পাথরঘাটায় মাছের পোনা নিধন বন্ধে বসুন্ধরা শুভসংঘের কর্মশালা

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
পাথরঘাটায় মাছের পোনা নিধন বন্ধে বসুন্ধরা শুভসংঘের কর্মশালা

বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী, বলেশ্বর নদসহ খাল-বিলে পোনা মাছ নিধন বন্ধে স্থানীয় জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ পাথরঘাটা উপজেলা শাখা। আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পাথরঘাটা পৌরভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিষখালী নদীর পারে উত্তরণ আবাসনে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে এ সচেতনতা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

উত্তরণ আবাসনের সভাপতি আ. ছোবাহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বসুন্ধরা শুভসংঘ পাথরঘাটা উপজেলা শাখার  উপদেষ্টা ও দৈনিক  কালের কণ্ঠের পাথরঘাটা প্রতিনিধি মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ, উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী শিকদার, দৃষ্টি মানব কল্যাণ সংস্থা সভাপতি সোহাগ আকন প্রমুখ।

‘শুভ কাজে সবার পাশে’—এ স্লোগান নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশব্যাপী সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় পাথরঘাটা উপজেলা শাখার বন্ধুরা নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধন বন্ধে কাজ করে যাচ্ছেন। নির্বিচারে পোনা মাছ ও প্রজননক্ষম মাছ নিধন মৎস্যসম্পদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায়। পাথরঘাটায় জেলেদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ এই উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উপস্থিত জেলেরা বলেন, ‘একসময় নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধন করা হতো।

এখন আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি হওয়ায় আস্তে আস্তে তা কমে আসছে। যা অব্যাহত থাকলে দেশীয় ও সামুদ্রিক মাছ আরো বেশি পাওয়া যাবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা শুভসংঘের মৌলভীবাজার শাখার কমিটি ঘোষণা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
শেয়ার
বসুন্ধরা শুভসংঘের মৌলভীবাজার শাখার কমিটি ঘোষণা
এম মুহিবুর রহমান মুহিব (বাঁয়ে) এবং আবু তাহেল রানা

‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানে বসুন্ধরা শুভসংঘের মৌলভীবাজার জেলা শাখার ২০২৫ সালের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে এম মুহিবুর রহমান মুহিব এবং সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেল রানা মনোনীত হয়েছেন।

গতকাল রবিবার (১৩ এপ্রিল) বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী এক বছরের জন্য ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ ছাড়া মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক প্রফেসর ড. ফজলুল আলীকে প্রধান উপদেষ্টা করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

অন্য উপদেষ্টারা হলেন মৌলভীবাজার জেলা আইন কর্মকর্তা (জিপি) অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ মম, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।  

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সুফায়েল আহমেদ খান, সহসভাপতি, ফখরুল ইসলাম, সহসভাপতি কামরুজ্জামান শিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ফাহাদ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রাহেল আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হামজা চৌধুরী (সুসান) সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইমরান সাজু, অর্থ সম্পাদক হোসাইন আহমদ, দপ্তর সম্পদ মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, ইভেন্ট সম্পাদক জায়দুল ইসলাম মামুন, কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকারিয়া হোসেন ইমন, প্রচার সম্পাদক মুহিবুল ইসলাম সাম্মু, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আবু নছর চৌধুরী রাহি, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক তিতাস দাশ তীর্থ, ক্রীড়া সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ রাকু, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইফতেখার আহমদ শাফি, শিক্ষা ও পাঠ্যচক্র বিষয়ক সম্পাদক, জাকারিয়া আহমেদ জাকের, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ওয়ালিদ আহসান চৌধুরী নাহিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মিনহাজ আহমেদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক তুষার আহমেদ। 

কার্যকরী সদস্যরা হলেন শেখ সালমান আহমদ, আরিফ তালুকদার, তানভীর আলম বিজয়, মো. রাহিদ আহমদ, মো. ছাইদ আহমেদ, তৌফিকুল ইসলাম, রুমান তালুকদার অভি, সৈয়দ মারুফুর রহমান মামুন, মো. রাফি আহমদ, রাকিব হোসেন ইমন, রকি আহমদ। 

বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের একটি সামাজিক সংগঠন।

সংগঠনটি রাস্তাঘাটে সৌন্দর্যবর্ধন, আর্থিক অনুদান, শীতবস্ত্র বিতরণ, দুস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার ও খাবার বিতরণ, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে বিনা মূল্যে গাছ বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, পথ শিশুদের পড়াশোনার ব্যবস্থাসহ নানা সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে।

মন্তব্য

কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মানববন্ধন করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মানববন্ধন করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ
সংগৃহীত ছবি

বসুন্ধরা শুভসংঘ কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার উদ্যোগে ‘নিরাপদ সড়ক ও আমাদের সচেতনতা’  শীর্ষক মানববন্ধন ও পথসভা করেছে সংগঠনের সদস্যরা। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সফিপুর বাজার এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল)  সকাল ১০টার দিকে এ মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শুভসংঘের বন্ধুরা পোস্টারে নানা সচেতনতামূলক লেখা প্রদর্শন করেন। 

পথসভায় বক্তারা বলেন, নিরাপদ সড়ক আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সড়ক ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌঁছাতে চায়। কিন্তু অসচেতনতা, ট্রাফিক নিয়ম না মানা, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং অদক্ষ চালকের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে অনেক মানুষ আহত বা নিহত হয়। নিরাপদ সড়কের জন্য আমাদের সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

আরো পড়ুন
আমরা পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চাচ্ছি : প্রেসসচিব

আমরা পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চাচ্ছি : প্রেসসচিব

 

বসুন্ধরা শুভসংঘ কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার সভাপতি জোবায়ের আহমেদ সাব্বির বলেন, প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছে অনেক মানুষ। এ অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়— ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন, অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে হবে। 

বসুন্ধরা শুভসংঘ কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নীরঞ্জন চন্দ্র দাস বলেন,  সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও সচেতনতা জরুরি।

বেপরোয়া গতি ও মোবাইল ব্যবহার করে গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি জুবায়ের আহমেদ সাব্বির, সাধারণ সম্পাদক নীরঞ্জন চন্দ্র দাস, সহ-সাধারণ সম্পাদক নয়ন মিয়া, রাফিজ ফয়সাল রিহাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, রমজান আলী, দপ্তর সম্পাদক শনকিম সরকার,  মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সাদিয়া আরেফিন তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

মন্তব্য

জবি বসুন্ধরা শুভসংঘের ‘তরুণদের নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভা

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
জবি বসুন্ধরা শুভসংঘের ‘তরুণদের নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভা
ছবি : কালের কণ্ঠ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বসুন্ধরা শুভসংঘের একঝাঁক তরুণ সদস্য নিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের ভাবনা নিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘স্বপ্ন, সাহস আর সৃজনশীলতা—এই তিনে ভর করে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে তরুণরাই’ এমন বিশ্বাস থেকেই এ আয়োজন।  

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ৩১৫ নম্বর রুমে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় আলোচকরা গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা, বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের ভূমিকার কথা, তরুণদের দক্ষতার উন্নয়নের নানা পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন।

কেউ কেউ আবার নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন স্বপ্নে দেখান।

জবি শুভসংঘের সভাপতি মো. জুনায়েত শেখের সভাপতিত্বে ‘তরুণদের নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় আরো অংশ নেন কমিটির বিভিন্ন নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

সভায় শুভসংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর আনজুম বিশ্বাস বলেন, গণ-অভ্যুত্থান আমাদের দেখিয়েছে- বাংলাদেশ এখনো স্বপ্ন দেখতে জানে, জানে ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়ে তুলতে। আমরা যারা এই দেশের ভবিষ্যৎ, সেই তরুণ প্রজন্ম, আজ আমাদের কাঁধে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব।

গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ হবে এক সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র— যেখানে মানুষ কথা বলবে মুক্ত মনে, চিন্তা করবে স্বাধীনভাবে।

সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ আব্দুল্লাহ রাদ বলেন, বাংলাদেশ হবে দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন— যেখানে সুযোগ ও সেবার সমান অধিকার পাবে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি মানুষ। যেখানে শিক্ষার মান হবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের, গবেষণায় আমরা প্রতিযোগিতা করব বিশ্বের সঙ্গে, আর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে।

শুভসংঘের সদস্য আবিদা সুলতানা আঁখি বলেন, আমরা চাইলে উদ্যোক্তা হয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি।

চাকরি খুঁজে না বেড়িয়ে, চাকরি দেওয়ার মানুষ হতে পারি। আমরা চাইলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামের কৃষককে শহরের বাজারের সঙ্গে যুক্ত করতে পারি, শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে পারি প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

আইনবিষয়ক সম্পাদক সাকেরুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে পারি, সচেতনতা বাড়াতে পারি স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে, সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে পারি যেকোনো দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে। তরুণ মানেই স্বপ্ন, সাহস আর সৃজনশীলতা। আমরা যদি আমাদের মেধা, সময় আর প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাই, তবে একদিন বাংলাদেশের কোনো মানুষ আর ‘গরিব’ নামে পরিচিত হবে না।

আরেক শিক্ষার্থী ও নবীন সদস্য রাফিজুল ইসলাম বলেন,  দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের অংশগ্রহণ শুধু নয়, পাশাপাশি দরকার বিভিন্ন বিষয়ের দক্ষতাসম্পন্ন জ্ঞান। আমরা যদি প্রযুক্তি, যোগাযোগ, উদ্যোক্তা দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণে পারদর্শী না হই— তাহলে আমরা পরিবর্তন আনতে পারব না। কাজেই দরকার বাস্তবমুখী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও উদ্যোগমূলক পরিবেশ। দক্ষ তরুণ মানেই একটি দক্ষ বাংলাদেশ। আর দক্ষ বাংলাদেশই পারবে দারিদ্র্যকে ইতিহাসের পাতায় পাঠিয়ে দিতে।

বক্তব্যে বসুন্ধরা শুভসংঘের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জুনায়েত শেখ বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমাদের তরুণসমাজ। এই তরুণরাই পারে আধুনিক, শিক্ষিত ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। তবে তার জন্য প্রয়োজন মানসম্পন্ন শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সুযোগ তৈরি। একজন শিক্ষিত, সচেতন ও দক্ষ তরুণ শুধু নিজের জীবন বদলায় না— সে সমাজকেও বদলায়। দারিদ্র্য দূরীকরণে তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়া, প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী হওয়া এবং মানবিক নেতৃত্ব দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, আজকের এই সভা আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে। আমরা সবাই মিলে একটি শিক্ষিত, দক্ষ, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব ইনশাআল্লাহ। 
 

মন্তব্য

ফুলপুরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী বসুন্ধরা শুভসংঘ

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
শেয়ার
ফুলপুরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী বসুন্ধরা শুভসংঘ
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ময়মনসিংহের ফুলপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ ৩০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অংশগ্রহণে হারিয়ে যাওয়া ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ঘুড়ির সৌন্দর্য ও আকাশে নজরকারা দৃশ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ ১০ সংগঠনকে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।  

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে ফুলপুর গোদারিয়া মিনি স্টেডিয়াম খেলার মাঠে ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা। এই উৎসবে অংশ নেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ, আমাদের ফুলপুর, আমাদের ঐতিহ্য, ফুলপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, বন্ধু মহল, ভলান্টিায়ার ফর বাংলাদেশ, গ্রামাউস মডেল একাডেমি, ফুলপুর হেল্প জোনসহ প্রায় ৩০টি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 

জানা যায়, প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
আকাশে আবু সাঈদ-মুগ্ধকে দেখে স্তব্ধ লক্ষাধিক মানুষ

আকাশে আবু সাঈদ-মুগ্ধকে দেখে স্তব্ধ লক্ষাধিক মানুষ

 

ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সকাল ৯টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাট্যমঞ্চ, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনাসভা, প্রশাসন চত্বরে বৈশাখী মেলাসহ জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিকেলে গোদারিয়া মিনি স্টেডিয়াম আকাশের দিকে তাকালেই দেখা যায় হরেক রকমের ঘুড়ি। বিভিন্ন রঙের ঘুড়ি দেখতে শত শত মানুষের আগমন। যেদিকে চোখ যায় মানুষ আর মানুষ।

আকাশের দিকে থাকালেই মনে হয় যেন শত শত পাখি আকাশজুড়ে উড়ছে। ফুলপুর খেলার মাঠে ঘুড়ি প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন ফুলপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল হাসান কামু, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার পরিতোষ সূত্রধর, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শিহাব উদ্দিন খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিষ কর্মকার, ক্রীড়া সংগঠক নজরুল ইসলাম, মাজাহারুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলপুর উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক নিশিত সরকার মিঠু, ফাতেমা আক্তার, শুভসংঘের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক কবি বিল্লাল হোসেন, ইকবাল হোসেন। বিচারকরা ১০টি সংগঠনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

বিজয়ীরা হলেন এ বি এম আরিফুল ইসলাম, বসুন্ধরা শুভসংঘ, আমাদের ফুলপুর, আমাদের ঐতিহ্য, উপজেলা ছাত্রদল, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, ফুলপুর হেল্পজোন। ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ীদের আগামীকাল মঙ্গলবার  সন্ধ্যায় পুরস্কার দেওয়া হবে। 

বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি জিয়াউর রহমান পান্না বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘের ঘুড়ি সবাই প্রশংসা করছেন। এ সংগঠন মানবিক কাজের পাশাপাশি গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ফিরে পেতে কাজ করে সব সময়।’

ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘুড়ি উৎসবকে মাতিয়ে তুলতে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ সব সংগঠনের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি।

ফুলপুর উপজেলার মানুষের আন্তরিকতায় এ নববর্ষ উপলক্ষে অন্য রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারলাম। দুই দিন ধরে চলবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