ট্রেন বন্ধের পেছনে দুই মন্ত্রণালয়ের ‘ঠেলাঠেলি’

সজিব ঘোষ
সজিব ঘোষ
শেয়ার
ট্রেন বন্ধের পেছনে দুই মন্ত্রণালয়ের ‘ঠেলাঠেলি’

রেলপথ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণায়লের ঠেলাঠেলিতে ট্রেনের রানিং স্টাফদের দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অনড় কর্মীরা কর্মবিরতি থেকেও সরছেন না। দফায় দফায় রাজনৈতিক দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা, রেলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা, মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বৈঠক হলেও সুরাহা হচ্ছে না। 

যেহেতু রেলকর্মীদের দাবির পেছনে বেতন-ভাতা-পেনশন জড়িত তাই রেল মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তের দায় ঠেলে দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দিকে।

আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিষ্কার জবাব, রেলকর্মীদের ‘অযৌক্তিক দাবি’ মানার সুযোগ নেই। এই ঠেলাঠেলি কয়েক বছর ধরেই চলছে। 

সব মিলিয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় সাড়ে ৫টার দিকেও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক চলছিল।

 

এর ঘণ্টা তিনেক আগে ট্রেন চালু করতে আরো কয়েক দফা সমঝোতার বৈঠক হয়। রাজধানীর ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশনে দুপুরে সব পক্ষকে নিয়ে ট্রেন চালু করতে বৈঠক হয়। কয়েক দফায় দুই ঘণ্টার বেশি বৈঠক চললেও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা যায়নি। 

কর্মবিরতি থেকে সরে আসতে রানিং স্টাফদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ফাহিমুল ইসলাম।

ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। কিন্তু কোনো সুরাহা না হওয়ায় রানিং স্টাফরা বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান।

বৈঠকে অংশ নেওয়া রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের ঢাকা বিভাগের আহ্বায়ক সাইদুস রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘক্ষণ রেলসচিব, (ভারপ্রাপ্ত) মহাপরিচালক সঙ্গে বৈঠক করেছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছতে পারিনি বলে ওই বৈঠক চলাকালীনই আমি চলে আসছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

বৈঠকে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তারা আবারও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে যাবে বিষয়টা নিয়ে। তবে আমাদের দাবি না মানা হলে কর্মসূচি তুলব না।’

এদিকে রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ে রেল উপদেষ্টা, রেলসচিব ও রানিং স্টাফদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরেক দফায় বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

‘যৌক্তিক দাবি যতটুকু পূরণ করা সম্ভব তা করেছি’

দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চলতে থাকলেও সমাধান করতে পারিনি রেল মন্ত্রণালয়। রেল মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঠেলাঠেলিতে এই অবস্থানে গিয়েছে বিষয়টি। অবশেষে বন্ধ হয়ে গেছে ট্রেন চলাচল। 

এদিকে রানিং স্টাফরা দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন তাঁরা। যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক দিনের বেসিকের সমপরিমাণ টাকা অতিরিক্ত পেতেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিবস ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা তিন মাসের সমপরিমাণ।

এ ছাড়া অবসরের পর মূল বেতনের সঙ্গে অতিরিক্ত ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো। তবে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর এই সুবিধা সীমিত করে অর্থ মন্ত্রণালয়। ওই সময়ের পর নতুন করে নিয়োগ পাওয়া কর্মীরা পুরনোদের চেয়ে আরো কম সুবিধা পাবেন বলেও সরকার সিদ্ধান্ত নেয়।

২০২২ সালের পর নিয়োগপত্রে দুটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মীরা চলন্ত ট্রেনে দায়িত্বপালনের জন্য রানিং অ্যালাউন্স ছাড়া অন্য কোনো ভাতা পাবেন না এবং মাসিক রানিং অ্যালাউন্সের পরিমাণ মূল বেতনের চেয়ে বেশি হবে না। এ ছাড়া অবসরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বশেষ আহরিত মূল বেতনের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক পাবেন। এরপর থেকে শুরু হয় জটিলতা। 

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রেলের কর্মচারীদের যে যৌক্তিক দাবি তা যতটুকু পূরণ করা সম্ভব তা করেছি। এরপরও তারা কেন আন্দোলন করছে এমন প্রশ্ন করেছেন। রেলের কর্মচারীদের জন্য মানবিক কারণে যতটুকু করা দরকার করেছি। ওভারটাইম ইস্যুর সমাধান করা হয়েছে। এর বাইরের যেসব দাবি তা পূরণ করা সম্ভব নয়। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করতে হবে।

দিনভর ভোগান্তিতে ট্রেনের যাত্রীরা

রেলওয়ে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারা দেশের সব স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ। এ বিষয়ে রেলওয়ে থেকে যাত্রীদের আগাম কোনো বার্তাও দেওয়া হয়নি। ফলে স্টেশনে এসে ফিরে যাওয়াসহ গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

গতকাল সকাল থেকে দেশের বড় বড় রেল স্টেশনে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র ছিল সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায়।

বেশিরভাগ যাত্রীদের অভিযোগ ‘ট্রেন বন্ধ আমাদের আগে কেন জানাল হলো না’। আর ট্রেন না চললে টিকিট কেন বিক্রি করেছে তারা। 

ট্রেনের যাত্রী বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, যোশোর যাওয়ার জন্য ২৫ তারিখে টিকিট কেটেছিলাম। (আজ) ১০টা ৪৫ মিনিটে রূপসী বাংলা ট্রেনে যশোর যাওয়ার কথা ছিল। আমি বাসে যাতায়াত করতে পারব না। ট্রেন যদি নাই যাবে, তাহলে টিকিট বিক্রি করল কেন? আমি তো মহাপবিপদে পড়েছি। এর দায় নেবে কে?

ট্রেন বন্ধে যাত্রীদের ক্ষোভ স্টেশন ভাংচুর

রানিং স্টাফদের কর্ম বিরতিতে ট্রেন বন্ধ থাকায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।

মঙ্গলবার স্টেশনে আসা কয়েকশো যাত্রী ট্রেন না পেয়ে সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বিক্ষোভ ও এই ভাঙচুর চালান বলে জানিয়েছেন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার শহীদুল আলম।

তিনি বলেন, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা টিটিইদের একটি কক্ষের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। এ সময় অন্য কক্ষগুলোর দরজা তালাবদ্ধ ছিল। স্টেশনে পেতে রাখা বেশকিছু চেয়ারও ভাঙচুর করেন যাত্রীরা। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং টিকিটের টাকা সবাইকে রিফান্ড করা হয়েছে। 

ট্রেনের টিকিটে বাস, ‘বলি’ বিআরটিসি

ট্রেনের বিকল্প হিসেবে যাত্রী পরিবহনের জন্য সারা দেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস সার্ভিস চালু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা করেছে ঠিক। ট্রেনের টিকিট দেখিয়ে যাত্রীরা বাসে করে গন্তব্যের পথে রওনা করতে পেরেছেন। কিন্তু জটিলতায় পড়েছে খোদ বিআরটিসি। 

বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ও বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লা, বগুড়া স্টেশন থেকে ভিবিন্ন গন্তব্যে মোট ২৯টি বাস যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে। যাত্রীরা তাদের ক্রয় করা রেল টিকিটের মাধ্যমে এই ভ্রমণ করতে পেরেছেন। একইভাবে এসব স্থান থেকে ঢাকায় এই সার্ভিসের মাধ্যমে আসতেও পারবেন। তবে একই গন্তব্যে বেশি যাত্রী না হওয়ায় বাসগুলো পরিপূর্ণ হচ্ছে না।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিআরটিসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, বিভিন্ন পথে যেখানে সেতুর টোল দিতে হবে সেই টাকাও আমাদের পকেট থেকে দিতে হয়েছে। এর বাইরে ২৯ বাসের জন্য আলাদা করে জ্বালানি খরচ রয়েছে। বাসগুলো ফিরতি পথে কীভাবে আসবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাস যদি খালি আসে তাহলে লোকসান দিগুণ হবে। যেহেতু সড়ক ও রেলের উপদেষ্টা এমন নির্দেশনা দিয়েছেন তাই হঠাৎ সিদ্ধান্তে এমন দুর্গতিতে পরতে হলো। ২৯টি বাস চালানোর বিপরীতে বিআরটিসি কোনো টাকা পাবে কিনা- সেই নিশ্চয়তা এখনও পাওয়া যায়নি।   

