ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

শিশুর খাবারে কতটুকু লবণ থাকা উচিত

শেয়ার
শিশুর খাবারে কতটুকু লবণ থাকা উচিত
সংগৃহীত ছবি

লবণ খেলে শরীরে পানিধারণ ক্ষমতা বাড়ে ঠিকই, কিন্তু পরিমাণের অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরের ক্ষতিও হবে। হৃদ্‌যন্ত্র ভাল রাখতে লবণ একেবারেই এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। লবণ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও বাড়িয়ে তোলে। শিশুদের খাবারে পরিমিত পরিমাণে লবণ যোগ করাই উচিত।

কারণ আয়োডিন মস্তিষ্কের গঠনে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তবে কোন বয়সের শিশুকে কতটুকু লবণ খাওয়ানো উচিত, তা জেনে রাখা ভালো। পরিমাণে বেশি হওয়া মানেই এ ক্ষেত্রে শরীরের ক্ষতি।

এই বিষয়ে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশু মায়ের দুধই খাবে।

তাই লবণের প্রয়োজন নেই। ৬ মাসের পর থেকে একটু একটু করে শিশুকে খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হয়। সেই সময়ে এক চিমটের বেশি লবণ দেওয়া যাবে না। সারা দিনের খাবারে ওইটুকুই জরুরি।
এর পর ধাপে ধাপে পরিমাণ কিছুটা বাড়বে, তবে বেশি নয়।

আরো পড়ুন
শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

 

চিকিৎসকদের মতে, ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত শিশুর দিনে ১ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া ঠিক নয়। ১ গ্রাম মানে আধ চা চামচেরও কম। ১ থেকে ৩ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের প্রতিদিন ২ গ্রাম পর্যন্ত অর্থাৎ আধ চা চামচের মতো লবণ দেওয়া যেতে পারে। ৪ থেকে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ১০ বছরের ঊর্ধ্বে প্রতিদিনের খাবারে লবণের পরিমাণ সামান্য বাড়িয়ে দিনে ৩ গ্রামের মতো করা যেতে পারে।

অর্থাৎ আধ চামচের সামান্য বেশি। সারা দিনের খাবারে ওইটুকুই দিতে হবে শিশুকে।

চিনি যেমন পরিমিত খাওয়া জরুরি, লবণও তাই। এমনই মত পুষ্টিবিদদের। তাদের পরামর্শ, একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রত্যেক দিন এক চা চামচ লবণ খাওয়া উচিত। অর্থাৎ পাঁচ-ছয় গ্রাম লবণ খাদ্যতালিকায় রাখাই যায়। তবে কাঁচা লবণ নয়, রান্নায় নুন দিয়ে খাওয়াই ভালো। অন্যথায় শুকনো কড়াইয়ে লবণ নেড়ে তা খেতে পারেন। যদি উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির সমস্যা থাকে, তাহলে কাঁচা লবণ একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত। সাধারণ মাখন, চিজ়, পাউরুটিতে লবণ থাকে। তাই শিশুকে এসব খাওয়ালে প্রতিদিনের রান্নায় লবণ কম দিতে হবে। বাজারচলতি প্যাকেটজাত খাবার, যেমন, চিপস, নাচোজ থেকে শুরু করে হ্যাম, সসেজ, টম্যাটো সসেও লবণ থাকে। এ সব খাবার শিশুকে বেশি দেওয়া যাবে না।

আরো পড়ুন
শিশু কবে থেকে শক্ত খাবার খাবে?

শিশু কবে থেকে শক্ত খাবার খাবে?

