আলোচনায় সীমান্ত সমস্যা সমাধানের আশা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

বাসস
বাসস
শেয়ার
আলোচনায় সীমান্ত সমস্যা সমাধানের আশা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সংগৃহীত ছবি

দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান স্থল সীমান্ত চুক্তির অধীনে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত-সম্পর্কিত সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশা করছে বাংলাদেশ।

আজ সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার জন্য বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক চুক্তি কাঠামোর অধীনে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যা সমাধান করা উচিত বলে বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে শূন্যরেখার কাছে ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন বাংলাদেশি আহত হন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

এর আগে, ৭ জানুয়ারি ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) চৌকা সীমান্তের শূন্য রেখা বরাবর একটি কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাধা দেয় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ দান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ দান
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে দান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগে মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

সন্‌জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে নিজের শরীর দানের সিদ্ধান্তটি সন্‌জীদা খাতুন ১৯৯৮ সালে নিয়েছিলেন।

সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবারের সবাই মরদেহ হস্তান্তরের ব্যাপারে সম্মত হই। দান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।’

মরদেহ দানের সময় সন্‌জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ ছাড়াও ছোট মেয়ে রুচিরা তাবাসসুম নভেদ, বড় মেয়ের স্বামী সাংবাদিক নিয়াজ মোরশেদ কাদেরী এবং ছোট মেয়ের দেবর অধ্যাপক মানজারে শামীম উপস্থিত ছিলেন।

বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে কিংবদন্তিতুল্য সন্‌জীদা খাতুনের জীবন কেটেছে গানে গানে, বাঙালির আত্মপরিচয়ের সন্ধানে।

ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় তাঁর মৃত্যু হয়। সেদিন রাতে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়। গত বুধবার দুপুরে তাঁর কফিন নেওয়া হয় ছায়ানট ভবনে।

মন্তব্য

‘ঈদ’ বানানে ফিরছে বাংলা একাডেমি?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘ঈদ’ বানানে ফিরছে বাংলা একাডেমি?
ছবি : বাংলা একাডেমির ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঈদ কার্ড বের করেছে বাংলা একাডেমি। সংস্থাটির মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত ওই কার্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও শেয়ার করা হয়েছে। এতে বাংলা একাডেমি ‘ঈদ’ বানানটি ব্যবহার করেছে।

এরপরই মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি বাংলা একাডেমি ‘ইদ’ থেকে ‘ঈদ’ বানানে ফিরছে?

এই আলোচনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ফেসবুকের একটি পোস্ট।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে আসিফ মাহমুদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের পোস্টে বলা হয়েছে, ‘বাংলা ভাষার শুদ্ধতা ও ঐতিহ্য রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলা একাডেমি—‘ইদ’ থেকে ‘ঈদ’ বানানে ফেরার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।’

বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে মহাপরিচালকের ঈদ শুভেচ্ছার ঈদ কার্ডে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ঈদ মোবারক’। এই কার্ডটিও বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির ফেসবুকে পেজে পোস্ট করা হয়েছে। যাতে সংস্থাটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমের স্বাক্ষর রয়েছে।

এ বিষয়ে ড. মোহাম্মদ আজম জানান, ‘ঈদ’ বানানের মতো বিতর্কিত কিছু শব্দের পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে বাংলা একাডেমি। একটি কমিটি এরই মধ্যে কাজ করছে, সেটি রিফর্ম করে ঈদের পর আরেকটি কমিটি করা হবে। এরপর কমিটির সুপারিশে বাংলা একাডেমির অভিধানে নতুন সংস্করণে এসব পরিবর্তন আনা হবে।

মন্তব্য

চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক আজ

বাসস
বাসস
শেয়ার
চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক আজ
বাঁ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও শি জিনপিং। ছবি : কোলাজ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাতে চীনের রাজধানী বেইজিং পৌঁছেছেন। তিনি আজ শুক্রবার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এরপর অধ্যাপক ইউনূস সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে প্রেসিডেন্সিয়াল বেইজিংয়ে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি ‘ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে’ অংশগ্রহণ করবেন।

চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সম্পর্কে অবহিত এবং বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা একই স্থানে টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি বিনিয়োগ, বাংলাদেশ ২.০ উৎপাদন ও বাজার সুযোগ এবং সামাজিক ব্যবসা, যুব উদ্যোক্তা এবং তিন শূন্যের বিশ্ব- এই তিনটি বিষয়ের ওপর তিনটি গোলটেবিল আলোচনায়ও যোগ দেবেন।

বৈঠককালে তিনি বিভিন্ন কম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সামাজিক ব্যবসা সার্কেলের অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ, বিখ্যাত চীনা কম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করবেন।

প্রফেসর ইউনূস চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সম্মানে আয়োজিত এক নৈশভোজে যোগ দেবেন।

প্রধান উপদেষ্টা এখন চার দিনের চীন সফরে আছেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলওয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং প্রেসসচিব শফিকুল আলম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রয়েছেন।

মন্তব্য

ঢাকায় স্বরাষ্ট্রবিষয়ক অফিস খুলছে অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঢাকায় স্বরাষ্ট্রবিষয়ক অফিস খুলছে অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশন
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান সরকার ঢাকায় একটি নতুন স্বরাষ্ট্র বিষয়ক অফিস চালুর ঘোষণা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসনের সুযোগ বৃদ্ধি এবং অনিয়মিত অভিবাসন ও মানবপাচার মোকাবেলায় যৌথ প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।

যারা অস্ট্রেলিয়ায় বৈধ ও নিয়মিত অভিবাসন বিবেচনা করছেন তাদের জন্য ব্যাপক ভিসা তথ্য পরিষেবার অ্যাক্সেস বৃদ্ধি করে এই অফিস সম্ভাব্য বাংলাদেশি অভিবাসীদের সহায়তা করবে।

বাংলাদেশের রাজধানীতে অবস্থিত এটি অভিবাসন এবং সীমান্ত সম্পর্কিত বিষয়ে বর্ধিত সম্পৃক্ততা এবং সহযোগিতা সহজতর করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগের একটি কেন্দ্রবিন্দু হিসেবেও কাজ করবে।

ভারত মহাসাগর অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ‘যেখানে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ অঞ্চল চাই।’

মানবপাচার প্রতিরোধ এবং নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন পথ প্রচারে সহযোগিতার জন্য অস্ট্রেলিয়ান সরকার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানায়।

অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরে এটি আমার সাথে উত্থাপিত হয়েছিল এবং আমি আনন্দিত যে আমরা এটি বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে কাজ করতে পেরেছি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