হুঁশিয়ারি আমলে নেওয়া হয়নি

রানিং স্টাফদের দাবির বিষয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো মতামতের ভিত্তিতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) একটি সভা ডেকেছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়। কিন্তু দাবির বিষয়ে অনড় থাকায় সভায় যোগ দেননি রেলের রানিং স্টাফরা। দাবি মানা না হলে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে রানিং স্টাফরা যে টানা কয়েকদিন ট্রেন চালানো বন্ধ করে দেবেন এমন হুঁশিয়ারি ওই দিন ঘোষণায় রূপ নেয়। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা এই হুঁশিয়ারি বা ঘোষণা আমলে নেননি। তাই যাত্রীদেরকে সতর্ক করার মতো উদ্যোগ ছিল না রেলের। উল্টো ট্রেনের টিকিট বিক্রি অব্যাহত থাকে। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা রেল মন্ত্রণালয়ের সভা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমাদের কোনো কর্মচারি সভায় অংশগ্রহণ করেনি। আমরা জানতে পেরেছি, আমাদের দাবি মানা হবে না। আমাদের কাছে আরো সময় চাওয়া হবে। সেজন্যই আমরা আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা মঙ্গলবার (আজ) থেকে ট্রেন চালানো বন্ধ করে দিয়ে কর্মবিরতিতে যাব। আমাদের কর্মসূচি কাল থেকে চলতে থাকবে। 

কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, গত ডিসেম্বরে আন্দোলন করলে রেলওয়ের কর্মকর্তারা আমাদের ডাকলেন। তারা আমাদের কাছে ১০ দিন সময় চেয়েছিলেন। আমি তাদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। কিন্তু তারা আমদের জন্য কিছু করতে পারলেন না। পরে ১ জানুয়ারি আমরা জানিয়ে দিলাম, আমরা আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চালাব না।


 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিদেশ গমনেচ্ছুদের সতর্ক করে যে ১০ নির্দেশনা দিল মন্ত্রণালয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিদেশ গমনেচ্ছুদের সতর্ক করে যে ১০ নির্দেশনা দিল মন্ত্রণালয়
সংগৃহীত ছবি

‘রাশিয়ায় যুদ্ধে আট বাংলাদেশি’ ও ‘রাশিয়ায় মৃত্যুমুখে আরো ১৮ যুদ্ধদাস’ শিরোনমে সম্প্রতি কালের কণ্ঠ পত্রিকায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দালালদের খপ্পরে পড়ে কীভাবে রাশিয়া যুদ্ধে বাংলাদেশিরা জড়িয়েছে তা উঠে এসেছে। এ ছাড়াও কয়েকজনের মৃত্যুর খবরও উঠে এসেছে। সংবাদটি দুটি প্রকাশের পরেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ছাড়াও সম্প্রতি দালালদের প্রলোভনে পড়ে প্রবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা বেড়েছে। তাই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আজ রবিবার সতর্কতামূলক একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

আরো পড়ুন
রাশিয়ায় মৃত্যুমুখে আরো ১৮ যুদ্ধদাস

রাশিয়ায় মৃত্যুমুখে আরো ১৮ যুদ্ধদাস

 

যেখানে বলা হয়েছে, এতদ্দ্বারা বিদেশগমনেচ্ছু সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সম্প্রতি বিদেশে কর্মসংস্থানের প্রলোভন ও মিথ্যা আশ্বাসের মাধ্যমে এক শ্রেণির প্রতারক, দালাল ও এজেন্সি বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়মবহির্ভূতভাবে ও অবৈধভাবে বিদেশ গমনে প্রলুব্ধ করছে। তারা মূলত বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের মোটা অংকের বেতন ও কাজের লোভ দেখিয়ে টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসার মাধ্যমে লিবিয়া, রাশিয়া, লেবানন ও মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে প্রেরণ করছে।

আরো পড়ুন
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত সিংড়ার হুমায়ুন কবির

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত সিংড়ার হুমায়ুন কবির

 

টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসায় কাজের আইনগত সুযোগ না থাকায় এভাবে বিদেশ গমন করে কর্মীগণ শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে প্রাণহানিসহ জেল জরিমানার শিকার হচ্ছেন। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিদেশ গমনের পূর্বে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলির প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ করা হলো-


১. কর্মসংস্থান (ওয়ার্ক পারমিট) ভিসায় বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশ গমন না করা;

২. দালালের প্রলোভনে ট্যুরিস্ট বা ভিজিট ভিসায় কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশ গমন না করা;

