ভারতের হাওড়ার চারাবাগান এলাকার ঠাকুর রামকৃষ্ণ লেনের এক বাড়িতে কড়াইয়ে রান্না হচ্ছিল ডিম। আর রান্না করতে গিয়ে গরম কড়াতেই বিকট শব্দে ফেটে গেল। এতটা জোড়ে ডিমটি ফাটে যে গরম তেল ছিটকে যায়। আর তা ছিটকে এসে হাত ঝলসে যায় এক ব্যক্তির।
ভারতের হাওড়ার চারাবাগান এলাকার ঠাকুর রামকৃষ্ণ লেনের এক বাড়িতে কড়াইয়ে রান্না হচ্ছিল ডিম। আর রান্না করতে গিয়ে গরম কড়াতেই বিকট শব্দে ফেটে গেল। এতটা জোড়ে ডিমটি ফাটে যে গরম তেল ছিটকে যায়। আর তা ছিটকে এসে হাত ঝলসে যায় এক ব্যক্তির।
ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় নামের ওই ব্যক্তি তেল ছিটকে এসে হাত ঝলসে যায়। তিনি জানান, আজ সোমবার সকালে বাড়িতে ডিমের কারি বানানোর জন্য তিনি পাড়ার একটি দোকান থেকে চারটি ডিম কিনে এনেছিলেন। সেই ডিমগুলো সিদ্ধ করার পর কড়ায় গরম তেলে দিয়ে ভাজার জন্যে দেওয়া হয়।
ডিমের টুকরো ছিটকে পড়ে চারদিকে। কড়ার গরম তেল ছিটকে আসে গায়েতেও। মুখ ঢাকতে গিয়ে হাতে গরম তেল ছিটকে পড়ে।
এই বিষয়ে দেশটির স্থানীয় চ্যাটার্জিহাট থানা জানিয়েছে অভিযোগ এলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে প্লাস্টিকের ডিম কিংবা ড্রপ খাচ্ছে কুসুম, এমন ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটে। অনেকেই এমন অভিযোগ করে বলেন যে, ড্রপ খাচ্ছে কুসুম।
সূত্র: কলকাতা টাইমস টোয়েন্টিফোর।
সম্পর্কিত খবর
আইকনিক সেলিব্রেশন নাইট এন্ড অ্যাওয়ার্ডস-এর অষ্টম সিজনে সেরা মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে পুরস্কৃত হলেন শারমিন আক্তার। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাওয়া স্কাই লাইন, রাওয়া ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই জাঁকজমকপূর্ণ পুরস্কার অনুষ্ঠানটি ডিজিটাল মিডিয়ার অন্যতম সেরা ব্যক্তিত্বদের সম্মানিত করার জন্য আয়োজিত হয়।
শারমিন আক্তার, যিনি তার ডিজিটাল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। জানা যায়, গত প্রায় ৮ বছর ধরে ফেসবুকে মেকআপ ভেনিটি বাই বৃষ্টি পেজের মাধ্যমে অনলাইনেও অনেক মেকআপ টিউটোরিয়াল দিয়ে শিখিয়ে জাচ্ছেন শারমিন।
পুরস্কারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শারমিন বলেন, ‘এই পুরস্কার আমার কাজের প্রতি অনুপ্রেরণা আরো বাড়িয়ে দিল এবং আমি ভবিষ্যতেও ম্যাকআপ শিল্পে আরো উন্নতি করতে চাই।’
অ্যাওয়ার্ড পেয়ে শারমিন আক্তার তার ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘এটা শুধুমাত্র আমার একার সাফল্য নয়, এটি আমার সকল প্রশিক্ষণার্থী ও সমর্থকদেরও সাফল্য।
২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এই অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা, অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পীসহ এবং মিডিয়া জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। রবিন রাফান তার অনবদ্য কন্টেন্টের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এবং তার ক্রিয়েটিভ কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ডটি পেয়েছেন।
এটিভিইউএসএ-এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও আকাশ রহমান এবং চেয়ারম্যান এশা রহমান এই বেস্ট মেকআপ আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ডটি প্রদান করেন শারমিনকে।
এদিকে ‘আইকনিক সেলিব্রেশন নাইট’ ও ‘অ্যাওয়ার্ডস সিজন-৮’-এ বিভিন্ন প্রতিভাবান তারকা ও শিল্পী তাদের অসাধারণ কাজের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলেন অভিনেতা নীরব হোসাইন, সুমিত সেনগুপ্ত, ইয়াশ রোহান এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস ,তানজিন তিশা ও সেরা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে রবিন রাফান।
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু সংগীতজ্ঞ জর্জ হ্যারিসনের জন্মদিন আজ। ১৯৪৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে যেসব অবাঙালি মহৎ মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা রয়েছে, তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম। তার নামটি বাংলাদেশিদের কাছে শ্রদ্ধা, সম্মানে অনন্য উচ্চতায় আছে।
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে ও অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছিল ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর। ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর আয়োজক ছিলেন ভারতীয় সেতারবাদক ওস্তাদ রবিশঙ্কর ও তার বন্ধু বিটলসখ্যাত জর্জ হ্যারিসন।
এতে অংশ নিয়েছিলেন বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, জর্জ হ্যারিসন, বিলি প্রিস্টন, লিয়ন রাসেল, ব্যাড ফিঙ্গার এবং রিঙ্গো রকস্টারের মতো তারকারা।
কনসার্ট ও অন্য অনুষঙ্গ থেকে প্রাপ্ত অর্থ সাহায্যের পরিমাণ ছিল প্রায় দুই লাখ ৪৩ হাজার ৪১৮ মার্কিন ডলার। এ সহায়তা জাতিসংঘের শিশু সুরক্ষাবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মাধ্যমে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশি শরণার্থীদের সাহায্যার্থে ব্যয় হয়।
স্টিভেন পল জবসের জন্মদিন আজ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবক। অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তাকে পার্সোনাল কম্পিউটার বিপ্লবের পথিকৃৎ বলা হয়।
১৯৫৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি (আজকের দিনে) তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিস্কোতে জন্মগ্রহণ করেন। পরে পল ও ক্লারা জবস দম্পতি তাকে দত্তক হিসাবে গ্রহণ করে নিয়ে এলে তার নাম রাখা হয় স্টিভেন পল জবস।
জবস এর প্রকৃত পিতা-মাতা ছিলেন জোয়ান ক্যারোল এবং আব্দুল্লাহ ফাতাহ জান্দালি।
জবস কুপারটিনো জুনিয়র হাই স্কুলে এবং হোমস্টিড হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। ১৯৭২ সালে তিনি হাই স্কুল শেষ করেন এবং রীড কলেজ়ে ভর্তি হন।
জবস-এর উত্থানের শুরুটা ছিল ‘আর্কেড ভিডিও গেম’ ব্রেকআউটের জন্য সার্কিট বোর্ড তৈরি থেকে। প্রত্যেক চিপের জন্য ১০০ ডলার দেওয়ার প্রস্তাবে তিনি এ কাজে যুক্ত হন।
এরপর জবস ওজনিয়াকের সহায়তায় টেলিফোন নেটওয়ার্ককে নিপূনভাবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় টোন উৎপন্ন করতে একটি কম খরচের ‘ব্লু বক্স’ তৈরি করেন। এতে দীর্ঘ দূরত্বের টেলিফোন কল বিনামূল্যে করা যেত।
১৯৭৬ সালে জবস এবং ওজনিয়াক নিজেদের ব্যবসা শুরু করেন। তারা তাদের কম্পানির নাম দেন ‘অ্যাপল কম্পিউটার কম্পানি’ প্রথম দিকে সার্কিট বোর্ড বিক্রয়ের মাধ্যমে তারা এই কম্পানি চালু করেন।
জবস ‘পিক্সার এ্যানিমেশন স্টুডিওস’-এরও প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে ১৯৮৫ সালে অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের ‘বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের’ সদস্যদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে তিনি অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের থেকে পদত্যাগ করেন এবং ‘নেক্সট কম্পিউটার’ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৯৬ সালে অ্যাপল কম্পিউটার নেক্সট কম্পিউটারকে কিনে নিলে তিনি অ্যাপলে ফিরে আসেন।
জবস অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে বছরে মাত্র ১ মার্কিন ডলার বেতন গ্রহণ করতেন। অবশ্য তার কাছে অ্যাপলের ৫.৪২৬ মিলিয়ন শেয়ার ছিল, যার মূল্য ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও তার কাছে ছিল ডিজনির ১৩৮ মিলিয়ন শেয়ার, যার মূল্য ৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১০ সালে ফোর্বসের হিসাব অনুসারে, স্টিভ জবস এর সম্পত্তির পরিমাণ ৮.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
অক্টোবর ২০১১ পর্যন্ত স্টিভ জবসের নামে ৩৪২টি আমেরিকান উদ্ভাবনের স্বত্ত্ব অধিকার রয়েছে। অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে ভুগে ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর এ মহান উদ্ভাবক মৃত্যুবরণ করেন।
প্রতুল চন্দ্র সরকার বা পি. সি. সরকারের জন্মবার্ষিকী আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি। তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের একজন বিখ্যাত জাদুকর। তিনি আন্তর্জাতিক জাদুকর হিসাবে অন্যতম ছিলেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি জাদু দেখিয়েছেন।
প্রতুলচন্দ্র সরকার ১৯১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বর্তমান বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার (পূর্বে বৃহত্তর ময়মনসিংহ) আশেকপুর গ্রামে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন।
তার জাদু ১৯৩০ সালের দিকে জনপ্রিয় হওয়া শুরু হয়। তিনি কলকাতা, জাপান এবং আরো অনেক দেশেই জাদু দেখিয়েছেন।
প্রতুলচন্দ্র সরকার কলকাতার বাসন্তী দেবীকে বিয়ে করেন।
ভারত সরকার “জাদু সম্রাট পি.সি সরকার” নামে কলকাতাতে একটি সড়কের নামকরণ করেছে। ১৯৬৪ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে। ১৯৪৬ ও ১৯৫৪ সালে জাদুর অস্কার নামে পরিচিত “দ্য ফিনিক্স” (আমেরিকা) পুরস্কার লাভ করেন তিনি। জার্মান মেজিক সার্কেল থেকে “দ্য রয়াল মেডিলিয়ন” পুরস্কার পান।
২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকার তার প্রতি সম্মান জানিয়ে একটি ৫ টাকার স্ট্যাম্প চালু করে।