জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে আন্দোলনে নামা ইসি কর্মীরা তাদের ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি স্থগিতের তথ্য জানান বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন।
এনআইডি সেবা সুচারুভাবে চালিয়ে নিতে ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন’ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অন্যদিকে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ‘ন্যাশনাল সিটিজেন ডেটা কমিশন’ নামে একটি স্বতন্ত্র সংবিধিবদ্ধ সংস্থা করার সুপারিশ রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে এনআইডি সেবা কমিশন থেকে অন্যত্র নেওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের অফিসের সামনে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচিও পালন করেছেন ইসি কর্মীরা।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিল করে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়ে আসছেন ইসি কর্মীরা।
সরকারের দৃশ্যমান অগ্রগতি না পেলে ১৯ মার্চ বুধবার ‘অপারেশনাল হল্ট’ নামে কর্মবিরতি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক বলেন, ‘আমাদের দাবি নিয়ে ইসি তৎপর রয়েছে।
সরকারের কাছে ও ঐকমত্য কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে- এনআইডি ইসির অধীনে থাকা উচিত। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবও আশস্ত করেছেন। এ জন্য সাধারণের সার্বিক সেবার কথা বিবেচনা করে ও আশ্বাসে বুধবারের অপারেশনাল হল্প কর্মসূচি স্থগিত করেছি আমরা।’
ইসি কর্মীদের দাবি পূরণে প্রক্রিয়া বিলম্বিত আগামীতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটার তালিকা ও এনআইডি একসঙ্গে নির্বাচন কমিশনে রাখার পক্ষে ইসির আগের সংলাপগুলোতে অংশীজনরা মতামত দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে একটি আইন করে শুধু এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার চেষ্টা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান আইনটি বাতিল করে এনআইডি ইসির অধীনেই রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে দেখা যাচ্ছে আলাদা করে একটি কমিশন বানিয়ে এনআইডি তার অধীনে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলো।