সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলতে গেলেই ঝগড়া শুরু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলতে গেলেই ঝগড়া শুরু

বিয়ের পর সবার জীবনই বদলে যায়। তখন দয়িত্ব, নতুন জীবন সব কিছু মাথায় ভর করে। সঙ্গী পাশে থাকলে জীবনে অনেক কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়। কিন্তু সবার ক্ষেত্রেই বিষয়টি একইরকম হয় নাও হতে পারে।

কারো জীবনে বিয়ের পর ঝড়ও চলে আসে। ওই সময়টায় কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে সেটা চিন্তা করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যায় অনেকে।  

সমস্যা:

** শুধু ঝগড়া হয়

দুজনের ভালো লাগার বিষয় যে একই হবে তা কিন্তু নয়। কিন্তু দুজনে কথা বলা শুরু করেন শুরু হয় ঝগড়া।

তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ তো হয়ই বাজে কথাও মুখ থেকে চলে আসে। কথা বলা স্বাভাবিকভাবে শুরু হলেও ঝগড়ায় গিয়ে শেষ হয়।

** আর পারছি না

এক অপরকে ভালোবাসেন। একে অপরকে আঘাত করতে চান না।

কিন্তু দিন শেষে এমন   কিছুই হচ্ছে। কিন্তু দুজনেই যত্নশীল এবং শিক্ষিত। সন্তান আছে এ কারণে একে অপরকে ছেড়ে যেতে পারছেন না। ঝগড়া শেষে একে অপরকে দোষ দিতে দিতে ক্লান্ত। দুজনের ধৈর্য্যই খুবই কম, চিন্তাধারাও আলাদা।
তাই হয়তো এত ঝগড়া বাধে।

পরামর্শ:

পরামর্শ দিচ্ছেন মনরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সঞ্জয় গর্গ। তিনি কলকাতার ফর্টিস হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি বলেছেন,

** অনিশ্চয়তা আমাদের জীবনে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে। এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা আসলে আমাদের কষ্ট দেয়। তাই জীবনে অনেক সময় কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই সিদ্ধান্ত কষ্ট দিতে পারে কিন্তু তারপরেও ভবিষ্যতের কথা ভাবা উচিত। তাই আগে ভেবে দেখুন এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চান নাকি চান না। এরপর আলোচনায় বসুন। 

** একা একা বসে কয়েকটি বিষয় লিখে রাখুন। আপনার জীবনের প্রয়োজন এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে লিখুন। এ নিয়ে ভালো এবং খারাপ দিকগুলো লিখুন। ভালো দিকগুলো দেখে হয়ত খারাপ দিকগুলো ভুলে যাবেন। 

** সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনায় বসুন। দুজনে মিলেও এই একই কাজ করুন। এই ভুল বোঝাবুঝি দূর করার চে৬ষ্টা করুন। প্রত্যেকে নিজের জায়গা থেকে কিছুটা ছাড় দিন। এ জন্য বিপরীত মানুষটির কথাও ভালো করে শুনতে এবং বুঝতে হবে।

** ছোট ছোট বিষয়গুলোর উপরেও নজর দিন। সঙ্গীর সঙ্গে বেশি বেশি করে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। কিভাবে সমস্যাগুলো সমাধান হবে সেটা নিয়ে আলোচনা করুন। 

** রান্নাঘরের কাজ যদি একসঙ্গে করতে পারেন তাহলে করুন। বাচ্চাদের একসঙ্গে বড় করার চেষ্টা করেন। প্রত্যেক কাজে এক ওপরকে সাহায্য করুন। 

** আর যদি দুজনে মিলে এই সমস্যা সমাধান করতে না পারেন তাহলে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। তিনি আপনাকে সাহায্য করতে পারেন।

সূত্র : এই সময়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাশিফল

আজ ৯ মার্চ, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ ৯ মার্চ, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৯ মার্চ, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।

আরো পড়ুন
নোয়াখালীতে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার

নোয়াখালীতে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার

 

