অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খেলে কী হয়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খেলে কী হয়
সংগৃহীত ছবি

আমাদের মধ্যে অনেকেরই খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। ভাত, রুটি, মুড়ি-চানাচুর— যাই বলেন না কেন, অনেক কিছুর সঙ্গেই কাঁচা মরিচ খাওয়া যা। কেউ কম খান আবার কেউ বেশি। কাঁচা মরিচ খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

তবে অতিরিক্ত খেলে কী হয়— তা অনেকেই জানেন না। এতে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক। 

অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খেলে কী হয়

পেট জ্বালা: অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা মরিচ খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে।

পেট জ্বালা করতে পারে। এ ছাড়া আলসারের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর প্রভাবে শরীরে অনেক জটিল সমস্যা হতে পারে। পরপর কয়েকদিন বেশি পরিমাণে কাঁচা মরিচ খাওয়া হয়ে গেলে পেটের সমস্যায় মারাত্মকভাবে ভুগতে পারেন।
পেটে ব্যথা ও জ্বালার পাশাপাশি আরো অনেক ধরনের কষ্টকর অস্বস্তি হতে পারে। তাই সাবধানে থাকা জরুরি।

আরো পড়ুন
বিশ্বজুড়ে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

বিশ্বজুড়ে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

 

এসিডিটি: যাদের এসিডিটির সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা মরিচ একেবারেই খাবেন না। বেশি কাঁচা মরিচ খেলে এসিড রিফ্লাক্সের পরিমাণ বেড়ে যায়। তীব্র এসিডিটির সমস্যায় ভুগতে পারেন।

কিছু খেলেই চোঁয়া ঢেকুর উঠতে পারে। গলা জ্বালা করতে পারে সামান্য কিছু খেলেই। খালি পেটে সামান্য সময় থাকলেই ঢেকুরের সঙ্গে মুখে টক পানি উঠে আসতে পারে, যা এসিড রিফ্লাক্সের ফলাফল। 

বদহজম: অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা মরিচ খেয়ে ফেললে বদহজমের সমস্যা বাড়বে। তাই পেটের সমস্যা থাকলে কাঁচা মরিচ বেশি খাবেন না। প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মরিচ খেয়ে ফেললে ডায়েরিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে মারাত্মক আকারে। বদহজমের সমস্যা বেশি হলে তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে এসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যাও।

আরো পড়ুন
ঈদ আতিথেয়তা জমবে ভিন্ন স্বাদের কাবাবে

ঈদ আতিথেয়তা জমবে ভিন্ন স্বাদের কাবাবে

 

ত্বকের সমস্যা: বেশি পরিমাণে কাঁচা মরিচ খেয়ে ফেললে ত্বকেও ইরিটেশন হতে পারে। তাই যাদের ত্বক সেনসিটিভ, তারা সতর্ক থাকুন। অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খেলে অনেক সময় ত্বকে জ্বালা, যন্ত্রণা, র‍্যাশ, চুলকানি, লালচেভাব দেখা যায়। এগুলো সবই প্রায় অ্যালার্জির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তাই প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো। 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কেন প্রতিদিন প্রয়োজন? জানুন কারণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কেন প্রতিদিন প্রয়োজন? জানুন কারণ
সংগৃহীত ছবি

শরীর সুস্থ রাখতে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম, যা ভিটামিন ও মিনারেলের মাধ্যমে পূর্ণ হয়। এসব পুষ্টি উপাদান শরীরের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স একটি এমন গ্রুপ, যা বিভিন্ন ভিটামিনের সমন্বয়ে গঠিত। সব বয়সের মানুষের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিন শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীতে সাহায্য করে। যেমন লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করা, পেশী সুস্থ রাখা, এবং মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করা। এই ভিটামিনগুলোর মধ্যে ছয়টি প্রধান ভিটামিন রয়েছে—থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিকোটিনামাইড, ক্যালসিয়াম প্যানটোথেনেট, পাইরিডক্সিন ও সায়ানোকোবালামিন। 

ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিনই পানিতে দ্রবণীয়।

অর্থ্যাৎ এগুলো শরীরে জমা হয় না। তাই প্রতিদিন ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা জরুরি।

ভিটামিন বি ১২ প্রধানত দুগ্ধজাত পণ্য ও আমিষে পাওয়া যায়। তবে অন্যান্য ভিটামিন বি পাওয়া যায় ডিম, সবুজ শাকসবজি, বাদাম, সয়াবিন, মাশরুম, তিল বীজ ও অঙ্কুরিত শস্যে।

সূত্র : কলকাতা ২৪×৭ 

মন্তব্য

সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খাওয়া কেন ক্ষতিকর? জানুন কারণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খাওয়া কেন ক্ষতিকর? জানুন কারণ
সংগৃহীত ছবি

