অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের নতুন সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানের শুরুতে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। এরপর পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়।
এরপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সি আর আবরারকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথগ্রহণ শেষে তিনি শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
সি আর আবরার শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাচ্ছেন। বর্তমানে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
সি আর আবরার শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়ার পর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শুধু পরিকল্পনা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক সিআর আবরার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক নামকরা শিক্ষক। বুধবার উনি শপথ নেবেন। প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অনেক দিন ধরেই বলছিলেন, উনি একসঙ্গে দুটি মন্ত্রণালয় কাজ করতে পারছেন না।
যেহেতু উনি অ্যাডভান্সড স্টেজে, প্ল্যানিং মিনিস্ট্রিতে অনেক বড় দায়িত্ব ওনার। এ জন্য অধ্যাপক সি আর আবরার যুক্ত হচ্ছে উপদেষ্টা পরিষদে।
প্রসঙ্গত, শরণার্থী ও শ্রম অভিবাসন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সি আর আবরারের জন্ম ১৯৫২ সালের ১৭ আগস্ট ফরিদপুরে। তার পিতা আবদুস সাত্তার চৌধুরী ও মা সোফিয়া সুলতানা। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন তিনি। এরপর যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে এমএ এবং অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৭৯ সাল থেকে টানা চার দশক ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতা করছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের খ্যাতিমান এই অধ্যাপক শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) নির্বাহী পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করছেন তিনি। তার গবেষণার বিষয় রোহিঙ্গা শরণার্থী, স্বল্পমেয়াদি শ্রম অভিবাসী এবং বাংলাদেশে ক্যাম্পে বসবাসকারী উর্দুভাষী সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে। তিনি শ্রম নিয়োগ শিল্প, সামাজিক সুরক্ষা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অধিকার বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন।