<p>বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬০তম জন্মদিন আজ। তবে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ বছর দলের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে দলটির। তা না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।</p> <p>তারেক রহমান ১৯৬৫ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। তাঁর ডাকনাম পিনো। তিনি ২২ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনে যোগ দেওয়ার আগেই রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। </p> <p>২০০২ সালে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তিনি। এর পরই দেশব্যাপী দলের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। মূল সংগঠনসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে তৃণমূল সভা আয়োজন করা হয়। মূলত এই জনসংযোগ কার্যক্রমের ফলে দলের নেতাকর্মীর তরুণ অংশটির মাঝে তারেক রহমান শুধু দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের পরিচিতি থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপির একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।</p> <p>ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়ে তাঁকে কারাগারে যেতে হয়, নির্যাতনের শিকার হতে হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে যান। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে তিনি দল পরিচালনায় সম্পৃক্ত হন। গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে উচ্চ আদালতের এক আদেশে তাঁর বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। </p> <p>২০০৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে এবং ২০১৬ সালে ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন। </p>