রং হারানোর ঝুঁকি ছাড়াই জিন্স ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
রং হারানোর ঝুঁকি ছাড়াই জিন্স ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি
সংগৃহীত ছবি

জিন্স আমাদের দৈনন্দিন পোশাকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জিন্সের শক্তিশালী ডেনিম কাপড় ও স্টাইলিশ ডিজাইন এটিকে সব বয়সী মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে। তবে ভুলভাবে ধোয়ার কারণে এর রং হারাতে পারে অথবা কাপড়ের ক্ষতি হতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক জিন্স ধোয়ার কয়েকটি কার্যকরী উপায়।

জিন্স ধোয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
ডেনিম একটি শক্তিশালী কাপড় হলেও বারবার ধোয়ার কারণে এর গঠন ও রঙের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জিন্স ধোয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রথমত, এক রঙের জিন্স একসঙ্গে ধোয়া উচিত, যাতে রং মিশে না যায়। দ্বিতীয়ত, ঠাণ্ডা বা হালকা গরম পানি ব্যবহার করা উচিত।

কারণ গরম পানি রঙের ক্ষতি করতে পারে এবং কাপড়ের তন্তু নষ্ট করতে পারে। 

জিন্স কতবার ধোয়া উচিত?
আপনার জিন্স প্রতিবার পরার পর ধোয়া প্রয়োজন নেই। ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত ১০ বার পরার পর জিন্স ধোয়া উচিত। তবে যদি জিন্সটি দাগযুক্ত বা দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে যায়, তবে তা আগে ধুয়ে নেওয়া উচিত।

আপনি কতবার জিন্স ধোবেন, তা নির্ভর করে এটি কতটা ব্যবহৃত হয়েছে এবং কোন পরিবেশে পরেছেন তার ওপর।

কেন জিন্স হাতে ধোয়া উত্তম?
ওয়াশিং মেশিনে জিন্স ধোয়া অনেকটাই সহজ। তবে এটি কাপড়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। মেশিনের শক্তিশালী ঘূর্ণন জিন্সের তন্তু ছিঁড়ে ফেলতে পারে এবং রং কমিয়ে দিতে পারে। সে জন্য, হাতে ধোয়া জিন্সের জীবন বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায়।

এটি কাপড়ের ক্ষতি কমায় এবং অতিরিক্ত ক্রিজ সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। হাতে ধোয়ার পর প্রাকৃতিকভাবে শুকানোর ফলে জিন্স দীর্ঘস্থায়ী ও নতুনের মতো থাকতে পারে।

জিন্স ধোয়ার জন্য হালকা গরম বা ঠাণ্ডা পানি, তরল ডিটারজেন্ট, সাদা ভিনেগার (রং স্থায়ী ও দুর্গন্ধ দূর করতে) ব্যবহার করা ভালো। জিন্সটি কমপক্ষে ৬০ মিনিট ভিজতে দিন, তারপর পানি পরিবর্তন করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। ধোয়া শেষে জিন্স থেকে অতিরিক্ত পানি আলতোভাবে চেপে বের করে নিন। মোচড়ানো থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে কাপড়ের ক্ষতি হতে পারে। জিন্সকে একটি হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে ছায়ায় ও প্রাকৃতিক হাওয়ায় শুকাতে দিন। সরাসরি রোদে শুকালে রং ফ্যাকাসে হতে পারে।

অতিরিক্ত টিপস
১। দাগ থাকলে, ভিজানোর আগে সেই অংশে হালকা ভিনেগার বা বেকিং সোডা লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন।

২। প্রথমবার ধোয়ার সময় ভিনেগার ব্যবহার করলে রং অনেক দিন স্থায়ী থাকে।

৩। জিন্স সোজাভাবে ঝুলিয়ে রাখুন, যাতে ক্রিজ না পড়ে।

জিন্সের যত্নে সচেতনতা
জিন্স শুধু একটি পোশাক নয়, এটি একটি ফ্যাশন স্টেটমেন্টও। তাই এর যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘন ঘন ধোয়া এড়ানো উচিত, কারণ এটি জিন্সের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। ছোট দাগ থাকলে সেগুলো স্পঞ্জ দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। এতে পুরো জিন্স ধোয়ার প্রয়োজন পড়বে না। সঠিক উপকরণ ও পদক্ষেপ অনুসরণ করলে জিন্স দীর্ঘদিন নতুনের মতো থাকবে। 

