<p>বস্তুটির বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দুই অবস্থার হিসাবেই রাখতে হবে। যেমন বস্তুটার, আকার, আয়তন, ঘনত্ব, তাপমাত্রার ইত্যাদি নোট করতে হবে কাঁটায় কাঁটায়। তারপর সেটার ঢুঁ মারতে হবে ভেতরে। জানতে হবে, সেটার ভেতরে কতগুলো কণা ও পরমাণু ছিল, সেগুলোর কোনটার অবস্থা কেমন ছিল, এমনকী পরমাণুগুলির ভেতরে ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন, এমনকী কোয়ার্ক ও গ্লুয়নের মতো কণাদের প্রত্যেকটির হিসাব রাখতে হবে।</p> <p>তারপর প্রতিটা কণায় ভাগ করে, সেগুলোর ভরকে শক্তিতে রূপান্তর করে, শক্তি তথ্যে বদলে ফেলে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে। যেখানে থাকবে একটা রিসিভার। সে তথ্যগুলো হিসাব করে সেগুলো শক্তিতে রূপান্তর করবে। আরেকটা কাজও করা যেতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফিলাডেলফিয়া রহস্য : পর্ব ১৬" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/28/1727514596-52aa34b8e4bb4f5ddd6856b94bc0184a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফিলাডেলফিয়া রহস্য : পর্ব ১৬</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/28/1429752" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রিসিভারে থাকবে শক্তির উৎস, এমনকী মূল কণিকাদের জোগানও থাকতে পারে। তারপর এপাশ থেকে যাওয়া তথ্যগুলো রিসিভারের কম্পিউটার প্রথমে পড়বে। তারপর তথ্য অনুযায়ী তৈরি করবে ডায়াগ্রাম। সেই ডায়াগ্রাম অনুযায়ী রিসিভার যন্ত্র বাইরে থেকে পুশ করা এনার্জি বা মূল কণিকাদের নিয়ে থ্রি ডি প্রিন্টারের মতো করে বস্তুটি তৈরি করে দেবে। তবে এখানে একটা মূল পার্থক্য থাকবে থ্রিডি প্রিন্টারের সঙ্গে। থ্রিডি প্রিন্টার বস্তু তৈরি করতে অনেক সময় নেয়, টেলিপোর্টেশনের রিসিভার সেটা নিলে চলবে না। সেটাকে কাজ করতে হবে মুহূর্তের মধ্যে।</p> <p>তাত্ত্বিকভাবে টেলিপোর্টেশন সম্ভব, বোঝাই যাচ্ছে। বাস্তবে টেলিপোর্টেশন কী সম্ভব?</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাইকোপ্যাথির আরো মিথ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/28/1727525501-81f77e3f5802438533a134c4d529f0d9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাইকোপ্যাথির আরো মিথ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/28/1429789" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সম্ভব। টেলিপোর্টেশনের সফল পরীক্ষা করা হয়েছে বেশ কয়েকবার। এখনো চেষ্টা চলছে। কিন্তু সেগুলোর সবই হয় ফোটন জাতীয় কণার, নয়তো পারমাণবিক পর্যায়ে। জাহাজের মনো বিশাল বস্তু দূরে থাক, একটা পরমাণুকেও যদি বিজ্ঞানীরা টেলিপোর্ট করতে পারেন সেটা হবে একবিংশ শতাব্দীর বড় কথা৷</p> <p>সেই ১৯৪৩ সালে আস্ত একটা জাহাজ টেলিপোর্ট করে ফিলাডেলফিয়া থেকে নরফোকে পাঠানো হলো, এ নিতান্ত রূপকথার গল্প। এ গল্প বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চাঁদ কেন আমাদের সঙ্গে চলে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/28/1727521509-5e13a2f4d8b06de66e213d5ac2de65a7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চাঁদ কেন আমাদের সঙ্গে চলে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/28/1429777" target="_blank"> </a></div> </div> <p> </p> <p>আসলেই কিছু ঘটেছিল সেদিন? জাহাজের লগবুকে কিছু পাওয়া যায়নি। অবশ্য গুজবে বিশ্বাসীদের ধারণা, লগুবুকে যেটা পাওয়া যায়, সেটা আসল লগবুক নয়, আসলটা নষ্ট করে নকল লগবুক চালাচ্ছে নৌবাহিনী।</p> <p>কেউ কেউ মনে করেন, আলেন্ড বা জেসাপের বর্ণনার মতো না হলেও সেদিন একটা পরীক্ষা করা হয়েছিল এলড্রিজ জাহাজে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আলোক-তড়িৎক্রিয়ার ব্যাখ্যা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/26/1727344962-579a1409897385448c7cd0a1351ed28b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আলোক-তড়িৎক্রিয়ার ব্যাখ্যা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/26/1429124" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ফরাসি গবেষক জ্যাকুয়াস ফ্যাব্রিক ভ্যালি একটা আর্টিকেল প্রকাশ করেন জার্নাল অব সায়েন্টিফিক এক্সপ্লোরেশন-এ। ১৯৯৪ সালে। তিনি বেশ খোঁজ-খবর করেন এ ব্যাপারে। </p> <p>চলবে...</p> <p>সূত্র: অল অ্যাবাউট হিস্ট্রি</p>