৩. বিদেশ গমনের পূর্বে নিয়োগকর্তার নাম, ঠিকানা, চাকরির বিস্তারিত বিবরণ যেমন- বেতন-ভাতা, কর্মের মেয়াদ, থাকা, খাওয়া, আকামা বা ওয়ার্ক পারমিটসহ অন্যান্য সুবিধাদি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া;

৪. বহির্গমন ছাড়পত্র ও গন্তব্য দেশের টিকিট ব্যতীত কর্মসংস্থান ভিসায় বিদেশ গমন না করা;

৫. জলপথ, স্থলপথ বা পায়ে হেঁটে গমন করে কর্মের জন্য দালালের মিথ্যা প্রলোভনে আশ্বস্ত না হওয়া;

৬. ভিসা প্রদানকারী দেশের দূতাবাস বা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো হতে ভিসার সঠিকতা নিশ্চিত হয়ে গমন করা;

৭. বিদেশ গমনের পূর্বে নিয়োগকারীর সাথে কর্মচুক্তি স্বাক্ষর নিশ্চিত করে বিদেশ গমন করা;

৮. ভিসা, কর্ম চুক্তিপত্র, নিয়োগকারী ও রিক্রুটিং এজেন্সির ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করা;

৯. বিদেশ গমনের পূর্বে গমনকারী দেশে অবস্থিত বা নিকটবর্তী বাংলাদেশ দূতাবাসের ঠিকানা ও যোগাযোগ নাম্বার সংরক্ষণ করা;

১০. সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি) তে প্রচারিত ভুয়া চাকরির বিজ্ঞপ্তি দ্বারা প্রতারণার হাত থেকে রক্ষার জন্য রিক্রুটিং এজেন্সি বা নিয়োগকর্তার তথ্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.probashi.gov.bd বা বিএমইটি'র ওয়েবসাইট www.bmet.gov.bd বা প্রবাসবন্ধু কল সেন্টার নম্বর ১৬১৩৫ হতে যাচাই করা।

মন্তব্য

ফারজানা সিঁথির নাচের দৃশ্য দাবিতে ভিডিও প্রচার, যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফারজানা সিঁথির নাচের দৃশ্য দাবিতে ভিডিও প্রচার, যা জানা গেল
সংগৃহীত ছবি

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে ভিডিও দুটি ফারজানা সিঁথির নাচের দৃশ্যের। প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ৫ লক্ষেরও অধিক বার দেখা হয়েছে এবং ৭ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটিতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। তবে নাচের দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিও দুইটিতে ফারজানা সিঁথি নয় বলে জানিয়েছে রিউমর স্ক্যানার।

ফারজানা সিঁথি

ফারজানা সিঁথি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচিত মুখ।

সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকমাস আগে ভাইরালও হয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ফারজানা সিঁথির নাচের দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিও দুটিতে ফারজানা সিঁথি নয়, ছিলেন ভারতীয় দুই নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী। উর্ভশী অপ্সরা ও স্বেকশা সিং নামের উক্ত দুই মডেলের ভিডিওকে প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে ফারজানা সিঁথির মুখমণ্ডল বসিয়ে প্রচার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
ফেব্রুয়ারিতে আ.লীগের কর্মসূচি নিয়ে হাসিনার বিবৃতির বিষয়ে যা জানা গেল

ফেব্রুয়ারিতে আ.লীগের কর্মসূচি নিয়ে হাসিনার বিবৃতির বিষয়ে যা জানা গেল

 

অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত প্রথম ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে উর্ভশী অপ্সরা নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে (ইউজারনেম: urvashi_apsaraa) গত ১ জানুয়ারিতে প্রচারিত একটি ভিডিও পোস্ট পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে থাকা ব্যক্তির ড্রেস, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং অঙ্গভঙ্গির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির হুবহু সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন
শত নৌকার জাদুঘর ধ্বংস

শত নৌকার জাদুঘর ধ্বংস

 

ওই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে জানা যায়, নৃত্যরত ব্যক্তি ভারতীয় নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী উর্ভশী অপ্সরা। উর্ভশী একই পোশাকে পরবর্তী সময়ে তার অ্যাকাউন্টে কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন।

অর্থাৎ, উর্ভশীর নাচের ভিডিওকে ডিপফেক প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে ফারজানা সিঁথির মুখমণ্ডল বসিয়ে প্রচার করা হয়েছে।

