প্রতি রাতেই আপনি ৮ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমাচ্ছেন। ঘুমানোর পরেও সকালে উঠতে অসুবিধা হচ্ছে। সকাল বা বিকেল সবসময়ই ক্লান্ত আপনি। তাহলে বুঝতে হবে কিছু একটা অসুবিধা হচ্ছে।
প্রতি রাতেই আপনি ৮ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমাচ্ছেন। ঘুমানোর পরেও সকালে উঠতে অসুবিধা হচ্ছে। সকাল বা বিকেল সবসময়ই ক্লান্ত আপনি। তাহলে বুঝতে হবে কিছু একটা অসুবিধা হচ্ছে।
ঘুম জড়তা কী? মস্তিষ্কের সেনসরি-মোটর নামের একটি অংশ আমাদের হাঁটাচলা ও চিন্তাভাবনা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জড়িত। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পরপরই অনেকের ওই অংশটা ঠিকঠাক কাজ করতে চায় না। তখনই দেখা দেয় ঘুম-জড়তা।
কেনো আপনি ‘স্লিপ ইনারশিয়া’ বা তন্দ্রাচ্ছন্ন অথবা ঘুম জড়তা ভুগছেন চলেন তা জেনে নেওয়া যাক।
১. ক্লান্তি
স্লিপ ইনারশিয়া বা ঘুম জড়তায় ক্রমাগত ভুগতে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। হতে পারে শরীরে অন্য কোনো রোগ বাসা বেঁধেছে। আপনি দর্বলতা বোধ করতে পারেন তাই বলে সবসময় ঘুম আসবে না। এই আবস্থায় পড়লেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এছড়া স্লিপ ইনারশিয়া বা ঘুম জড়তা কাটাতে আপনি একঘন্টা আগে ঘুমাতে যেতে পারেন।
২. জীবন যাপন
আপনি যদি সারা দিন শুয়ে বসে থাকেন তবে শরীর ঝিম ধরে থাকবে। মনে হবে আপনি প্রচুর ক্লান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট বা আড়াই ঘন্টা মাঝারি শারীরিক ব্যায়াম করা উচিত।
৩.উদ্বেগ বা বিষন্নতা
উদ্বেগ বা বিষন্নতার কারণে আপনার ঘুমের গড়মিল হতে পারে। এমন হতে পারে, আপনি ঘুম থেকে বারবার জেগে উঠছেন। স্লিপ ইনারশিয়ার এটাও একটি কারণ। বিষন্নতায় ভুগলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ খেতে পারেন।
৪. ঘুমের অভাব
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনি স্লিপ ইনারশিয়ায় ভুগতে পারেন। তাই ঘুমের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিন। দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘন্টা।
৫. পানিশূন্যতা
শরীরে পানিশূন্যতা হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে আপনার ঠিকঠাক ঘুম হবে না। শরীর যেন পানিশূন্য না হয়ে পড়ে তাই বেশি বেশি পানি পান করুন।
৬. ঘুমের পরিবেশ তৈরী করা
ঘুমের পরিবেশ না থাকলে ঘুম কোনো ভাবেই হবে না। তাই ঘুমানোর আগে ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন। ঘুমানোর আগে ঘরের বাতি নিভিয়ে দিন। রাতে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকুন।
সূত্র : সিএনএন।
সম্পর্কিত খবর
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৯ মার্চ, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): সামাজিক কাজে প্রশংসা পেতে পারেন। চাকরিরতদের কেউ অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো প্রস্তাব পেতে পারেন।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কোনো লাভজনক কাজ হাতে আসতে পারে। অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের পথ পাবেন।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কোনো কাজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ আসতে পারে।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): আপনার চিন্তা যথাযথভাবে প্রকাশ করতে পারবেন। কারো উপস্থিতি আনন্দ দেবে।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): আর্থিক চাপ থাকলেও প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে আসবে। পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে। ব্যয়চাপ থাকতে পারে। প্রত্যাশিত কাজে বাধা আসতে পারে। সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। প্রার্থনায় শান্তি পাবেন।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): কোনো আশা পূরণ হতে পারে। বন্ধুর সহযোগিতা পাবেন। বাড়তি আয়ের সম্ভাবনা আছে। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ আসবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ঠিক হবে না। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিন।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): পেশাগত কাজে অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় নতুন কাজের সূচনা হতে পারে। কর্মরতদের পদোন্নতিসংক্রান্ত জটিলতার প্যাঁচ খুলতে পারে। পরিবেশ পক্ষে থাকবে। আপনার ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): বিদেশ থেকে কোনো ভালো সংবাদ পেতে পারেন। কাজের দিক থেকে একটি স্থির দৃষ্টিভঙ্গি আপনাকে আপনার লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে যাবে। আত্মবিশ্বাসকে আপনার পথপ্রদর্শক হতে দিন। ভ্রমণ শুভ।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও ভালো কিছু হতে পারে। প্রত্যাশা পূরণে বাধা দূর হবে। নিকটজনের সমস্যায় কিছুটা উদ্বেগ থাকতে পারেন। কোনো প্রকার হতাশা বা ডিপ্রেশনকে পাত্তা না দিয়ে কাজের গতি বাড়ান।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): আজ কাজে কিছুটা স্থবিরতা থাকতে পারে। কোনো জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আপনার করণীয় সম্পর্কে ধারণা নিতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন না। জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান মানুষের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কর্মপ্রার্থীদের উন্নতির পথ খুলবে। তবে নিয়মিত কাজে বাধা আসতে পারে। আপনার উদারতার সুযোগে কেউ ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। বিপর্যয় মোকাবেলায় পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। মন ভালো রাখুন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আজ দিন ভালো কাটবে। বিশেষ কোনো কাজে সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অন্যের সহযোগিতা পাবেন। মানসিক প্রফুল্লতা বজায় থাকবে। বিনোদনমূলক কাজে আনন্দ পাবেন।
আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com
রোজা রেখে কোমর ব্যথা হলে কিছু সতর্কতা অবলম্বন এবং কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যা আপনার অবস্থাকে উন্নত করতে সাহায্য করবে।
চলুন জেনে নেই রোজার সময় কোমর ব্যথায় রোগীদের যেসব নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
সাহরি ও ইফতারে উপযুক্ত খাবার নির্বাচন
প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার যেমন: মাছ, মুরগি, ডিম, দুধ, দই, বাদাম, ছোলা ও শাকসবজি খাবেন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শরীরে পানির ঘাটতি হলে মাসল জয়েন্ট শুকিয়ে গিয়ে কোমর ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। ইফতার থেকে সাহরির মধ্যে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। চা-কফি বা সফট ড্রিংক কম পান করুন। কারণ এগুলো শরীর থেকে পানি বের করে দেয়।
ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
এসব খাবার প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া বেশি লবণ খেলে শরীরে পানি ধরে রাখতে পারে। যা কোমর ব্যথার সমস্যা বাড়াতে পারে।
কোমর ব্যথা হলে বেশি নরম বা খুব শক্ত বিছানায় না শুয়ে মাঝারি-কঠিন গদি ব্যবহার করুন। চিত হয়ে শোয়ার সময় হাঁটুর নিচে একটি বালিশ দিন।
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা এড়িয়ে চলুন। প্রতি ৩০-৪৫ মিনিট পর একটু হাঁটুন। শরীর নড়াচড়া করুন। সোজা হয়ে বসুন। বেশি নীচু বা শক্ত চেয়ারে না বসে কুশনযুক্ত চেয়ার ব্যবহার করুন। ভারি বস্তু তুলতে হলে কোমর সোজা রেখে হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন। কোমর বাঁকা করবেন না।
কোমর ব্যথা কমাতে ফিজিওথেরাপি খুবই কার্যকারী চিকিৎসা পদ্ধতি। রমজানে কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হলে ব্যথানাশক ওষুধের ব্যবহার কমাতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে পারেন। ইফতারের পর হালকা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। যদি ব্যথা বেশি হয় তাহলে গরম সেঁক (হট প্যাক) বা ঠান্ডা সেঁক (আইস প্যাক) দিন। ব্যথানাশক জেল বা পেইন রিলিফ স্প্রে ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক
রমজান মাস একটি মহিমান্বিত মাস। এই মাসে মুসলমানরা দিনের বেলায় না খেয়ে রোজা পালন করেন। দীর্ঘ সময় না খেয়ে কারণে অনেকের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এ কারণে চিকিৎসকরা ইফতার ও সাহরিতে পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন শরীর পানিশূন্য হয়, তখন বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। এ কারণে রোজা রেখে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি রোজা রেখে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত যেগুলো পানিশূন্যতা বাড়ায়।
লবণাক্ত খাবার
চিপস, আচার, টিনজাত খাবার ও প্রক্রিয়াজাত মাংসের মতো খাবারে লবণ বেশি থাকে। এসব খাবার শরীরকে কোষ থেকে পানি টেনে নিতে বাধ্য করে। যার ফলে দিনের বেলায় পিপাসা বাড়ে।
ক্যাফিনযুক্ত পানীয়
কফি, চা ও সোডায় থাকা ক্যাফেইন প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। এর অর্থ হলো এগুলো প্রস্রাব উৎপাদন বাড়ায়, যার ফলে শরীরে দ্রুত পানিশূন্যতা দেখা দেয়। যেহেতু রোজা রেখে পানি খাওয়া যাবে না, তাই সাহরির সময় ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয়
মিষ্টি, চিনিযুক্ত পেস্ট্রি, সোডা ও এনার্জি ড্রিংকের মতো পানীয়ের মতো উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে।
ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার
চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও অন্যান্য ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারে সাধারণত সোডিয়াম ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে। এসব খাবার শরীরে পানিশূন্যতার কারণ হতে পারে। এই খাবারগুলো হজম করাও কঠিন। এসব খাবার খেলে শরীরে অলসতা দেখা দেয়। যার ফলে শরীরের হাইড্রেটেড থাকার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
জিলাপি, সন্দেশ, রসগোল্লা, পানতুয়া, কিংবা চমচম। টুক করে মিষ্টি মুখে পুরে খাওয়ার পর পানি খেয়ে নিলেন। এটা মোটামুটি আমাদের সবারই অভ্যাস। কিন্তু জানেন কি, মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খেলে আমাদের শরীরে কী হয়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিষ্টি খাওয়ার পর অবশ্য়ই পানি পান করুন।
পানি যেকোনো খাবার সহজে হজম করার কাজ করে। তাই মিষ্টিজাত খাবারকে সঠিকভাবে হজম করার জন্য পানি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
যারা মাড়ির ব্যথায় সমস্যায় ভুগছেন, তারা অবশ্যই মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খান। না হয় ব্যথা আরো বাড়তে পারে।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা