বেলুচিস্তানে রাজনৈতিক কর্মী জাহির বালোচ গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বেলুচিস্তানে রাজনৈতিক কর্মী জাহির বালোচ গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

ঈদুল ফিতরের দিনে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বেলুচিস্তানের কোয়েটার সিনিয়র রাজনৈতিক কর্মী জাহির বালোচকে পাকিস্তানি বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।

দ্য বেলুচিস্তান পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে জাহির বালোচকে তার নিজ বাসা থেকে আটক করে হুদা জেলে স্থানান্তর করা হয়।

তার পরিবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

ন্যাশনাল পার্টি এই গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, সিনিয়র রাজনৈতিক কর্মী জাহির বালোচকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

এদিকে, গোটা বেলুচিস্তানজুড়ে বেলুচ কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এবং গুম ও বেআইনি গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা এই অব্যাহত গ্রেপ্তারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গাজার আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২৯

বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
গাজার আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২৯
৯ এপ্রিল গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা। ছবি : এএফপি

ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজা সিটির পূর্বাংশে একটি বহুতল আবাসিক ভবনে কমপক্ষে ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি স্থানীয় হাসপাতাল। হামাস নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার সকালে শুজাইয়ার আল-হাওয়াশি মসজিদের কাছে এই হামলা চালানো হয়।

সংস্থাটি আরো জানায়, নিহতদের মধ্যে আটটি শিশু রয়েছে, আহত হয়েছে ৬০ জনের বেশি এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুজাইয়া থেকে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, ধুলামাখা ছোট ছোট শিশুর মরদেহ অসহায় স্বজন ও উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে নিয়ে আসছেন।

অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা ‘একজন শীর্ষস্থানীয় হামাস সন্ত্রাসীকে’ লক্ষ্য করে আঘাত হেনেছে, যিনি ওই এলাকায় হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন। তারা আরো দাবি করে, বেসামরিক লোকজনের ক্ষতি কমাতে ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

এ ছাড়া সেনাবাহিনী হামাসকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে বলেছে, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ জনগণকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। হামাসও বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ‘একটি রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

২৬ বছর বয়সী আয়ুব সালিম এএফপিকে বলেন, যে ভবনটিতে হামলা করা হয়েছে, সেটি ছিল অতি জনাকীর্ণ একটি এলাকা, যেখানে তাঁবু, বাস্তুচ্যুত মানুষ ও ঘরবাড়িতে পূর্ণ ছিল। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে এবং সব দিকে তার ধাতব টুকরা ছড়িয়ে পড়ে। ধুলা ও বিশাল ধ্বংসযজ্ঞে এলাকা ঢেকে গিয়েছিল, কিছুই দেখা যাচ্ছিল না, শুধু মানুষের চিৎকার আর আতঙ্ক। এটি নিঃসন্দেহে এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুজাইয়া ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সেনাবাহিনী বলেছিল, তারা ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংসে শক্তি প্রয়োগ করছে।’

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার সকালে জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছে। এতে গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল ফের হামলা শুরুর পর থেকে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৮২ জনে।

এ ছাড়া গত তিন সপ্তাহে আরো তিন লাখ ৯০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্দেশ অনুযায়ী গাজার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন ‘নো-গো জোন’ বা খালি করার আওতায় পড়েছে।

এদিকে চলমান মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ বাড়াতে রাজি না হওয়ায় এবং তাদের হাতে থাকা ৫৯ জন জিম্মির মধ্যে আর কাউকে মুক্তি না দেওয়ায় তারা আবার হামলা শুরু করেছে। ধারণা করা হয়, ওই ৫৯ জনের মধ্যে ২৪ জন জীবিত। আর হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল মূল চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে জীবিত সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল এবং যুদ্ধ স্থায়ীভাবে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণে নজিরবিহীন হামলা চালালে প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়। তার পর থেকেই ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করতে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫০ হাজার ৮৪০ জন নিহত হয়েছে।

মন্তব্য

চীনের পাল্টা আঘাত : কাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
চীনের পাল্টা আঘাত : কাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক
চীনা ১০০ ইউয়ান নোট (লাল) ও যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ ডলার নোট। ছবি : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বেইজিং বুধবার জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানীকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৪ থেকে বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কসংক্রান্ত সর্বশেষ পদক্ষেপ বুধবার কার্যকর হয়, যা বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর প্রযোজ্য, যার মধ্যে চীনা পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। পরে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানীকৃত পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কহার ৩৪ থেকে বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করা হবে।’ এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।

চীন অতীতেও শুল্ক বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছে এবং বুধবার জানিয়েছে, তারা তাদের স্বার্থ রক্ষায় ‘দৃঢ় ও জোরালো’ পদক্ষেপ নেবে। তাদের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির এই পদক্ষেপ একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত এবং এটি চীনের বৈধ অধিকার ও স্বার্থের চরম লঙ্ঘন।’

ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ ‘বহুপক্ষীয় নিয়মভিত্তিক বাণিজ্যব্যবস্থাকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে’ বলেও চীনের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝিওয়েই ঝাং বলেন, ‘চীন আজ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, সরকার তাদের বাণিজ্যনীতি নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

বর্তমান বাণিজ্য সংঘাত থেকে দ্রুত ও সহজ সমাধানের কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই সংঘাতের প্রভাব শিগগিরই দুই দেশের অর্থনীতিতে দৃশ্যমান হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যৎ এখন অত্যন্ত অনিশ্চিত।’

