'প্রত্যেককেই এই দুর্নীতির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।' একটি টেলিভিশনের টকশোতে বলেছিলেন এ কথা। খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলা কথাটা সত্যি হলো। দুর্নীতির দায়ে শাহেদও ছাড় পেলেন না।
সাহেদের কথাই সত্যি হলো, ভিডিও ভাইরাল
কালের কণ্ঠ অনলাইন
প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার রিজেন্ট হাসপাতালের সাতজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া উত্তরা শাখার পর গতকাল রিজেন্ট হাসপাতাল মিরপুর শাখাকে সিলগালা করে দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভয়ঙ্কর প্রতারক সাহেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে পুলিশ সদর দফতরকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো বঙ্গভবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব অনুষ্ঠানে ছিল সাহেদের সরব উপস্থিতি। গত ১০ বছর ধরে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ছবি উঠিয়ে ফেসবুকে দিয়ে নিজেকে জাহির করতেন।
সাহেদ গ্রেপ্তারের পর থেকেই তার নানা অপকর্ম সামনে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি বলছেন, সরকার কাউকে ছাড় দেবে না, যত অন্যায় করুক। সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে যারা পরিচয় দিয়ে নানা ফায়দা নিচ্ছে তাদের অ্যাড্রেস করা হচ্ছে।
টেলিভিশনের ওই টকশোতে বলছেন, এই যে আমি ঢাকায় ত্রিশ বছর ধরে আছি। আমি কোনোদিন ক্যাসিনোর কথা শুনি নাই। অথচ দেখেন এই শহরে কত ক্যাসিনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সরকার অপরাধীকে ছাড় দেবে না বলে নিজের দলের ভেতর থেকে পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরু করেছে। এই জিকে শামীমের কথাই ধরুন, সে কি ছাড় পেয়েছে?
টকশো'তে যেভাবে কথা আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলেছেন শাহেদ, সেসব যে তিনি নিজেই করছেন তা কে জানতো। ক্রমাগত চেহারা পালটে সাহেদ ঠিকই জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বস্ততার তালিকায়। যার কারণে অবাধে বিচরণ করেছেন সর্বত্র।
সম্পর্কিত খবর

রাজউকে আবেদন না করেই প্লট নেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
অনলাইন ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবদার করে রাজউকে আবেদন না করেই প্লট নিয়েছেন তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ ও পরিবারের অন্য সদস্যদের মালিকানায় ঢাকা শহরে রাজউকের এখতিয়ারাধীন এলাকায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও তা হলফনামায় গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পে প্লট নেন।
প্লট বরাদ্দসংক্রান্ত আইন, বিধি ও নীতিমালা এবং আইনানুগ পদ্ধতি লঙ্ঘন করে শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে রাজউকে কোনো আবেদন না করেই মায়ের কাছে আবদারপূর্বক আবেদন পেশ করেন পুতুল। এরপর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন।
শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চার্জশিটে এসব কথা উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লট জালিয়াতির ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৮ আসামি পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি, হুলিয়া ও ক্রোক পরোয়ানা জারি করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিল এই মামলাটির ধার্য তারিখ রয়েছে।

সাবেক এমপি মোরশেদ আলম গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক

নোয়াখালী-২ আসনের সাবেক এমপি ও বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন, মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
মোরশেদ আলম বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিরও চেয়ারম্যান। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার একাংশ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাটে ৪ মামলা, গ্রেপ্তার ৬০
অনলাইন ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ও হামলা বন্ধের দাবিতে সোমবার সারা দেশে নজিরবিহীন বিক্ষোভ করে বাংলাদেশের মানুষ। বিক্ষোভের সময় কয়েকটি শহরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালায় দুবৃত্তরা।
এসব ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার রাতে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামলা লুটপাটের নিন্দা জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬০ জনকে। এছাড়া, হামলায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আরো মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধিন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলা এবং ভাংচুর জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের জন্য হুমকি স্বরুপ। যারা এই হামলা চালিয়েছে তাদের সবাইকে সনাক্ত করতে ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিবৃতিতে তদন্তকাজে সহায়তার জন্য জনসাধারণকে তথ্য দিতে বলা হয়েছে।