সূত্র : কলকাতা ২৪×৭

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কয়েল নাকি অ্যারোসল, মশা তাড়াতে কোনটি ব্যবহার করবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কয়েল নাকি অ্যারোসল, মশা তাড়াতে কোনটি ব্যবহার করবেন
সংগৃহীত ছবি

মশার মাধ্যমে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ ছড়ায়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া। এসব রোগ থেকে বাঁচতে মশা নিধনে অনেকে নিশ্চয়ই ব্যবহার করে থাকেন কয়েল বা অ্যারোসল। তবে এই কয়েল বা অ্যরোসল, কোনোটিই মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

এর স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে প্রায় মানুষই জানে না। তাই আজকের প্রতিবেদনে জানবেন মশা তাড়াতে কয়েল, অ্যারোসল নাকি অন্য কিছু ব্যবহার করবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

গবেষণায় দেখা গেছে, কয়েলের ধোঁয়া নিকোটিনের ধোঁয়ার মতোই ক্ষতিকর।

কয়েলের ধোঁয়ায় থাকা কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস এবং অ্যারোসলে থাকা ডাইমিথাইল ফাথলেট ও পাইরেথ্রিনস জাতীয় রাসায়নিকগুলো আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। আবার অনেকে ঘর বন্ধ করে স্প্রে করে থাকে, এটি আরো বেশি ক্ষতিকারক। কারণ এগুলো ঘরের ভেতরের বাতাসে বিষাক্ত কণা সৃষ্টি করে। যা শিশু, বয়স্ক ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 

এ ছাড়া কয়েল ও অ্যারোসল আরো নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। সেগুলো হচ্ছে—

শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা : কয়েলের ধোঁয়া ও অ্যারোসলে থাকা রাসায়নিক পদার্থ শ্বাসনালির প্রদাহ, হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি : কয়েলের ধোঁয়ায় থাকা রাসায়নিক পদার্থ দীর্ঘ মেয়াদে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ত্বক ও চোখের জ্বালা : অ্যারোসল স্প্রে করলে প্রায়ই দেখবেন আপনার চোখ ও ত্বকে জ্বালা করছে, যা অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়া ঘটায়।

আরো পড়ুন
পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

 

স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা : অ্যারোসলের বিষাক্ত কণা স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা স্নায়বিক ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে।

বিকল্প পদ্ধতি

মশা তাড়ানোর জন্য সবচেয়ে ভালো হলো মশারির ব্যবহার করা। এ ছাড়া অ্যান্টি মশা লোশন, প্রাকৃতিক তেল বা ইলেকট্রিক মশার ব্যাট ব্যবহার করুন। এগুলো ব্যবহারে কোনো রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।

আরো পড়ুন
কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

 
মন্তব্য

শরীরের পাশাপাশি মনও ভালো রাখবে যেসব খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শরীরের পাশাপাশি মনও ভালো রাখবে যেসব খাবার
সংগৃহীত ছবি

প্রতিবছর ৭ এপ্রিল পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। কয়েক দিন আগেই দিনটি অতিবাহিত হয়েছে। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে স্বাস্থ্য শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদদের মতে, আজকের সময়ে যেখানে মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতার মতো মানসিক ব্যাধিগুলো বেশি হয়ে উঠেছে, সেখানে একটি ভালো খাদ্যাভ্যাস শুধু শরীরকেই সুস্থ রাখে না, মনকেও শান্ত ও সক্রিয় রাখে।

আজ এই প্রতিবেদনে এমন খাবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যা মানসিক ও শারীরিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আর এগুলো সহজেই আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্বাস্থ্য হলো সম্পূর্ণ শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সুস্থতার একটি অবস্থা, যা কেবল রোগ ও দুর্বলতার অনুপস্থিতি নয়। পুষ্টিবিদরা জানান, শরীরকে সুস্থ রাখার যে গুরুত্ব দেওয়া হয় তার থেকেও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর।

