অ্যামাজন অববাহিকার মাছ সাকার মাউথ ক্যাটফিশ এখন দেশের জলাশয়ের বাস্তুতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বভুক শিকারি এই মাছটি স্থানীয়ভাবে চ্যাক বাগা বা রোহিঙ্গা মাছ নামেও পরিচিত। দীর্ঘ গবেষণায় বিপন্ন ও বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলোকে যখন একে একে ফিরিয়ে আনছেন গবেষকরা, তখন সারা দেশের জলাশয়ে হু হু করে বাড়ছে দেশি মাছের শত্রু সাকার। বুড়িগঙ্গা-তুরাগে জাল ফেললে অন্য মাছ না মিললেও উঠছে ১০-১৫ কেজি সাকার মাছ।
নদীতে কিলবিল করছে দেশি মাছের শত্রু ‘সাকার’
অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর প্রাণ বুড়িগঙ্গার বাঁকে বাঁকে এখন কিলবিল করছে রাক্ষুসে সাকার মাছ। তুরাগের কুচকুচে কালো পানিতেও সাকারের রাজত্ব।
গবেষকরা বলছেন, ইতোমধ্যে মাছটি ৬৪ জেলাতেই ছড়িয়ে পড়েছে। পাওয়া গেছে পুকুরেও। মাছটি প্রচুর খাবার খায় ও দ্রুত বংশবিস্তার করে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র বলেন, মাছটি ছড়িয়ে পড়েছে এটা নিশ্চিত। শুধু উন্মুক্ত জলাশয় নয়, আমাদের বিএফআরআইর গবেষণা পুকুরেও মাছটি পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিস্তারিত গবেষণা ছাড়া এটা নিয়ে বেশি বলার সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠানটির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রবিউল আউয়াল বলেন, আমরা বুড়িগঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জলাশয় থেকে মাছটির নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা করে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ক্যাডমিয়ামের উপস্থিতি পেয়েছি। এটা খাওয়ার উপযোগী নয়। তলানির খাবার খাওয়ার জন্য এটা হতে পারে। মাছটিকে পানি ছাড়া তিন দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে দেখেছি। এটা বিস্ময়কর। মাছটির দেহে ভারী ধাতু কীভাবে আসছে, পানি বা অক্সিজেন ছাড়া কীভাবে বেঁচে থাকছে, ভারী ধাতু দূর করে মাছটিকে ব্যবহারের উপযোগী করা যায় কি না- এসব নিয়ে বিস্তর গবেষণা দরকার ছিল। তবে আমাদের ফান্ড ছিল না। দুই মাসে রিপোর্ট দিয়েছিলাম। নিষিদ্ধ হওয়ার পর এটা নিয়ে আর কাজ হয়নি।
এদিকে প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষতিকর বিবেচনায় ২০২২ সালে সাকার মাছের আমদানি, উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মাছটি পেলে মাটিকে পুঁতে ফেলতে বলা হয়। এর পর মৎস্য অধিদপ্তর এ মাছ দেশের জন্য ক্ষতিকর বলে একটি প্রচারপত্র তৈরি করে। এর বাইরে আর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিপণন নিষিদ্ধ করে সংকট বাড়ানো হয়েছে। জেলেরাও মাছটি ধরছে না। ফলে এটা বাড়ছে ও ছড়িয়ে পড়ছে। কার ঠেকা পড়েছে মাছ নিয়ে গিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলবে? তাতে তার লাভ কী? নিষিদ্ধের আগে মাছটির পুষ্টিগুণ, খাওয়ার উপযোগিতা, প্রজনন মৌসুম ও অন্যান্য দিক নিয়ে বিস্তর গবেষণা করলে এটাকে হয়তো সম্পদে পরিণত করা যেত। বিশ্বের অনেক দেশে মাছটি মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রাণী খাদ্য, সার, কসমেটিক্স তৈরি করা হচ্ছে। এটা বাংলাদেশেও সম্ভব। দূষিত পানির মাছ বিষমুক্ত করে ব্যবহার করা যায়। সরকার প্রকল্প করে জেলেদের থেকে কিনে নিতে পারে। এরপর সেই মাছ দিয়ে প্রাণী খাদ্য, সারসহ অনেক কিছুই তৈরি করা সম্ভব। এর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করা সম্ভব। হাড় দিয়ে গাছের সার হয়।
সম্পর্কিত খবর

দলগুলো অন্তঃসংঘাত বন্ধ করলে সঠিক সময়ে সংসদ নির্বাচন : উপদেষ্টা মাহফুজ
অনলাইন ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো অন্তঃসংঘাত বন্ধ করলে সঠিক সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে রাজধানীতে নোফেল সোসাইটি আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচনের আগে হত্যাকারীদের বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান হবে। ’৭২ ও ’৭৫-এ দিল্লি থেকে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানো হয় এবং সেখান থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিকে অন্তঃকোন্দলে ব্যস্ত না থেকে সবাইকে এক থাকার আহ্বানও জানান তথ্য উপদেষ্টা।

বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা ‘ক্ষীণ’
অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানে দুই দেশের প্রধানের দেখা হওয়ার সুযোগ থাকলেও আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। গতকাল বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে দুই নেতার ২ এপ্রিল থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংকক সফর করার কথা রয়েছে।
সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের সরকারপ্রধানের বৈঠকের জন্য দিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে ঢাকা। গতকাল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে এ তথ্য জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনজন ব্যক্তি হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে বৈঠকের জন্য অনুকূল নয়।
তাদের একজন অবশ্য বলেন, ‘সাক্ষাৎ বা শুভেচ্ছা বিনিময়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আরেকজন বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক বৈঠক করা কঠিন বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে যখন ঢাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ কেউ প্রায়ই ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলছেন।
বৃহস্পতিবার এএনআইকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ করেছি।’
এদিকে, আগামী ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের।
এর আগে, ফেব্রুয়ারিতে ওমানের রাজধানী মাস্কাটে ৮ম ভারত মহাসাগর সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে উপদেষ্টা তৌহিদের বৈঠক হয়।

ঈদযাত্রায় সড়কপথে শৃঙ্খলায় কঠোর অবস্থানে সরকার
বাসস

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়ক পথে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ, নির্বিঘ্ন করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ঈদ যাত্রা উপলক্ষে নতুন সেতু ও সড়ক খুলে দিয়েছে সরকার। যানজট নিরসন, যাত্রী নিরাপত্তা, টিকিটের অতিরিক্ত দাম ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
এবারের ঈদ যাত্রায় অন্যান্য বারের মতো যেন বিড়ম্বনা তৈরি না হয়, সে জন্য সারাদেশে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশ।
ঈদ উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ হতে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। ২০ মার্চ হতে বিআরটিসি’র ডিপো থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে এবং আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদ সার্ভিসের বাস চলাচল করবে।
সড়কপথে ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে সারাদেশে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের হাইওয়ে ও ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। সারাদেশে তাদের কাজকে আরো গতিশীল করতে সড়ক-মহাসড়কে কাজ করবে জেলা পুলিশ, যা অন্যান্যবারের চেয়ে ব্যতিক্রম। আর ঈদে যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থে ঢাকার মূল সড়কগুলোয় ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখবে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
সারাদেশের ৩ হাজার ৯৯১ কিলোমিটার মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশ ৩৭৭টি চেকপোস্ট এবং জেলা পুলিশ ১১৪টি চেকপোস্ট ও ৫২৭টি টহল দল পরিচালনা করবে।
যানজট নিরসনে সারাদেশে ৬৪টি ‘ব্লাক স্পট’ চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এসব এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য কাজ করবে। এছাড়া যেসব এলাকায় সংস্কার কাজ ও বাজারের জন্য যানজট লেগে যায়, সেসব এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে কাজ করা কথা জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। এর পাশাপাশি সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সারাদেশের চেকপোস্টগুলো লাইভ ভিডিও’র মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। পুলিশের ৮টি রেঞ্জের ডিআইজিগণ এসব চেকপোস্ট তদারকি করবেন। ইতোমধ্যে এলেঙ্গা, চট্টগ্রাম হাইওয়ে, মহিপাল ও নোয়াখালীসহ সড়কে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নাজমুল হাসান বাসস’কে বলেছেন, ঢাকা থেকে যেন বাস সহজে বের হতে পারে সেজন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। ঢাকায় প্রবেশ ও বহির্গমনে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থে ঈদের তিন দিন আগে থেকে সড়কে ট্রাক-লরি চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। প্রয়োজনে এক টনের পিকআপ ট্রাকগুলোর চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার মিঞা বাসস’কে বলেছেন, এবারের ঈদে আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাবো। একইসাথে যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি। যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা যেন না থাকে সেজন্য আমরা সারাদেশের মহাসড়কে টহল, চেকপোস্টসহ নিরাপত্তা জোরদার করছি। এবার সুন্দর ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।

লিবিয়া প্রবাসীদের জন্য দূতাবাসের জরুরি বার্তা
অনলাইন ডেস্ক

লিবিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ অভিবাসনের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অভিবাসন-বিরোধী মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে, পাশাপাশি লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় লিবিয়া সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার, শহরের প্রবেশপথ ও প্রধান সড়কগুলোতে কঠোর তদারকি, অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন এবং মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান তীব্র করার নির্দেশ জারি করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে এবং বিভিন্ন শহরে তাদের আটকের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার (১২ মার্চ) লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে লিবিয়ায় বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসীদের চলাফেরা সীমিত রাখা, নিজের পাসপোর্ট ও নিয়োগকর্তার আইডি কার্ড সবসময় সঙ্গে রাখা এবং নিয়োগকর্তা ও স্থানীয় কয়েকজন লিবিয়ান শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখা জরুরি।
এছাড়া অহেতুক বাহিরে বা বাজারে দলবেঁধে ঘোরাঘুরি ও জনসমাগম এড়িয়ে চলা, প্রতিবেশী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ বজায় রাখা এবং আবাসস্থল যথাসম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। একইসঙ্গে প্রবাসীদের লিবিয়ার আইন, রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করা প্রয়োজন। জরুরি প্রয়োজনে প্রবাসীদের বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার আহ্বান জানিয়েছে দূতাবাস।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও লিবিয়া দুটি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ মুসলিম দেশ এবং দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে সুদৃঢ়।
এছাড়াও দূতাবাস লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছে।