দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে এখন ২৬ লাখ ৬০ হাজার। আগের বছরের একই সময়ে দেশে বেকার জনগোষ্ঠী ছিল ২৪ লাখ ৯০ হাজার। পাশাপাশি বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৪.৪৯ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে তা ছিল ৪.০৭ শতাংশ।
দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে এখন ২৬ লাখ ৬০ হাজার। আগের বছরের একই সময়ে দেশে বেকার জনগোষ্ঠী ছিল ২৪ লাখ ৯০ হাজার। পাশাপাশি বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৪.৪৯ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে তা ছিল ৪.০৭ শতাংশ।
গতকাল রবিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপের তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিবিএস প্রথমবারের মতো এবার শ্রমশক্তি জরিপে ১৯তম আইসিএলএস অনুযায়ী বেকারত্বের হার প্রকাশ করেছে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই এখন এ পদ্ধতির ব্যবহার করে থাকে।
দেশে সেপ্টেম্বর শেষে কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী দাঁড়িয়েছে ছয় কোটি ৭৫ লাখ ১০ হাজারে। এ হিসাব এক বছরের তুলনায় ৩৫ লাখ কম। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত এক বছরে দেশে তেমন কোনো বিনিয়োগ হয়নি। সরকারি-বেসরকারি সব বিনিয়োগই কমেছে।
শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য বলছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশে কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ছয় কোটি ৭৫ লাখ ১০ হাজারে। গত বছরের একই সময়ে দেশে কর্মে নিয়োজিত ছিলেন সাত কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কর্মজীবীর সংখ্যা কমেছে ৩৫ লাখ।
শ্রমশক্তি জরিপে সাধারণত কৃষি, শিল্প ও সেবা—এই তিন খাতের সামষ্টিক হিসাব তুলে আনা হয়। এই তিন খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কৃষি খাতে। এক বছরের ব্যবধানে এ পেশার ১৫ লাখ ৭০ হাজার জনগোষ্ঠী কাজ হারিয়েছেন। সেপ্টেম্বর শেষে এই জনগোষ্ঠী কমে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজারে।
এ ছাড়া অন্য খাতগুলোর মধ্যে শিল্প খাতে সাত লাখ ৬০ হাজার কর্মজীবী কমে এক কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এক বছর আগের একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল এক কোটি ২১ লাখ।
শিল্প খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমানে বিনিয়োগের কোনো পরিবেশ নেই। গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের ধারাবাহিকতার কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তা ছাড়া বিনিয়োগের বাধার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাংকের উচ্চ সুদহার। এমন পরিস্থিতিতে বেকারত্বের হার আরো বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বর্তমানে দেশে বিনিয়োগের কোনো পরিবেশ নেই। গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট, ব্যাংকের সুদের হার বেশি, নানা রকমের সমস্যা, ব্যাংকগুলোর চরম অসহযোগিতাসহ নানা কারণে একেবারেই বিনিয়োগ নেই।’
বিবিএসের সংজ্ঞা অনুযায়ী, বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তারাই, যাঁরা গত সাত দিনে এক ঘণ্টাও কাজ করেননি, কিন্তু কাজের জন্য গত সাত দিন ও আগামী দুই সপ্তাহের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। এ ছাড়া গত ৩০ দিনে বেতন বা মুনাফার বিনিময়ে কোনো না কোনো কাজ খুঁজেছেন, তাঁরাও বেকার হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবেন।
গত এক বছরে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ না থাকা আর গত জুলাই থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী।
তিনি বলেন, দেশে যত বেশি উৎপাদন বাড়বে কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে। গত বছর কিংবা গত জুলাই কিংবা আগস্টের শেষেও নতুন কোনো বিনিয়োগ হয়নি। বিনিয়োগ বাড়লেই দেশে উৎপাদন বাড়বে, ক্যাপাসিটি বাড়বে। তখন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, বেকারত্বের হারও কমবে।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, দেশে বিনিয়োগ না আসায় অনেক কারাখানা এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে পড়েছে, কর্মসংস্থানের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে বিনিয়োগ আরো কমবে, অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে পড়বে, বেকারত্বের হার আরো বাড়বে।
বিবিএসের তৃতীয় প্রান্তিকের এ জরিপে প্রথমবারের মতো ১৩তম আইসিএলএস ও ১৯তম আইসিএলএস দুটি হিসাবই দেওয়া হয়েছে। বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪-এ রোটেটিং প্যানেল স্যাম্পলিং ব্যবহার করা হয়েছে। ফলাফলটি ১৩তম ও ১৯তম আইসিএলএস (পরিসংখ্যানবিদদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন) অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মানবপাচার বন্ধ করতে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠাসহ শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রস্তুত করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে মানবপাচার সংক্রান্ত বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) সাব-গ্রুপের তৃতীয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, মানবপাচারে জড়িতদের জবাবদিহি করার জন্য শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পাচারের বিপদ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের সচেতন করার করার জন্য বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মানবপাচার মোকাবিলায় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, মানবপাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের দক্ষতার সঙ্গে শনাক্তকরণ ও তাদের চাহিদা মূল্যায়ন করে যথাযথ সেবা দেওয়ার জন্য একটি জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। অনলাইনে তৈরি এই প্লাটফর্মে সেবাদাতাদের সঙ্গে ভুক্তভোগীদের সংযুক্ত করা হবে।
পাশাপাশি মানবপাচার সংশ্লিষ্ট বিচারকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বিমসটেক জোটের সদস্য দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করার জন্য পারস্পরিক আইনি সহায়তা ব্যবস্থা আরো বিস্তৃত করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
এ সময় মানবপাচার বন্ধ করতে বিমসটেকের অন্যান্য দেশগুলো যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা অবগত হয়ে দেশের পাচারাবিরোধী কৌশল আরো শক্তিশালী করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, পাচার রোধে সরকারের পদক্ষেপগুলো এড়িয়ে চলতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করে পাচারকারীরা।
এই অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি সম্মিলিত ও কৌশলগত কর্মপদ্ধতি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য ও সেবার বিনিময়ের মাধ্যমে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিমসটেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সম্মিলিত প্রয়াস আমাদের পাচার বিরোধী কৌশলকে আরো শক্তিশালী করতে সক্ষম করবে।
এ সময় আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশকে বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় বিমসটেকভুক্ত সাত সদস্য দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান) মানবপাচার সংক্রান্ত সাব-গ্রপের সংশ্লিষ্ট সদস্যরা অংশ নেন।
মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (৫ এপ্রিল) দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করা হয়। মিসরের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্টের কয়েকটি আবেদন গ্রহণ করা হয় এবং অনুষ্ঠানের অথিতিরা আবেদনকারীদের হাতে ডেলিভারি স্লিপ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিসরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি শিক্ষকরা, আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তা, মিসরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি।
দুই দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে তাদের এ কর্মসূচি।
পরিষদ বলছে, তারা ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে সাবেক বিডিআরের (বর্তমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ–বিজিবি) ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব করে।
পরিষদের দুই দফা দাবি হলো, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সব সুযোগ–সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করা এবং জামিন পাওয়ার পরও মুক্তি না পাওয়া বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দেওয়া।
এর আগে গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আজ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় পরিষদ।
ব্যাটারিচালিত তিন চাকার (ই-রিকশা) রিকশার লাইসেন্স বা চলাচলের অনুমতি দিতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ সংশোধনীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে তিন চাকার রিকশাকে ‘সাধারণ যানবাহন’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত মার্চে অনুষ্ঠিত এ-সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলসংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তবে লাইসেন্স দেওয়ার কথা বললেও নির্দিষ্ট দূরত্বে কত টাকা ভাড়া হবে তা বলা হয়নি। জাতীয় সংসদ বহাল না থাকায় অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এই সংশোধনী করা হতে পারে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দায়ের করা সিভিল মিস, পিটিশন (নম্বর ৮৭১/২০২৪) নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সিটি করপোরেশন অধিক্ষেত্রে তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এসব যানবাহনকে লাইসেন্স (চলাচলের অনুমতি) দেবে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন।
সভায় বিদ্যমান আইনের তৃতীয় তফসিলের অনুচ্ছেদ ১৯.২-এ প্রস্তাবিত ‘তবে শর্ত থাকে যে, তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অনুরূপ যানবাহন মোটরগাড়ি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে না’ বিধানের পরিবর্তে ‘তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা (ই-রিকশা) ও অনুরূপ যানবাহন সাধারণ যানবাহন হিসাবে গণ্য হবে’ বিধান প্রতিস্থাপন করার সুপারিশ করে অধ্যাদেশে সাধারণ যানবাহনের সংজ্ঞা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনের তৃতীয় তফসিলের ১৯.২-এ বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি করপোরেশনের দেওয়া লাইসেন্স ছাড়া নগরীতে (মোটরগাড়ি ছাড়া) অন্য কোনো সাধারণ যানবাহন রাখতে, ভাড়া দিতে বা চালাতে পারবেন না।
তবে বিদ্যমান আইনের তৃতীয় তফসিলের ১৯.৩ অনুযায়ী সিটি করপোরেশন, সরকারের পূর্ব অনুমোদন নিয়ে এবং প্রবিধানের আওতায় নির্ধারিত পদ্ধতিতে সাধারণ যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ করতে পারবে এবং কোনো ব্যক্তি এরূপ নির্ধারিত ভাড়ার অধিক ভাড়া দাবি করতে পারবে না বলে বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে এ-সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো কোনো কিছু নির্ধারণ বা প্রস্তাব করা হয়নি।