<p>বাচ্চাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো তাদের কথা বলা শুরু করা। কোনো শিশু যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কথা বলা শুরু না করে, সেটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে। শিশুর কথা বলতে না শেখার যেমন কিছু পারিপার্শিক কারণ থাকতে পারে, তেমনি নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল সমস্যার কারণেও এটি হতে পারে। এ বিষয়ে মা-বাবার সচেতন হওয়া জরুরি এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।</p> <p>বাচ্চা সাধারণত ১৮ থেকে ২০ মাস বয়সের মধ্যে কিছু শব্দ ব্যবহার করা শুরু করে। যদি এর মধ্যে বাচ্চার কথা বলার কোনো লক্ষণ দেখা না যায়, তবে মা-বাবার তা লক্ষ করা উচিত। এ ছাড়া দুই বছর বয়সের মধ্যে বাচ্চার শব্দভাণ্ডারে যথেষ্ট পরিমাণ শব্দ থাকা উচিত। যদি অন্য বাচ্চাদের তুলনায় আপনার সন্তানের কথা বলার হার ধীর হয়, তবে দেরি না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="প্লাসিবো ইফেক্ট: মনের শক্তিতে শারীরিক সুস্থতা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729322887-5fa1e76c57450aa2f32b357360c0ff6b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>প্লাসিবো ইফেক্ট : মনের শক্তিতে শারীরিক সুস্থতা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/19/1436757" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>কিভাবে বুঝবেন</strong><br /> ৬ মাসে বাচ্চা বিভিন্ন শব্দ করতে শুরু করে। ৯ মাসে তারা অসংলগ্ন ভাষায় শব্দ করে, যা শুনতে কথা বলার মতো মনে হয়। ১ বছর বয়সে তারা ছোট ছোট নির্দেশনা বুঝতে পারে, যেমন ‘এসো’ বা ‘হাত দেখাও’।</p> <p>দেড় বছর বয়সে ১৮-২০টি শব্দ তাদের আয়ত্তে আসে। দুই বছর বয়সে বাচ্চার ২৫০টির মতো শব্দ জানা ও বলতে পারা উচিত। <br /> ৩ বছর বয়সে তারা প্রায় ৯০০ থেকে ১০০০ শব্দ আয়ত্ত করতে পারে এবং ছোট বাক্য গঠন করতে শুরু করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মাইগ্রেনের ব্যথা কেন হয়? কিভাবে বাঁচবেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/17/1729162973-2abfb47b9a0625d8803838c236713ebe.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মাইগ্রেনের ব্যথা কেন হয়? কিভাবে বাঁচবেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/10/17/1436135" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>কথা না শেখার কারণ</strong><br /> বাচ্চারা মোবাইল ফোন, টিভি কিংবা কম্পিউটারের স্ক্রিনে অতিরিক্ত সময় কাটালে তাদের কথা বলার ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা এক বছর বয়সের মধ্যে দৈনিক ২-৪ ঘণ্টা স্ক্রিন সময় ব্যায় করে, তাদের মধ্যে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বেশি দেখা যায়।</p> <p>অনেক বাচ্চার জগৎ মা-বাবা এবং চার দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। যদি শিশু চারপাশে কথা বলার মানুষ না পায়, তাহলে স্বাভাবিকভাবে তাদের শব্দভাণ্ডারও কম থাকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="উচ্চ রক্তচাপ কমানোর দশ উপায়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729076365-52cc7ab2aa4c4b5d0177ec10c9cdd652.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ১০ উপায়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/10/16/1435781" target="_blank"> </a> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="অতিরিক্ত ঘুম কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/15/1728974678-8e276948e8b53629810ebd8def9b384a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>অতিরিক্ত ঘুম কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/15/1435334" target="_blank"> </a></div> </div> </div> </div> <p><strong>করণীয়</strong><br /> বাচ্চার স্ক্রিন টাইম কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাকে মোবাইল ফোন না দিয়ে, তাদের সঙ্গে কথা বলুন, গল্প বলুন, গান গাইতে উৎসাহ দিন। বাচ্চাদের সামনে বাবা মায়েরও উচিত মোবাইল ফোন বা টিভি স্ক্রিনে বেশি সময় ব্যয় না করা। </p> <p>বাচ্চাদের রঙিন এবং আকর্ষণীয় কিনে বই দিন। তাদের বই পড়ে শোনান। এতে তারা নতুন শব্দ শিখবে এবং কথা বলার জন্য উৎসাহিত হবে।</p> <p>যদি মনে হয়, আপনার সন্তান বয়স অনুযায়ী কথা বলছে না, তবে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। স্পিচ-ল্যাঙ্গোয়েজ প্যাথোলজিস্ট বা থেরাপিস্টদের সাহায্য নিয়ে সন্তানের স্পিচ থেরাপি করানো যেতে পারে।</p> <p>সূত্র : ইউনিসেফ</p> <p> </p>