ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

কবে, কোথায় প্রথম শুরু হয়েছিল মা দিবসের প্রচলন?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কবে, কোথায় প্রথম শুরু হয়েছিল মা দিবসের প্রচলন?

আমাদের সবার জীবনের একমাত্র ভরসার জায়গা হলো মা। আর মায়ের সম্মানে একটি বিশেষ দিন পালন করা হয়, তাই হলো মা দিবস। রাত পোহালেই আসবে সেই বিশেষ দিন মাদার্স ডে। এই দিনটিতে মায়ের জন্য বিশেষ কিছু করেন সন্তান, তাকে ধন্যবাদ জানান, ভালোবেসে জড়িয়ে ধরেন।

কিন্তু দিনটির গুরুত্ব আসলে কী? কেন পালন করা হয় মা দিবস। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

প্রথম দিকে ওই বিশেষ দিনটিতে শুধুমাত্র মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হতো। তবে পরবর্তীতে মাতৃসম যেকোনো নারীকে কুর্নিশ জানানোর চল দেখা যায়।

বর্তমানে ৪০টিরও বেশি দেশ ওই উৎসব পালন করে থাকে। মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারই আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস উদযাপন হিসেবে করা হয়ে থাকে। তবে অনেক দেশই অন্যদিনকে উৎসর্গ করেছে মায়েদের জন্য। সাধারণত মার্চ কিংবা মে-তেই পালিত হয় 'মাদার্স ডে'।

১৯০৭ সালের ১২ মে প্রথমবার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গ্রাফটন শহরে 'মাদার্স ডে' পালিত হয়েছিল। অ্যানা জার্ভিস নামের এক মার্কিন নারী তার মা অ্যান মারিয়া রিভস জার্ভিসের মৃত্যুদিনটি একটু অন্যভাবে পালন করার কথা ভেবেছিলেন। অ্যান সমাজকর্মী ছিলেন। তিনি নারীদের জন্য কাজ শুরু করেন। ছোট ছোট ওয়ার্ক ক্লাব বানিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য কাজ করতেন তিনি।

 

একদিন ছোট মেয়েটির সামনেই ধর্মপ্রাণ অ্যান হাত জোড় করে বলেছিলেন, 'আমি আশা করি, প্রার্থনা করি, একদিন কেউ না কেউ, কোনো মায়েদের জন্য একটা দিন উৎসর্গ করুক। কারণ তারা প্রতিদিন মনুষ্যত্বের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে চলেছেন। এটা তাদের অধিকার'। মায়ের প্রতিটি শব্দ মনে রেখেছিলেন অ্যানা। আর সেই কারণেই অ্যানের মৃত্যুর দিনটিকে (১২ মে, ১৯০৭) সারাবিশ্বের প্রতিটি মায়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন তিনি। তারপর থেকে মায়েদের প্রতি সম্মানে পালিত হয়ে আসছে মা দিবস।

মন্তব্য

অল্প বয়সে কিডনি নষ্ট হয় যেসব খাবারে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
অল্প বয়সে কিডনি নষ্ট হয় যেসব খাবারে
সংগৃহীত ছবি

আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ বের করার প্রধান দায়িত্ব পালন করে কিডনি। তবে কিছু খাবারের কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। চলুন, জেনে নিই এমন কিছু খাবারের তালিকা, যা কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

অতিরিক্ত লবণ
খাবারে বেশি লবণ খাওয়ার অভ্যাস কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

লবণে থাকা সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়িয়ে কিডনির উপর চাপ ফেলে, যা কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

প্রসেসড ফুড বা প্যাকেটজাত খাবার
চিপস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, প্যাকেটজাত সস বা স্ন্যাকস এসব খাবারে প্রচুর সোডিয়াম, চিনি ও প্রিজারভেটিভ থাকে। যা কিডনির কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়।

ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুড
বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো ফাস্টফুডে অতিরিক্ত সোডিয়াম, ট্রান্স ফ্যাট ও প্রিজারভেটিভ থাকে।

এসব খাবার কিডনিতে টক্সিন জমিয়ে তার কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

চিনি ও মিষ্টি খাবার
অতিরিক্ত চিনি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ায়, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস হলে কিডনির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে এবং কার্যকারিতা কমে যায়।

সফট ড্রিঙ্ক ও এনার্জি ড্রিঙ্ক
এই ধরনের পানীয়তে ফসফরাস থাকে, যা কিডনির স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেয়।

নিয়মিত এসব পানীয় খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার
ওজন কমাতে বা মাসল বাড়াতে বেশি প্রোটিন খাওয়ার ফলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। বিশেষত কিডনির সমস্যা থাকলে, অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে দেহের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই প্রোটিন খাওয়ার সময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না।

অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া
অনেকেই ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক নিয়মিত খেয়ে থাকেন, যা কিডনির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রয়োজন ছাড়া ওষুধ খাওয়া কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

এভাবে নিয়মিত ভুল খাদ্যাভ্যাস কিডনির ক্ষতি করতে পারে, তাই সচেতন হয়ে খাবার নির্বাচন করুন।

সূত্র : আজতাক বাংলা

মন্তব্য

তেল ছাড়া রান্না, উপকারী কি না?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
তেল ছাড়া রান্না, উপকারী কি না?
সংগৃহীত ছবি

সামাজিক মাধ্যমের দিকে চোখ রাখলেই এখন দেখা যায়, তেল ছাড়া মাছ, মাংস, তরকারি রান্না করার কৌশল। পরোটা হোক বা সবজি, কীভাবে তেল ছাড়া সুস্বাদু খাবার রান্না করা যায়, তা নিয়ে বর্তমানে অনেক আলোচনা হচ্ছে। অনেকের মতে, সুস্থ থাকতে গেলে জীবন থেকে তেল বাদ দেওয়া উচিত। এমনকি ওজন কমানোর সময় অনেকে ভোজ্য তেল ও চিনি এড়িয়ে চলেন।

তাই স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে অনেকেই নিয়মিত রান্নায় তেল বাদ দিচ্ছেন অথবা খুব সামান্য তেল ব্যবহার করছেন।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তেল ছাড়া টানা দুই সপ্তাহ খাবার খেলে সত্যিই কি ওজন কমবে এবং তার উপকারিতা হবে? পুষ্টিবিদদের মতে, তেল নিয়ে সব ধারণা সঠিক নয়। তেল একেবারে বাদ দিলে শরীরের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে। ভোজ্য তেল পুরোপুরি বাদ দিলে এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খেলে হজম ও বিপাকের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দিনে ৩০ মিলিলিটার বা ৫-৬ চা চামচ তেল প্রয়োজন। অপরদিকে নারীদের জন্য এই পরিমাণ ১৫ মিলিলিটার বা ৩ চা চামচ হতে পারে। তেল না থাকলে নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে।’

তেল শরীরে কী প্রভাব ফেলে?
তেলে থাকা ফ্যাট ভিটামিন এ,ডি,ই,কে শোষণে সাহায্য করে।

ফ্যাটে দ্রবীভূত ভিটামিনগুলোর উপকারিতা পেতে হলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাওয়া জরুরি। যদি শরীরে একেবারে তেল না থাকে তবে বদহজম, পেটফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তেল বাদ দিলে ক্যালোরি কমে যায়, ফলে ওজন কমানোর জন্য এটি কার্যকর হলেও ক্ষুধা ও হরমোনের ভারসাম্যে প্রভাব পড়তে পারে। যদি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে না পৌঁছায় তবে ভিটামিন সি এর শোষণ কম হবে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। এ ছাড়া ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়ের স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

আর কী প্রভাব পড়বে শরীরে?
ত্বকের সজীবতা এবং লালিত্য ফ্যাট থেকেই আসে। তেল ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে। যদি শরীর প্রয়োজনীয় ফ্যাট না পায়, তবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং চুলের ঔজ্জল্য কমে যাবে।

শরীরের শক্তি উৎপাদনেও ফ্যাটের ভূমিকা রয়েছে। তেল পুরোপুরি বাদ দিলে মানুষের কাজের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব হলে নিউরোট্রান্সমিটারেও তার প্রভাব পড়তে পারে।

