০০৭ সালে মুক্তি পায় ফারহা খানের ‘ওম শান্তি ওম’। নায়ক-নায়িকা শাহরুখ খান-দীপিকা পাড়ুকোন। দীপিকার প্রথম বলিউড সিনেমা ছিল সেটি। সিনেমাটি বক্স অফিসে সুপারহিট হয়।

তবে এর একটি দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। প্রয়াত অভিনেতা মনোজ কুমারের অভিযোগ ছিল, সিনেমার একটি দৃশ্যে তাকে অপমান করা হয়েছে।

উক্ত দৃশ্যে শাহরুখের চরিত্র ওম প্রকাশ মাখিজাকে প্রবীণ অভিনেতার পাস চুরি করে একটি সিনেমার প্রিমিয়ারে ঢুকে পড়তে দেখা যায়। তবে পুলিশ তাঁকে চিনতে পারেনি। মনোজ কুমারের অভিযোগ ছিল ওই দৃশ্যে শাহরুখ তাঁকে নকল করেছেন, তাঁকে ব্যঙ্গ করেছেন।

বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নিতে পারেননি বর্ষীয়ান অভিনেতা। আর তখনই ছবির নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানির মামলা দায়ের করেন মনোজ কুমার। বর্ষীয়ান, সদ্য প্রয়াত অভিনেতা সেসময় 'ওম শান্তি ওম'-এর নির্মাতাদের ছবিটি থেকে দৃশ্যটি সরিয়ে নিতে বলেন। নির্মাতারা তাঁর সেই দাবিতে মেনে নেন।

আরো পড়ুন
‘আমার হাতে সব প্রমাণ আছে’, ‍গৃহকর্মীকে মারধর প্রসঙ্গে পরীমনি

‘আমার হাতে সব প্রমাণ আছে’, ‍গৃহকর্মীকে মারধর প্রসঙ্গে পরীমনি

 

মনোজ কুমারের কাছে তাঁর অনুভূতিতে আঘাত করার কারণে ক্ষমা চেয়ে নেন কিং খান শাহরুখ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ ভুল ছিলাম। যদি তিনি আঘাত পেয়ে থাকেন, আমি ক্ষমা চাইছি। আমি বিকেলে তাঁকে ফোন করেছিলাম, উনি আমাকে প্রথমেই বলেছিলেন, ‘এটা এমনকিছু বড় বিষয় নয়, বাবা।’

এদিকে ২০০৭ সালের সেই ঝামেলা শেষ হয়েও হয়নি। ২০১৩ সালে ওম শান্তি ওম জাপানে ওই বিতর্কিত দৃশ্যটি সহ আবারও মুক্তি পায়। যে দৃশ্য নিয়ে মনোজ কুমারের আপত্তি ছিল। এরপর বর্ষীয়ান অভিনেতা আইনি সহায়তা চেয়ে শাহরুখ এবং ইরোস ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তিনি ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

আরো পড়ুন
‘বরবাদ’ ঝড়ে কাঁপছে দেশ, এক দিনেই মাল্টিপ্লেক্সে ৬৬ শো

‘বরবাদ’ ঝড়ে কাঁপছে দেশ, এক দিনেই মাল্টিপ্লেক্সে ৬৬ শো

 

অভিনেতার আইনজীবী জানান, ‘শাহরুখ খান এর আগে মনোজ কুমারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু জাপানে আবারও এই ভুলটিরই পুনরাবৃত্তি হয়েছে। শাহরুখ ব্যক্তিগত ক্ষমা চাননি। তিনি আসলে মীমাংসা করতেই চান না।’

সেসময় মনোজ কুমারও হতাশা গোপন করেননি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি জাপানে ওই দৃশ্যগুলি না মুছেই মুক্তি পেয়েছ। আমি দুবার ওদের ক্ষমা করে দিয়েছিলাম কিন্তু এবার নয়। ওরা আমাকে অসম্মান করছেন। ওরা আদালত অবমাননারও সম্মুখীন হবেন কারণ ২০০৮ সালে আদালত নির্মাতাদের চিরতরে ওই দৃশ্যের সমস্ত প্রিন্ট এবং সম্প্রচার সামগ্রী থেকে ওই দৃশ্যগুলি মুছে ফেলতে বলেছিল।’

এরপর এ বিষয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর মনোজ কুমার মামলা তুলে নেন। প্রয়াত এ অভিনেতার মতে, আইনি প্রক্রিয়া শাহরুখ এবং ফারাহ খানের মধ্যে দায়িত্ববোধ জাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এই মামলা চালিয়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হঠাৎ ঢাকায় শাবনূর, ছিলেন মাত্র ৮ ঘণ্টা—কী হয়েছিল?

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
হঠাৎ ঢাকায় শাবনূর, ছিলেন মাত্র ৮ ঘণ্টা—কী হয়েছিল?
সংগৃহীত ছবি

চিত্রনায়িকা শাবনূর এখন পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকেন। মাঝেমধ্যে দেশে আসেন আবার কিছুদিন থেকে চলে যান। গত এক দশকে এভাবেই চলছে ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকার জীবন।

এর মধ্যে হঠাৎ করে অনেকটা চুপিসারে ঢাকায় এসেছেন শাবনূর।

তা-ও মাত্র ৮ ঘণ্টার জন্য। জানালেন, তার এবারের আসাটা অন্য সময়ের মতো ছিল না। সব সময় দেশে ফেরার খবরে আনন্দ থাকলেও এবার আসার পুরোটা সময় তার কেটেছে অস্থিরতায়। 

জানা গেছে, শাবনূরের এই তাড়াহুড়া ও হঠাৎ বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত তার মায়ের অসুস্থতার কারণে।

অসুস্থ মাকে সঙ্গে নিয়ে উড়াল দিতে আট ঘণ্টার জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাই এবার বাংলাদেশে এসে কাউকে কিছু জানাতে পারেননি।

সিডনির সময় গত ২৮ মার্চ তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন। মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে চড়ে তিনি একাই ঢাকায় আসেন।

ঢাকায় আসার এই কয়েক ঘণ্টার পথটা কিভাবে কেটেছে, তা কল্পনাও করতে পারেন না তিনি। 

বিরতির পর শাবনূরের প্রথম সিনেমা 'রঙ্গনা'

শাবনূর গণমাধ্যমে বলেন, ‘এক মাস ধরে আম্মা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রতিনিয়ত ফোনে কথাবার্তা হচ্ছিল। ঢাকার বড় বড় হাসপাতালের ৩-৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে তিনি দেখিয়েছেন। কিন্তু কোনোভাবেই তারা আম্মার রোগ ধরতে পারছিলেন না।

এদিকে আম্মার শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। একটা সময় বোঝা গেল, আম্মার নিউমোনিয়া হয়েছে। এর বাইরে আরো কয়েকটি সমস্যা ছিল। ২৮ মার্চ তো এমন অবস্থা হয়েছিল, আম্মা কথা বলার মতো শক্তি হারিয়ে ফেলছেন। শ্বাসকষ্টে একদম কাবু হয়ে পড়েন। সেদিন আম্মার শারীরিক অবস্থা কেমন তা জানতে পারছিলাম না, কারণ তিনি কথা বলতেও পারছিলেন না। আম্মার দেখাশোনার দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তাকে শুধু বলেছি, আমি আসা পর্যন্ত আম্মার সঙ্গে থাকতে। আম্মাকে মানসিকভাবে শক্তি ও সাহস দিতে। 

এরপর আমি টিকিট খোঁজা শুরু করলাম। সেদিন রাতেই অনেক কষ্টে টিকিট পেয়ে যাই। লাগেজ নিইনি, তাই কোনো কাপড়চোপড় নিইনি। বলা যায়, এক কাপড়েই উড়াল দিই। পাসপোর্ট, টিকিট ও একটা ব্যাগপ্যাক সঙ্গী করেই আমি বাসা থেকে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা হই। প্লেনের পুরোটা সময়, ট্রানজিটের সময়—কিভাবে যে কেটেছে, তা বলে বোঝাতে পারব না। আম্মার জন্য শুধু দোয়া করছিলাম।’

মায়ের সঙ্গে তোলা ছবিতে শাবনূর

শাবনূর বললেন, ‘ঢাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, চিকিৎসকরা একের পর এক শুধু আম্মার টেস্ট করাতে বলছেন। এক পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতেও বললেন। কিন্তু এ অবস্থায় আমি কোনোভাবে হাসপাতালে ভর্তি করাতে ভরসা পাচ্ছিলাম না। আম্মারও কষ্ট হচ্ছিল। এসেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাড়াহুড়া করে আম্মার লাগেজ গুছিয়ে আবার উড়াল দিলাম।’

সিডনি যাওয়ার পরপরই তার মাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরদিন থেকে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে বলে জানান শাবনূর। চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তার মা এখন পুরোপুরি সুস্থ। 

শাবনূরের মা, ভাই ও বোন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকেন। তবে সবাই কোনো না কোনো সময় আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন। এবার তার মা ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ঢাকায় ছিলেন। এর মধ্যে এক মাস ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘মিশন ইম্পসিবল’ সিরিজের শেষ কিস্তি নিয়ে উন্মাদনা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
‘মিশন ইম্পসিবল’ সিরিজের শেষ কিস্তি নিয়ে উন্মাদনা
সিরিজটির ট্রেলারে টম ক্রুজ

‘মিশন ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা বরাবরই। এখন পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির সাতটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সেইসঙ্গে এটি হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজের আইকনিক সিনেমা। এবার ভক্তরা মুখিয়ে রয়েছেন সিরিজের আট নাম্বার সিনেমা দেখার জন্য।

এবার আসছে সেটিও। আগামী ২৩ মে বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

সম্প্রতি উন্মুক্ত হয়েছে ‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রিকনিং’ নামে এ সিনেমার নতুন ট্রেলার। যেখানে টম ক্রুজ একটি ফাইটার জেট থেকে লাফিয়ে পড়েন এবং পরবর্তী সময়ে তাকে একটি উলটেপড়া বিমান থেকে ঝুলতে দেখা যায়।

 

জানা গেছে, আইএমএফ এজেন্ট ইথান হান্টের চরিত্রে টম ক্রুজের এটিই শেষ দেখা হতে পারে। কারণ আটটি সিনেমার পর ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের একটি নাটকীয় সমাপ্তি তুলে ধরার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন অভিনেতা। 

‘দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এ ভক্তরা যে ধরনের শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাকশন আশা করেছেন, টম ক্রুজ সেটা ইতোমধ্যেই দেখিয়ে দিয়েছেন। এ কিস্তিতে রয়েছে একটি ডুবোজাহাজের মধ্যে ভয়ংকর মারামারির দৃশ্য।

দেখা যাবে আরও একটি মারাত্মক স্ট্যান্ট যেখানে তিনি একটি বিমান থেকে ঝুলছেন। 

এ দৃশ্যটির শুটিং কতটা মারাত্মক ও ভয়ংকর ছিল তা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে টম বলেন, ‘যখন আপনার মুখটি ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ মাইলেরও বেশি গতিতে ছোটা কোনো যানের (বিমানের) অভিমুখে থাকে, তখন বুঝবেন সময়টা আপনার জন্য কতটা কঠিন। কারণ, তখন আপনি অক্সিজেন পাচ্ছেন না। তাই এ দৃশ্যটির শুটিংয়ের জন্য আমাকে শ্বাস নেওয়ার বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে হয়েছিল।’ 

