<p>প্রতি রাতেই আপনি ৮ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমাচ্ছেন। ঘুমানোর পরেও সকালে উঠতে অসুবিধা হচ্ছে। সকাল বা বিকেল সবসময়ই ক্লান্ত আপনি। তাহলে বুঝতে হবে কিছু একটা অসুবিধা হচ্ছে। ‘স্লিপ ইনারশিয়া’বা তন্দ্রাচ্ছন্ন অথবা ঘুম জড়তার কারণে আপনার ঘুমের গড়মিল হচ্ছে। </p> <p>ঘুম জড়তা কী? মস্তিষ্কের সেনসরি-মোটর নামের একটি অংশ আমাদের হাঁটাচলা ও চিন্তাভাবনা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জড়িত। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পরপরই অনেকের ওই অংশটা ঠিকঠাক কাজ করতে চায় না। তখনই দেখা দেয় ঘুম-জড়তা। যার ফলে ওই ব্যক্তির মাথা ঘোরার মতো অনুভূতি হয় ও কোনো কিছু বুঝে উঠতেও সময় লাগে। স্লিপ ইনারশিয়া সাধারনত ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে কোনো কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত থাকতে পারে।</p> <p>কেনো আপনি ‘স্লিপ ইনারশিয়া’ বা তন্দ্রাচ্ছন্ন অথবা ঘুম জড়তা ভুগছেন চলেন তা জেনে নেওয়া যাক।</p> <p><strong>১. ক্লান্তি</strong></p> <p>স্লিপ ইনারশিয়া বা ঘুম জড়তায় ক্রমাগত ভুগতে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। হতে পারে শরীরে অন্য কোনো রোগ বাসা বেঁধেছে। আপনি দর্বলতা বোধ করতে পারেন তাই বলে সবসময় ঘুম আসবে না। এই আবস্থায় পড়লেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।</p> <p>এছড়া স্লিপ ইনারশিয়া বা ঘুম জড়তা কাটাতে আপনি একঘন্টা আগে ঘুমাতে যেতে পারেন। অথবা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ঘন্টা পরে ঘুম থেকে উঠুন। দেখুন কাজে দেয় কিনা।</p> <p><strong>২. জীবন যাপন</strong></p> <p>আপনি যদি সারা দিন শুয়ে বসে থাকেন তবে শরীর ঝিম ধরে থাকবে। মনে হবে আপনি প্রচুর ক্লান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট বা আড়াই ঘন্টা মাঝারি শারীরিক ব্যায়াম করা উচিত। </p> <p><strong>৩.উদ্বেগ বা বিষন্নতা</strong></p> <p>উদ্বেগ বা বিষন্নতার কারণে আপনার ঘুমের গড়মিল হতে পারে। এমন হতে পারে, আপনি ঘুম থেকে বারবার জেগে উঠছেন। স্লিপ ইনারশিয়ার এটাও একটি কারণ। বিষন্নতায় ভুগলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ খেতে পারেন।</p> <p><strong>৪. ঘুমের অভাব</strong></p> <p>পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনি স্লিপ ইনারশিয়ায় ভুগতে পারেন। তাই ঘুমের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিন। দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘন্টা।</p> <p><strong>৫. পানিশূন্যতা</strong></p> <p>শরীরে পানিশূন্যতা হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে আপনার ঠিকঠাক ঘুম হবে না। শরীর যেন পানিশূন্য না হয়ে পড়ে তাই বেশি বেশি পানি পান করুন।</p> <p><strong>৬. ঘুমের পরিবেশ তৈরী করা</strong></p> <p>ঘুমের পরিবেশ না থাকলে ঘুম কোনো ভাবেই হবে না। তাই ঘুমানোর আগে ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন। ঘুমানোর আগে ঘরের বাতি নিভিয়ে দিন। রাতে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকুন।</p> <p>সূত্র : <strong><em>সিএনএন।</em></strong></p>