<p>ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের (২৫) জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১ জুলাই) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।</p> <p>গত ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন লায়লা আক্তার ফারহাদ। মামলার অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, ‘মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। তিনি আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই। পরে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে।</p> <p>ওইদিন থেকে মামুন আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। এ সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই আমার বাসায় এসে থাকতেন। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আমাকে আবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন।</p> <p>গত ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন লায়লা। পরদিন তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১১ জুন তার বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ।</p> <p>এরপর সেই নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিবিধ মামলা করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। সোমবার শুনানিকালে বাদী আদালতে হাজির ছিলেন। এ সময় লায়লার আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।</p>