তিনি বলেন, ‘কাজটি করতে গিয়ে মাঝে মাঝে আমি শারীরিকভাবে অজ্ঞান হয়ে যেতাম; আমি ককপিটে ফিরে যেতে পারতাম না।

’ 

প্রসঙ্গত, ব্রুস গেলারের টেলিভিশন সিরিজ মিশন: ইম্পসিবলের উপর ভিত্তি করে, এটি মিশন: ইম্পসিবল - ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান (২০২৩) এর সরাসরি সিক্যুয়াল এবং সিরিজটির অষ্টম এবং শেষ কিস্তি। 

সিনেমাটির চিত্রনাট্যের পাশাপাশি এটি পরিচালনা করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারি। এটি প্রযোজনা করেছেন টম ক্রুজ এবং পরিচালক নিজেই। 

মন্তব্য

‘আমি গাড়িতেই ছিলাম’, পথচারী নিহতের ঘটনায় মুখ খুললেন অভিনেত্রী

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
‘আমি গাড়িতেই ছিলাম’, পথচারী নিহতের ঘটনায় মুখ খুললেন অভিনেত্রী
ঋ সেন

মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে ৬ জনকে চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওপার বাংলার ছোটপর্দার পরিচালক সিদ্ধান্ত দাসের বিরুদ্ধে। আহতদের মধ্যে একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। বেশকয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা দেয় সিদ্ধান্ত দাসের গাড়ি।

আহতদের মধ্যে একজন মারা গেছেন, আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় উত্তাল গোটা টলিউড। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারকারাও। এবার সামনে এলো আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আরো পড়ুন
জামাই ভেঙে দিল বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড

জামাই ভেঙে দিল বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড

 

রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে ডিএইচ রোডে সিদ্ধান্তের গাড়ি বেশ কয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা দেয়। সেই গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী ঋ। কিন্তু দুর্ঘটনার পর তাঁকে আর দেখা যায়নি। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এবার এই ব্যাপারে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। 

আরো পড়ুন
জামিন মেলেনি সাইফের ওপর হামলাকারীর

জামিন মেলেনি সাইফের ওপর হামলাকারীর

 

টিভি নাইন বাংলার সঙ্গে অভিনেত্রী ঋ বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমি ওই গাড়িতেই ছিলাম, যখন ওই দুর্ঘটনা হয়। তবে আমি কোনওরকম নেশা করিনি, কখনও করিও না। আমার গাড়ি ছিল না। গাড়ি চালাতেও পারি না।

তাই আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেবে বলেছিলেন পরিচালক ভিক্টো। গাড়িতে আমি ও শ্রিয়া বসু ছিলাম। ভিক্টোর ড্রাইভার ছিল না। তাই ভিক্টোই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনা ঘটে। আমি সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে পড়ি। ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মাথা কাজ করছিল না। আমায় দেখে স্থানীয় ব্যক্তিরা চিনতে পারে কিনা জানি না, তবে আমাকে উদ্ধার করে বের করে দেন ঘটনাস্থল থেকে। আমার সেরকম কোনও আঘাত লাগেনি, তবে মানসিক ভাবে ট্রমায় আছি এখনও।”

আরো পড়ুন
৭ দিনে আয়ের রেকর্ড বরবাদের!

৭ দিনে আয়ের রেকর্ড বরবাদের!

 

কলকাতা পুলিশের ডিসি দক্ষিণ-পশ্চিম (বেহালা) রাহুল দে জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাজারের মধ্যে ঢুকে যায় একটি গাড়ি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন ছয়জন। তাদের মধ্যে চারজনকে স্থানীয় বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাকি দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার রোডের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে। গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন সিদ্ধান্ত। এর পরেই গ্রেপ্তার করা হয় সিদ্ধান্তকে। 