ফারজানা সিঁথির নাচের দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত দ্বিতীয় ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ‘swekshaasinghh27’ ইউজারনেমের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবরে প্রচারিত একটি ভিডিও পোস্ট পাওয়া যায়। ওই পোস্টে থাকা ব্যক্তির ড্রেস, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং অঙ্গভঙ্গির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির হুবহু সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন
আমাকে আইনি পথে হাঁটতে বাধ্য করবেন না : তনি

আমাকে আইনি পথে হাঁটতে বাধ্য করবেন না : তনি

 

ওই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে জানা যায়, নৃত্যরত ব্যক্তি ভারতীয় নৃত্যশিল্পী স্বেকশা সিং। তিনি একই পোশাকে তার অ্যাকাউন্টে আরো কিছু নাচের ভিডিও পোস্ট করেছেন।

অর্থাৎ, স্বেকশার নাচের ভিডিওকে ডিপফেক প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে ফারজানা সিঁথির মুখমণ্ডল বসিয়ে প্রচার করা হয়েছে। সুতরাং, ফারজানা সিঁথির নাচের দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি এডিটেড বা সম্পাদিত।

আরো পড়ুন
প্রেস সচিবের স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট পোস্ট করে যা বললেন শাওন

প্রেস সচিবের স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট পোস্ট করে যা বললেন শাওন

 
মন্তব্য

ঢাকা শহর মানবদেহ হলে খালগুলো শিরা-উপশিরা : আসিফ মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকা শহর মানবদেহ হলে খালগুলো শিরা-উপশিরা : আসিফ মাহমুদ
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ঢাকা শহরকে যদি মানবদেহ কল্পনা করা হয়, তবে খালগুলো হচ্ছে শিরা-উপশিরা। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খালগুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে, এজন্য খালগুলোকে করতে হবে দূষণমুক্ত, খনন এবং সংস্কার।

আরো পড়ুন

ঢাকার খাল গুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা

ঢাকার খাল গুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা

 

আজ রবিবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত বাউনিয়া খাল প্রান্তে "ঢাকা শহরের খালগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করে খালকেন্দ্রিক ব্লু নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত ৬ টি খাল যথা-বেগুনবাড়ি, কড়াইল, বাউনিয়া, রূপনগর, মান্ডা ও কালুনগর খালের সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনী" অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। 

উপদেষ্টা আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন সংস্কার নিয়ে কাজ করছে।

নগর সমস্যা সমাধানে ‘ঢাকা নর্থ মডেল পরিকল্পনা' হাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে কেন্দ্র করে গড়া এই পরিকল্পনা নগর ব্যবস্থাপনার জন্য রোল মডেল।

আরো পড়ুন

যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মানবপাচার উদ্বেগজনক : শরীফুল হাসান

যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মানবপাচার উদ্বেগজনক : শরীফুল হাসান

 

দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ঢাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঢাকা শহরের অভ্যন্তরস্থ ও চারপাশের সকল জলাধার যেমন- খাল, জলাশয় ইত্যাদির কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে নগর জীবনের পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সাধনের উদ্যোগ ও রূপরেখা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ।

 

ব্লু নেটওয়ার্ক হচ্ছে এরূপ রূপরেখা যেখানে ঢাকার ১৯ টি খালকে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। ব্লু নেটওয়ার্ক এর উদ্যোগ যেনো চলমান থাকে এবং খাল সংস্কার কার্যক্রমে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণ কামনা করেন তিনি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান খাল সংস্কার কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং খাল সংস্কারের প্রাথমিক টার্গেট হিসেবে খালগুলোতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং ড্রেনেজ সিস্টেম ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নাগরিকদের বিশেষ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জাতীয় কমিটির

ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জাতীয় কমিটির

 

খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নিজাম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তরের প্রধানগণসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

মন্তব্য

ঢাকার খালগুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকার খালগুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা
ছবি: কালের কণ্ঠ

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার খালগুলোতে আমাদেরকে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে। খালগুলো হবে প্রাণকেন্দ্র। খালের আশেপাশের বাসা বাড়ির বর্জ্যগুলো পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। একটা বিহীত করতে হবে যাতে খালে কেউ ময়লা ফেলতে না পারে।

