<p>উত্তরের হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চল দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় শীতের তীব্রতা কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় ফুটপাত ও পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ কম মূল্যে শীতবস্ত্র কেনার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন।</p> <p>আজ শুক্রবার (২২নভেম্বর) সকালে পৌর শহরের বিভিন্ন দোকানে শীত মোকাবেলার জন্য মাফলার, টুপি, মোজা, কানটুপি, সোয়েটারসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র কেনার হিড়িক পড়ে।</p> <p>পরিবার নিয়ে শীতবস্ত্র কিনতে আসা মো. নাজিরুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ করেই শীত বেশি পড়তে শুরু করেছে। তাই নাতির জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। তবে এত ভিড় হবে ভাবিনি।’</p> <p>পুরাতন কাপড় বিক্রেতা মিন্টু ইসলাম বলেন, ‘শীতের পুরাতন কাপড় দামে সহজলভ্য হওয়ায়, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের চাহিদা বেড়েছে।’ একই ধরনের মতামত দেন ফুটপাতে কাপড় বিক্রেতা মো. মানিক। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন তেমন বিক্রি হয়নি। তবে আজ শিশুদের কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে।’</p> <p>শীতের তীব্রতা বাড়ায় বীরগঞ্জের বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের বিক্রিও বেড়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে।</p> <p>দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯% এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার।</p> <p>আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘নভেম্বর মাসের শেষ দিকে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে এবং সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করতে পারে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় দিনের তাপমাত্রাও কিছুটা কমতে পারে।’</p>