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): সামাজিক কাজে প্রশংসা পেতে পারেন। চাকরিরতদের কেউ অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো প্রস্তাব পেতে পারেন।

গৃহ বা কর্মস্থানে মাথা ঠাণ্ডা রেখে চলতে হবে। পরিবারে সমস্যায় কাছে থাকুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কোনো লাভজনক কাজ হাতে আসতে পারে। অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের পথ পাবেন।

সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। কথোপকথনে ধৈর্য ধরুন। পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করুন এবং নতুন অভিজ্ঞতার জন্য উন্মুক্ত হোন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কোনো কাজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ আসতে পারে।

বকেয়া টাকা আদায়ে অগ্রগতি হবে। কল্যাণমূলক কাজে আনন্দ পাবেন। সংকল্পের দৃঢ়তা অগ্রগতির পথে সহায়ক হবে।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): আপনার চিন্তা যথাযথভাবে প্রকাশ করতে পারবেন। কারো উপস্থিতি আনন্দ দেবে।

কাজের সুসংবাদ আসবে। জরুরি কাজ ফেলে রাখবেন না। সবার সঙ্গে হাসিমাখা মুখ নিয়ে মিশুন।

আরো পড়ুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি

 

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): আর্থিক চাপ থাকলেও প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে আসবে। পাওনা আদায়ে বিলম্ব হবে। ব্যয়চাপ থাকতে পারে। প্রত্যাশিত কাজে বাধা আসতে পারে। সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। প্রার্থনায় শান্তি পাবেন।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): কোনো আশা পূরণ হতে পারে। বন্ধুর সহযোগিতা পাবেন। বাড়তি আয়ের সম্ভাবনা আছে। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ আসবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ঠিক হবে না। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিন।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): পেশাগত কাজে অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় নতুন কাজের সূচনা হতে পারে। কর্মরতদের পদোন্নতিসংক্রান্ত জটিলতার প্যাঁচ খুলতে পারে। পরিবেশ পক্ষে থাকবে। আপনার ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।

আরো পড়ুন
ধর্ষণের বিচারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ধর্ষণের বিচারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

 

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): বিদেশ থেকে কোনো ভালো সংবাদ পেতে পারেন। কাজের দিক থেকে একটি স্থির দৃষ্টিভঙ্গি আপনাকে আপনার লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে যাবে। আত্মবিশ্বাসকে আপনার পথপ্রদর্শক হতে দিন। ভ্রমণ শুভ।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও ভালো কিছু হতে পারে। প্রত্যাশা পূরণে বাধা দূর হবে। নিকটজনের সমস্যায় কিছুটা উদ্বেগ থাকতে পারেন। কোনো প্রকার হতাশা বা ডিপ্রেশনকে পাত্তা না দিয়ে কাজের গতি বাড়ান।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): আজ কাজে কিছুটা স্থবিরতা থাকতে পারে। কোনো জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আপনার করণীয় সম্পর্কে ধারণা নিতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন না। জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান মানুষের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরো পড়ুন
ঢামেকে সাবেক বিডিআর সদস্যসহ দুই কারাবন্দীর মৃত্যু

ঢামেকে সাবেক বিডিআর সদস্যসহ দুই কারাবন্দীর মৃত্যু

 

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কর্মপ্রার্থীদের উন্নতির পথ খুলবে। তবে নিয়মিত কাজে বাধা আসতে পারে। আপনার উদারতার সুযোগে কেউ ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। বিপর্যয় মোকাবেলায় পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। মন ভালো রাখুন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আজ দিন ভালো কাটবে। বিশেষ কোনো কাজে সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অন্যের সহযোগিতা পাবেন। মানসিক প্রফুল্লতা বজায় থাকবে। বিনোদনমূলক কাজে আনন্দ পাবেন।

আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কোমর ব্যথার রোগীদের রোজায় করণীয়

শেয়ার
কোমর ব্যথার রোগীদের রোজায় করণীয়
সংগৃহীত ছবি

রোজা রেখে কোমর ব্যথা হলে কিছু সতর্কতা অবলম্বন এবং কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যা আপনার অবস্থাকে উন্নত করতে সাহায্য করবে।

