বাড়ির ভেতরে খালি পায়ে হাঁটলে উপকার নাকি ক্ষতি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
বাড়ির ভেতরে খালি পায়ে হাঁটলে উপকার নাকি ক্ষতি
সংগৃহীত ছবি

অনেকেই বাড়িয়ে ভেতরে জুতা পরে হাঁটেন। কেউ কেউ আবার পছন্দ করেন বিশেষ ধরনের নরম জুতা। আবার এর বিপরীত মতও রয়েছে। কারো কারো বিশ্বাস খালি পায়ে হাঁটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

কিন্তু এই দাবি কি আদৌ সঠিক? বাড়ির ভেতরে খালি পায়ে হাঁটা স্বাস্থ্যকর নাকি অস্বাস্থ্যকর, তা নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

খালি পায়ে হাঁটার সুবিধা

পায়ের পেশি শক্তিশালী করে: খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের ছোট ছোট পেশিগুলো সক্রিয় হয় এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এর ফলে পায়ের গঠন ঠিক থাকে এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে।

স্নায়ু উদ্দীপিত হয়: পায়ের তলায় অনেক স্নায়ু থাকে। খালি পায়ে হাঁটলে এই স্নায়ুগুলো উদ্দীপিত হয়, যা শরীরের জন্য উপকারী।

রক্তচাপ কমায়: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে খালি পায়ে হাঁটলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।

আরো পড়ুন
নারকেলের দুধে কী উপকার, জেনে খাচ্ছেন তো?

নারকেলের দুধে কী উপকার, জেনে খাচ্ছেন তো?

 

মানসিক চাপ কমায়: খালি পায়ে ঘাস বা নরম মাটিতে হাঁটলে মানসিক চাপ কমে এবং মন শান্ত হয়।

খালি পায়ে হাঁটার অসুবিধা

আঘাতের ঝুঁকি: ঘরের মেঝে পরিষ্কার না থাকলে খালি পায়ে হাঁটলে ধারালো কিছুতে পা লেগে কেটে যেতে পারে বা আঘাত লাগতে পারে।

সংক্রমণের ঝুঁকি: খালি পায়ে হাঁটলে মাটি বা মেঝের জীবাণু পায়ে লেগে সংক্রমণের সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরো বেশি। কারণ ডায়াবেটিক রোগীরা অনেক সময় পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিতে ভোগেন। ফলে পায়ে ক্ষত হলেও বুঝতে পারেন না।

আরো পড়ুন
নতুন যে আপডেট নিয়ে আসছে টেলিগ্রাম

নতুন যে আপডেট নিয়ে আসছে টেলিগ্রাম

 

পায়ের সমস্যা: যাদের পায়ের পাতা সমতল বা অন্য কোনো পায়ের সমস্যা আছে, তাদের খালি পায়ে হাঁটলে সমস্যা বাড়তে পারে।

সব মিলিয়ে বাড়ির ভেতরে খালি পায়ে হাঁটা উচিত কি না, তা নির্ভর করে আপনার শারীরিক অবস্থা এবং পরিবেশের ওপর। যদি আপনার পায়ের কোনো সমস্যা না থাকে এবং মেঝে পরিষ্কার থাকে, তাহলে খালি পায়ে হাঁটতে পারেন। তবে যদি আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হোন বা আপনার পায়ের স্নায়ু দুর্বল থাকে, তাহলে খালি পায়ে হাঁটা উচিত নয়।

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ক্যান্সার প্রতিরোধী লালশাক

শেয়ার
ক্যান্সার প্রতিরোধী লালশাক
সংগৃহীত ছবি

লালশাকে উপস্থিত আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি শরীরের একাধিক বিষাক্ত উপাদান দূর করে। সেই সঙ্গে এটি ক্যান্সার প্রতিরোধী। 

লালশাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। গবেষকদের মতে, লালশাকে থাকে ভিটামিন এ, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য উপকারী।

লালশাকে প্রচুর আয়রন রয়েছে। তাই নিয়মিত এ শাক খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়। 

রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়। লালশাকে ক্যালোরির পরিমাণ তুলনামূলক কম থাকে।

তাই এটি বাড়তি ওজন কমাতেও সহায়ক। 

লালশাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বা আঁশ থাকে, যা হজমে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদহজমের আশঙ্কা কমে। রঙিন সবজি হওয়ার কারণে শিশুরা লালশাক খেতে পছন্দ করে।

মানবদেহের দাঁত ও অস্থি গঠনে, দাঁতের মাড়ির সুস্থতা রক্ষায় এবং মস্তিষ্কের বিকাশে লালশাকের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

পড়তে বসলেই ঘুম? সমাধান জেনে নিন

শেয়ার
পড়তে বসলেই ঘুম? সমাধান জেনে নিন
সংগৃহীত ছবি

পড়াশোনা করতে বসলে অনেকেরই চোখে ঘুম চলে আসে। বিশেষ করে পরীক্ষার আগে। ছোটরা তো বটেই, কৈশোরে পা রাখা ছাত্র-ছাত্রীরাও এ সমস্যার মুখোমুখি হন। এর পেছনে শারীরিক ক্লান্তি এবং শক্তির অভাব একটি বড় কারণ হতে পারে।

তাই অনেকেই পরীক্ষার আগে সন্তানকে প্রোটিন এবং দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করেন, যাতে শরীরের উদ্দীপনা বজায় থাকে। 

অনেকে কফি খেয়ে ঘুমের সমস্যা কাটাতে চান। কিন্তু কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরের জন্য ভালো নয়। সাময়িকভাবে কফি মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে পারে।

তবে অতিরিক্ত কফি খেলে অনিদ্রা রোগের কারণ হতে পারে। 

কফি ছাড়াও অন্য পানীয় উপকারী হতে পারে। পুষ্টিবিদেরা খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ ডাবের পানি শরীরে বাড়তি শক্তি দেয়।

তবে শুধু ডাবের পানি নয়, তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন গোলমরিচ, চিয়া সিড এবং জিরা গুঁড়া। পানীয়টি খেতে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর।

আরেকটি ভালো বিকল্প হলো গ্রিন টি। আপনি চাইলে গ্রিন টির সাথে পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারেন। পুদিনা পাতা শরীরকে সতেজ রাখে।

এটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিপাক হার বাড়িয়ে দেয়।

সূত্র: এই সময়

মন্তব্য

খুশকির সমস্যা সমাধানে লেবু

শেয়ার
খুশকির সমস্যা সমাধানে লেবু
সংগৃহীত ছবি

চুলের যত্নে আপনার হাতের কাছে থাকা লেবু হতে পারে একটি দারুণ উপকরণ। লেবুতে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬সহ আরো অনেক উপাদান থাকে যা চুলের জন্য উপকারী।

খুশকির সমস্যা হলে লেবু খুবই কার্যকরী। অনেকেই লেবুর রস মাথার ত্বকে ও চুলের গোড়ায় দিয়ে কিছুক্ষণ পরে চুলে শ্যাম্পু করেন।

তবে লেবুর রসে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকায় সরাসরি ত্বকে লাগানো ঠিক নয়, বিশেষ করে স্পর্শকাতর ত্বকে। তাই লেবুর রস অন্য উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা ভালো।

আপনি লেবুর রস নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। অথবা লেবুর রস পানিতে মিশিয়েও ব্যবহার করা যাবে।

এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ও চুলের গোড়ায় ভালো করে মালিশ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং চুলের গোড়া শক্তিশালী হবে।

লেবুর রস বেশি সময় ধরে মাথায় রেখে দেওয়া যাবে না। ১০ মিনিটের বেশি রাখা উচিত নয়।

কারণ এর অ্যাসিডের কারণে ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।

সূত্র: এই সময়
 

মন্তব্য

কম রক্তচাপের সমস্যা? সুস্থ থাকতে যে খাবারগুলো খেতে পারেন

শেয়ার
কম রক্তচাপের সমস্যা? সুস্থ থাকতে যে খাবারগুলো খেতে পারেন
সংগৃহীত ছবি

সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকের মাথা ঘোরা শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি হাত-পায়ের তলায় ঝিম ধরা, চোখেমুখে অন্ধকার দেখার মতো নানা সমস্যা তৈরি হয়। এগুলো হচ্ছে কম রক্তচাপের লক্ষণ। উচ্চ রক্তচাপ যেমন ক্ষতিকর, তেমনি রক্তচাপ কম হওয়া থেকেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রক্তচাপ ওঠানামা করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে লো ব্লাড প্রেশারের রোগীদের খাদ্যাভ্যাসে কিছু বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। 

চলুন জেনে নিই, রক্তচাপ কম থাকলে যা যা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

পানি ও তরল খাবার
রক্তচাপ কম থাকলে শরীরে পানির অভাব হতে দেওয়া উচিত নয়।

তাই তরল খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া বেশি করে পানি পান করা আমাদের সবার উচিত। 

ভিটামিন বি-১২
শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর অভাব হলে রক্তাল্পতার ঝুঁকি বাড়ে। যার কারণে রক্তচাপও কমে যেতে পারে।

এ কারণে মাছ, ডিম, টক দই এবং মুরগির মাংস বেশি খাওয়া উচিত। কারণ এগুলোতে ভিটামিন বি-১২ প্রচুর পরিমাণে থাকে।

লবণাক্ত খাবার
লো ব্লাড প্রেশারের রোগীদের জন্য পরিমিত পরিমাণে লবণাক্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে তবে অতিরিক্ত নয়। কাঁচা লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। লবণযুক্ত খাবার যেমন স্যুপ, সালাদ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

লবণের পরিমাণ পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিক করা উচিত।

এভাবে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

সূত্র : এই সময়
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