 

কী ধরনের লবণ খাচ্ছেন, তাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদের কথায়, শিশুদের সাদা লবণের থেকে সি সল্ট বা সৈন্ধব লবণ খাওয়ানোই ভাল। সৈন্ধব লবণের দানা হয় বড় বড়। অনেক সময় ডেলার মতোও হয়। আর এর রংও ধবধবে সাদা নয়। কিছুটা লালচে ভাব থাকে। প্রক্রিয়াকরণের আগের পর্যায় হলো এই সৈন্ধব নুন। লবণে শতকরা ৯৭-৯৯ ভাগই হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। একেবারেই লবণ খাওয়া বন্ধ করে দিলে রক্তচাপের হেরফের হতে পারে। সোডিয়ামের মাত্রার ঘাটতি হলে অন্য শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। তাই লবণ খেতে হবে, তবে পরিমিত পরিমাণে।

সূত্র : আনন্দবাজার

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খাওয়া কেন ক্ষতিকর? জানুন কারণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খাওয়া কেন ক্ষতিকর? জানুন কারণ
সংগৃহীত ছবি

চা ছাড়া দিনের শুরু ভাবতে পারেন না, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। বেশিরভাগ মানুষই চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেয়ে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কি শরীরের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর? চলুন, জেনে নিই।

বর্তমানে অনেক মানুষ পেটের সমস্যায় ভুগছেন, বিশেষত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়।

খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু যারা শুধু চা ও বিস্কুট খেয়ে দিন শুরু করেন, তাদের জন্য এটি একদম ভালো নয়। এতে পেটের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে  এবং একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।

যারা চায়ের সঙ্গে মিষ্টি বিস্কুট খান, তাদের শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে।

খালি পেটে মিষ্টি বিস্কুট খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দাঁতের ক্ষয়ও হতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খাওয়া পরিহার করুন।

যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বিস্কুট খাওয়া ক্ষতিকর।

বিশেষত, বিস্কুটে থাকা সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যদি বিস্কুট খেতেই চান, তবে আটার তৈরি বিস্কুট বেছে নিন, যা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

খালি পেটে চা ও বিস্কুট খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ চা ও বিস্কুটে প্রচুর ক্যালোরি থাকে, যা দ্রুত ওজন বাড়াতে পারে। ফলে আপনি সহজেই মোটা হয়ে যেতে পারেন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যা হতে পারে।

যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তারা সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খেলে গ্যাস বা হজমের সমস্যা আরো বাড়াতে পারে। চায়ে থাকা ক্যাফেইন ও ট্যানিন হজম প্রক্রিয়া কমিয়ে দেয়। তাই সকালে চা-বিস্কুট খাওয়ার আগে কিছু খাবার খেয়ে নিন।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ফ্রিজে বিস্ফোরণ? জানুন কীভাবে দুর্ঘটনা এড়াবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ফ্রিজে বিস্ফোরণ? জানুন কীভাবে দুর্ঘটনা এড়াবেন
সংগৃহীত ছবি

গরমে এসি ও ফ্রিজের কম্প্রেসার ফেটে বিস্ফোরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কীভাবে এমন বিস্ফোরণ ঘটে এবং কীভাবে তা থেকে বাঁচা যায়, জেনে রাখা প্রয়োজন।

ত্রুটিপূর্ণ তারের সংযোগ
পুরনো রেফ্রিজারেটরের তারের সংযোগ ভালো করে পরীক্ষা করুন।

খারাপ তারের কারণে কম্প্রেসার অতিরিক্ত গরম হতে পারে। যা বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।

ফ্রিজের জন্য সঠিক জায়গা
ফ্রিজের পিছনে যদি দেয়াল থাকে, তবে সেখানে কিছুটা জায়গা রেখে রাখুন। সঠিক বায়ু চলাচল না হলে ফ্রিজ গরম হয়ে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

পুরনো রেফ্রিজারেটর
১০ বছরের বেশি পুরনো রেফ্রিজারেটরের নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। পুরনো কম্প্রেসারে সমস্যা হলে, তা বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।

শর্ট সার্কিট
শর্ট সার্কিটের কারণে রেফ্রিজারেটরে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই নিয়মিত সার্ভিসিং করা উচিত, অন্তত বছরে দুইবার।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

মন্তব্য

জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের কয়েকটি লক্ষণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের কয়েকটি লক্ষণ
সংগৃহীত ছবি

