আমাদের দেশে বারো মাসেই কমবেশি বেগুন পাওয়া যায়। প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজে পূর্ণ এই বেগুনে রয়েছে প্রচুর জলীয় অংশ। এ ছাড়া রয়েছে খানিকটা কার্বোহাইড্রেটও। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্যও বেগুন খুব ভালো সবজি।
এতো উপকার থাকার পরও বেগুনের কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এর জন্য কিছু মানুষকে এর থেকে দূরে থাকতে হয়। যাদের গেঁটে বাত আছে, কিংবা অ্যাজমা ও অ্যালার্জি আছে, তাদের বেলায় বেগুনে খানিকটা বিধিনিষেধ আছে।
বেগুন খেলে অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন।
গায়ে চাকাচাকা দাগ হয়ে যায়। বেগুনের মধ্যে থাকা উপাদান অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে। তাই এই সমস্যা যাদের আছে, তাদের জন্য বেগুন না খাওয়াই ভালো।
আরো পড়ুন
হোয়াটসঅ্যাপের ছবি-ভিডিও সেভ হবে কি না, সিদ্ধান্ত নেবে প্রেরক
বেগুন অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আর্থ্রাইটিসের ব্যথাও বাড়তে পারে।
কারণ এর মধ্যে অক্সালেটের পরিমাণ বেশি থাকে। পাশাপাশি ফাইবারের পরিমাণও বেশি বেগুনে।
বেগুন গ্যাস ও পেটে মোচড় দিয়ে ব্যথার অন্যতম কারণ। এই সবজির মধ্যে থাকা উপাদান প্রায়ই হজমের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যা পেটে ব্যথার জন্য দায়ী।
ইউরিক এসিড বাড়িয়ে দিতে পারে বেগুন। অতিরিক্ত বেগুন খেলে এই সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। যাদের ইতোমধ্যেই এই সমস্যা রয়েছে, তাদের বেগুন এড়িয়ে চলাই ভালো।
আরো পড়ুন
চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার
বেগুন কিডনিতে পাথরের কারণ হতে পারে। এই বিষয়ে গবেষণার সংখ্যা এখনো কম। বৃদ্ধ বয়সে অনেকেই কিডনির সমস্যায় ভোগেন। তাই অল্প বয়সেই সতর্ক হওয়া ভালো।
বেগুনের খোসায় নাসুনিন থাকে। এটি লোহার সঙ্গে বন্ধন করে কোশ থেকে লোহাকে বের করে দেয়। তাই বেগুন বেশি খেলে শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে যেতে পারে।
বেগুনের মধ্যে সোলানিন নামের একটি প্রাকৃতিক বিষ থাকে। এই বিষ শরীরে বেশি পরিমাণে গেলে বমি বমি ভাব, তন্দ্রা আসতে পারে, যা বিষক্রিয়ার লক্ষণ।
আরো পড়ুন
সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার
অবসাদ বাড়িয়ে দিতে পারে বেগুন। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বেগুন খেলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যারা মানসিক অবসাদ বা অন্য সমস্যায় জর্জরিত তাদের এই সবজিটি এড়িয়ে চলাই ভালো।
গর্ভাবস্থার সময় বেগুন না খাওয়াই ভালো। সাধারণত চিকিৎসকরা এমনটাই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এই বিষয়ে চিকিৎসকদের থেকে ব্যক্তিগতভাবে পরামর্শ নিয়ে নেওয়া জরুরি।
আরো পড়ুন
পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল