প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পাবে ২ হাজার ৮৫টি বৌদ্ধ মন্দির

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পাবে ২ হাজার ৮৫টি বৌদ্ধ মন্দির
ফাইল ছবি

আসন্ন বুদ্ধপূর্ণিমায় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত অনুদান হতে সারা দেশের নিবন্ধিত দুই হাজার ৮৫টি বৌদ্ধ মন্দিরে সমহারে বিতরণ করা হবে। বুদ্ধপুর্ণিমার আগেই বিভিন্ন অনুদান বিতরণের জন্য ট্রাস্টিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। আগামী ১৮ মে শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা।

আজ রবিবার সকাল ১১টায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ৮৩তম বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শেখ মো. আব্দুল্লাহ সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে কল্যাণ ট্রাস্টের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী অংশগ্রহণ করেন।

সভায় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিল হতে জরাজীর্ণ বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ শ্মশান সংস্কার এবং দুঃস্থ বৌদ্ধদের মাঝে অনুদান বিতরণের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপত্তার সাথে যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের সাথে বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপানের বিষয়ে সরকারের সকল সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়।

সভায় বৌদ্ধ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বাসন্তী চাকমা এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়াসহ অন্যান্য ট্রাস্টিগণ উপস্থিত ছিলেন। এতে বিশেষ আমন্ত্রণে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী হাসান আহমেদ, যুগ্ম-সচিব (সংস্থা) মু. আ. হামিদ জমাদ্দার এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব জয়দত্ত বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

একদিন নাহিদ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন : শফিকুল আলম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
একদিন নাহিদ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন : শফিকুল আলম
সংগৃহীত ছবি

নতুন রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিতে পদত্যাগ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

 মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম ধারালো রাজনৈতিক মন নাহিদ ইসলাম।

তার বয়স মাত্র ২৬ এবং ইতিমধ্যে একজন নৃশংস স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে একটি জনপ্রিয় বিদ্রোহ নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি দেশের রাজনীতিতে আরো কয়েক দশক বড় বৈশিষ্ট্য হয়ে থাকবেন।

আরও লিখেছেন, আর আল্লাহ জানে, একদিন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন দলের ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

নতুন এই দলের আহ্বায়ক পদে দেখা যেতে পারে নাহিদ ইসলামকে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে নাহিদ ইসলাম। পরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

সেই সরকারে উপদেষ্টা হন নাহিদ ইসলাম।

মন্তব্য

পদত্যাগের চিঠিতে যা লিখেছেন নাহিদ ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পদত্যাগের চিঠিতে যা লিখেছেন নাহিদ ইসলাম
সংগৃহীত ছবি

ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পদত্যাগ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন।

নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আলোচনা শুরু হয়েছে, পদত্যাগ পত্রে ঠিক কী লিখেছেন তিনি। এবার বহুল কাঙ্ক্ষিত সেই পদত্যাগ পত্র প্রকাশ্যে এসেছে।

এতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ চেয়ে আবেদন করেছেন নাহিদ ইসলাম।

পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, ‘আমার সশ্রদ্ধ সালাম গ্রহণ করুন। প্রথমেই আমি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত সহযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থানের পরে ছাত্র-জনতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।

‘বৈষম্যহীন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আপনার নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদে আমাকে সুযোগদানের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। গত ৮ আগস্ট শপথ নেয়া উপদেষ্টা পরিষদে আমি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাই। নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আপনার নেতৃত্বে দায়িত্ব পালনে সদা সচেষ্ট থেকেছি। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমার ছাত্র-জনতার কাতারে উপস্থিত থাকা উচিত মর্মে আমি মনে করি।

ফলে আমি আমার দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেয়া সমীচীন মনে করছি।’

নাহিদ ইসলাম আরো লিখেছেন, ‘এমতাবস্থায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি চাচ্ছি। আমার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করতে মহোদয়কে সবিনয় অনুরোধ করছি।’

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন দলের ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। নতুন এই দলের আহ্বায়ক পদে দেখা যেতে পারে নাহিদ ইসলামকে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে নাহিদ ইসলাম। পরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারে উপদেষ্টা হন নাহিদ ইসলাম।

মন্তব্য

নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে : সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে : সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা
সংগৃহীত ছবি

নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি, মারামারি-কাটাকাটি করলে দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে বলে সতর্ক করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলবেন যে আমি সতর্ক করিনি, আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ না করতে পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি কাটাকাটি করেন, এই দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি আজকে বলে দিলাম, নইলে আপনারা বলবেন যে আমি আপনাদের সতর্ক করিনি।

আমি সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাদের। আমার অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নাই, আমার একটাই আকাঙ্ক্ষা, দেশ এবং জাতিটাকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে ছুটি গ্রহণ করা। আই হ্যাড এনাফ লাস্ট সেভেন–এইট মান্থস, আই হ্যাড এনাফ। আমি চাই, দেশ এবং জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনা নিবাসে ফেরত আসব।

তিনি বলেন, ‘আরেকটা জরুরি বিষয়, যেটা আমি ভাবলাম যে আপনাদের সঙ্গে আমি শেয়ার করি, দেশের এই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের পেছনে কিছু কারণ আছে। প্রথম কারণটা হচ্ছে যে আমরা নিজেরা হানাহানির মধ্যে ব্যস্ত, একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিষোদগারে ব্যস্ত। এটা একটা চমৎকার সুযোগ অপরাধীদের জন্য। যেহেতু আমরা একটা অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করছি, তারা (অপরাধীরা) খুব ভালোভাবেই জানে যে এই সময়ে যদি এসব অপরাধ করা যায়, তাহলে এখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

সেই কারণে এই অপরাধগুলো হচ্ছে, আমরা যদি সংগঠিত থাকি, একত্রিত থাকি, তাহলে অবশ্যই এটা সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।’

পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই— এসব বাহিনী অতীতে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘(তারা) খারাপ কাজের সাথে অসংখ্য ভালো কাজ করেছে। আজকে যে দেশের স্থিতিশীলতা, দেশটাকে যে এত বছর স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, এটার কারণ হচ্ছে, এই সশস্ত্র বাহিনীর বহু সেনা সদস্য, সিভিলিয়ান সবাই মিলে এই অর্গানাইজেশনগুলোকে অসামরিক–সামরিক সবাই মিলে, এই অর্গানাইজেশনগুলোকে ইফেক্টিভ রেখেছে, সেই জন্য আজকে সুন্দর, এতদিন ধরে আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে যারা কাজ করেছে, যদি অপরাধ করে থাকে, সেটার শাস্তি হবে। অবশ্যই শাস্তি হতে হবে।

না হলে এই জিনিস আবার ঘটবে। আমরা সেটাকে বন্ধ করতে চাই চিরতরে। কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে, আমরা এমন ভাবে কাজটা করব, এই সমস্ত অর্গানাইজেশনগুলো যেন আন্ডারমাইন্ড না হয়।’

পুলিশ বাহিনীকে এতোদিনে কার্যকর করতে না পারার পেছনের কারণ উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। একটা বিশাল বড় কারণ হচ্ছে, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে। র‍্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই প্যানিকড। বিভিন্ন দোষারোপ গুম খুন ইত্যাদি। তদন্ত চলছে, অবশ্যই তদন্ত হবে, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, এমন ভাবে কাজটা করতে হবে যেন এই অর্গানাইজেশনগুলো আন্ডারমাইন্ড না হয়। এই অর্গানাইজেশনগুলোকে যদি আন্ডারমাইন্ড করে আপনারা মনে করেন যে, দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিরাজ করবে, সবাই শান্তিতে থাকবেন, এটা হবে না। সেটা সম্ভব না। আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর নয় সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘এই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব খালি সেনা সেনাবাহিনীর না। দুই লক্ষ পুলিশ আছে, বিজিবি আছে, র‍্যাব আছে, আনসার–ভিডিপি আছে। আমার আছে হচ্ছে ৩০ হাজার সৈন্য। এদেরকে আমি এই যে একটা বিরাট ভয়েড, আমি এই ৩০ হাজার সৈন্য দিয়ে, আমি কীভাবে এটা পূরণ করব? ৩০ হাজার থাকে, আবার ৩০ হাজার চলে যায়, ক্যান্টনমেন্টে আরো ৩০ হাজার আসে, এটা দিয়ে আমরা দিন-রাত চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখানে যে সমস্ত উশৃঙ্খল কাজ হয়েছে সেটা আমাদের নিজস্ব তৈরি। এটা আমাদের নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারড। আমরা এইগুলো তৈরি করেছি। এই বিপরীতমুখী কাজ করলে দেশে কখনো শান্তি শৃঙ্খলা আসবে না। এই জিনিসটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিশন হচ্ছে আবার আরেকটা আমাদের সর্বদা আমরা চেষ্টা করব তদন্ত কমিশনকে সহায়তা করতে যে ধরনের সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আমরা করব।’