চলুন জেনে নেই রোজার সময় কোমর ব্যথায় রোগীদের যেসব নিয়ম মেনে চলা জরুরি। 

সাহরি ও ইফতারে উপযুক্ত খাবার নির্বাচন

প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার যেমন: মাছ, মুরগি, ডিম, দুধ, দই, বাদাম, ছোলা ও শাকসবজি খাবেন।

এগুলো হাড় ও পেশিকে শক্তিশালী করে ও ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি খাবার যেমন: হলুদ, আদা, রসুন, অলিভ অয়েল, বাদাম ও সামুদ্রিক মাছ খেলে ব্যথা কমে। এছাড়া ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন: দুধ, দই, পনির, মাশরুম, সূর্যমুখীর বীজ, বাদাম ও সবুজ শাকসবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। চেষ্টা করবেন সূর্যের আলোতে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

শরীরে পানির ঘাটতি হলে মাসল জয়েন্ট শুকিয়ে গিয়ে কোমর ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। ইফতার থেকে সাহরির মধ্যে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। চা-কফি বা সফট ড্রিংক কম পান করুন। কারণ এগুলো শরীর থেকে পানি বের করে দেয়।

ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন

এসব খাবার প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া বেশি লবণ খেলে শরীরে পানি ধরে রাখতে পারে। যা কোমর ব্যথার সমস্যা বাড়াতে পারে।

কোমর ব্যথা হলে বেশি নরম বা খুব শক্ত বিছানায় না শুয়ে মাঝারি-কঠিন গদি ব্যবহার করুন। চিত হয়ে শোয়ার সময় হাঁটুর নিচে একটি বালিশ দিন।

পাশ ফিরে শোয়ার সময় দুই হাঁটুর মাঝে বালিশ রাখুন। অতিরিক্ত উঁচু বালিশ ব্যবহার করবেন না। এটি মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট করতে পারে।

দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা এড়িয়ে চলুন। প্রতি ৩০-৪৫ মিনিট পর একটু হাঁটুন। শরীর নড়াচড়া করুন। সোজা হয়ে বসুন। বেশি নীচু বা শক্ত চেয়ারে না বসে কুশনযুক্ত চেয়ার ব্যবহার করুন। ভারি বস্তু তুলতে হলে কোমর সোজা রেখে হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন। কোমর বাঁকা করবেন না।

কোমর ব্যথা কমাতে ফিজিওথেরাপি খুবই কার্যকারী চিকিৎসা পদ্ধতি। রমজানে কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হলে ব্যথানাশক ওষুধের ব্যবহার কমাতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে পারেন। ইফতারের পর হালকা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। যদি ব্যথা বেশি হয় তাহলে গরম সেঁক (হট প্যাক) বা ঠান্ডা সেঁক (আইস প্যাক) দিন। ব্যথানাশক জেল বা পেইন রিলিফ স্প্রে ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

মন্তব্য

রোজায় পানিশূন্যতা বাড়ায় যেসব খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
রোজায় পানিশূন্যতা বাড়ায় যেসব খাবার
সংগৃহীত ছবি

রমজান মাস একটি মহিমান্বিত মাস। এই মাসে মুসলমানরা দিনের বেলায় না খেয়ে রোজা পালন করেন। দীর্ঘ সময় না খেয়ে কারণে অনেকের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এ কারণে চিকিৎসকরা ইফতার ও সাহরিতে পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দেন।

অনেকে পর্যাপ্ত পানি না পান করার কারণে পানিশূন্যতায় ভোগেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন শরীর পানিশূন্য হয়, তখন বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। এ কারণে রোজা রেখে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি রোজা রেখে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত যেগুলো পানিশূন্যতা বাড়ায়।

তা না হলে শরীর পানিশূন্য হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কী সেই খাবার, চলুন জেনে নেওয়া যাক—

আরো পড়ুন
ইফতারে জমবে কাশ্মীরি চিকেন পোলাও, যেভাবে রান্না করবেন

ইফতারে জমবে কাশ্মীরি চিকেন পোলাও, যেভাবে রান্না করবেন

 

লবণাক্ত খাবার

চিপস, আচার, টিনজাত খাবার ও প্রক্রিয়াজাত মাংসের মতো খাবারে লবণ বেশি থাকে। এসব খাবার শরীরকে কোষ থেকে পানি টেনে নিতে বাধ্য করে। যার ফলে দিনের বেলায় পিপাসা বাড়ে।

তখন শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে।

ক্যাফিনযুক্ত পানীয়

কফি, চা ও সোডায় থাকা ক্যাফেইন প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। এর অর্থ হলো এগুলো প্রস্রাব উৎপাদন বাড়ায়, যার ফলে শরীরে দ্রুত পানিশূন্যতা দেখা দেয়। যেহেতু রোজা রেখে পানি খাওয়া যাবে না, তাই সাহরির সময় ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।

আরো পড়ুন
কর্মজীবীদের রমজানের রুটিন যেমন হওয়া উচিত

কর্মজীবীদের রমজানের রুটিন যেমন হওয়া উচিত

 

চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয়

মিষ্টি, চিনিযুক্ত পেস্ট্রি, সোডা ও এনার্জি ড্রিংকের মতো পানীয়ের মতো উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে।

এর ফলে শরীরে তৃষ্ণার্ত ভাব আরো বেড়ে যেতে পারে।

ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার

চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও অন্যান্য ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারে সাধারণত সোডিয়াম ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে। এসব খাবার শরীরে পানিশূন্যতার কারণ হতে পারে। এই খাবারগুলো হজম করাও কঠিন। এসব খাবার খেলে শরীরে অলসতা দেখা দেয়। যার ফলে শরীরের হাইড্রেটেড থাকার ক্ষমতা হ্রাস পায়।

আরো পড়ুন
অন্ধকারে স্মার্টফোন-কম্পিউটার ব্যবহারে চোখের কী ক্ষতি

অন্ধকারে স্মার্টফোন-কম্পিউটার ব্যবহারে চোখের কী ক্ষতি

 
মন্তব্য

মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খেলে কী হয়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খেলে কী হয়
সংগৃহীত ছবি

জিলাপি, সন্দেশ, রসগোল্লা, পানতুয়া, কিংবা চমচম। টুক করে মিষ্টি মুখে পুরে খাওয়ার পর পানি খেয়ে নিলেন। এটা মোটামুটি আমাদের সবারই অভ্যাস। কিন্তু জানেন কি, মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খেলে আমাদের শরীরে কী হয়?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিষ্টি খাওয়ার পর অবশ্য়ই পানি পান করুন।

এর ফলে শরীরে অপকারের তুলনায় উপকারই বেশি। তাদের মতে, মিষ্টি খেলে শরীরে হঠাৎ করে শর্করার পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। একে বলে সুগার স্পাইক। যারা ব্লাড সুগারের সমস্যায় ভুগছেন, তাদেরই শুধু এই সমস্যা হয় না।
সবার ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটে। তাই মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খেলে এই সুগার স্পাইকের সমস্যা ঘটে না।

আরো পড়ুন
ইফতারে জমবে কাশ্মীরি চিকেন পোলাও, যেভাবে রান্না করবেন

ইফতারে জমবে কাশ্মীরি চিকেন পোলাও, যেভাবে রান্না করবেন

 

পানি যেকোনো খাবার সহজে হজম করার কাজ করে। তাই মিষ্টিজাত খাবারকে সঠিকভাবে হজম করার জন্য পানি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

মিষ্টি খেলে দাঁতের ব্যাকেটেরিয়া আরো বেশি সক্রিয় হতে পারে। তাই পানি খেলে সেটা পরিষ্কার হয়ে যায়। দাঁতের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

যারা মাড়ির ব্যথায় সমস্যায় ভুগছেন, তারা অবশ্যই মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খান। না হয় ব্যথা আরো বাড়তে পারে।

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