পুষ্টিবিদদের মতে, তেল ছাড়াও শরীরকে ফ্যাটি অ্যাসিডের জোগান দেওয়া সম্ভব। কেউ যদি কাঠবাদাম, আখরোট, মুরগির মাংস বা ডিম খাবারে রাখেন, তবে শরীর প্রয়োজনীয় ফ্যাট পেয়ে যাবে। বাদাম, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। যা শরীরের জন্য উপকারী। তবে রান্নায় ভোজ্য তেল ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। যেমন সরিষার তেল, সূর্যমুখী তেল, অলিভ অয়েল, সয়াবিন তেল, রাইসব্র্যান তেল এগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য

ওজন কমাতে পান করুন ৩ ‘ম্যাজিক’ চা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ওজন কমাতে পান করুন ৩ ‘ম্যাজিক’ চা
সংগৃহীত ছবি

ওজন কমাতে অনেকের পছন্দ গ্রিন টি। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণের কারণে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে শুধুমাত্র গ্রিন টি নয়, আরো কয়েকটি ভেষজ চা রয়েছে যা শরীরে বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। চলুন, জেনে নিই তেমনই কয়েকটি ‘ম্যাজিক’ চায়ের কথা।

পেপারমিন্ট টি
ঘন ঘন ক্ষুধা পাওয়ার প্রবণতা কমাতে পেপারমিন্ট টি দারুণ কার্যকরী। এটি ক্যালোরি ঝরাতেও সাহায্য করে। এক মুঠো পুদিনা পাতা গরম পানিতে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে এই চা। নিয়মিত খেলে ওজন দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।

অশ্বগন্ধা চা
এই চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ বাড়লে শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। যার ফলে মেদ জমতে পারে না।অশ্বগন্ধা চা মানসিক চাপ কমিয়ে শরীরে মেদ কমাতে সাহায্য করে।

হোয়াইট টি
হোয়াইট টি হলো সবচেয়ে কম প্রসেসড চা। যার ফলে গ্রিন টি-র চেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এটি হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি শরীরে ফ্যাট কোষ জমতে বাধা দেয়।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

গরমে সুস্থ থাকতে কোন খাবার খাবেন?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে সুস্থ থাকতে কোন খাবার খাবেন?
সংগৃহীত ছবি

গরমের তীব্রতায় শরীর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে, আর রোদে বেশি সময় কাটালে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। গরমে পেট খারাপ ও ডায়রিয়ার সমস্যাও বাড়তে পারে। এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে গরমের মৌসুমে কী খাবেন আর কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন, তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চলুন, জেনে নিই।

গরমে যেসব খাবার এড়িয়ে যাবেন
গরমে শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত লবণ ও নোনতা স্ন্যাকস এসময় না খাওয়াই ভালো। এসব খাবার দেহের রক্তচাপ বাড়িয়ে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

 
পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে শরীর ডিহাইড্রেটেড না হওয়ার জন্য চা, কফি ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা উচিত। তাছাড়া তেল-ঝাল, মসলাযুক্ত খাবার কম খাওয়া উচিত। গরমে চপ, শিঙাড়া, কাটলেট, ফ্রায়েড চিকেনের মতো তেলেভাজা খাবার থেকে দূরে থাকুন, কারণ এগুলো ফুড পয়জনিংয়ের কারণ হতে পারে। রোদে বের হলে এনার্জি ড্রিংকসও পরিহার করুন।

গরমে কী খাবেন
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এমন খাবার খাওয়া উচিত। পান্তা ভাত, ডাবের পানি, টক দই গরমের জন্য আদর্শ। ডাবের পানি শরীরে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়ক। টক দইও গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

এই সময়ে গ্রীষ্মকালীন ফল অবশ্যই ডায়েটে রাখতে হবে।

তরমুজ, শসা, জামরুল, বেল ইত্যাদি ফলে জল বেশি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া মৌসুমি শাকসবজি যেমন লাউ, কুমড়ো ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো শরীরকে সুস্থ রাখে।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