নৌ অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নৌ অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর কারাদণ্ড
ফাইল ছবি

ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার নৌ অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও শিপ সার্ভেয়ার এ কে এম ফখরুল ইসলামকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ রায় দেন। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো দুই মাস কারাভোগ করতে হবে।

এ বিষয়ে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, আসামি ফখরুল ইসলাম আদালতে হাজির ছিলেন।

রায় শেষে জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে নিজের কার্যালয়ে বসে একটি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় ফখরুলকে আটক করে দুদক। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

আরো পড়ুন
আ. লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণায় একমত দুই দল

আ. লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণায় একমত দুই দল

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২২টি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তরে আবেদন করে।

কিন্তু জাহাজের আকারভেদে প্রতি নকশা অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন সময়ে ৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলাম। 

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল এমভি নওফেল লিহান জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন ফখরুল ইসলাম। ওই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বেঙ্গল মেরিন কর্তৃপক্ষ ওই বছর ১৮ জুলাই তাকে দাবিকৃত ঘুষ প্রদানে সম্মত হয়ে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করে। 

বিষয়টি জানার পর দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে বিশেষ টিম সকাল থেকে ওই ভবনের চারদিকে অবস্থান নেয়।

এরপর ওইদিন বেলা ২টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানের অথরাইজড পারসন এ এন এম বদরুল আলমের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার পর ওই টাকাসহ হাতেনাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সাগর-রুনি হত্যা: ১১৮ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সাগর-রুনি হত্যা: ১১৮ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ২১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা ১১৮তম বার বাড়ানো হলো।

তদন্ত কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক আজ প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন। আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ নভেম্বর মামলাটির তদন্তভার নেয় পিআইবি।

গত ২ মার্চ একই আদালত আজকের মধ্যে পিআইবিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

পিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এ মামলায় আদালতের অনুমতি নিতে হয়নি এমন অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

এদিকে এ ঘটনায় কারাগারে থাকা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতিসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই ছয়জন হলেন— বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিজি) মশিউর রহমান, প্রাক্তন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, প্রাক্তন নৌবাহিনী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল এবং জোড়া খুনের মামলার অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির এবং পলাশ রুদ্র পাল।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। ঘটনার সময় এই দম্পতির পাঁচ বছরের একমাত্র ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ বাসাতেই ছিল। পরদিন রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

টিকটকার তোহা কারাগারে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
টিকটকার তোহা কারাগারে
সংগৃহীত ছবি

সাইবার আইন ও প্রতারণার মামলায় টিকটকার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটের তোহা হোসাইনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। ফেসবুক ও টিকটকে জুয়ার বিজ্ঞাপনে প্রমোশন করার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার একটি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান তার জামিন নামঞ্জুর করে আজ কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আরো পড়ুন
ফরিদপুরে কৃষকের নামে বরাদ্দ সরকারি সার জব্দ

ফরিদপুরে কৃষকের নামে বরাদ্দ সরকারি সার জব্দ

 

মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৩ এপ্রিল টিকটকার তোহা হোসাইন (২২) ও হুর-ই জান্নাতের (১৯) নামে মিরপুর থানায় সাইবার সিকিউরিটি আইন ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা হয়।

মামলায় আজ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আরো পড়ুন
‘তারা ইচ্ছাকৃতভাবে শহীদ ওয়াসিম আকরামকে উপেক্ষা করে’

‘তারা ইচ্ছাকৃতভাবে শহীদ ওয়াসিম আকরামকে উপেক্ষা করে’

 

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তোহা ইসলামের ফেসবুক পেজ ও টিকটকের আইডি হতে জুয়ার সাইট প্রমোশন করে অল্প টাকায় অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে যুব সমাজকে জুয়া ও অনৈতিক আয়ে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। তার প্রমোশনকৃত আইডির মাধ্যমে প্রলুব্ধ হয়ে যুবসমাজ ও বিভিন্ন বয়সী মানুষ প্রতারিত হয়ে অল্প টাকায় অধিক মুনাফার আশায় সর্বস্ব হারিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আন্দোলনে গুলির নির্দেশ, প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তা সাইফুল গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আন্দোলনে গুলির নির্দেশ, প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তা সাইফুল গ্রেপ্তার

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নরসিংদী জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মো. সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।

তিনি জানান, নরসিংদীতে গণহত্যা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত (পরোয়ানাভুক্ত) আসামি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আরো পড়ুন
আমতলীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হাতুড়িপেটা, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত

আমতলীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হাতুড়িপেটা, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত

 

জানা যায়, ৩৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত আছেন।

এর আগে একই মামলায় গতকাল রবিবার দুপুরে রাঙামাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সহকারী পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। তাকেও পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

অনির্বান চৌধুরী ৩০তম বিসিএসের (পুলিশ ক্যাডার) মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে নরসিংদী জেলা পুলিশে যোগ দেন।

 

গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তিনি নরসিংদীতে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর তিনি রাঙামাটি জেলা পুলিশে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি রাঙামাটি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

মন্তব্য

সাবেক হুইপ সামশুল ও তার পরিবারের ৬ সদস্যের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সাবেক হুইপ সামশুল ও তার পরিবারের ৬ সদস্যের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং তার পরিবারের ছয় সদস্যের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্যাসিনো ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতা ও অর্থপাচারের অভিযোগে চলমান অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২-এর সদ্য বদলি হওয়া উপপরিচালক মো. আতিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘একটি অনুসন্ধান চলছে।

আমি যেহেতু বদলি হয়েছি, তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত হবে না।’

দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর সাবেক এমপি-মন্ত্রী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে কমিশন। এর অংশ হিসেবে সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসায় সম্পৃক্ততা, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

অনুসন্ধান চলাকালে এসব ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ পাচারের আশঙ্কায় আদালতে ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন জানায় দুদক।

জব্দ করা ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে রয়েছে সাবেক এমপি সামশুল হক চৌধুরী, তার স্ত্রী কামরুন নাহার চৌধুরী, ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, মেয়ে তাকলিমা নাছরিন চৌধুরী ও তাহমিনা নাসরিন চৌধুরী, ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বত এবং মজিবুল হক চৌধুরী নবাব।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