তাই শরীর ও মন ভালো রাখতে কী কী খাবেন জেনে নিন—

আরো পড়ুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

 

আখরোট : আখরোটে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে শক্তিশালী করে এবং স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৪-৫টি আখরোট খেলে মানসিক চাপ কমে এবং মেজাজ ভালো থাকে।

কিভাবে খাবেন

সকালে খালি পেটে ৪-৫টি আখরোট পানিতে ভিজিয়ে খান। এগুলো সালাদ বা স্মুদিতেও যোগ করতে পারেন।

ডার্ক চকোলেট : ডার্ক চকোলেট কেবল মেজাজই উন্নত করে না, বরং এতে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানসিক ক্লান্তি দূর করে এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতা উন্নত করে।

কিভাবে খাবেন

দিনে একবার ২০-৩০ গ্রাম ডার্ক চকোলেট খান। তবে এটি কমপক্ষে ৭০% কোকো থাকা প্রয়োজন।

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 

সবুজ শাক-সবজি : পালং শাক, মেথি ও সরিষার মতো সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট, আয়রন ও ভিটামিন-কে থাকে, যা মনকে তীক্ষ্ণ ও শরীরকে উদ্যমী রাখে।

কিভাবে খাবেন

এই সবজিগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় সবজি, পরোটা বা স্যুপ আকারে অন্তর্ভুক্ত করুন।

দিনে একবার এটি খেতে ভুলবেন না। তবে শাক চেষ্টা করবেন দিনের বেলা খাওয়া। রাতে শাক অনেক সময় হজমের সমস্যা হতে পারে।

ডিম : ডিমে কোলিন নামক একটি উপাদান পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে। এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং ঘনত্ব উন্নত করে।

আরো পড়ুন
কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

 

কিভাবে খাবেন

ব্রেকফাস্টে সেদ্ধ ডিম, অমলেট অথবা এগ-টোস্ট খেতে পারেন। দিনে ১-২টি ডিমই যথেষ্ট।

দই : দইয়ে থাকা প্রো-বায়োটিক পাকস্থলির পাশাপাশি মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। একটি সুস্থ অন্ত্র মনকেও শান্ত রাখে।

কিভাবে খাবেন

দুপুরের খাবারে এক বাটি দই খান অথবা স্মুদিতে মিশিয়ে নিন।

ফ্ল্যাক্স সিড : ফ্ল্যাক্স সিডে ওমেগা-থ্রি, ফাইবার ও লিগনান থাকে, যা হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্ক উভয়ের জন্যই উপকারী। এটি মেজাজের পরিবর্তন এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

কিভাবে খাবেন

১ চা চামচ তিসির বীজ ভেজে গুঁড়া করে নিন এবং দই, পোরিজ বা শেকে মিশিয়ে খান।

আরো পড়ুন
পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

 

বেরি : ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ও পেয়ারার মতো বেরিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা মস্তিষ্কের প্রদাহ কমায় এবং মানসিক ক্লান্তি দূর করে।

কিভাবে খাবেন

আপনি ব্রেকফাস্টে দই বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা চাইলে সকালের নাশতা হিসেবেও খেতে পারেন।

হলুদ : হলুদে পাওয়া কারকিউমিন মস্তিষ্কের প্রদাহ কমায় এবং মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। এটি বিষণ্নতা ও উদ্বেগ দূরে রাখতেও সহায়ক।

আরো পড়ুন
গাজর রান্না করে খাওয়া ভালো, নাকি কাঁচা

গাজর রান্না করে খাওয়া ভালো, নাকি কাঁচা

 

কিভাবে খাবেন

প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হলুদের দুধ পান করা একটি ভালো অভ্যাস। তাই ঘুমানোর আগে এভাবে দুধ খাওয়া উচিত।

সূত্র : ইটিভি

মন্তব্য

প্রতিদিন একটি নাশপাতি খেলে কী উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিদিন একটি নাশপাতি খেলে কী উপকার
সংগৃহীত ছবি

স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য প্রতিদিন একটি করে ফল খাওয়া জরুরি। এই তালিকায় আপনি রাখতে পারেন আপের বা নাশপাতি। তবে নাশপাতি যদি প্রতিদিন একটি করে খেতে পারেন তাহলে একাধিক উপকার পাবেন।

যেকোনো কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়।

এতে হতে পারে বিপদ। তেমনি নাশপাতি বেশি খেয়ে ফেললেও বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চলুন, জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন একটা নাশপাতি খেলে কী কী উপকার পাবেন আপনি এবং বেশি খেয়ে ফেললে কী কী সমস্যা হতে পারে।

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 

নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা 

ফাইবার সমৃদ্ধ নাশপাতি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে, ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে।

খাবার সহজে হজম করায়। এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেলস। তার ফলে শরীরে পুষ্টি পাবেন একদম ভালোভাবে।

ওজন কমাতে যারা দিনে বেশি করে ফল খান তারা অবশ্যই এ তালিকায় রাখুন নাশপাতি।

এই ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে নাশপাতির মধ্যে। তার ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে। খাইখাই ভাব কমবে।

টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে নাশপাতির মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ।

এই ফলের মধ্যে সলিউয়েবল ও নন-সলিউয়েবল দুই ধরনের ফাইবার রয়েছে। সলিউয়েবল ফাইবার ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর নন-সলিউয়েবল ফাইবার হজমের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

আরো পড়ুন
পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

 

নাশপাতির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নাশপাতি খেতে পারেন। ত্বকে বলিরেখার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে নাশপাতি। অন্যদিকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো মজবুত করার জন্য রোজ পাতে একটি নাশপাতি রাখতে পারেন। 

নাশপাতির মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, যা খেয়াল রাখে আমাদের হৃদযন্ত্রের। কমায় ব্লাড প্রেশার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা। কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকলে আমাদের শরীরে ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তার ফলে কমে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি। 

দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে কাজে লাগে নাশপাতি। রোজ একটা করে ফল খেলে উপকার পাবেন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও বেশ ভালো পরিমাণেই রয়েছে নাশপাতির মধ্যে।

আরো পড়ুন
পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

 

তবে খুব বেশি পরিমাণে নাশপাতি খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- এমনিতে নাশপাতি খেলে ওজন কমে। তবে যেহেতু এই ফলে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম নয়, তাই বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বাড়তে বাধ্য। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত নাশপাতি খেলেও পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।

আরো পড়ুন
চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কেন প্রতিদিন প্রয়োজন? জানুন কারণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কেন প্রতিদিন প্রয়োজন? জানুন কারণ
সংগৃহীত ছবি

শরীর সুস্থ রাখতে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম, যা ভিটামিন ও মিনারেলের মাধ্যমে পূর্ণ হয়। এসব পুষ্টি উপাদান শরীরের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স একটি এমন গ্রুপ, যা বিভিন্ন ভিটামিনের সমন্বয়ে গঠিত। সব বয়সের মানুষের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিন শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীতে সাহায্য করে। যেমন লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করা, পেশী সুস্থ রাখা, এবং মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করা। এই ভিটামিনগুলোর মধ্যে ছয়টি প্রধান ভিটামিন রয়েছে—থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিকোটিনামাইড, ক্যালসিয়াম প্যানটোথেনেট, পাইরিডক্সিন ও সায়ানোকোবালামিন। 

ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিনই পানিতে দ্রবণীয়।

অর্থ্যাৎ এগুলো শরীরে জমা হয় না। তাই প্রতিদিন ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা জরুরি।

ভিটামিন বি ১২ প্রধানত দুগ্ধজাত পণ্য ও আমিষে পাওয়া যায়। তবে অন্যান্য ভিটামিন বি পাওয়া যায় ডিম, সবুজ শাকসবজি, বাদাম, সয়াবিন, মাশরুম, তিল বীজ ও অঙ্কুরিত শস্যে।

সূত্র : কলকাতা ২৪×৭ 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