নির্বাচনের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা দেশে একটা ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইলেকশনের জন্য দিকে ধাবিত হচ্ছি এবং তার আগে যে সমস্ত সংস্কার করা প্রয়োজন অবশ্যই সরকার সেদিকে হেল্প করবেন। আমি যতবারই ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেছি, কমপ্লিটলি অ্যাগ্রিড উইথ মি। দেয়ার শুড বি ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইলেকশন অ্যান্ড দ্যাট ইলেকশন শুড বি উইথইন ডিসেম্বর, অর ক্লোজ টু দ্যাট। যেটা আমি প্রথমেই বলেছিলাম যে, ১৮ মাসের মধ্যে একটা ইলেকশন। আমার মনে হয় যে, সরকার সেদিকেই ধাবিত হচ্ছে। ড. ইউনূস যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন, এ দেশটাকে ইউনাইটেড রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন উনি। ওনাকে আমাদের সাহায্য করতে হবে। উনি যেন সফল হতে পারেন। সেদিকে আমরা সবাই চেষ্টা করব। আমরা একসাথে ইনশাল্লাহ কাজ করে যাব।’

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আসেন, আমরা নিজের নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি না করে, আমরা উই ইউনাইট আওয়ার সেলফ, দেশ জাতি যেন একসাথে থাকতে পারি সেদিকে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের মধ্যে মতের বিরোধ থাকতে পারে। চিন্তা-চেতনার বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু দিন শেষে যেন আমরা সবাই দেশ এবং জাতির দিকে খেয়াল করে, আমরা যেন এক থাকতে পারি। তাহলে এই দেশটা উন্নত হবে। এই দেশটা সঠিক পথে পরিচালিত হবে। না হলে আমরা আরো সমস্যার মধ্যে পড়তে যাব।’

সতর্ক করে দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বাস করেন, উই ডোন্ট ওয়ান্ট টু হেড, ওইদিকে আমরা যেতে চাই না। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। পরে বলবেন যে আমি সতর্ক করিনি। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ না করতে পারেন। নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন। মারামারি কাটাকাটি করেন এই দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা সর্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি আজকে বলে দিলাম নাইলে আপনারা বলবেন যে আমি আপনাদের সতর্ক করিনি। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাদের। এই দেশ সুখে শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না হানাহানি কাটাকাটি মারামারি। সেই উদ্দেশ্যে আমি কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণ করেন না।’

সামরিক বাহিনীর প্রতি অনেকে অকারণে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বলে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘একটা কমন জিনিস আমি দেখতে পাচ্ছি, সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারো কারো, কী কারণে আজ পর্যন্ত আমি আমি এটা খুঁজে পাইনি। আমরা হচ্ছি একমাত্র ফোর্স, যেটা আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, দাঁড়িয়ে আছি প্ল্যাটফর্মে। অফকোর্স নেভি অ্যান্ড এয়ারফোর্স, নেভি চিফ আবার মন খারাপ করে, ইয়া করছে! নেভি এয়ারফোর্স অল উই অল আমাদেরকে সাহায্য করেন। আমাদেরকে আক্রমণ করেন না, আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেন, আমাদেরকে উপদেশ দেন। কোনো একটা সমস্যা হয়ে গেলে আমি নুরুদ্দিন স্যারের শরণাপন্ন হই এবং উনি আমাকে উপদেশ দেন, সিনিয়র জেনারেলরা আমাকে উপদেশ দেন। আমি সবার কাছে শরণাপন্ন হই। আমাদের প্রতি আক্রমণ করেন না। উপদেশ দেন, আমরা অবশ্যই ভালো উপদেশ গ্রহণ করব। আমরা একসাথে থাকতে চাই এবং দেশ এবং জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যে দিতে চাই।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পদত্যাগের পর যা বললেন নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পদত্যাগের পর যা বললেন নাহিদ ইসলাম
নাহিদ ইসলাম।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের কারণ হিসেবে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নতুন রাজনৈতিক দলে অংশ নেওয়ার আগ্রহ রয়েছে, রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পদত্যাগ করেছি।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পদত্যাগের পর যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে এসব বলেন নাহিদ।

 

ছাত্রদের মধ্যে আরো দুজন এখনও সরকারে রয়েছেন। তারা মনে করছেন সরকারে তাদের থাকা দরকার। তারা যখন মনে করবেন তখন সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন বলেও জানান নাহিদ ইসলাম।

আরো পড়ুন
৭ মাসে অনেক কিছু হয়েছে, এনাফ ইজ এনাফ : সেনাপ্রধান

৭ মাসে অনেক কিছু হয়েছে, এনাফ ইজ এনাফ : সেনাপ্রধান

 

তিনি বলেন, আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা ছিলো।

আমরা সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি সবসময়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ছিলো। আমরা এসে এই ব্যুরোক্রেসিকে যেভাবে পেয়েছি সেখানে পুলিশের আত্মবিশ্বাস কম ছিলো, তবে আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও কাজ করেছি।

আমি আশা করবো অন্তর্বর্তী সরকার আগামী দিনে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা, গণ অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা সেটা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবে ও দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যর পরিস্থিতিও ভালো হবে- যোগ করেন নাহিদ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