আর এজন্য স্থানীয়দেরকে দিয়ে আমরা একটা কমিটি করে দেব, দুই কিলোমিটার পর পর একটা কমিটি থাকবে, তারা এটি মনিটর করবে।

আরো পড়ুন
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জাতীয় কমিটির

ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জাতীয় কমিটির

 

আজ রবিবার রাজধানীর বাউনিয়ায় ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসির আওতাধীন ০৬ টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করে খাল কেন্দ্রিক ব্লু নেটওয়ার্কের  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। 

পানি সম্পদ উপদেষ্টা আরো বলেন, আশা করি আমরা এই বর্ষার আগে আপাতত ছয়টা খাল দখল ও দূষণমুক্ত করতে সক্ষম হব। এবং খুব শীঘ্রই আমরা আরো চারটা খাল দখল ও দূষণমুক্তকরণের কাজ শুরু করব।

এই বর্ষার আগে বাকি আরও ৯টির কাজ শুরু হবে। অর্থাৎ এ বছরের মধ্যেই ১৯ টি খালের দখল ও দূষণমুক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আমরা হয়তো এই ১৯টি খাল কেন্দ্রিক মাস্টারপ্ল্যান করে ফেলব। কোথায় কোথায় আমাদেরকে একদম সুনির্দিষ্ট আরো কিছু কাজ করতে হবে সেটা ঠিক করে আগামী বাজেটকে সামনে রেখে আমরা কাজগুলো ঠিক করে সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা অর্থের সংস্থান করতে পারব বলে আশা করি।

আরো পড়ুন
বান্দরবানে শিক্ষার্থীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা উপকরণ উপহার

বান্দরবানে শিক্ষার্থীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা উপকরণ উপহার

 

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে, খালের যে পাড়টা আছে ওই পাড়ে আমরা চাষাবাদ করতে পারি কিনা। আমরা চাচ্ছি খালের পাড়গুলোতে আমরা সবুজ ফিরিয়ে আনতে পারি কিনা, আর খালের মধ্যে মাছ আনা যায় কিনা। সেটা আমরা কেমন করে ফিরিয়ে আনব, কেমন করে আমরা খালের প্রাণ ফিরিয়ে দেব সেই চেষ্টাটা আমরা করব। 

তিনি বলেন, এটা আমাদের মন্ত্রণালয় কেন্দ্রিক উদ্যোগ হলেও নগরবাসীকে এ কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, নগরবাসীকে তার খালগুলোকে রক্ষার দাবি তুলতে হবে এবং সেখানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।

আপনাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে, অধিকারের জায়গা থেকে অধিকারের চর্চাও করতে হবে, দায়িত্বের জায়গা থেকে দায়িত্বও পালন করতে হবে আপনাদেরকে।   

উপদেষ্টা বলেন, আমরা যখন খাল পুনরুদ্ধার করতে যাব, আমাদেরকে খালের কিছু কিছু অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে হবে, আমরা জানি তখন হয়তো কিছু বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে কিন্তু আমরা সম্মিলিতভাবে সে বাধা মোকাবেলা করব। খালে যেন পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারি এটা আমাদের প্রাথমিক টার্গেট।

আরো পড়ুন
শমশেরনগর রেলস্টেশনের ৪০ পাম গাছের যত্নে বসুন্ধরা শুভসংঘ

শমশেরনগর রেলস্টেশনের ৪০ পাম গাছের যত্নে বসুন্ধরা শুভসংঘ

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও  সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান, পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. হামিদুর রহমান খান এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার সচিব মো. নিজাম উদ্দিন। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও অতিরিক্ত সচিব মো. মাহমুদুল হাসান এবং খাল বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন ক্যাপ্টেন ফিদা হাসান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় তত্ত্বাবধানে এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রাজউক, ঢাকা ওয়াসা, আরডিআরসি,বাপা, গ্রীন ভয়েস, WBBT, বাংলাদেশ পুলিয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ড অংশগ্রহণে খাল দখল ও দূষণমুক্তকরণের কাজটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, আজ দখল ও দূষণমুক্ত কার্যক্রমের জন্য উদ্বোধন হওয়া এ ছয়টি খাল হচ্ছে- বাউনিয়া খাল, রুপনগর খাল, বেগুনবাড়ি খাল, মান্ডা খাল, কালুনগর খাল, কড়াইল লেক। এ ছয়টি খালের মোট দৈর্ঘ্য ২৩.৬৬ কিলোমিটার।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