চা ছাড়া দিনের শুরু ভাবতে পারেন না, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। বেশিরভাগ মানুষই চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেয়ে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কি শরীরের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর? চলুন, জেনে নিই।

বর্তমানে অনেক মানুষ পেটের সমস্যায় ভুগছেন, বিশেষত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়।

খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু যারা শুধু চা ও বিস্কুট খেয়ে দিন শুরু করেন, তাদের জন্য এটি একদম ভালো নয়। এতে পেটের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে  এবং একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।

যারা চায়ের সঙ্গে মিষ্টি বিস্কুট খান, তাদের শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে।

খালি পেটে মিষ্টি বিস্কুট খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দাঁতের ক্ষয়ও হতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খাওয়া পরিহার করুন।

যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বিস্কুট খাওয়া ক্ষতিকর।

বিশেষত, বিস্কুটে থাকা সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যদি বিস্কুট খেতেই চান, তবে আটার তৈরি বিস্কুট বেছে নিন, যা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

খালি পেটে চা ও বিস্কুট খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ চা ও বিস্কুটে প্রচুর ক্যালোরি থাকে, যা দ্রুত ওজন বাড়াতে পারে। ফলে আপনি সহজেই মোটা হয়ে যেতে পারেন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যা হতে পারে।

যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তারা সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খেলে গ্যাস বা হজমের সমস্যা আরো বাড়াতে পারে। চায়ে থাকা ক্যাফেইন ও ট্যানিন হজম প্রক্রিয়া কমিয়ে দেয়। তাই সকালে চা-বিস্কুট খাওয়ার আগে কিছু খাবার খেয়ে নিন।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ফ্রিজে বিস্ফোরণ? জানুন কীভাবে দুর্ঘটনা এড়াবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ফ্রিজে বিস্ফোরণ? জানুন কীভাবে দুর্ঘটনা এড়াবেন
সংগৃহীত ছবি

গরমে এসি ও ফ্রিজের কম্প্রেসার ফেটে বিস্ফোরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কীভাবে এমন বিস্ফোরণ ঘটে এবং কীভাবে তা থেকে বাঁচা যায়, জেনে রাখা প্রয়োজন।

ত্রুটিপূর্ণ তারের সংযোগ
পুরনো রেফ্রিজারেটরের তারের সংযোগ ভালো করে পরীক্ষা করুন।

খারাপ তারের কারণে কম্প্রেসার অতিরিক্ত গরম হতে পারে। যা বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।

ফ্রিজের জন্য সঠিক জায়গা
ফ্রিজের পিছনে যদি দেয়াল থাকে, তবে সেখানে কিছুটা জায়গা রেখে রাখুন। সঠিক বায়ু চলাচল না হলে ফ্রিজ গরম হয়ে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

পুরনো রেফ্রিজারেটর
১০ বছরের বেশি পুরনো রেফ্রিজারেটরের নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। পুরনো কম্প্রেসারে সমস্যা হলে, তা বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।

শর্ট সার্কিট
শর্ট সার্কিটের কারণে রেফ্রিজারেটরে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই নিয়মিত সার্ভিসিং করা উচিত, অন্তত বছরে দুইবার।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

মন্তব্য

জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের কয়েকটি লক্ষণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের কয়েকটি লক্ষণ
সংগৃহীত ছবি

হৃদরোগ পৃথিবীর অন্যতম প্রধান মৃত্যুর কারণ। এর মধ্যে অনেক মৃত্যুই ঘটে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেওয়ার কারণে। হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো যদি সময়মতো চিহ্নিত করা যায়, তবে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এই লক্ষণগুলো উপেক্ষা করেন।

চলুন, জেনে নিই হার্ট অ্যাটাকের কিছু সাধারণ লক্ষণ। 

বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে চাপ, ব্যথা, চেপে ধরা বা জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। এই ব্যথা কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে বা বারবার ব্যথা ফিরে আসতে পারে।

শরীরের উপরের অংশে ব্যথা: বুকের ব্যথার সঙ্গে বাহু, ঘাড়, পেট, পিঠ বা চোয়ালে ব্যথা হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট: বুকে ব্যথা ছাড়াও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা কমে গেলে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, ফলে শ্বাসকষ্ট হয়।

বমি বমি ভাব বা বমি: হার্ট অ্যাটাকের সময় অনেকের ক্ষেত্রে বমি বা বমি বমি ভাব হতে পারে।

অতিরিক্ত ঘাম: কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ ঠান্ডা ঘাম হতে পারে, সঙ্গে মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা হতে পারে।

অস্বাভাবিক ক্লান্তি: হঠাৎ দুর্বল বা অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।

মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু ভিন্ন লক্ষণও দেখা যেতে পারে, যেমন পেটে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, বা চোয়ালে ব্যথা।

এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি অনুভব করলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়াই শ্রেয়। চিকিৎসা শুরু করার সাথে সাথে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেক বাড়ে। 

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