শনিবার রাতে একটি পানশালায় উল্লাসে মেতেছিলেন পরিচালক সিদ্ধান্ত, বেসরকারি চ্যানেলের কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু, অভিনেতা আরিয়ান ভৌমিক, অভিনেত্রী ঋ সেন, অভিনেতা-ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা। তাঁরা প্রত্যেকে সান বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘ভিডিও বৌদি’-এর সঙ্গে যুক্ত। সেই ধারাবাহিকের ভাল রেটিং সেলিব্রেট করতেই জমায়েত হন তাঁরা। সেখান থেকে জোকায় একজনের বাড়িতে আসেন। সেখান থেকে একটি গাড়িতে সিদ্ধান্ত, ঋ ও শ্রিয়া বের হন। এরপরই ঠাকুরপুকুরের জনবহুল বাজার এলাকায় বেপরোয়া গাড়ি চালাতে থাকে সিদ্ধান্ত। সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা।

আরো পড়ুন
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শমী কায়সার

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শমী কায়সার

 

দুর্ঘটনার একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পরও শ্রিয়া এমনই মাতাল ছিলেন যে, সোজা হয়েও দাঁড়াতে পারছেন না। পুলিশের গাড়িতে ওঠার সময় বেসামাল হয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। ভিডিও ভাইরাল হতেই তুমুল আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনার বিচার দাবি করছেন খোদ টলিউড তারকারা। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে নিরীহ মানুষ মেরে ফেলার মতো ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না কেউ। সোশ্যাল মিডিয়াও উত্তপ্ত এ দুর্ঘটনা ঘিরে।

মন্তব্য

‘মানসিক হাসপাতালে যেতে রাজি, তবুও বিগ বসে যাব না’

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
‘মানসিক হাসপাতালে যেতে রাজি, তবুও বিগ বসে যাব না’
সংগৃহীত ছবি

রাজনৈতিক জোকস বলে কিছুদিন আগেই বিতর্কের মুখে পড়েন কুণাল কামরা।  বুক মাই শো থেকে তাকে ব্ল্যাকলিস্টেড পর্যন্ত করা হয়েছে। এসব বিতর্কের মাঝেই এবার বিগ বসের প্রস্তাব পেলেন জনপ্রিয় এই স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান। 

কুণাল কামরা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি শেয়ার করেছেন সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে সম্প্রতি এক ব্যক্তি যিনি নিজেকে বিগ বসের কাস্টিং এজেন্ট বলে পরিচয় দিয়েছেন তিনি কুণাল কামরাকে এবারের সালমানের এই শোতে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।

 

নিজেকে কাস্টিং এজেন্ট বলে দাবি করা সেই ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আমি এবারের বিগ বসের সিজনের কাস্টিং হ্যান্ডেল করছি। তাই আপনার নাম সেটার জন্য ভাবছি কারণ মানুষের কাছে বিষয়টা আগ্রহের হতে পারে। আমি জানি হতে পারে আপনার র‌্যাডারে বিষয়টা ছিল না বা নেই হয়তো। কিন্তু এই পাগল করা এই প্ল্যাটফর্মে আপনি আপনার নিজের ভাইব দেখাতে পারবেন, আরও বেশি সংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।

আপনার কি মনে হয়? আমরা কথা বলি এটা নিয়ে?’

এই কথপোকথনের স্ক্রিনশট পোস্ট করে কুণাল কামরা সেটার জবাবে লেখেন, ‘আমি এটার থেকে মানসিক হাসপাতালে যেতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করব।’এই পোস্টের সঙ্গে তিনি সালমান খানের ছবি রাধে থেকে একটি গান জুড়ে দিয়েছিলেন। তবে বিগ বস সিজন ১৯ নাকি বিগ বস ওটিটির প্রস্তাব গিয়েছিল তার কাছে, সেটা স্পষ্ট নয়।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন থেকে একনাথ শিন্ডেসহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে নানা জোকস বলেছেন, মশকরা করে প্যারোডি গেয়েছেন।

আর তারপরই বিতর্ক জড়িয়ে পড়েন। তার নামে এফআইআর পর্যন্ত দায়ের করা হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