হৃদরোগ পৃথিবীর অন্যতম প্রধান মৃত্যুর কারণ। এর মধ্যে অনেক মৃত্যুই ঘটে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেওয়ার কারণে। হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো যদি সময়মতো চিহ্নিত করা যায়, তবে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এই লক্ষণগুলো উপেক্ষা করেন।

চলুন, জেনে নিই হার্ট অ্যাটাকের কিছু সাধারণ লক্ষণ। 

বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে চাপ, ব্যথা, চেপে ধরা বা জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। এই ব্যথা কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে বা বারবার ব্যথা ফিরে আসতে পারে।

শরীরের উপরের অংশে ব্যথা: বুকের ব্যথার সঙ্গে বাহু, ঘাড়, পেট, পিঠ বা চোয়ালে ব্যথা হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট: বুকে ব্যথা ছাড়াও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা কমে গেলে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, ফলে শ্বাসকষ্ট হয়।

বমি বমি ভাব বা বমি: হার্ট অ্যাটাকের সময় অনেকের ক্ষেত্রে বমি বা বমি বমি ভাব হতে পারে।

অতিরিক্ত ঘাম: কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ ঠান্ডা ঘাম হতে পারে, সঙ্গে মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা হতে পারে।

অস্বাভাবিক ক্লান্তি: হঠাৎ দুর্বল বা অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।

মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু ভিন্ন লক্ষণও দেখা যেতে পারে, যেমন পেটে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, বা চোয়ালে ব্যথা।

এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি অনুভব করলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়াই শ্রেয়। চিকিৎসা শুরু করার সাথে সাথে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেক বাড়ে। 

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

অল্প বয়সে কিডনি নষ্ট হয় যেসব খাবারে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
অল্প বয়সে কিডনি নষ্ট হয় যেসব খাবারে
সংগৃহীত ছবি

আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ বের করার প্রধান দায়িত্ব পালন করে কিডনি। তবে কিছু খাবারের কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। চলুন, জেনে নিই এমন কিছু খাবারের তালিকা, যা কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

অতিরিক্ত লবণ
খাবারে বেশি লবণ খাওয়ার অভ্যাস কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

লবণে থাকা সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়িয়ে কিডনির উপর চাপ ফেলে, যা কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

প্রসেসড ফুড বা প্যাকেটজাত খাবার
চিপস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, প্যাকেটজাত সস বা স্ন্যাকস এসব খাবারে প্রচুর সোডিয়াম, চিনি ও প্রিজারভেটিভ থাকে। যা কিডনির কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়।

ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুড
বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো ফাস্টফুডে অতিরিক্ত সোডিয়াম, ট্রান্স ফ্যাট ও প্রিজারভেটিভ থাকে।

এসব খাবার কিডনিতে টক্সিন জমিয়ে তার কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

চিনি ও মিষ্টি খাবার
অতিরিক্ত চিনি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ায়, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস হলে কিডনির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে এবং কার্যকারিতা কমে যায়।

সফট ড্রিঙ্ক ও এনার্জি ড্রিঙ্ক
এই ধরনের পানীয়তে ফসফরাস থাকে, যা কিডনির স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেয়।

নিয়মিত এসব পানীয় খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার
ওজন কমাতে বা মাসল বাড়াতে বেশি প্রোটিন খাওয়ার ফলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। বিশেষত কিডনির সমস্যা থাকলে, অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে দেহের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই প্রোটিন খাওয়ার সময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না।

অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া
অনেকেই ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক নিয়মিত খেয়ে থাকেন, যা কিডনির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রয়োজন ছাড়া ওষুধ খাওয়া কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

এভাবে নিয়মিত ভুল খাদ্যাভ্যাস কিডনির ক্ষতি করতে পারে, তাই সচেতন হয়ে খাবার নির্বাচন করুন।

সূত্র : আজতাক বাংলা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