<p>ঢাকার আশুলিয়ায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং আরো ৫ জন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন শ্রমিক। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অন্তত ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।</p> <p>আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবো এলাকার মণ্ডল গ্রুপের কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাউসার হোসাইন খান (২৭) আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার ম্যাঙ্গো টেক্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিক। এনাম মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার মো. ইউসুফ আলী তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>গুলিবিদ্ধ ৫ শ্রমিকরে মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন ন্যাচারাল ডেনিমসের শ্রমিক হাবীব ও ন্যাচারাল ইন্ডিগো কারখানার নাজমুল হাসান। তাদের পিএমকে হাসপাতাল ও এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত শ্রমিকদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। </p> <p>গুলিবিদ্ধ দুজন শ্রমিক জানান, সকালে মণ্ডল গ্রুপের শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মালিকপক্ষ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ত্রিপক্ষীয় মিটিং শুরু হয়। মিটিংয়ে মালিক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী একপেশি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পরে শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে কারখানার প্রধান ফটকে এসে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের প্রধান ফটক থেকে সড়ে যেতে বলেন। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের অবস্থান পরিবর্তনের বিষয়টি অস্বীকৃতি জানালে তারা তাদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করেন। পরে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ৫ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় পিএমকে হাসপাতাল ও সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গুলিবিদ্ধ কাউসার হোসাইন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।</p> <p>এনাম মেডিক্যালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, ‘আজ সোমবার দুপুরের দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৩ জন শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে কাউসার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অন্য দুজনের চিকিৎসা চলমান রয়েছে।’</p> <p>শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।</p>