এ ছাড়া চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে শিল্ড এআই ইনকরপোরেশন ও সিয়েরা নেভাডা করপোরেশন।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানগুলো হয় তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রি করেছে, নয়তো দ্বীপটির সঙ্গে ‘সামরিক প্রযুক্তি’ সহযোগিতায় যুক্ত ছিল।

মন্তব্য

ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভে সহিংসতা, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভে সহিংসতা, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ
ছবিসূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ভারতে সম্প্রতি পাস হওয়া ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে নানা শহরে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় বুধবার বিক্ষোভ থেকে আবারও সহিংসতার পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবারও ওই জেলার রঘুনাথপুরে সহিংসতা ঘটেছিল। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত চলা ওই সহিংসতায় পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ভাঙচুর চালানো হয় কিছু আবাসিক ভবন ও দোকানে।

মুর্শিদাবাদ জেলার দুটি থানা এলাকায় পাঁচ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ওই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, সুতির অজগরপাড়া এলাকায় বুধবার সকালে ১২ নম্বর জাতীয় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু হয়।

অবরোধের ফলে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এসময় বিক্ষোকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তারপরেই জনতার সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বিক্ষোভ থেকে।
পুলিশ একাধিক কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ভারতের পার্লামেন্ট উত্তপ্ত তর্কবিতর্কের পর মুসলিম ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলটি পাস হয় এবং ৫ই এপ্রিল শনিবার দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিলটিতে সম্মতি দেওয়ায় এটি এখন ভারতের একটি আইনে পরিণত হয়েছে। তবে এই বিলটিকে চ্যালেঞ্জ করে অন্তত চারটি পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হয় যেগুলো করেছেন এআইএমআইএম, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি বা আরজেডি-র মতো দলের নেতারা এবং অন্তত একটি সিভিল রাইটস গোষ্ঠী। এ ছাড়া মণিপুর, গুজরাত, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী উসকানিকে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সবাইকে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের নানা জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছিল। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওমরপুর মোড় থেকে ধুলিয়ান বাজার পর্যন্ত ১২ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের নানা জায়গায় অবরোধ করেন মুসলিম ছাত্র ও যুব সংগঠনের বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ সেখানে গেলেই সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত পর্যন্ত পুলিশ ওই এলাকার নানা রাস্তায় লাঠি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের তাড়া করে।

এরপর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এলাকায় পাঁচজনের বেশি মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। ভুয়া খবর বা গুজব যাতে না ছড়ায় তার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১১ই এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এক বিবৃতিতে মঙ্গলবারের ঘটনার নিন্দা করে জানিয়ে বলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর যে কোনো প্রচেষ্টাকে কঠোরভাবে দমন করা উচিত। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি পুলিশের লাঠি চালানোর নিন্দা করেছেন।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

মন্তব্য

আমেরিকা না ছাড়লে অবৈধ অভিবাসীদের দৈনিক ৯৯৮ ডলার জরিমানা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমেরিকা না ছাড়লে অবৈধ অভিবাসীদের দৈনিক ৯৯৮ ডলার জরিমানা
ছবিসূত্র : এএফপি

ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাসন আদেশের পরও অবৈধ অভিবাসীদের কেউ আমেরিকায় থাকলে প্রতিদিন তাকে ৯৯৮ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জরিমানার অর্থ না দিলে বাজেয়াপ্ত করা হবে সম্পত্তি। নথি বিশ্লেষণের পর বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদেন জানানো হয়েছে।

১৯৯৬ সালের একটি আইনে এই জরিমানার বিধান আছে।

২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রথমবারের মতো কার্যকর করা হয়েছিল এ আইন। ট্রাম্প প্রশাসন পাঁচ বছর পর্যন্ত জরিমানা প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে, যার ফলে ১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি জরিমানা হতে পারে। যার ফলে ১ মিলিয়ন ডলারের বেশি জরিমানা হতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন পাঁচ বছর পর্যন্ত জরিমানা প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে, যার ফলে ১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি জরিমানা হতে পারে।

রয়টার্স কর্তৃক পর্যালোচনা করা সরকারি ইমেল অনুসারে, ট্রাম্প প্রশাসন জরিমানা পরিশোধ না করা অভিবাসীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথাও বিবেচনা করছে।

রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের ‘স্ব-নির্বাসন এবং এখনই দেশ ত্যাগ করতে’ সিবিপি ওয়ান নামে একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা উচিত।’

তিনি আরো বলেন, ‘যদি তারা তা না করে, তাহলে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। এর মধ্যে রয়েছে, চূড়ান্ত নির্বাসন আদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করা প্রতিটি দিনের জন্য প্রতিদিন ৯৯৮ ডলার জরিমানার মুখোমুখি হবেন।

রয়টার্সের পর্যালোচনা করা ইমেলগুলো থেকে দেখা গেছে, হোয়াইট হাউস মার্কিন কাস্টমস এবং সীমান্ত সুরক্ষাকে জরিমানা, অর্থ প্রদান না করা অভিবাসীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং তাদের সম্পদ বিক্রির বিষয়টি পরিচালনা করার জন্য চাপ দিয়েছে।
একটি ইমেল আরো বলা হয়েছে, বিচার বিভাগের জন্য আরেকটি বিকল্প হতে পারে নাগরিক সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ। 

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর ব্যাপকভাবে অভিবাসন দমন শুরু করেন। প্রায় ১৪ লাখ অভিবাসীকে উদ্দেশ করে পরিকল্পিত জরিমানার প্রস্তাব আনা হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